Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মার্চ ২০২০

তথ্যবিবরণী ২৭ মার্চ ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১১৫১

 

সিটি করপোরেশনের জীবাণুনাশক কার্যক্রম

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

 

          করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিয়মিত জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

 

          ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃক ২২ মার্চ থেকে পাঁচটি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে তরল জীবাণুনাশক প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ পর্যন্ত  ৫ লাখ ২০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক প্রায় ৭৮ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ছিটানো হয়েছে।

 

          এ সময় প্রধান সড়ক, উন্মুক্ত স্থান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে যেমন স্প্রে করা হয়েছে তেমনি জনগণ যাতায়াত করে এমন সকল অবকাঠামোতেও জীবাণুনাশক দেওয়া হচ্ছে, যেমন ফুটওভার ব্রিজে বা যাত্রী ছাউনিতে। যেখানে ওয়াটার বাউজার দিয়ে ছিটানো যায় না সেখানে হ্যান্ড স্প্রে এবং হুইলব্যারো মেশিনের সাহায্যে জীবাণুনাশক দেওয়া হচ্ছে। সড়কে থাকা বিভিন্ন যানবাহন, গণপরিবহনে, বাস টার্মিনালগুলোতেও স্প্রে করা হচ্ছে।

 

          গতকাল  স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম  ডিএনসিসির ৭ নং ওয়ার্ডে ডিএনসিসির নবনির্বাচিত মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে সাথে নিয়ে জীবাণুনাশক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এদিন ডিএনসিসি কর্তৃক ৫টি গাড়ির সাহায্যে ১৩টি টিপের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার লিটার ব্লিচিং তথা ক্লোরিন মিশ্রিত তরল জীবাণুনাশক  প্রায় ১৯ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে ছিটানো হয়।

 

          আজকেও ডিএনসিসি কর্তৃক ৮টি গাড়ি দিয়ে ১৬টি ট্রিপের মাধ্যমে  ১ লাখ ৬০ হাজার লিটার জীবাণুনাশক প্রায় ২৪ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে স্প্রে করা হয়।

 

          ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি) নিয়মিত তরল জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম শুরু করেছে। ডিএসসিসি বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে পূর্ব থেকেই ধুলাবালি মুক্ত করার লক্ষ্যে পানি ছিটানোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বর্তমানে ব্লিচিং তথা ক্লোরিন মিশ্রিত  জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। 

 

          আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ৮টি গাড়ির সাহায্যে মোট ৪৮টি  ট্রিপের মাধ্যমে প্রায় ৩ লাখ ১৪ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।

 

          ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃক জীবাণুনাশক ছিটানোর এ কার্যক্রম নিয়মিত চলবে।

 

#

 

হাসান/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১১৫০

 

করোনা প্রতিরোধে অপরিহার্য পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

 

        যেসকল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশ বহাল রয়েছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি অপরিহার্য পণ্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট, মাক্স, গ্লাভস, হ্যান্ড ওয়াশ/স্যানিটাইজার, ঔষধ ইত্যাদির উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে সে সকল কলকারখানা বন্ধের বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা প্রদান করেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইডিসিআর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে মালিকগণ প্রয়োজনবোধে বর্ণিত কলকারখানা সচল রাখতে পারবেন। 

     

          আজ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়েছে। পত্রটি সকল মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে প্রেরণ করা হয়েছে। 

 

        পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে শিল্প কারখানা বন্ধের বিষয়ে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভিন্নমুখী বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। এতে করে কারখানা মালিকগণ শিল্প কারখানা চালু রাখার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। যেসকল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশ বহাল রয়েছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি অপরিহার্য পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে সে সকল কলকারখানা বন্ধের বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা প্রদান করেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইডিসিআর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে মালিকগণ প্রয়োজনবোধে বর্ণিত কলকারখানা সচল রাখতে পারবেন। 

 

          তবে প্রত্যেক কর্মীকে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে পত্রে অনুরোধ করা হয়। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি হলে এবং সর্দি, কাশি ও শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা থাকলে অর্থাৎ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করে সংগনিরোধ (Quarantine) এর ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়।

 

       পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত পঁচিশ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা-সহ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

 

#

 

আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১১৪৯

 

মিরপুরে অসহায়দেরকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

 

          ঢাকার মিরপুরে করোনায় গরিব অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য উপকরণ ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

 

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আজ তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে কাজ বন্ধ করে ঘরে অবস্থানরত ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ৪, ১৩, ১৪, ১৬ এবং ৯৪ নং ওয়ার্ডের প্রায় তিন হাজার দিনমজুর ও অসহায় ব্যক্তিদেরকে প্যাকেটে এ সকল উপকরণ বিতরণ করেন। প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ পিস সাবান ও ১ পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

 

          উপকরণ বিতরণকালে শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনা প্রতিরোধে সকলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) নির্দেশিত নিয়মাবলি পরিপূর্ণভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী এ সময় গরিব ও অসহায়দের সাহায্য করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

 

#

 

মাসুম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৮৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১১৪৮

 

রাস্তাঘাটে মানুষকে হয়রানি নয়

                         -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

            সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে অকারণে হয়রানি সঠিক নয় উল্লেখ করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে হয়রানি না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

            আজ দুপুরে তথ্যমন্ত্রী ঢাকায় মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে ফেসবুক লাইভে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। রাস্তায় পুলিশের লাঠিচার্জ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

            মন্ত্রী বলেন, 'রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা না করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যে কেউ প্রয়োজনে যেতেই পারেন এবং গেলেই হয়রানির শিকার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি করার জন্য পুলিশকে বলা হয়নি।'

            'গতকালও পুলিশ সদর দফতর থেকে বলা হয়েছে, মানুষ প্রয়োজনে অবশ্যই রাস্তায় বের হতে পারে, কিন্তু অপ্রয়োজনে নয়' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'যদি কেউ অপ্রয়োজনে বের হয় তাহলে তাদের বুঝিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে, লাঠিচার্জ বা হয়রানি নয়।'

'বিএনপি'র জমায়েত দায়িত্বহীনতার পরিচয়'

            বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় জমায়েতের সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে ১৫ আগস্টে বেগম জিয়ার মিথ্যা জন্মদিনের কেককাটা, কোকোর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে গেলে বাসার দরজা না খোলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা -সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে যখন বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করলেন, সমস্ত দেশের মানুষ যখন করোনার বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ঘরের মধ্যে অবস্থান করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন, তখন আমরা দেখতে পেলাম বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিলাভের সময় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সামনে, পথে ও গুলশানের বাড়িতে বহু মানুষের জমায়েত।' 

            'করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে যেখানে স্বাধীনতা দিবসের সমস্ত অনুষ্ঠানমালা এমনকি জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে এই ধরনের জমায়েত করা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল-সহ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের পাশে থাকব এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সমর্থ হবো।

'প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশবাসীর সাড়া স্বতঃস্ফূর্ত'

            তথ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বলেন, 'গত ২৫ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণে বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশবাসী কার্যত ঘরেই অবস্থান করছেন এবং সরকার ও ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যেসব ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেগুলোতে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছেন।'

            এই দুর্যোগের কারণে অর্থনীতির যে পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সে বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতির কথা প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন এবং ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন জানিয়ে এ সময় করোনা মোকাবিলায় নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য কেজিপ্রতি ১০ টাকা হারে চাল বিক্রয়ের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও জানান ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

#

আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১১৪৭

 

যুদ্ধ-বিগ্রহের চেয়ে প্রাণরক্ষার গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি আজ সময়ের দাবি

                                                                 -- তথ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

 

          করোনা ভাইরাস নামক একটি জীবাণুর কাছে পরাস্ত পৃথিবীতে যুদ্ধ-বিগ্রহের চেয়ে প্রাণরক্ষার গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধিকে আজ সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

          আজ ঢাকায় মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে ফেসবুক লাইভে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। 

 

          সামরিক খাতে ব্যয়ের তুলনায় চিকিৎসার গবেষণায় ব্যয় কম হওয়াকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, “আজকে সারা পৃথিবী দেখছে, একটি জীবাণুর কাছে মানুষ কত অসহায়। সমস্ত পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ আজ 'লকডাউন' অবস্থায়, পৃথিবী থমকে গেছে। শত্রুটা কি? একটি জীবাণু। আমরা একটি জীবাণু মোকাবিলা করতে পারি নি, পরাস্ত করতে পারি নি।'

 

          সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'পৃথিবীতে মেডিকেল রিসার্চের জন্য সরকারি ব্যয় হচ্ছে প্রতিবছর ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা মাত্র কয়েকটি সামরিক বিমানের মূল্যের সমান।'

 

          আর অন্যদিকে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ক্রমাগত ভাবে ব্যয় বাড়িয়ে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, '২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ ভাগ এবং এই ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। পৃথিবীর বড় পাঁচটি দেশ পৃথিবীর মোট সামরিক ব্যয়ের ৬০ ভাগ ব্যয় করে এবং সেটা প্রতিবছর বাড়ছে।' 

 

          এখন ভাবার সময় এসেছে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করার ব্যয় বাড়াবো, নাকি মানুষকে স্বাস্থ্যগত ভাবে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যয় বাড়াবো, বলেন পরিবেশ গবেষক ড. হাছান মাহমুদ।  

 

          ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য সতর্কতাবাণী উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, 'ভবিষ্যতেও এ ধরনের জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে।  সুতরাং সেটি থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য গবেষণা বরাদ্দ বাড়ানো আজ সময়ের দাবি। আমি মনে করি, যেভাবে একটি জীবাণুর কাছে আমরা মানবজাতি অসহায় হয়ে পড়েছি, এতে করে যারা অস্ত্র বা যুদ্ধ প্রতিযোগিতার মধ্যে আছেন তাদের বোধোদয় হবে।'

 

#

 

আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১১৪৬

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

 

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) এর আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে চার জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে  কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১১ জন। এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছে ৫ জন।  বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ হাজার ৭২৪ জন এবং আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৪৭ জন।

 

করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য এ পর্যন্ত দেশে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৫৭ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ লাখ ২২ হাজার ১৯৯ জন,  দু’টি সমুদ্রবন্দরে ১০ হাজার ১৪৪ জন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে ৭ হাজার ২৯ জন এবং অন্যান্য চালু স্থলবন্দরসমূহে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। 

 

#

 

তাসমীন/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭৩০ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১১৪৫

 

করোনাভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রামণরোধে রাজধানী ঢাকায় জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হচ্ছে

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

         

          করোনাভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রামণরোধে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশল বিভাগের ০৮টি গাড়িতে করে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হসপিটাল এলাকা, আশকোনা, সেক্টর ১১ ও অন্যান্য এলাকা, নর্দা ও খিলখেত এলাকা, মিরপুর ০১, ০৭, ১০, ১৩, ১৪ ও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী এলাকা, মিরপুর টোলারবাগ, আগারগাঁও তালতলা,
৬০ ফিট এলাকা, কল্যাণপুর, মডেল একাডেমী এলাকা, বনানী, গুলশান  ও পার্শ্ববর্তী এলাকা, বসুন্ধরা  পার্শ্ববর্তী এলাকা ও মোহাম্মদপুর কলেজ গেট এলাকাগুলোতে এই জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হচ্ছে।

 

          বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকার তথা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে।

 

 

#

 

 

মামুন/গিয়াস/আরিফ/২০২০/১৫১৩ ঘণ্টা 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১১৪৪

 

টিভি স্ক্রলে প্রচারের জন্য

 

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :  

টিভি স্ক্রলে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা হলো :

মূল বার্তা :   

 সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে ঔষধ/খাদ্য প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য শিল্পকারখানা/ প্রতিষ্ঠান/বাজার/দোকান-পাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে।

 

  •  

 

  • /গিয়াস/২০২০/১২০৮ ঘণ্টা    

 

2020-03-27-20-19-150014378f562f873c0e64a0bf510186.docx 2020-03-27-20-19-150014378f562f873c0e64a0bf510186.docx