তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪৯
২০২১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে ডব্লিউসিআইটি এর বিশ্ব সম্মেলন
--- প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ২৩ আশি^ন (৮ অক্টোবর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডব্লিউসিআইটি)’ ২০২১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে দ্রুত ডিজিটাইজড হওয়ায় আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আরমেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে কানের ডেমিরচায়ান কমপ্লেক্সে আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি-২০১৯’ (ডব্লিওসিআইটি) এর মিনিস্টেরিয়াল গোলটেবিল আলোচনায় এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ডব্লিউসিআইটি এর মহাসচিব জেমস পয়জান্টস গতকাল সম্মেলন উদ্বোধনকালে ঢাকায় এ সম্মেলন হওয়ার ঘোষণা দেন।
মিনিস্টেরিয়াল গোলটেবিল আলোচনায় পলক বলেন, বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া শুরুর সাথে সাথে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক পরিবেশ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। এ তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ও জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তর করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সামনের দিনগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তির সব সুবিধা পৃথিবীর সবাই যেন পেতে পারে এবং প্রত্যেকের নিকট প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়া যায় সেই লক্ষ্যে সমন্বিত প্রয়াসে কাজ করতে হবে।
মিনিস্টেরিয়াল সেশনে অন্যান্যের মধ্যে আরমেনিয়ার হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক মন্ত্রী হাকোব আরশাকায়ান, মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশের পাবলিক ওয়ার্কস প্রতিমন্ত্রী মিস্টার জোহায়রে, কম্বোডিয়ার কমিউনিকেশন ডিপুটি মিনিস্টার মেরিন নিকোলো, ইরানের কমিউনিকেশন মিনিস্টার ইয়াহুসি-সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের মহাসচিব ডা. জেমস এইচ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ডব্লিউসিআইটি হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস এর একটি জোট যা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় সংগঠন। পৃথিবীর ৯০টি দেশের আইসিটি বিষয়ক ও সহযোগী সংগঠন এতে প্রতিনিধিত্ব করে।
#
শহীদুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪৮
চামড়া শিল্পনগরীর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্ত
আগামী বছরের শুরুতেই এলডব্লিউজি সনদ অর্জনের প্রক্রিয়া শুরু হবে
ঢাকা, ২৩ আশি^ন (৮ অক্টোবর) :
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি)-সহ সকল কাজ সমাপ্ত হবে। এর পর আগামী বছরের শুরুতেই লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) এর সনদ অর্জনের জন্য নিরীক্ষার আমন্ত্রণ জানানো হবে। বর্তমানে যে গতিতে চামড়া শিল্পনগরীর কাজ চলছে, তাতে করে আগামী বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশ চামড়া শিল্পের জন্য এলডব্লিউজি সনদ অর্জনে সক্ষম হবে।
ঢাকা চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি-সহ প্রকল্পের সার্বিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় আজ এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এতে সভাপতিত্ব করেন। সাভারের শিল্পনগরীর সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারির শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম, বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসান এনডিসি, বুয়েটের টিম লিডার অধ্যাপক ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টে সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশ ফিনিশ্ড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন এবং বিসিক ও চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিল্পমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চামড়া শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যে কোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। যারা শিল্পনগরীতে প্লট বরাদ্দ নিয়ে কারখানা স্থাপন করেনি, তাদের প্লট বরাদ্দ বাতিল করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সভায় চামড়া শিল্পনগরীর উন্নয়ন কাজের সর্বশেষ অবস্থা বিস্তারিত মূল্যায়ন করা হয়। এ সময় জানানো হয়, ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের কাজ শতকরা ৯৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সিইটিপি’র ৪টি মডিউল চালু রয়েছে এবং এগুলো বর্জ্য পরিশোধনের কাজ করছে। সিইটিপি’র কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন করার জন্য যন্ত্রপাতি-সহ আমদানিযোগ্য মালামাল ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছেছে। বর্তমানে এগুলো স্থাপনের কাজ চলছে। সিইটিপি’র ডি-ওয়াটারিং হাউজের নয়টি ইউনিটের মধ্যে তিনটি ইউনিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এগুলোতে স্লাজ কেক তৈরি হচ্ছে। বাকি ৬টি ইউনিটের কাজ ২৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে।
সভায় এলডব্লিউজি সনদ অর্জনের লক্ষ্যে এখন থেকে মক অডিট (গড়পশ অঁফরঃ) পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ অডিটের ফলাফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন সূচকে ধারাবাহিক গুণগত পরিবর্তনের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসাথে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাই-প্রোডাক্ট উৎপাদনকারীদের অনুকূলে জায়গা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক্ষেত্রে যেসব প্লটে এখনও ট্যানারি কারখানা স্থাপন করা হয়নি, সেগুলোর বরাদ্দ বাতিল করে বাই-প্রোডাক্ট উৎপাদনকারীদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারির শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং শিল্প সচিব চামড়া শিল্পনগরীর বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্প প্লটে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
#
জলিল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪৭
জাপানের উদ্দেশে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ঢাকা, ২৩ আশি^ন (৮ অক্টোবর) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ অর্থনৈতিক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক একটি সেমিনারে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে আজ জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট (আইএম) এর আয়োজনে সেমিনারটি আগামী ১০ অক্টোবর টোকিওর গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ এ সফরে জাপানের মিনিস্ট্রি অভ্ জাস্টিসের মন্ত্রী কাৎসুইউকি কাওয়াই; স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাসি ইনাদু; ভূমি, অবকাঠামো ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী নোবুহিদে মিনোরিকাওয়া এবং জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো কোশিকাওয়ার সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন। এছাড়া তিনি জাপানের বিভিন্ন শিল্প, কারখানা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
আগামী রবিবার সকালে মন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
#
রাশেদুজ্জামান/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪৬
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, অবারিত তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নিজেদেরকে বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনধারা ডিজিটাল হওয়ার ফলে অতীতের ধারাবাহিকতা বা দক্ষতার ওপর নির্ভর করে আগামী দিনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকা যাবে না। তাই প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি গঠনে সমন্বিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আরমেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে ডেমিরচায়ান স্পোর্টস এন্ড কনসার্ট হলে তিন দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফর্মেশন টেকনোলজি ২০১৯ (ডব্লিউসিআইটি) উপলক্ষে স্থাপিত বাংলাদেশ স্টলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওযার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস এলায়েন্স (ডব্লিউআইটিএসএ) এর মহাসচিব ডক্টর এইচ জেমস-সহ ফোরামের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তাগণ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ডাব্লুসিআইটিতে অংশ নেওয়া আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পশিনিয়ানের সাথে বৈঠক করেন। এছাড়া আর্মেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহরব মনতসকন্যান এবং ব্লিউআইটিএসএ এর মহাসচিব ডক্টর এইচ জেমস এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের আইসিটি খাতে গত ১০ বছরে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।