তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৯২
শ্রম আইনে শ্রমিকদের মামলা নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হবে
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলছে, শ্রম আইনে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় শ্রম আদালতের মামলা নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হবে। সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হবে। তিনি বলেন, দেশের শ্রমঘন এলাকায় শ্রম অধিদপ্তরের নিজস্ব জায়গায় শ্রমজীবী নারীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে আধুনিকমানের মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকায় শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল এবং হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে শুধু শ্রমজীবীদের চিকিৎসার জন্য দুইশ’ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী মাসে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় দেশের প্রথম পেশাগত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিপদে-আপদে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। শ্রমিক কল্যাণে দু’টি তহবিলে টাকা জমা হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে আর কোন শ্রমিক অসহায় থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং শ্রমিক লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
অধিদপ্তরের এক দশমিক এক একর নিজস্ব জমিতে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়শ’ শ্রমজীবী নারীর স্বল্প খরচে, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন সুবিধা প্রদানে ছয়তলা বিশিষ্ট আধুনিকমানের হোস্টেলে পাঁচ শয্যার হাসপাতাল সুবধিাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রও থাকবে। শ্রম অধিদপ্তর ও সেনাকল্যাণ সংস্থা যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ হোস্টেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। প্রায় এক হাজার কর্মজীবী নারী শ্রমিকদের জন্য স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা হবে।
#
আকতারুল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৯১
ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা
লঞ্চের ছাদে ওঠা ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না
-- নৌপরিবহন মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
‘অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে আরোহণ করবেন না, লঞ্চের ছাদে উঠবেন না। মালিকরা লঞ্চের অতিরিক্ত ভাড়া নেবেন না। ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ চালাবেন না। আবহাওয়া বার্তা মেনে দক্ষ চালক দিয়ে নৌযান চালাবেন। গরুর গাড়ি পারাপারে প্রাধান্য দেবেন। পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা রাখবেন। গার্মেন্টসে পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবেন।’
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরিসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভায় সংশ্লিষ্টদের এসব নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার সদরঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসারসহ কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা এবং সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা হকারমুক্ত রাখা হবে। সদরঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টিলের ডাস্টবিন স্থাপন, জনগণকে ডাস্টবিন ব্যতীত নদীতে কিংবা পন্টুন/গ্যাংওয়েতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে নিরুৎসাহিত করা এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ, পর্যায়ক্রমে সকল ঘাটে এ ব্যবস্থা চালুকরা হবে। টার্মিনালসমূহে সতর্কতামূলক বাণী মাইকে ও মনিটরে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় জানানো হয়, ঘাট ইজারাদার কর্তৃক যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লঞ্চে যাত্রী ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্পিডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক, যাত্রীদের হয়রানি ও ভীতিমূলক অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য রাতে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা এবং নদীতে এলোমেলোভাবে ট্যাংকার, লঞ্চ, কোস্টার বার্জ ইত্যাদি চলাচল নিয়ন্ত্রণ। কোনক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। প্রত্যেক লঞ্চের সিড়িতে দুই পার্শ্বে প্রশস্ত রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সদরঘাট, নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে যাত্রী লঞ্চে/নৌযানে উঠতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে নিয়োজিত করতে হবে। কেবিনের যাত্রীদের ছবি/মোবাইল নম্বর/জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডিআইজি নৌপুলিশ মোঃ মারুফ, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বক্তব্য রাখেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৯০
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখতে পারছি। শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে নয়, আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রসহ সর্বস্তরে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছি, তা সম্ভব হয়েছে কেবল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই। আর এ স্বপ্নের মূল কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে ২৬০ শয্যাবিশিষ্ট সম্প্রসারিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বিগত দশ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অভূতপূর্র্ব উন্নয়ন সাধন করেছে। এ উন্নয়নের পেছনে বেসরকারি খাতের অবদান অনস্বীকার্য। মন্ত্রী বলেন, একটি দেশ তখনই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যায়, যখন সরকারি ও বেসরকারি খাত হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে। তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা ও চিকিৎসার মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল শুধু শয্যা সংখ্যাতেই নয়, মানের দিক থেকেও এগিয়ে যাবে এবং চিকিৎসা সেবায় একটি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ কবির। আরো বক্তব্য রাখেন বর্ধিত (সম্প্রসারিত) ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক
ডা. কাজী নওশাদুন নবী এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালটির পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান চৌধুরী।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৮৯