Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জুন ২০১৯

তথ্যবিবরণী ২২ জুন ২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ২৩১৫
 
বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ
                        --  তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
 
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বাজেট বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) প্রতি বছর বাজেট প্রস্তাবের পর কোনো কারণ না পেলেও কিছু বলবেই।’ 
 
আজ জাতীয় সংসদে তথ্যমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর তাঁর নির্ধারিত বক্তৃতায় একথা বলেন। 
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদসহ সমগ্র বিশ্ব প্রশংসা করে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আক্ষেপ করেন, অথচ শুধু প্রশংসা করতে পারে না একটি পক্ষ। আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখি, গত ১০ বছর ধরে ভুল বাজেট দেওয়ার কারণেই দরিদ্রতা কী ২০ শতাংশে নেমে আসার মতো যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন হয়েছে?' গত ১০ বছরে দেশে মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে ২০০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় তিনগুণ কী করে হলো? কীভাবে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হলো?' 
 
২০০৮ সালে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। ২০০৯ সালে দেশের লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি। আমরা তখন ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে শুরু করেছিলাম। আজকে দেশে লোকসংখ্যা ১৭ কোটি। এখন বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। এগুলো কি সরকারের অর্জন নয়?’
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বাজেটের পর বিএনপিও বলে, এটি গণমুখী বাজেট নয়। এটি দরিদ্র মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। অথচ বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, বাজেটে শিক্ষাখাতে প্রায় ১৭ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে ১২ শতাংশের মতো বরাদ্দ। সামাজিক উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 
 
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘গবেষণার নামে যারা বাজেট নিয়ে সমালোচনা করেন, তারা তো এক-এগারোর কুশীলব। এক-এগারোর সরকারের সময় তারা নানাভাবে সুবিধা নিয়েছিলেন। 
 
#
 
আকরাম/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ২৩১৪
 
প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত  করতে হবে
                                     -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রতিবন্ধীদেরকে দেশের উন্নয়নের মূল ¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রতিবন্ধী ভাইবোনেরা অক্ষম, বিশেষভাবে সক্ষম। প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয়, সম্পদ। তিনি বলেন, যারা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি অক্ষমদের প্রতি আরো সচেতন ও যতœবান হওয়ার জন্য সকলের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় গ্রিন রোডে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অভ্ এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা-২০১৯’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
  প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সমাজে প্রতিবন্ধীদের যে দৃষ্টিতে দেখা হতো সেই সুযোগ এখন আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে এ দেশের মানুষ সচেতন হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তারা নিজ মেধা ও সামর্থ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখছেন। 
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অনলাইন জব পোর্টাল করা হবে। তারা যেন অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান বিশেষ করে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ও নিতে পারেন। এভাবে যে কোনো স্থানের চাকরি প্রার্থীর সাথে চাকরিদাতার যোগাযোগ হবে।
প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার প্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে,  যার অন্তত ১ শতাংশ হবে প্রতিবন্ধীদের জন্য। 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অভ্ এশিয়া প্যাসিফিকের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন। 
এরপর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে চারটি ক্যাটেগরিতে তিনজন করে মোট ১২ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও বিশেষ ক্যাটেগরিতে আরো দু’জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। 
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দিনব্যাপী এমন জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়। চলতি বছর এটির চতুর্থ আসর সমাপ্ত হলো। 
#
শহিদুল/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বর : ২৩১৩
বর্তমান সরকার রেলকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে
                              -- রেলপথ মন্ত্রী
পাকশী (পাবনা), ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়েতে বর্তমানে লোকবল নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। লোকবল নিয়োগ দেওয়া হলে সেবার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূরীভূত হয়ে যাবে। বিএনপি-জামাত সরকার রেলকে অবহেলা করেছে। লোকবল ছাঁটাই করেছে। রেলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। বর্তমান সরকারই রেলকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে এর জন্য বাজেট বরাদ্দ করছে।  
মন্ত্রী আজ পাবনার পাকশীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)-এর পশ্চিম অঞ্চলের ১১তম কুচকাওয়াজের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী নিরাপত্তা বাহিনীর নতুন সদস্যদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন প্রহণ করেন।
মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন।  এক সময় রেলের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ পণ্য পরিবহন করা হলেও বর্তমানে তা ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। ভবিষ্যতে যাতে ৩০ শতাংশ করা যায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।  
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে নতুন কোচ, ইঞ্জিন আনার মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনসহ এ অঞ্চলের সবজিসহ পণ্য ঢাকায় পরিবহন করা হবে। যমুনার ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা চট্টগ্রামের পরে রাজশাহী, রংপুরে পর্যায়ক্রমে হাইস্পিড ট্রেন নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা 
হবে। 
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। রেলওয়েকেও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাকশী অঞ্চলে ব্রিটিশ আমল থেকেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। কাজেই  এ  অঞ্চলের বিশাল ঐতিহ্য রয়েছে। তিনি বলেন, পাকশী অঞ্চলের সম্পদকে রক্ষা করে জনগণের কল্যাণে কাজ করা হবে। লোকবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে, নিরপত্তা বাহিনীকেও ঢেলে সাজানো হবে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, একমাত্র রেলওয়ে এমন একটি সংস্থা যেখানে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে, অন্য কোনো সংস্থায় আলাদা কোনো নিরাপত্তা নেই। কাজেই রেলওয়ে যাত্রীসেবার জন্য আমরা সকল বিভাগের সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে যাত্রীদের আরো অধিক পরিমাণে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ সময় তিনি আরএনবির নতুন সদস্যদের দেশ এবং জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরএনবির ৭৪ জন সিপাহী তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করলেন।
অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য 
নাদিরা ইয়াসমিন জলি, বাংলাদেশের রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মোহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর 
পশ্চিমাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর : ২৩১২
 
নদী দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে
                              -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
 
আব্দুল্লাহপুর (ঢাকা), ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
 
ঢাকার চারপাশের চারটি নদী দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। নদী দখলমুক্ত করার ক্ষেত্রে বাধাদানকারীদের পরিণতি ভয়াবহ হবে। বুড়িগঙ্গা দূষণের ফলে ঢাকা শহরের অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা  বিদেশিদের দেখাতে পারি না। বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীর তীরে সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক স্থাপনসহ সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীকে ব্যবহার উপযোগী নদী হিসেবে উপহার দিতে পারব।
 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে তুরাগ নদীর তীরে ‘তুরাগ নদী ও তীরভূমি হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
 
  বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট ও পরিবেশবিদ  সৈয়দ আবুল মকসুদ বক্তব্য রাখেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনসচেতনতা প্রয়োজন। দখলবাজরা অনেক প্রভাবশালী। নদী যাতে পুনরায় দখল হতে না পারে সেজন্য সকল মানুষকে সচেতন  থাকতে তিনি অনুরোধ জানান।
 
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নদী দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ এ পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের পরিচয় হয়েছিল জঙ্গি, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক রাষ্ট্র হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী সে কলঙ্ক থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে এগিয়ে চলেছে।
 
#
 
জাহাঙ্গীর/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর : ২৩১১
 
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনুকরণীয়
                      -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আদর্শ। বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের পরিপক্কতা এবং দু’দেশের সম্পর্ক অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়। ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমানা, সমুদ্র সীমা, এমনকি গঙ্গার পানি চুক্তি - এগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। এ ধরনের অর্জনের জন্য যে পরিপক্কতা ও ধীশক্তি প্রয়োজন সেগুলো দু’দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আছে বলেই এ ধরনের অর্জন সম্ভব হয়েছে। 
 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে বহু চ্যালেঞ্জ আছে। যারা দেশের উন্নয়ন করে তাদের বহু দিক থেকে বাধা আসে। আমাদের দেশেও আসতে পারে। সেই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চালু করেন। এতে দেশের মানুষের গণসচেতনতা অনেকগুণ বেড়ে গেছে। বেসরকারি টেলিভিশন আমাদের উন্নয়নের বড় হাতিয়ার। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। 
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী দু’বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সাথে সাথে আমরা প্রত্যেক ক্ষেত্রে এ দেশের বহুবিধ অর্জন তুলে ধরতে চাই। অর্থনৈতিক কিংবা পররাষ্ট্রনীতি- প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন অনেক, এক একটি ক্ষেত্রে আমরা দিকপাল। তিনি বাংলাদেশের অর্জন এবং আগের অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থায় যে পরিবর্তন হয়েছে তা ব¯ুÍনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন। 
 
একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহম্মদ আলী শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
 
#
 
তৌহিদুল/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর :  ২৩১০
 
উন্নয়নের জন্য সরকার নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে
                                           -- পরিকল্পনামন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
 
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকার নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর সুফলও পাচ্ছে দেশের মানুষ। এরপরও যদি সরকারের চলার পথে ভুল থাকে তা ধরিয়ে দিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে ‘ইকোনোমি অভ্ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নে ভালো কাজ করছে। সরকার পদ্মা সেতু তৈরি করছে। পদ্মা  সেতু উন্মুক্ত হলে দেশের মানুষ এর সুফল পাবে। এজন্যই দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই উন্নয়ন কাজে কেউ বাধা দিলে জনগণই প্রতিরোধের দেয়াল তৈরি করবে।
 
অনুষ্ঠানে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও  সাবেক এমপি  সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ। 
 
#
 
শাহেদ/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বর :  ২৩০৯
 
সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সরকারের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে
                                                                   -- বাণিজ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
  
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সরকারের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করলে ভালো ও নতুন কিছু করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলভাবে  দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরও একইভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ করতে হবে। ভালো কিছু করতে গেলে চ্যালেঞ্জ আসবে। মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই। দেশপ্র্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকতার সাথে সকলকে কাজ করতে হবে।
 
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অধীনস্থ বিভাগ ও সংস্থাসমূহের প্রধানদের সাথে ২০১৯-২০২০ সময়ের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
 
বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ চা বোর্ড, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়, ট্রেডিং করপোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধানগণের সাথে এ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 
 
অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম লস্কর, ট্রেডিং করপোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাসান জাহাঙ্গীরসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
বকসী/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর :  ২৩০৮
 
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে নেপালের জ্বালানি সচিবের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব উরহবংয কঁসধৎ এযরসরৎব আজ প্রতিমন্ত্রীর বারিধারার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 
 
 পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান নেপালের জ¦ালানি সচিব। তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সকল বিনিয়োগকে নেপালের সরকার স্বাগত জানাবে। বিদ্যুৎ সহযোগিতায় নেপালের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি অনুসারে সহযোগিতার নতুন নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করা আবশ্যক। তিনি এ বছরের আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেপালে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক এনার্জি মিনিস্টার মিটিংয়ে নসরুল হামিদকে আমন্ত্রণ জানান। 
 
নসরুল হামিদ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অবকাঠামো বিষয়ে উরহবংয কঁসধৎ এযরসরৎব-কে অবহিত করে বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিশাল ক্ষেত্র সৃজন হয়েছে। প্রচুর বিদ্যুৎ প্রয়োজন। নেপাল ও ভুটান হতে আমরা বিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী। এমনকি বিনিয়োগ করেও বিদ্যুৎ আনা যেতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। 
 
উল্লেখ্য, গত ২১ জুন ২০১৯ এ কক্সবাজারে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের মাঝে বিদ্যুৎ বাণিজ্য,  নেপালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ, ক্রস বর্ডার সংযোগ, বেসরকারি সংস্থার নেপালের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন, ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি, সোলার হোম সিস্টেম সংক্রান্ত বিষয়ে নেপালকে সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
 
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেপাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিশিং, নেপালের পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব প্রবীণ রাজ এরিয়াল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ধন বাহাদুর অলি।
 
#
 
আসলাম/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বর : ২৩০৭
সাফল্যের জন্য জীবনকে নিন সংগ্রাম হিসেবে 
                                    -- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন করতে হলে জীবনকে নিতে হবে সংগ্রাম হিসেবে। হার না মানা যুদ্ধ-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।’
আজ ঢাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর ধানমন্ডি শাখায় মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের দিনব্যাপী ‘ক্যারিয়ার এক্সপো ২০১৯’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমবেত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
ডিআইইউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিটিভি’র সাবেক মহাপরিচালক ও প্রখ্যাত শিল্পকলাবিদ মুস্তাফা মনোয়ারসহ ডিআইইউ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এ সময় দেশে মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি অধ্যয়নে প্রথমবারের মতো বিভাগ খোলায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে এনিমেশন বিষয়ে সৃষ্টিশীল অধ্যয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  
শিক্ষার্থীদের কাছে দেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদসহ সমগ্র বিশ্ব প্রশংসা করে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আক্ষেপ করেন, আর এ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বের জন্যই। এ ধারাকে এগিয়ে নিতে শুধু নিজেদের জন্য স্বপ্ন দেখলেই চলবে না, স্বপ্ন দেখতে হবে দেশ ও জাতির জন্যও। সেইসাথে মাতা-পিতা ও শিক্ষাগুরুদের জন্য আজীবন সম্মান রাখতে হবে অন্তরে।’
‘আধুনিক যান্ত্রিকতার এ যুগে আমাদের মানবিকতা যেন হারিয়ে না যায়, আমরা যেন যন্ত্র না হয়ে যাই’, স্মরণ করিয়ে দেন ড. হাছান মাহ্মুদ। 
বক্তব্য শেষে মন্ত্রী বিএনপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলের সকল কর্মকা- অবৈধ। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অবৈধভাবে জন্ম নেয়া দলটি 
২০১৩-১৫ সালে যেভাবে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, তাদের নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন আর তারেক রহমানের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সম্পৃক্ততা হাইকোর্টে প্রমাণিত হয়েছে, তাদের মুখে গণতন্ত্র শুনে জনগণ মুচকি হাসে।’  
খালেদা জিয়ার সাজায় সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ দ্ব্যর্থহীনভাবে খ-ন করে এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার হস্তক্ষেপ করলে খালেদা জিয়ার মামলা শেষ হতে ১০ বছর লাগতো না, বহু আগেই তিনি জেলে থাকতেন। আর তারেক রহমানের অপরাধের বিষয়ে এফবিআই পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে আইনজীবীদের একটি দলের বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিল তারা করতেই পারেন, যদি জনগণ বা রাষ্ট্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়।’
#
আকরাম/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                          নম্বর : ২৩০৬

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
    “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের অগণিত নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
    এ দিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্য নেতৃবৃন্দকে। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে। আমি স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ স¦াধিকার আন্দোলন, স¦াধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে শহীদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের-যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ গণমানুষের এক সুবৃহৎ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
    বাঙালি জাতির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখ-ে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আত্মপরিচয়ের সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৫২’র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২’র আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪’র দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে মহান স¦াধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক এবং মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানের সুমহান গৌরব। ১৯৭০’র নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগের পক্ষে নিরঙ্কুশ রায় দেয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১’র ৭ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স¦াধীনতার সংগ্রাম’। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স¦াধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু স¦াধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করে।
    ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন¦য়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স¦প্নের ফসল - স¦াধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পশ্চিম পাকিস্তানের নিভৃত কারাগারে বঙ্গবন্ধু অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হন। দেশ স¦াধীন হওয়ার পর পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জাতির পিতা ১৯৭২’র ১০ই জানুয়ারি স¦াধীন বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে ফিরে আসেন। বাঙালি জাতি ফিরে পায় তাদের মহান নেতাকে। বাঙালির বিজয় জাতির পিতার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা লাভ করে।
    সদ্য স¦াধীন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন জাতির পিতা তাঁর স¦প্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরের সংগ্রামে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তখনই ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩রা নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং স¦াধীনতাবিরোধী চক্র ও অবৈধ সেনাশাসকদের নির্যাতন আর নিপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় জনগণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। কিন্তু কোনো অপচেষ্টা কখনই সফল হয়নি। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা জীবন দিয়ে সকল প্রতিকূলতা, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে, শক্তিশালী করেছে।
    গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারই খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে

পরিণত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স¦াক্ষরিত হয়। কারও মধ্যস্থতা ছাড়াই স¦াক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। আওয়ামী লীগের এই পাঁচ বছরের শাসনামল জাতীয় ইতিহাসের গৌরবোজ্জ¦ল সময় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

    বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে।
    আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গত সাড়ে ১০ বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স¦াস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগ

Todays handout (8).docx Todays handout (8).docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon