Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd মার্চ ২০১৯

তথ্যবিবরণী 23/3/2019

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৬৫

তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ আরো এগিয়ে যাবে
                                       -- তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
                                                 
ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, ফেমল্যাব বিজ্ঞানকে একটি মজার বিষয়ে পরিণত করেছে। এটা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানের যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিযোগিতা। তরুণ ও অন্যান্য অংশের সাথে বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

প্রতিমন্ত্রী  আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতা ফেমল্যাব ২০১৯ এর বাংলাদেশ পর্বের চূড়ান্ত  বিজয়ীর নাম ঘোষণা  উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ফেমল্যাব ২০১৯ এর বাংলাদেশ পর্বে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হন বাংলাদেশ  প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) -এর শিক্ষার্থী এ. এস. এম. আফরিন বিন নূর আদিব। 

এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মেধাবী তরুণ-তরুণীরা বেরিয়ে আসবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হয়েছে, সেখানে এই তরুণেরা  অনবদ্য ভূমিকা রাখবে। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশ ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে। ফেমল্যাবের মতো প্রাইভেট খাতে যেসব পার্টনাররা আছেন তাদের এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের তরুণেরা দেশ ও বিদেশের সমস্যার সমাধান করবে এবং আইটি, আইসিটিতে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। 

এবার ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে অডিশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় ৬০০ জন প্রতিযোগী আবেদন করেন। সংক্ষিপ্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকায় ১৫০ জন, চট্টগ্রামে ৬০ জন এবং সিলেটে ৬০ এরও বেশি শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। আর চূডান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয় ১৪ জন প্রতিযোগী।  

#

শহিদুল/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২২৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৬৪

ফেরদৌসী মজুমদার বাংলাদেশে একক নাটকের পথিকৃৎ
                                 -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
                                                 
ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ফেরদৌসী মজুমদার বাংলাদেশে একক নাটকের পথিকৃৎ। নারীকে উপজীব্য করে তাঁর অভিনীত ‘কোকিলারা’র মধ্য দিয়ে ১৯৮৯ সালে একক নারী অভিনয়ের সূচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঞ্চে বিনোদিনী, কহে বীরাঙ্গনা, স্ত্রীর পত্র, লালজমিনসহ একে একে অনেক দর্শকনন্দিত একক নারী অভিনয়ের নাটক মঞ্চস্থ হয়। আর আজকে জনপ্রিয় ও প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী তনিমা হামিদের একক অভিনীত নাটক ‘একা এক নারী’ মঞ্চস্থ হচ্ছে। আশা করছি, নাটকটি সফলতা লাভ করবে এবং দর্শকপ্রিয়তা পাবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাট্যচক্রের ৫৪তম প্রযোজনা “একা এক নারী” নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নাটকটির মঞ্চায়ন উদ্বোধন করেন বরেণ্য অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার।

ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, একক নাটকে অভিনয় করা অত্যন্ত দুরূহ ও কঠিন বিষয়। একক নাটকে এ অনুভূতিটাই অভিনেতা/অভিনেত্রীকে ভিত করে দেয় যে, আমার পাশে কেউ নেই। তিনি বলেন, ভালো পা-ুলিপি ছাড়া ভালো নাটক সম্ভব নয়। ভালো পা-ুলিপি ছাড়া কোনো অভিনয় শিল্পীর সাধ্য নেই দর্শক ধরে রাখার।

নাট্যচক্রের সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ।

উল্লেখ্য, “একা এক নারী” নাটকটি ইতালির নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক, নাট্যকার ও অভিনেতা দারিও ফো এবং ফ্রাংকা রামে রচিত ‘অ ডড়সধহ অষড়হব’ এর বাংলা অনুবাদ। নাটকটি অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম ও নির্দেশনা দিয়েছেন দেবপ্রসাদ দেবনাথ এবং নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনিমা হামিদ।
#

ফয়সল/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৬৩
 
একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি
                       --- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ  ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ একই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। একাত্তরে কিছু রাজাকার আল বদর ছাড়া সবাই মুক্তিযোদ্ধা।  
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, ১৯৪৭ সালের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি জন্ম নেওয়ার পর আগে যা ভাবা হয়েছিল তার উল্টো প্রতিফলন দেখা দিল। সৃষ্ট দেশটি সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষ্যম্য সৃষ্টি করতে শুরু করলো। এ দেশের মানুষ তা চায়নি। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ পাকিস্তানের কাঠামোতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে  আজকের দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তরণের বিভিন্ন  পেক্ষাপট তুলে ধরে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালের পর কাশ্মিরে স্বাধীনতার জন্য বিচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং সম্প্রতি স্পেনের কতালোনিয়ায় স্বাধীনতার জন্য বিচ্ছিন্ন আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু তাদের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ। একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। 
১৯৭১ সালে সংগ্রামের বিজয়ের জন্য  বাঙালির নেতৃত্বের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বহু আগেই স¦াধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ছাত্র অবস্থায় মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তখন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছি। 
তিনি দেশের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় গত দশ বছরের সফলতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ আজ অগ্রগতির অগ্রযাত্রায় বিশ্বের রোল মডেল। মন্ত্রী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরকে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন  এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম এবং ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএস ভদ্র অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করে।
 
#
শেফায়েত/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/২০২১ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৬২
 
বিশ্ব পানি দিবসের আলোচনা সভায় নৌসচিব
নদীর তীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আরো শক্তিশালী করা হবে
 
ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :
 
 
নদীর তীর দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান আরো শক্তিশালী করা হবে। উচ্ছেদকৃত নদীর তীর যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য সেখানে বনায়ন  এবং শক্ত মজবুত সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হবে। নদীর তীর দখল মুক্তকরণের পাশাপাশি নদীর দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে সমস্ত উৎসমুখ দিয়ে নদীর পানি দূষিত হয় সেসব উৎসমুখ বন্ধ করা হবে। শিল্পকারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি যাতে  নদীতে না পড়ে সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর তলদেশের বর্জ্য উত্তোলন ও নদীর পানি দুর্গন্ধমুক্ত করতে  দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকার সার্কুলার নৌপথকে দুর্গন্ধমুক্ত করে পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
 
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে দৈনিক জনতা ও প্রিমিয়ার নিউজ সিন্ডিকেট লিমিটেড (পিএনএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
 
 
নৌসচিব বলেন, নদী আমাদের প্রাণ, নদী আমাদের মায়ের মতো। নদীকে বাঁচাতে রাখতে না পারলে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। নদীর তীরে শহর গড়ে উঠেছে। নদীর পানি কৃষি, মৎস্য চাষ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সভ্যতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 
নৌসচিব আবদুস সামাদ বলেন, নদী, নদীর তীরভূমি রক্ষা এবং নদীর গতিপ্রবাহ ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বাজেটে বরাদ্দ দিয়েছেন। নদীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর যেমন দরদ ছিল, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ঘোষণা করেছেন। ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী নদী, খাল, বিল ও পুকুর খনন করে সেখানে জলাধার সৃষ্টি করতে হবে। জলাধারে বন্যা, বৃষ্টি ও ঝর্ণার পানি সংরক্ষণ করে সে পানি শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো হবে। তিনি আরো বলেন, নদীগুলোকে পরিষ্কার করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নদী রক্ষায় যারা সহায়তা করবে তাদের জন্য ‘জাতীয় নদী রক্ষা পুরস্কার-এর’ ব্যবস্থা থাকবে।
 
#
জাহাঙ্গীর/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০১২ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৬১
 
নারী আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিছিয়ে থাকলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়
             ---মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব
ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :
 
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার তথ্য সেবা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেছেন, নারী যদি আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিছিয়ে থাকে তাহলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের কর্মক্ষম মানুষের অর্ধেক নারী। সেই অর্ধেক মানুষকে বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আজ রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত ইনফো লেডি বা তথ্য আপা প্রকল্পের উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তাদের ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সচিব এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, আমাদের সমাজে নারীর প্রধান শত্রু অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও অন্যের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত। নারীকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দৃঢ়তার সাথে পুরুষের পাশাপাশি পথ চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে তথ্য সেবা কর্মকর্তাগণ প্রত্যেকে সমাজের ‘চেঞ্জ এজেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। 
সচিব কামরুন নাহার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করবেন। গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান, উৎপাদিত পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখবেন। আপনাদের দক্ষতা ও কর্মের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা রোধ হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল বাংলাদেশ ও নারীর ক্ষমতায়ন তথ্য আপা প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।
জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এ এম নছিহুল কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সচিব জাহানারা পারভীন, ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের পরিচালক মীনা পারভীন।
জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা পারভীন বলেন, সরকার বিশ্বাস করে নারীকে বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তথ্য সেবা কর্মকর্তাবৃন্দ নারীকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৪৯০টি উপজেলায় একজন তথ্য সেবা কর্মকর্তা ও দু’জন সহকারীসহ মোট ১ হাজার ৪৭০ জন তথ্য সেবা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তা উপজেলা কেন্দ্র ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১ কোটি নারীকে ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য সেবা, ই-কমার্স ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেবেন।’
#
আলমগীর/নাইচ/রাহাত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯৫৬ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৬০

প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে জীবন গড়ার মূল ভিত্তি
                                  -- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে জীবন গড়ার মূল ভিত্তি ; তাই প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে হবে।’

মন্ত্রী আজ রাজধানীর মনিপুরী পাড়ায় নিজ বাসভবনে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে তেজগাঁও প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও এর গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সচেষ্ট রয়েছেন বলেই দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। আগামী ২০৩০ সালের আগেই শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীত হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার ১৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৩৫টি রেজিস্টার্ড, নন-রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। আর কোনো সরকার এগুলো করেনি।’ মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নারী শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

তেজগাঁও থানা শিক্ষা অফিসার মোঃ মঈনুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ জাহিদুর রহমান বিশ^াস এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

#

অপু/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                               Number : 1159

 

Foreign Minister mourns the tragic accident

at Yancheng in China

 

Dhaka, 9 Chaitra (23 March) :

 

            Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen, expressed his heartfelt condolences for the loss of valuable lives during the explosion at Yancheng in China.

 

            In a message written to Wang Yi, State Councillor and Foreign Minister of China, Dr. Momen said, we are deeply saddened to learn about the tragic accident resulting in many deaths and serious casualties. He conveyed his heartfelt sympathies to the Chinese Foreign Minister and the friendly people of China as well as to the members of the bereaved families for the irreparable loss.

 

            Dr. Momen wished a speedy recovery of those who had been injured during the explosion. Mentioning the Government of the People’s Republic of China as a close partner, he gave assurance to stand by the government and the people of China at this difficult time.

 

#

Tohidul/Nice/Shahid/Abbas/2019/1937 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৫৮

স্পেশাল অলিম্পিক ২০১৯-এ বাংলাদেশ দলের বিস্ময়কর 
সাফল্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন           

ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :

আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশ ২২টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৬টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে। বাংলাদেশ দলের এ বিস্ময়কর সাফল্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

প্রতিমন্ত্রী আজ এক অভিনন্দনবার্তায় বলেন, ‘স্পেশাল অলিম্পিকে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাফল্যে দেশবাসীর সাথে আমিও আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের অসামান্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করে সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে আমরা আরো ভালো ফলাফল অর্জন করব। আমরা অচিরেই খেলোয়াড়দের উন্নত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’ 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারকার স্পেশাল গেমস-এ ১৬০টি দেশের প্রায় ৭ হাজার অ্যাথলেটস অংশগ্রহণ করে এবং বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের ১১টি খেলায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশ দল গতকাল রাত ১১টায় দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ দলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।  

#

আরিফ/নাইচ/শহীদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৫৭

১০ বছরে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ
                                             -- শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :

জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইঋজও)-এর উদ্যোগে আজ চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব, মজুদ নিরূপণ এবং জাটকা সংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতির পর্যালোচনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা জাটকা ইলিশের যথাযথ বৃদ্ধি ও মা-ইলিশের প্রজননের স্বার্থে দেশের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বেষ্টিত ৬টি অভয়াশ্রম রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর সবিশেষ জোর দিয়েছেন। 

বক্তারা আরো বলেন, ১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদীতেই ইলিশ সহজলভ্য হয়েছে। ইলিশের বংশরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রজননক্ষেত্রসহ জাটকার বিচরণক্ষেত্র রক্ষা এবং সকল অবৈধ জালের কারখানা বন্ধ করতে হবে। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলেও এসব সাফল্য ধরে রাখা যাবে না বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। 
  
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বক্তৃতা করেন। 

শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুরসহ দেশের সকল ইলিশের অভয়াশ্রমে অবৈধ জালের মাধ্যমে মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতাসহ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। 

প্রতিমন্ত্রী খসরু জাটকা ইলিশের পাশাপাশি মা-ইলিশের যথাযথ সংরক্ষণে প্রশাসনসহ জেলেদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জাটকা ধরা বন্ধের ৮ মাস এবং মা-ইলিশ ধরা বন্ধের ২২ দিন জেলেদের খাদ্য সহায়তাসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার পরও ইলিশের ক্ষতির জন্য যারা অবৈধ জাল উৎপাদন করে জেলেদের বিপথে চালায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি  জাল উৎপাদক ও দাদনদারদের খপ্পরে না পড়ার জন্যও জেলেদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ২টি মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক অফিসার ড. আশরাফুল আলম ও মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক অফিসার মনোয়ার হোসেন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক বক্তৃতা করেন।
#

শাহ আলম/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ১১৫৬

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে
                                  -- সাইফুজ্জামান চৌধুরী

ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ২২ মার্চ, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা (১৫ মার্চ, ২০১৯ তারিখে সংঘটিত) বিষয়ক ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় তাঁর বক্তব্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা এবং আইনি মাধ্যমে বিপজ্জনক ইসলাম-বিদ্বেষ এবং ইসলাম-ভীতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং সর্বাঙ্গীণ ধর্মীয় ঐক্যের ওপর জোর দেন।

মন্ত্রী নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান এবং নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তিনি জাতিসঙ্ঘের ছায়াতলে ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন। 

ওআইসির বর্তমান চেয়ার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলুর আনুষ্ঠানিক আহ্বানে এবং সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালিত হয়।  সভা শুরুর পূর্বে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বক্তব্য প্রদান করতে যেয়েও সন্ত্রাসবাদের বিপদ মোকাবিলা, ইসলাম-ভীতি এবং অমুসলিম দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণার মোকাবিলায় সমষ্টিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল ধর্ম, বর্ণ এবং বিশ্বাসের সহাবস্থানের বিধান রেখে দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। সভায় মন্ত্রী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সকল ধরণের সন্ত্রাস এবং সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে আসছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে এবং দেখাশোনা করছে। নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের অবিলম্বে সহায়তা প্রদান এবং মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের মন্ত্রী নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রশংসা করেন। 

বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ, ইসলাম-বিদ্বেষ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ইশতেহার গ্রহণের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি সভাটি শেষ হয়। এর আগের দিন ২১ মার্চ বিকেলে ওআইসি রাষ্ট্রসমূহের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে ইশতেহারটি চূড়ান্ত হয়।

ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল ওথাইমেন সভায় উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটারসও সভায় উপস্থিত ছিলেন।  

#

নাহিয়ান/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১১৫৫
 
বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার অবিরাম কাজ করছে
                          ---গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
 
ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :
 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বর্তমান সরকার অবিরাম কাজ করছে, এটা বাংলাদশের ইতিহাসে অন্য কেউ করেনি। মানবাধিকারের সোচ্চার ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে সরকারের ন্যূনতম কোনো বাধা নেই। সরকার চায় একজন নাগরিকেরও মানবাধিকার যেনো লঙ্ঘন না হয়। আমরা সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে সারা দেশ বার্ন ইউনিটে পরিণত করে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিলো। সে জায়গা থেকে আজকে আমাদের উত্তরণ হয়েছে’।
 
আজ ঢাকায় শাহবাগস্থ জাতীয় যাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মাসিক মানবাধিকার খবর এর ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে, সামাজিক সূচকে আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে চলেছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে তার মানবাধিকার। সংবিধান নাগরিককে যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকার থেকে তিনি যদি বঞ্চিত থাকেন, তাহলে তিনি মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হন’।
 
বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিলো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স এর মতো নিকৃষ্ট, জঘন্য, ঘৃণ্য অর্ডিনেন্স ১৯৭৯ সালে পার্লামেন্টে পাস করে সেটাকে আইনে পরিণত করা হয়, সংবিধানের অংশ করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট যারা নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিলো। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জাতির কাঁধে কলঙ্ক হয়ে থাকা এই আইন অপসারণ করে জাতির পিতার খুনিদের বিচার করেছিলেন’। মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ৩১ ডিসেম্বর সকল যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করে দেয়া হয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের দাম্ভিকতা চূর্ণ করে তাদের বিচার করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বাংলাদেশ মানবাধিকারকে সমুন্নত করেছে’।
 
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের বিচার, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার বিচার, বিডিআর হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, প্রমাণ করেছেন আসামীর সংখ্যা বড় নয়, অপরাধটা বড়’। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যও দুর্নীতির দায়ে কারাদ- প্রাপ্ত হয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন অপরাধের কোন দায়মুক্তি নেই। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশে মানবাধিকারকে সমুন্নত করার বিষয়’।
 
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার খবর-এর সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন এবং গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও উম্মে ফাতেমা নাজমা, প্রেস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবেদ খান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আব্দুর রহিম খান ও প্রখ্যাত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ প্রমুখ।
 
#
ইফতেখার/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯২০ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১৫৪

ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ খবর নিতে অর্থমন্ত্রী মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে

ঢাকা, ৯ চৈত্র (২৩ মার্চ) :

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে হাসপাতালে যান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের ভালো আছেন। অস্ত্রোপচারের পর তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তাঁর আইওবিপি মেশিন খুলে ফেলা হয়েছে এবং বাকি সব প্যারামিটার ভালো আছে। তিন-চার দিন পর মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।

সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক এবং নিওরোলজিস্ট অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী গতকাল বিকেলে মেডিকেল বোর্ডকে উদ্ধৃত করে হাসপাতালে উপস্থিত পরিবারের সদস্য ও অন্যদের এসব তথ্য জানান। এ সময় হাসপাতালে অন্যান্যের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদের, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মীর্জা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদেরের সাথে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।

গত বুধবার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।

#

তৌহিদুল/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী    &n

Todays handout (10).docx Todays handout (10).docx