Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী 27/7/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৯২
 
শ্রম আইনে শ্রমিকদের মামলা নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হবে
                                                    -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
                                                                           
চট্টগ্রাম, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  
 
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলছে, শ্রম আইনে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় শ্রম আদালতের মামলা নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হবে। সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হবে। তিনি বলেন, দেশের শ্রমঘন এলাকায় শ্রম অধিদপ্তরের নিজস্ব জায়গায় শ্রমজীবী নারীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে আধুনিকমানের মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। 
 
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকায় শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল এবং হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
 
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে শুধু শ্রমজীবীদের চিকিৎসার জন্য দুইশ’ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী মাসে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় দেশের প্রথম পেশাগত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। 
 
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিপদে-আপদে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। শ্রমিক কল্যাণে দু’টি তহবিলে টাকা জমা হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে আর কোন শ্রমিক অসহায় থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
  স্থানীয় সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং শ্রমিক লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। 
 
অধিদপ্তরের এক দশমিক এক একর নিজস্ব জমিতে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়শ’ শ্রমজীবী নারীর স্বল্প খরচে, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন সুবিধা প্রদানে ছয়তলা বিশিষ্ট আধুনিকমানের হোস্টেলে পাঁচ শয্যার হাসপাতাল সুবধিাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রও থাকবে। শ্রম অধিদপ্তর ও সেনাকল্যাণ সংস্থা যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ হোস্টেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। প্রায় এক হাজার কর্মজীবী নারী শ্রমিকদের জন্য স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা হবে। 
  
#
আকতারুল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৯১
 
ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা
লঞ্চের ছাদে ওঠা ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না
                                  -- নৌপরিবহন মন্ত্রী
                                                                           
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  
‘অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে আরোহণ করবেন না, লঞ্চের ছাদে উঠবেন না। মালিকরা লঞ্চের অতিরিক্ত ভাড়া নেবেন না। ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ চালাবেন না। আবহাওয়া বার্তা মেনে দক্ষ চালক দিয়ে নৌযান চালাবেন। গরুর গাড়ি পারাপারে প্রাধান্য দেবেন। পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা রাখবেন। গার্মেন্টসে পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবেন।’
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে  লঞ্চ, ফেরিসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভায় সংশ্লিষ্টদের এসব নির্দেশনা দেন। 
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার সদরঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসারসহ কমিউনিটি  পুলিশের ব্যবস্থা এবং সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা হকারমুক্ত রাখা হবে। সদরঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টিলের ডাস্টবিন স্থাপন, জনগণকে ডাস্টবিন ব্যতীত নদীতে কিংবা পন্টুন/গ্যাংওয়েতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে নিরুৎসাহিত করা এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ, পর্যায়ক্রমে সকল ঘাটে এ ব্যবস্থা চালুকরা হবে। টার্মিনালসমূহে  সতর্কতামূলক বাণী মাইকে ও মনিটরে  প্রচারের  ব্যবস্থা করা হবে। 
সভায় জানানো হয়, ঘাট ইজারাদার কর্তৃক যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ  ও  বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লঞ্চে যাত্রী  ওঠার  সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য  কর্মচারীদের  অবস্থান  নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্পিডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের  লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, রাতের বেলায়  সকল প্রকার  মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড  চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক, যাত্রীদের  হয়রানি ও ভীতিমূলক অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য রাতে পুলিশের  টহলের  ব্যবস্থা এবং নদীতে এলোমেলোভাবে ট্যাংকার, লঞ্চ, কোস্টার  বার্জ ইত্যাদি চলাচল নিয়ন্ত্রণ। কোনক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। প্রত্যেক লঞ্চের সিড়িতে  দুই পার্শ্বে  প্রশস্ত রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সদরঘাট, নদীর মাঝপথ থেকে  নৌকা দিয়ে  যাত্রী লঞ্চে/নৌযানে  উঠতে না পারে তার জন্য  ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে নিয়োজিত করতে হবে। কেবিনের যাত্রীদের ছবি/মোবাইল নম্বর/জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে। 
সভায় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডিআইজি নৌপুলিশ মোঃ মারুফ,  সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বক্তব্য রাখেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৯০
 
দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি
                                         -- আসাদুজ্জামান নূর
                                                                           
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  
 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখতে পারছি। শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে নয়, আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রসহ সর্বস্তরে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছি, তা সম্ভব হয়েছে কেবল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই। আর এ স্বপ্নের মূল কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
 
মন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে ২৬০ শয্যাবিশিষ্ট সম্প্রসারিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বিগত দশ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অভূতপূর্র্ব উন্নয়ন সাধন করেছে। এ উন্নয়নের পেছনে বেসরকারি খাতের অবদান অনস্বীকার্য। মন্ত্রী বলেন, একটি দেশ তখনই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যায়, যখন সরকারি ও বেসরকারি খাত হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে। তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা ও চিকিৎসার মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল শুধু শয্যা সংখ্যাতেই নয়, মানের দিক থেকেও এগিয়ে যাবে এবং চিকিৎসা সেবায় একটি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
 
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ কবির। আরো বক্তব্য রাখেন বর্ধিত (সম্প্রসারিত) ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক 
ডা. কাজী নওশাদুন নবী এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালটির পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান চৌধুরী।
 
#
  
ফয়সল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৮৯
 
সংসদ সদস্য মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুতে মন্ত্রিবর্গের শোক
                                                                           
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  
                                                                   
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও 
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার  মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্র গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
 
পৃথক পৃথক শোকবাণীতে মন্ত্রিবর্গ বলেন, সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ছিলেন একজন সৎ, সাহসী, ত্যাগী ও জনদরদী রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন খুলনা জেলার মাটি ও মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। গণমানুষের এ নেতা তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে আজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এ জনপ্রিয় রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শুধু খুলনাবাসী নয়, দেশের জনগণ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো। তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সহজে পূরণ হবার নয়। 
 
মন্ত্রিবর্গ মরহুম এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 
 
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে......রাজেউন)।
 
#
  
মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২০৮৮
 
জেলা প্রশাসকদের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিষয়ক কর্মশালা
 
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তথা তথ্য ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জেলা প্রশাসকগণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে ১২০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে। ইনফো সরকার-৩ এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৬ শ’ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরেই দ্বীপসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যাংক ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের লক্ষে ইডিসি প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যাবে। তিনি জেলা প্রশাসকদের  ইন্টারনেট সংযোগ সংশ্লিষ্ট যে কোন সমস্যায় তাঁর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানান।  
 
মন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও মাঠ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ করাই ছিল এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।
 
কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ, বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান (পিএএ), এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী, দেশের সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, এটুআই প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
এর আগে সূচনা অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জেলা ও মাঠ পর্যায়ে প্রশাসকদের নিবিষ্ট নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ই-গভর্নেন্স ইনডেস্কে বিগত চার বছরে ২৩ ধাপ এগিয়ে ১১৫তম অবস্থানে এসেছে। তিনি জেলা প্রশাসকদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রসৈনিক’ বলে অভিহিত করেন। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল সেবার ফলে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ২৪ ঘন্টা সেবা পাচ্ছেন। জেলা প্রশাসকগণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতার জন্যই জনগণ এখন নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছেন। এ সময় দেশের সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, এটুআই প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
#
শহিদুল/মাহমুদ/পারভেজ/আব্বাস/২০১৮/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৮৭
 
হরিজন সম্প্রদায়ের ভাগ্য উন্নয়নে সরকার কাজ করছে
---নৌপরিবহন মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
  
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার হরিজন সম্প্রদায়সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। তাঁর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথে এগিয়ে চলছে। স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী অপগোষ্ঠির তৎপরতার বিরুদ্ধে হরিজন সম্প্রদায়সহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
 
মন্ত্রী আজ ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
 
সংগঠনের সভাপতি কৃষ্ণ লালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রিনা রায়। 
 
শাজাহান খান বলেন, গণতন্ত্রের নামে বিএনপি জামাত দেশে তা-ব চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা, জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, সরকারের দৃঢ় প্রচেষ্টা এবং দেশের মানুষের  সহায়তায় সে অপচেষ্টা থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।
 
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে হরিজন সম্প্রদায় রাজধানীর শহিদ মিনার থেকে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রাটি মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
 
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/পারভেজ/আব্বাস/২০১৮/১৮০৮ ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২০৮৬
 
 
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার
                                               ----বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
  
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার। সারাদেশে সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ-স্থান নির্বিশেষে সকল খাতকে সমগুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পারস্পরিক সহাবস্থান উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত।
 
প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাতে ঢাকার একটি হোটেলে আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘ইমামত দিবস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগা খান স্কুল গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা বিস্তারে কার্যকর অবদান রাখছে। স্থাপত্য, ক্ষুদ্র ঋণ ও শিশুদের নিয়েও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক কাজ করছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের আরো অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কোরের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ এবং ইসমাইলি সম্প্রদায়ের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
#
আসলাম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০৮৫
 
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৮-এ জুলাই ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
সারাবিশ্বে বিশেষ করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও এ দু’টি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে।
আমরা হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। দেশের লিভার বিশেষজ্ঞগণ লিভার রোগে আক্রান্ত রোগীদের আধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল সদস্য দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে হেপাটাইটিস বি ও সি নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হেপাটাইটিস বি ও সি প্রতিরোধ করে সুস্থ জাতি গঠনের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। 
আমি বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
                                                                                         জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
            বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল কায়েস/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০২ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৮৪
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘ ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্র্র্মূলের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০১৮’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
হেপাটাইটিস একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না থাকায় দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে মাদকাসক্তদের মাদক গ্রহণে একই সিরিঞ্জের বারংবার ব্যবহার, অনিরাপদ রক্তসঞ্চালন এ রোগ বিস্তারের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই এ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে এ রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করা গেলে হেপাটাইটিস  নির্মূল সম্ভব। বিশ্ব  হেপাটাইটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য 'ঊষরসরহধঃব ঐবঢ়ধঃরঃরং' বা ‘হেপাটাইটিস নির্মূল’ ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সরকার স¦াস্থ্যসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূল করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে হেপাটাইটিস বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। আমি হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’ 
 
#
ইমরানুল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা
Todays handout (5).docx