তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৪৯
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের প্রথম স্থান অর্জন
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর।
আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি’র সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিপরীতে অর্জন ও প্রাপ্ত নম্বর অবহিতকরণ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রথম প্রান্তিকের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দপ্তর ও সংস্থাসমূহের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
#
ফয়সল/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/১৯০০ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৪৭
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল কাজে লাগিয়ে স্বল্প-কার্বন নগর গড়ে তোলা হবে
--- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল কাজে লাগিয়ে স্বল্প-কার্বন নির্গমন নগর (খড়-(Low-carbon city) গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন, প্রতিবেশ সুরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে। তিনি বিশ্বমানের শিল্প প্রযুক্তি ও প্রতিবেশগত নক্শার আলোকে টেকসই শিল্পায়ন ও পরিবেশবান্ধব নগরায়নের লক্ষ্য অর্জনে এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে কাজ করার তাগিদ দেন।
চীন সফররত শিল্পমন্ত্রী গতকাল দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড ইকো-ডিজাইন কনফারেন্সে ২০১৯ (The 2nd World Eco-Design Conference/WEDC 2019) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এ পরামর্শ দেন। গুয়াংজুর বিশুয়ান হট স্প্রিং রিসোর্টে (Bishuiwan Hot Spring Resort) দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) মহাপরিচালক লি ইয়াং (Li Young), এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের (Ellen MacArthur Foundation) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন্ড্রিও মরলেট (Andrew Morlet), রিকো ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি লিমিটেডের কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুমি হানাদা (Kazumi Hanada) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন জয়েন্ট রিসার্স সেন্টারের মহাপরিচালক ড. ফেব্রিস ম্যাথুয়াস (Dr. Fabrice Mathieux) বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলন পরিবেশ ও প্রতিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ইকো-টাউনশিপ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে এগিয়ে নেবে। তিনি টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ ও জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলার পাশাপাশি নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার তাগিদ দেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্য দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, চীন সরকার এবং জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) যৌথভাবে দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড ইকো-ডিজাইন কনফারেন্সের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশকে ‘সম্মানিত অতিথি রাষ্ট্র (Guest of Honor Counrty)’ এর মর্যাদা দেওয়া হয়।
#
জলিল/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৪৬
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
--- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নকে আরো টেকসই করতে উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র সহজীকরণে কাজ করছে সরকার। ভবন ও স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি প্রদান বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে কাজ করছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ কমিয়ে আনা হবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ইজি অভ্ ডুয়িং বিজনেস : ডিলিং উয়িথ কনস্ট্রাকশন পারমিট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অভ্ বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মন্ত্রী সনাতন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে দেশের উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধবভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি হুমায়ুন রশিদের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থাপত্য পরিকল্পনাবিদ সালমা এ শফি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সেন্টার ফর আরবান
স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
#
হাসান/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৪৫
ইইউ-বাংলাদেশ ষষ্ঠ সভা
জিএসপি প্লাস সুবিধা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রপ্তানি বাজার। এভ্রিথিং বাট আর্মস প্রকল্পের আওতায় ইইউ-এর দেওয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দশেসমূহে বাংলাদেশ ২২ বলিয়িন ডলাররে পণ্য রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানরি প্রায় ৫৮ শতাংশ।
মন্ত্রী আজ বাণজ্যি মন্ত্রণালয়রে সম্মলেন কক্ষে EU-Bangladesh Business Climate Dialogue এর ৬ষ্ঠ রাউন্ডরে সভায় বাংলাদেশ পক্ষের প্রতিনিধি দলের প্রধানের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো আর পাবে না। এ সময় বাংলাদেশ আশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করবে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ^ বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে সবকিছু করে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য সহজীকরণ বিশ^র্যাংকিং এ আট ধাপ এগিয়ে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য উভয় পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।
বাংলাদেশের পক্ষে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন-সহ ২০ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রনেসেি তরেংিক-সহ জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ জন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/১৮০০ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৪৩
বেগম রোকেয়া পদক ২০১৯
৫ জন বিশিষ্ট নারীব্যক্তিত্ব চূড়ান্তভাবে মনোনীত
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
বেগম রোকেয়া পদক ২০১৯ প্রদানের জন্য ৫ জন বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
মনোনীত ব্যক্তিগণ হলেন : বেগম সেলিনা খালেক নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে; অধ্যক্ষ শামসুন নাহার নারী শিক্ষায় ও ড. নুরুননাহার ফয়জননেসা (মরণোত্তর) নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য; পাপড়ি বসু নারীর অধিকার ও বেগম আখতার জাহান নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য।
পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নারীব্যক্তিত্বগণ বা তাঁদের পরিবারের প্রতিনিধি আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এ পদক গ্রহণ করবেন।
#
আলমগীর/অনসূয়া/সুবর্ণা/আসমা/২০১৯/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৬৪২
তথ্য কমিশন ও এটুআই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
তথ্য কমিশন ও এটুআই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মধ্যে আজ তথ্য কমিশনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ এর উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এটুআই এর পক্ষে এটুআই প্রজেক্টের পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান পিএএ এবং তথ্য কমিশনের পক্ষে তথ্য কমিশনের সচিব মোঃ তৌফিকুল আলম উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারকে আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেমকে একসেবা সিস্টেমের আওতায় এনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে জনগণকে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপীল আবেদন, অভিযোগ দায়ের এবং অনলাইনের মাধ্যমে তার সর্বশেষ অবস্থা জানতে ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের উক্ত কাজে সহায়তা করার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়া আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেমকে ৩৩৩ কল সেন্টারের সাথে সংযুক্ত করা, ৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা ও যোগাযোগ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান নিশ্চিত করা, কল সেন্টারের এজেন্টদের উক্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া, বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে উক্ত কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। স্মারকের মেয়াদ স্বাক্ষরিত হওয়ার দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং উভয়পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে এই মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে।
উল্লেখ্য, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপীল এবং অভিযোগ দায়েরের বর্তমানে প্রচলিত অফলাইন পদ্ধতির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতি চালু করার জন্য তথ্য কমিশন ডিনেট ও এটুআই এর সহযোগিতায় আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সফটওয়ার তৈরি করেছে এবং ইতোমধ্যে দুটি উপজেলায় পাইলটিং কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
#
লিটন/অনসূয়া/সুবর্ণা/শামীম/২০১৯/১৪৩৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৬৪১
১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশ হবে হর্ন বিহীন এলাকা
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশ অর্থাৎ জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড় ও সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকাকে নিরব জোন বা No Horn Zone এলাকা হিসেবে কার্যকর করা হবে। এ এলাকায় চলাচলকারী যানবাহনসমূহকে কোনো প্রকার হর্ন না বাজানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ বিল্লাল হোসেন এর সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত করণীয় নির্ধারণী সভায় এ কথা জানানো হয়েছে।
বিষয়টি কার্যকর করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ লক্ষ্যে সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, সকল শ্রেণির জনগণ বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের এবিষয়ে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিলবোর্ড, ব্যানার স্থাপন, লিফলেট বিলি এবং মাইকিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, অপ্রয়োজনীয়ভাবে হর্ন বাজানোসহ শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী প্রণীত শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা,২০০৬ এর ধারা ৮(২) এ প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে নীরব এলাকায় চলাচলকালে যানবাহনে কোন প্রকার হর্ন বাজানোর অপরাধে দোষী সাব্যাস্ত হলে প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি এর সভাপতিত্বে গত ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশ অর্থাৎ জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকাকে নিরব জোন বা No Horn Zone এলাকা হিসেবে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
#
দীপংকর/অনসূয়া/সুবর্ণা/শামীম/২০১৯/১৪১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৪০
বেগম রোকেয়া দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯’ পালন ও ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০১৯’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং সকল নারীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
‘সকলের জন্য শিক্ষা’ চিন্তার রূপায়নে কেবল মুসলমান সমাজে নয়, সারা ভারতীয় উপমহাদেশে বেগম রোকেয়া সার্থক সামাজিক আন্দোলনের দিশারি। উনিশ শতকের রক্ষণশীল ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থায় মুসলিম নারীসমাজে শিক্ষা বিস্তার ও সভ্যতার আলোয় উদ্ভাসিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন নারী জাগরণের পথিকৃত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য পরিকাঠামো স্থাপন করেছিলেন। জনসচেতনতা তৈরির জন্য হাতে তুলে নিয়েছিলেন কলম। তাঁর প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কথা উঠে এসেছে। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস এবং কর্মময় জীবন নারীসমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশের নারী-পুরুষ আজ দেশের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়, সাংবাদিকতা, তথ্য-প্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং খেলাধুলাসহ পেশাভিত্তিক সকল স্তরে আজ নারীদের গর্বিত পদচারণা। এভারেস্ট বিজয় থেকে শুরু করে মানবাধিকার রক্ষা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের কর্মকাণ্ডে নারীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলির শীর্ষে। আমরা অর্জন করেছি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সম্মাননা।
বর্তমান সরকার নারীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৌশল, নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সনদ ও উন্নয়ন এজেন্ডা অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল সুবিধা, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ, ডে-কেয়ার সুবিধার পাশাপাশি দুস্থ নারীদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ভিজিডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মা ভাতা চালু করেছি। নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, আইনি সহায়তা প্রদান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ফ্রিল্যান্সিং এবং নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীর অংশগ্রহণের ফলেই বাংলাদেশ আজ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। নিজেদের মেধা ও কর্মের মাধ্যমে নারী উন্নয়নে অবদান রাখায় যেসকল নারী ‘রোকেয়া পদক ২০১৯’ লাভ করেছেন, তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমি আশা করি, বেগম রোকেয়ার কর্মে ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আজকের নারীরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন।
আমি বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জুলফিকার/আসমা/২০১৯/১১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৬৩৯
বেগম রোকেয়া দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বেগম রোকেয়া দিবসে আমি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯’ উদ্যাপন ও ‘বেগম রোকেয়া’ পদক প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজসংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ। বেগম রোকেয়া উন্নত মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত প্রদান ও বিশ্লেষণ, উদার মানবতাবোধের অবতারণা এবং সর্বোপরি দৃঢ় মনোবল দিয়ে তৎকালীন নারীসমাজকে জাগিয়ে তোলেন। বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সর্বদা পর্দার অন্তরালে থেকে নারীশিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগ নেন এবং মুসলিম মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন। সামাজিক নানা বিধিনিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে আবির্ভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে। তিনি শিক্ষার মাধ্যমে নারীকে ক্ষমতায়িত করা এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করে নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর প্রদর্শিত পথেই উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ প্রত্যয়দীপ্ত নারীরা বিস্ময়কর উত্থান ঘটিয়েছেন।
নারী পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীসমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১ ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। নারীর মর্যাদা, অধিকার ও স্বনির্ভরতা অর্জনে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই বেগম রোকেয়ার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
এ বছর নারী ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য অবদান রাখার জন্য যাঁরা ‘বেগম রোকেয়া পদক - ২০১৯’ পেয়েছেন আমি তাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারীসমাজের অগ্রযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে- বেগম রোকেয়া দিবসে আমি এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।
#
হাসান/অনসূয়া/জুলফিকার/শামীম/২০১৯/১১.২৭ ঘণ্টা