Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী 01/7/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৮৫৯
 
জামদানি আমাদের গর্বের ধন ও ঐতিহ্যের অংশ
                        --- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, জামদানি বয়নশিল্প আমাদের গর্বের ধন ও ঐতিহ্যের অংশ। এটিকে জিইয়ে রাখা ও সমৃদ্ধ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। জামদানি বয়নশিল্পীরা তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় যে অসাধারণ শিল্পকর্ম তৈরি করেন-তা এক কথায় অসাধারণ, তার কোন তুলনা হয় না।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ‘ঐতিহ্যবাহী জামদানি নকশা’ শীর্ষক অনন্য নকশা গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জামদানি শিল্প বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ¦ল করেছে এবং এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। অথচ জামদানি শিল্পীরা ভালো অবস্থায় নেই। মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ভর্তুকি প্রদান করছে। একইভাবে সরকারিভাবে জামদানি বয়নশিল্পীদের ভর্তুকি দেয়া যায় কি না- তা ভেবে দেখা হবে। তিনি বলেন, জামদানি বয়নশিল্পীদের সমস্যা নিরসন ও স্বার্থ সংরক্ষণ তথা জামদানি শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কারুশিল্প পরিষদের সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরো বলেন, এ খাতে প্রয়োজনীয় গবেষণা কাজে সহযোগিতা প্রদান করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট। গ্রন্থটি সম্পর্কে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, গ্রন্থটির প্রধান গবেষক চন্দ্র শেখর সাহা এবং বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের প্রকল্প সমন্বয়ক শাহিদ হোসেন শামীম।
#
ফয়সল/সেলিম/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০১০ঘণ্টা  
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫৮
 
ইউনিয়ন পর্যায়ে স¦াস্থ্যসেবা ডেস্ক চালু করা হবে
                                     --- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই) :
শহরের দরিদ্র ও বস্তি অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বিত কর্মসূচি প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় জনসংখ্যা পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই তাগিদ দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নগরায়নের প্রভাবে গ্রাম থেকে মানুষ বেশি মাত্রায় শহরমুখী হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নগরের বস্তি ও দরিদ্র অঞ্চলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি এ সময় সিটি কর্পোরেশনের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সম্পৃক্ত করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা ডেস্ক চালু করা হবে। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এই বিশেষ ডেস্ক প্রবর্তন করতে হবে। এখন থেকে বয়স্কদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের সাফল্য আরো উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে বাল্যবিবাহ রোধে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বিশেষ করে অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি প্রণয়ন করার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব ড. জাফর আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
পরে মন্ত্রী বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হকসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২০০৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৮৫৬
 
সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে
                                   --- শিক্ষামন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই): 
আজ থেকে সারা দেশে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকা কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে  একাদশ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের ‘ওরিয়েন্টেশন ও নবীনবরণ উৎসব-২০১৮’ উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের শিশুরাও এখন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক এবং উপবৃত্তি প্রদানের  ফলে সকল শিশু বিদ্যালয়ে আসছে। তিনি বলেন,  শতকরা ৯৯ শতাংশের বেশি শিশু এখন বিদ্যালয়ে নাম নিবন্ধন করেছে। বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে।
 
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তিজ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাদেরকে ভাল মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। সর্বক্ষেত্রে প্রস্তুত করে একজন পরিপূর্ণ ও উপযুক্ত মানুষ হয়ে উঠতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়াশুনা করে তাদের সময়কে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। 
 
মন্ত্রী বলেন, কলেজে ভর্তি কার্যক্রমকে পুরোপুরি অনলাইন করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন এবং স্বচ্ছতার সাথে ভর্তি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা কলেজে একটি ১০ তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। হোস্টেল ও নতুন লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ করাসহ ২২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
 
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মোয়াজ্জম হোসেন মোল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শামীমা বেগম।
 
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বাজারজাতকরণ ও বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন
 
পরে শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তনে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের তিনটি পাঠ্যপুস্তক - বাংলা সাহিত্যপাঠ, বাংলা সহপাঠ এবং ইংলিশ ফর টুডে বাজারজাতকরণ ও বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ তিনটি বই ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্বল্পমূল্যে বিতরণের জন্য বেসরকারি খাতের প্রকাশকদের মাধ্যমে বাজারজাত করা হচ্ছে।  এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম ছায়েফ উল্যাহ, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফয়েল হোসেন খান এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল। 
 
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে ১ম থেকে ৯ম-১০ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। এটি সারা পৃথিবীতে একটি অতুলনীয় ও অবিশ্বাস্য ঘটনা। আজ থেকে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির তিনটি বই সস্তা দামে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
#
আফরাজ/সেলিম/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৭২১ ঘণ্টা  
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৮৫৭
 
ব্রিটিশমন্ত্রীর সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
ব্রেক্সিটের পর বাংলাদেশের সাথে 
বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে
 
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই): 
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বৃটেনের প্রায় দুইশতাধিক কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে, বিনিয়োগের পরিমাণও অনেক।  বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পর (ব্রেক্সিটের পর) বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য আরো বাড়বে। বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৃটেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে বৃটেন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে । এ জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে। বৃটেনও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। 
 
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ঢাকায় সফররত ব্রিটিশ স্টেট মিনিস্টার ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক এট দি ফরেন এন্ড কমনওয়েল্থ অফিস  মার্ক ফিল্ড, এমপি-(গধৎশ ঋরবষফ, গচ)- এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশে^র মধ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে ৪২তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৮তম দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে বিশ^ব্যাংক বিনিয়োগ না করতে চাইলে, বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাজেট এখন আর বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। নারীর ক্ষতায়নে এ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৭৩জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি চোখে পরার মতো। তৈরিপোশাক শিল্পে ৪৫ লাখ শ্রমিকের ৮০ ভাগ শ্রমিক নারী। নারীর ক্ষতায়নে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। 
 
ব্রিটিশমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ মানবতার জন্য বড় কাজ করেছে। এজন্য বৃটেন বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে আছে। এ বিষয়ে বৃটেন সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। 
 
এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বৃটেনের জেন্ডার সমতা বিষয়ে স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ ফরেনসেক্রেটারি জোয়ান্না রিপার, ঢাকাস্থ বৃটিশ ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার কানবার হুসেইন বরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৭৫৭ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫৫

শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই) :  

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড (গধৎশ ঋরবষফ) সাক্ষাৎ করেন। প্রতিমন্ত্রী ১০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিসের স্পেশাল এনভয় জোয়ান্না রোপার (ঔড়ধহহধ জড়ঢ়বৎ), বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার কানবার হোসেইন বর (কধহনধৎ ঐড়ংংবরহ ইড়ৎ) এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক শিক্ষা ডেভিড মেইনার (উধারফ গধুহবৎ) উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। দু’দেশের মধ্যে খুবই ভাল সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার জন্য তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।  শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষ জনশক্তি তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে। এজন্য কারিগরি শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের  বিভিন্ন বিষয় খোলা হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে শতকরা ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে এবং ২০২০ সালের মধ্যে তা ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং দু’দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৮৪৬ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫৪
 
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কমিটির ৩৭ তম সভা অনুষ্ঠিত
 
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই) :  
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কমিটির ৩৭তম সভা আজ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ও  কাউন্সিল কমিটির সভাপতি মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে ঢাকায় আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। 
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতীম।
সভায় ৩৬ তম কাউন্সিল সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে  বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিভিন্ন অর্থবছরের বিসিসির বাজেট ব্যয় ও প্রক্ষেপণ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আইন সংশোধন, বাস্তবায়িত প্রকল্প ও বাস্তবায়নাধীন এবং গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে যে সকল জেলায় হাইটেক পার্ক রয়েছে সেই হাইটেক পার্কে বিসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট জেলায়  নিজস্ব আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জাতীয় আইসিটি ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামকে আরো কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে আইসিটি শিক্ষার সাথে নিবিড় সংযোগ এবং প্রোগ্রামকে সাফল্যম-িত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বিসিসি এর নতুন লোগো নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা আহ্বানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
#
শহিদুল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৭১৫ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১৮৫৩
 
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেয়া ভুল তথ্যে জনগণকে 
বিভ্রান্ত না হতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এর অনুরোধ 
 
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই)ঃ
সম্প্রতি যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে একটি সংগঠন এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদের আগে-পরে তেরো দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনশত ঊনচল্লিশ জন নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করে, যা সঠিক তথ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে বিআরটিএ’র জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিস, পুলিশ রেকর্ড এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১২ জুন হতে ২৪ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপি একশত তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় একশত বায়ান্ন জন নিহত এবং তিনশত পঞ্চান্ন জন আহত হন।
যাত্রী কল্যাণের নামে নিবন্ধনহীন এ সংগঠন বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে আসছে। নানান পেশার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে নিবন্ধনহীন এ সংগঠন কৌশলে  সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান। সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক তথ্যাদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাড়িয়ে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে সংগঠনটি।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনারোধে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত পাঁচদফা অনুশাসন বাস্তবায়নে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সকল স্টেক-হোল্ডারদের নিয়ে কার্যক্রম জোরদার করতে যাচ্ছে। এছাড়া  এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট। সড়ক-মহাসড়কের নির্মাণজনিত ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অংশগ্রহণ আরো জোরদার করা জরুরি। এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে দেশের সড়ক-মহাসড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পটসমূহ ডিভাইডারসহ প্রশস্তকরণের কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেয়া ভুল তথ্যে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। 
 
 
#
নাছের/অনসূয়া/সুবর্ণা/শামীম/২০১৮/১৫৫৫ ঘণ্টা  

 
 
Todays handout (5).docx