Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী ১০ জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৯২৯
 
সেসিপ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী
মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এক সাথে কাজ করতে হবে
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এত অল্প সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এমন অগ্রগতি আর কোথাও হয়নি। 
 
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম  (সেসিপ)-এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।  
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,  গত নয় বছরে সকলের জন্য  শিক্ষার সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। সকল শিশু এখন বিদ্যালয়ে আসছে।  তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা, যারা হবে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল পরিপূর্ণ মানুষ।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় জেন্ডার সমতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে সেসিপ প্রোগ্রামের আওতায় গুণগত মান, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সুযোগ সম্প্রসারণে কাজ করছে। এর মাধ্যমে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ২১১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসায় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০০৯ সালে মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করত। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় ১৪ ভাগ এনরোলমেন্ট সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালে তা ২০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় সম্ভব হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়ও সাধারণ শিক্ষার মতো ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, আইসিটি, রসায়নসহ সকল বিষয় পড়ানো হয়। 
 
সভায় সেসিপের প্রয়াত গবেষণা কর্মকর্তা আবদুল হাকিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শিক্ষামন্ত্রী আবদুল হাকিমের মাতা হালিমা খাতুনের কাছে ১০ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ জেলায় কর্মরত সেসিপের গবেষণা কর্মকর্তা আবদুল হাকিম গত ৯ এপ্রিল এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
 
সেসিপের যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক মোঃ আবু ছাইদ শেখের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মহিউদ্দীন খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা এবং নায়েমের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক, সেসিপের উপ-পরিচালক ড. সামসুন নাহার। 
#
 
আফরাজুর/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৯২৮
 
শিশু অপরাধ সম্পর্কিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সরকার কাজ করছে
                    -- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিশু অপরাধ সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে। এ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সারাদেশের সরকারি প্রসিকিউটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে শিশু রাজন হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূর করার জন্য কাজ করছে সরকার।
আজ আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এর অ্যাডভোকেসি ফোরাম চাইল্ড পার্লামেন্টের বার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিশু রাজন হত্যা মামলা, রাকিব হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার দ্রুত বিচার করায় বর্তমানে শিশু নির্যাতন কমেছে। সরকার শিশু নির্যাতন কমানোর বিষয়ে সবসময় সচেষ্ট থাকবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম গৃহ নির্যাতন আইন প্রণয়ন করছে। স্কুলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধে নীতিমালা করেছে। শিশুরা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। সেইক্ষেত্রে তারা ঠিকভাবে গড়ে উঠুক এটা সরকারের চিন্তা ভাবনার মধ্যে রয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, জাতিসংঘ কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগেই ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। সেই শিশু আইনই কিন্তু আজকের শিশু আইনের ভিত্তি। যদিও আজ তা বিস্তার লাভ করেছে। শিশু আইন প্রণয়নের সময় শিশু আদালত নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেগুলো দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংশোধিত শিশু আইন এখন জাতীয় সংসদে আছে এবং এটি যে কোনো দিন পাস হতে পারে।
মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক এবং যুগ্ম সচিব হাবিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
রেজাউল করিম/মাহমুদ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৯২৭
 
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ১৮-২৪ জুলাই পালিত হবে
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
আগামী ১৮ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ জুলাই গণভবনের লেকে পোনা মাছ অবমুক্তকরণের মাধ্যমে সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। 
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ১৮ জুলাই সকাল ৮টায় মৎস্যভবন থেকে র‌্যালি বের হবে এবং সকাল ১১টায় মৎস্যভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফ করবেন। ২০ জুলাই মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র ময়মনসিংহে ৫ দিনব্যাপী এবং এর ৫টি উপকেন্দ্রে ৩ দিনব্যাপী মৎস্য প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন দেশব্যাপী মৎস্যখাতের উন্নয়ন বিষয়ক তথ্য ও ভিডিওচিত্রের প্রদর্শন করা হবে।
২১ জুলাই বঙ্গভবনের লেকে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং ২২ জুলাই সংসদ ভবনের লেকে স্পিকার               ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পোনা মাছ অবমুক্ত করবেন।
২৩ জুলাই “ইধহমষধফবংয ঋরংযবৎরবং ধহফ অয়ঁধপঁষঃঁৎব: চড়ঃবহঃরধষং ধহফ ঈযধষষবহমবং ভড়ৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ধহফ ঊীঢ়ড়ৎঃং/ইষঁব ঊপড়হড়সু” শীর্ষক সেমিনার ছাড়াও ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে রালি, পোনা মাছ অবমুক্তকরণসহ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
২৪ জুলাই সমাপনী দিনে মৎস্যখাতে অবদানের জন্য কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মৎস্য মন্ত্রী নির্বাচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-১৮ প্রদান করবেন।  
আজ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সচিব রইছুল আলম ম-লের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
#
 
শাহ আলম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৯২৬
 
প্রবাসী কল্যাণ সচিবের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
 
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান  মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি’র সাথে আজ ঢাকার ইস্কাটনস্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ঝধবফ গড়যধসসবফ অষ গধযধরৎর সাক্ষাৎ করেন। 
 
সাক্ষাৎকালে সচিব দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।  এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসা করেন এবং পেশাদার খাতে কর্মী নিয়োগের আশ্বাস  দেন।  সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সম্প্রতি স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন পেশায়  কর্মরত কর্মীর সার্বিক অবস্থা এবং নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ ক্যাটেগরির কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ অন্যান্য পেশাদার খাতে কর্মী নিয়োগের বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। এ সময় উভয় দেশ শীঘ্রই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে একটি যৌথ কমিটি সভা আয়োজনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। 
 
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া মহাপরিচালক তারেক আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৯২৫
 
বৃত্তি নিয়ে চীন যাচ্ছে আরো ৮৫০ জন কারিগরি শিক্ষক-শিক্ষার্থী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
শীঘ্রই ৮৫০ জন কারিগরি শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে চীন যাচ্ছে। এর মধ্যে ৮০০ জন শিক্ষার্থী ও ৫০ জন শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শিক্ষকরা ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণ করবেন। গতবছর থেকে চীনের এ বৃত্তি চালু হয়েছে। গতবার বাংলাদেশের ৩০৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে চীনের ১০টি প্রতিষ্ঠানে পড়তে গিয়েছে।
চীন সরকারের প্রতিনিধিসহ চীনের ১৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৪ প্রতিনিধি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করে বৃত্তির জন্য আগ্রহী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাছাই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। 
গতরাতে স্থানীয় এক হোটেলে বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা প্রতিনিধিগণের সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা সচিব মোঃ আলমগীর, চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জউ (তযধহম তড়ঁ), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ। সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের সড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি তারা শিক্ষাক্ষেত্রেও অবদান রেখে চলেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বৃত্তি কার্যক্রম সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। তিনি চীনের সহযোগিতার এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে চীনা শিল্পদ্রব্য বিশ্বের সকল দেশের বাজারে সমাদৃত হচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা চীনের মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে দেশের কারিগরি খাতকে শক্তিশালী করবে। তিনি ভবিষ্যতে আরো বেশি শিক্ষার্থী-শিক্ষককে বিদেশে পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এবারের বাছাইপর্বে দেশের ১১৭টি সরকারি-বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ৯০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। সেখান থেকে ৮০০ জন বাছাই করা হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা চীনে তিন বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করে সেখানেই উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন বা চাকরি করার সুযোগ পাবে। 
#
 
সুবোধ/মাহমুদ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৮৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১৯২৪
 
বিডা এবং সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী ফোরামের যৌথ উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্ঠিত
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও ঝরহমধঢ়ড়ৎব ইঁংরহবংং ঋবফবৎধঃরড়হ (ঝইঋ) এর উদ্যোগে ঢাকার একটি হোটেলে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। 
সেমিনারে নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী ফোরামের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী অগ্রগতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। সেমিনারে বিনিয়োগের পরিবেশ ও ব্যবসা  সহজীকরণ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং ব্যবসা সহজীকরণ সংক্রান্ত ৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানির সাথে অভিজ্ঞতা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান নির্বাহী চেয়ারম্যানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। 
সেমিনারে সিঙ্গাপুরের সর্বোচ্চ বিজনেস চেম্বার ঝইঋ এর চেয়ারম্যান ঞবড় ঝরড়হম ঝবহম এবং বাংলাদেশস্থ সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত, ঝরহমধঢ়ড়ৎব ইঁংরহবংং ঋবফবৎধঃরড়হ (ঝইঋ) এর সফরত সদস্যবৃন্দ ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
 
বিবেকানন্দ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৯২৩
 
তদবির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে
                                                 -- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘মেধা, মান ও দক্ষতার অবমূল্যায়নকারীর তদবির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে। সেই সাথে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে জনগণের তথ্যসেতু ও তথ্য বাতায়ন রচনা করবে গণমাধ্যম।’ 
 
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (এনএসডিসি) সচিবালয়ে তাদের আয়োজিত দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
 
ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। আর এ কাজের জন্য প্রয়োজন দক্ষ, মেধাবী ও মানবীয় গুণাবলী সম্পন্ন কর্মীর।’ 
 
তথ্যমন্ত্রী তদবির সংস্কৃতিকে নাগরিকদের মেধা, মান ও দক্ষতা মূল্যায়নের অন্তরায় বলে বর্ণনা  করে বলেন, ‘কর্মে প্রবেশ, কর্মস্থলে কাজ এবং পদোন্নতিতে তদবিরবাজি দুর্নীতি ও তদবির বাণিজ্যের জন্ম দেয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।’
 
সরকারি ও বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ প্রভৃতি সেবাখাতে কাজ করে, তাদের দক্ষতার উন্নয়ন একান্ত জরুরি বিধায় এসব খাতের কর্মচারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, বলেন হাসানুল হক ইনু। 
 
এনএসডিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সরকার দেশব্যাপী জনদক্ষতা বৃদ্ধিতে যে ব্যাপক উদ্যোগ করেছে, তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান। 
 
বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত কর্মশালায় এনএসডিসি’র পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোঃ রেজাউল করিম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এস এম আসাদুজ্জামান, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার দাশ প্রমুখ মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।
 
#
আকরাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮১০ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৯২২
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্থায়ী আদেশাবলী আধুনিকায়ন করা হচ্ছে
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আদেশাবলী আইন সময়োপযোগী ও আধুনিক করতে সংশোধন করা হচ্ছে। 
 
ন্যাশনাল ইমারজেন্সি এন্ড অপারেশন সেন্টার স্থাপন এবং দুর্যোগে প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশু অধিকতর নিরাপত্তা বিধান ও বিভিন্ন কমিটিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তকরণসহ বেশ কিছু সংশোধনী নিয়ে এ আইন সংশোধন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অংশীজনের মতামতের আলোকে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কাউন্সিলের অনুমোদনের জন্য আগামী কাউন্সিল সভায় খসড়াটি উপস্থাপন করা হবে। 
 
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া), বীরবিক্রম সভায় উপস্থিত ছিলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামালের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
বজ্রপাত, পাহাড়ধ্বস ও রাসায়নিক দুর্যোগের মত বিষয়গুলো স্থায়ী আদেশাবলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দুর্যোগে প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুদের অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে আদেশাবলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন, স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা, আপদকালীন মজুদ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দুর্যোগ সংক্রান্ত এ স্থায়ী আদেশাবলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
 
সভায় উপস্থিত অংশীজনের আলোচনার প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোকে তাদের সুপারিশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 
#
 
দেওয়ান/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৯২১
 
বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়ন
 বাংলাদেশের ভাষাবিজ্ঞানীদের মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে
                                              -- মোস্তাফা জব্বার
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশিরা বুকের রক্ত দিয়েছে। বাংলা ভাষার চর্চা ও বিকাশেও বাংলাদেশের অবদানই সবচেয়ে বেশি। মুনীর অপটিমার মাধ্যমে শহিদ মুনীর চৌধুরী বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন তা অবিস্মরণীয়। বর্তমানে বাংলা লিপির উন্নয়নে কাজ করতে গেলে এই পটভূমি স্মরণে রাখতে হবে। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম বাংলা লিপি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতামতকে অনেক ক্ষেত্রেই গৌণভাবে দেখেছে ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অক্ষর ব্যবহারে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। অনেক ক্ষেত্রেই বাংলা ভাষাকে দেবনাগরীর মতো করে দেখা হয়েছে। বাংলা যে স্বতন্ত্র ভাষা এবং তার লিপির ব্যবহারও যে স্বতন্ত্র সেটি মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের ভাষাবিজ্ঞানীসহ সাধারণ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামতকে বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে বিবেচনায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত ব্যবহারকে যুগোপযোগী এবং সহজসাধ্য করতে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে বাংলা একাডেমি ও নিউ ব্রাহ্মী জেনারেশন প্যানেল  সদস্যদের সাথে বাংলাদেশের গবেষকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
 
মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা ও ইন্টারনেটকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। বাংলা ভাষা চর্চা ও গবেষণা, বাংলা ভাষার উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে এর প্রয়োগ করা আলাদা কোন এজেন্ডা নয়, এটির সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। বাংলা ভাষাকে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে তাঁর দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বাংলা ভাষায় যখন ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম হয়, তখন বাংলাদেশ থেকে কোন মতামত না নেওয়ায় বাংলা ইউনিকোডে ত্রুটি রয়ে গেছে। বাংলা ভাষায় অস্তিত্ব নেই এমন অনেক অক্ষর ইউনিকোডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
 
  থাইল্যান্ডে ১৯৮৭ সালের অনুষ্ঠিত কনসোর্টিয়ামের সভায় মন্ত্রী বাংলা ভাষার বিদ্যমান অক্ষরসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে ত্রুটি দূর করার দাবী জানান। কিন্তুু বাস্তবতা হচ্ছে অদ্যাবধি দেবনাগরীর অনুরূপ সুপারিশকেই প্রধান্য দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযু্িক্ততে বাংলা ভাষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১শ’ ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। 
 
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, অইসিএএনএন’র হেড অভ্ ইন্ডিয়া শমিরন গুপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
 
#
 
শেফায়েত/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৩০ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৯২০
 
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং ডিএসই এর সোয়া ২ কোটি টাকা প্রদান
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই তাদের গত এক বছরের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা জমা দিয়েছে।
আজ সচিবালয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান দু’টির প্রতিনিধিগণ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হকের  হাতে ২ কোটি ২৩ লাখ ৮২ হাজার ১৯৮ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। 
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) আহমেদ শহীদুল হক ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯১ টাকা এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আল আমিন রহমান ৬৭ লাখ ২৮ হাজার ২০৭ টাকার চেক নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে প্রতিমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে অসহায় শ্রমিকদের এ পর্যন্ত ২৪ কোটি সহায়তা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা জমা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী লাভজনক বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শ্রম আইন মেনে লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ এ তহবিলে প্রদানের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সবাই শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দিলে আর কোন শ্রমিক অসহায় থাকবে না। 
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান বলেন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে সহায়তার আবেদন প্রেরণ ও গ্রহণ অনলাইনে করা যাবে এবং সহায়তার অর্থ মোবাইল ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে। সফটওয়ার তৈরির কাজ চলছে এবং শীঘ্রই রূপালী ব্যাংকের ‘শিওর ক্যাশ’-এর সাথে চুক্তি করা হবে। শ্রম সচিব বলেন, এ কাজটি সম্পন্ন হলে শ্রমিকরা খুব সহজে দ্রুত সহায়তা পাবে। এ কাজে আরো স্বচ্ছতা আসবে। এতোদিন এ কাজটি ম্যানুয়ালি করার কারণে অনেক সময় লাগতো এবং জটিলতা তৈরি হতো। 
অনুষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আওয়ালসহ মন্ত্রণালয়, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিডেট এবং ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের শ্রম আইন (২০১৩ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, ২ কোটি টাকার বেশি মূলধনী প্রতিষ্ঠানের এক বছরের নিট লভ্যাংশের মধ্যে চার শতাংশ অর্থ নিজ কোম্পানির শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি এক শতাংশের অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে বাকি অর্ধেক শ্রম মন্ত্রনালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা দিতে হয়। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে অর্থ সহায়তা দেয় সরকার।
#
আকতারুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/ ১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৯১৯
 
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই):
আজ সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। 
আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অস্ত্রোপচার হয়। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী গত ৫ জুলাই সকালে প্রাতঃভ্রমণের সময় পা পিছলে পড়ে হিপ জয়েন্টে আঘাত পান। তখন তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
#
মাইদুল/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৮/১৬০০  ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৯১৭
 
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ কাজের চুক্তি স্বাক্ষর
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
রূপপুর পরিমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সিগনালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য স্টেশন বিল্ডিং ,বক্স কালভার্ট , লেভেল ক্রসিং গেট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজসহ রেলপথ নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আজ রেলভবনে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
 বাংলাদেশের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পশ্চিম অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমান এবং নির্মাণকারী কোম্পানির পক্ষে সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জিপিটি এবং বাংলাদেশের ২ টি প্রতিষ্ঠান এসইএল এবং সিসিসিএল যৌথভাবে কাজটি করবে। ২২ কিঃ মিঃ মেইন লাইন ও ৪.৫০ কি. মি. লুপ লাইন নির্মিত হবে। এতে ১ টি স্টেশন বিল্ডিং, ১টি প্লাটফর্ম এবং ১৩ টি লেভেল ক্রসিং গেট নির্মাণ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করবে।। বাংলাদেশি টাকায় চুক্তি মূল্য ২৯৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এতে ঈশ্বরদী বাইপাস থেকে ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মিত হবে।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভারি যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক মালামাল রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহণ করা হবে। এজন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেল সংযোগ স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে খুব সহজেই চট্রগ্রাম ও খুলনা বন্দর হতে মালামাল রূপপুর পরিমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিবহণ করা সম্ভব হবে।
রেলমন্ত্রী এ সময় রেলওয়েতে চলমান বেশ কিছু প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সরকার রেলখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। অনেক বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প , ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইস্পিড ট্রেন নির্মাণ প্রকল্প।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিসিসিএল কোম্পানির পরিচালক এবং সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বক্তব্য রাখেন। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, নির্মাণকারী  প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
#
শরিফুল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪৪৮ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৯১৬
 
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। 
পরিবার পরিকল্পনা তথা পরিকল্পিত পরিবার বিশ্বব্যাপী আজ মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। প্রয়োজনীয় তথ্য, শিক্ষা ও সেবা গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যেক দম্পতি ও নাগরিকের স্বাধীনভাবে সন্তান সংখ্যা ও সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে বিরতি নেয়ার অধিকার রয়েছে। এ অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণের দোরগোড়ায় পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে দিতে হবে যা জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি  দেশে মা ও শিশুমৃত্যু হার কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাই এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য 'ঋধসরষু চষধহহরহম রং ধ ঐঁসধহ জরমযঃ' অর্থাৎ ‘পরিকল্পিত পরিবার, সুরক্ষিত মানবাধিকার’ যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি
Todays handout (5).docx