তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬৯
ভালবাসা থেকেই সৃষ্টিকর্মের সূচনা
--- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ভালবাসা থেকেই সৃষ্টিকর্মের সূচনা ঘটে। যে পৃথিবী ও এর প্রকৃতিকে হƒদয় দিয়ে ভালোবাসে, তার পক্ষেই সুন্দর ও নান্দনিক সৃষ্টিকর্মের সৃজন করা সম্ভব। এ পৃথিবীতে কোনো কিছুই ফেলনা নয়। মানুষ যদি তার সৃজনক্ষমতা, ইচ্ছা ও কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগায়, তাহলে এ পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলা অসম্ভব নয়। পৃথিবীকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করে রাখা -এ আন্তরিক অভিপ্রায় ও ধারণা থেকে জীর্ণতায় সুন্দর শিল্পকর্মের সৃষ্টি। এটি শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ইবধঁঃু রহ ডৎবপশধমব অৎঃরংঃ ইড়ধৎফ বাংলাদেশ গৃহস্থালি আবর্জনা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে “২য় জীর্ণতায় সুন্দর (২হফ ইবধঁঃু রহ ডৎবপশধমব)” শীর্ষক গ্রুপ চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও জীর্ণতায় সুন্দর শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর প্রধান উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী অধ্যাপক আলপ্তগীন তুষার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীর্ণতায় সুন্দর চিত্র প্রদর্শনীর আহ্বায়ক সুরাইয়া আক্তার চিশতী রিমা।
#
ফয়সল/সেলিম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২০০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬৮
আইনমন্ত্রীর বড় বোন সায়মা ইসলামের দাফন সম্পন্ন
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বড় বোন সায়মা ইসলামকে আজ বিকেলে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দাফন শেষে মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় গুলশান আজাদ মসজিদে সায়মা ইসলামের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সহ মরহুমার আত্মীয় স্বজন, সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি তারিক উল হাকিম সহ অন্যান্য বিচারপতিবৃন্দ, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম রহমতুল্লাহ, জাতীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন ও সৈয়দ আলী আশরাফ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ
মোঃ জহিরুল হক সহ আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও অধস্তন আদালতের বিচারকবৃন্দ, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কসবা ও আখাউড়া পৌর সভার মেয়র, কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, শিক্ষক সহ বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়মা ইসলাম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি-----রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
সায়মা ইসলাম আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একমাত্র বোন ছিলেন। তিনি স্বামী ও একমাত্র ছেলে ব্যারিস্টার শেখ মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম সৌরভসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
#
রেজাউল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/২০০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬৭
নতুন প্রজন্মকে মানব সম্পদে পরিণত করা সরকারের লক্ষ্য
--- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মানব সম্পদে পরিণত করা সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, প্রযুক্তি প্রতি মূহুর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে। এজন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতার চাহিদাও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বেকার সমস্যা সমাধানে যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ভবনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল সচিবালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০১৮ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘দক্ষতা বদলে দেয় জীবন এবং বৃদ্ধি করে সামাজিক মর্যাদা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল (এনএসডিসি) সচিবালয়ের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠত হয়।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস পালন করা হয়। এবছরের প্রতিপাদ্য ‘দক্ষতা বদলে দেয় জীবন।’ এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মর্যাদা বৃদ্ধিতে জোর দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও কারিগরি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়টি আগে খুবই অবহেলিত ছিল। এখন এক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ১৪ ভাগ শিক্ষার্র্থী কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছে। ২০২০ সালে তা শতকরা ২০ ভাগে এবং ২০৩০ সালে ৩০ ভাগে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে উন্নত মানের টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন করা হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ আসন বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকের অভাব একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রেও সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্ঠা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ও চীনের গুয়াংজুতে প্রায় ২০০০ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ছাত্ররাও বৃত্তি নিয়ে চীনে পড়াশুনা করতে যাচ্ছে।
এনএসডিসি সচিবালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর এবং এনএসডিসি’র পরিচালক মোঃ শাহ আলম। কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন এনএসডিসি’র পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
#
আফরাজুর/সেলিম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬৬
৩০ লাখ গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান
-- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, এবারের বৃক্ষমেলা ও বৃক্ষরোপন অভিযানে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের স্মৃতির সম্মানে ৩০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। আগামী ১৮ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশে একযোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সম্পাদন করা হবে। একই দিনে তিনি আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলারও উদ্বোধন করবেন।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
এবার জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৮ এর প্রতিপাদ্য ‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’। মন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহিদের স্মৃতির সম্মানে ৩০ লাখ গাছের চারা রোপণের কর্মসূচি এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করবে। সারা দেশের মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ^কে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেককে সচেতন হওয়া দরকার। তাই পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষরোপণ অভিযানকে ঘিরে জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি।
এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ও স্লোগানের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জনগণকে সচেতন করা হয়েছে এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও মানোন্নয়নের স্বার্থে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ গুরুত্বের সাথে দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।
সকল কর্মসূচি প্রচারে সাংবাদিকদের সহয়তা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহ বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হয়। এভাবে পরিবেশ রক্ষা ও সার্বিকভাবে দেশে পরিবেশ উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য মন্ত্রী অভিনন্দন জানান এবং এ বিষয়ে সকলের নিরন্তর সহযোগিতা কামনা করন।
#
কামাল/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৯১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯৬৫
২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসন করবে সরকার
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
কুষ্টিয়া, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যমআয়ের দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত দেশ গড়তে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলের সহযোগিতায় ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম নিরসন করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আজ কুষ্টিয়ায় স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসন এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলে ক্ষুধামুক্ত দেশ গঠন করতে পারলে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম অবশ্যই নিরসন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, গৃহকর্মীদের জন্য সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিতে যাই থাকুক, তাদের প্রতি আমাদের আরো দায়িত্বশীল এবং মানবিক হতে হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শ্রম সচিব আফরোজা খান বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে তিন বছর মেয়াদি প্রায় তিনশ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পে যারা সফলভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবে তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য প্রত্যেককে পনের হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে। তিনি বলেন, যেসব জেলা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হবে , মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
কর্মশালায় কুষ্টিয়া অঞ্চলের ছয় জন অসহায়, অসুস্থ এবং দুর্ঘটনায় পঙ্গু শ্রমিককে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকার সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হানের সভাপতিত্বে এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আওয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুজ্জামান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬৪
নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে মেধা ও প্রযুক্তি যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
যাত্রা শুরু করলো নারীদের প্রথম জব মার্কেট প্লেস ‘ঃযব২যড়ঁৎলড়ন.পড়স’। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্লাটফর্মটির উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ‘দ্য টু আওয়ার জব’ এমন একটি প্লাটফরম যেখানে নারীরা ঘরে বসেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক চাহিদা পূরণে পেশাগত সেবা প্রদান করতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে নারী শিক্ষার উন্নতি ঘটলেও তাদের কর্মসংস্থানের হার সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। তিনি বলেন, দেশের ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষিত নারীকে কর্মহীন রেখে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন আশা করা যায় না। নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এ ধরনের সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবদান রাখবে। তিনি মেধা ও প্রযুক্তির কৌশল কাজে লাগিয়ে নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনভিত্তিক দ্য টু আওয়ার জব এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, এ প্লাটফর্মটিতে ৪৭টি চাকরির ক্যাটেগরিতে মোট এক হাজার ৯৫০ জন দক্ষ নারী কর্মী নিবন্ধিত রয়েছেন যারা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি, ব্যক্তিবর্গ, ই-কমার্স এবং স্টার্টআপসহ বিভিন্ন উদ্যোগে নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী সেবা দিবে। প্লাটফরমটির প্রতিষ্ঠাতা সানজিদা খন্দকার জানান প্লাটফরমটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দক্ষ নারীর জন্য ঘরে বসেই চাকরির সুযোগ তৈরি করে দিবে। সেইসঙ্গে সাশ্রয়ী পারিশ্রমিকে পেশাদার কর্মী পেতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকেও সাহায্য করবে।
#
শহিদুল/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৯০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬৩
শিশুদের মেধা বিকাশে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
যশোর, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেছেন, শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে তাদেরকে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যশোরের কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশু কিশোরদের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারা যাতে মেধার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটাতে পারে সেজন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাল্যবিবাহ কন্যা শিশুদের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয়। তাই বাল্যবিবাহ থেকে অভিভাবকদের বিরত থাকতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় নতুন প্রজন্ম যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে সে জন্য পিতামাতা ও শিক্ষকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সম্মান ও মাস্টার্স পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও দরিদ্র ৩২০ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে এককালীন শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। যশোর জেলা পরিষদের বাজেটের শিক্ষাখাত থেকে এই সহায়তা দেয়া হয়।
যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাসুম/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৮৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬২
সায়মা ইসলামের মৃত্যুতে বস্ত্রমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বড় বোন সায়মা ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।
এক শোক বার্তায় মন্ত্রী মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
#
সৈকত/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৮০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬১
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষির সাম্প্রতিক সাফল্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অনন্য মর্যদায় স্থান দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এসব সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। তিনি বলেন, বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ, সহজ শর্তে কৃষিঋণের সুযোগ বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ উন্নয়ন সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকের কাছে কৃষি যন্ত্রপাতি অত্যন্ত সুলভমূল্যে সহজলভ্য করা, ই-কৃষির সম্প্রসারণ, বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণায় সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদানসহ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই দেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রী আজ ঢাকার গাবতলিতে বিএডিসি আয়োজিত ‘বীজআলু হিমাগার, সেন্ট্রাল টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি ও গ্রিন হাউজ এবং বিএডিসি’র বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ হেক্টর জমিতে এক কোটি মেট্রিক টনের অধিক খাবার আলু উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন বীজআলুর চাহিদা রয়েছে। বিএডিসি চাহিদার প্রায় ৬ শতাংশ বীজআলু চাষিদের মাঝে সরবরাহ করছে। কৃষক বিএডিসি’র সরবরাহকৃত বীজ পরবর্তী তিন উৎপাদন মৌসুমে পুনরায় বীজ হিসেবে বর্ধন ও ব্যবহার করে থাকে। বীজআলু উৎপাদনে বৃদ্ধির হার ১০ গুণ বিবেচনা করলে দেখা যায় বিএডিসি প্রতি বৎসর চাহিদার ৬০ ভাগ মানসম্পন্ন বীজ প্রতিস্থাপন করছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিলের লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষি সরকার সদা সচেষ্ট। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মোঃ আসলামুল হক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্।
#
গিয়াস/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৮০১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬০
ইপিজেড থেকে রপ্তানি কারকদেরও ট্রফি প্রদান করা হবে
-- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। আগামীতে ইপিজেড থেকে রপ্তানি কারকদেরও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সফলতার জন্য দেশের ব্যবসায়ীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয়। রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রপ্তানি কারকদের পলিসি সাপোর্ট ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। দেশের তেরি পোশাক কারখানাগুলো এখন গ্রিন ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৪-১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে দেশের গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করা হবে। গ্রামের মানুষ শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত চলছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে ২৮তম অর্থনৈতিক শক্তি এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশের ট্রেডিশনাল রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি নন-ট্রেডিশনাল আইটেম রপ্তানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ৭ম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনায় দেশের আইটি, ঔষধ, ফার্নিচার, কৃষিপণ্য এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য।
#
বকসী/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৫৯
শান্তিচুক্তি পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের মাইলফলক
-- এইচ টি ইমাম
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু ১৯৭৫ পরবর্তী নানা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় এবং বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর মদদে প্রায় দুই যুগ সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকে। পরে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। ঐতিহাসিক এই শান্তিচুক্তিই পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি, সম্প্রীতি আর উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের তিন জেলা পরিষদকে পুনর্গঠন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠন, স্থানীয় ও প্রথাগত প্রশাসনিক কাঠামো শক্তিশালী করাসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ ভৌত অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সাবেক সচিব কাজী গোলাম রহমান ও মাসুদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির মোট ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ, ১৫টির আংশিক ও ৯টি ধারার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাছাড়া ৩৩টি সরকারি বিভাগ ও বিষয়ের মধ্যে অধিকাংশ বিভাগই বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য ২১টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত খঅঘউঝখওউঊ ওঘ ঈঐওঞঞঅএঙঘএ ঐওখখ ঞজঅঈঞঝ: ঈধঁংবং ধহফ গরঃরমধঃরড়হং নামক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
#
জুলফিকার/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৫৮
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষপর্ব বিশেষ পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ সালের মাস্টার্স এমএ/এমএসএস/এমবিএস/এমএসসি শেষপর্ব অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন (পুরাতন সিলেবাস) (বিশেষ) পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ ১৬-২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট িি.িহঁনফ.রহভড়/সভ থেকে
জানা যাবে।
#
ফয়জুল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৫৬
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জুন মাসের বেতন ভাতার চেক হস্তান্তর
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীগণের জুন/২০১৮ মাসের বেতন-ভাতাদি’র সরকারি অংশের ৮টি চেক অনুদান বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক হতে জুন/২০১৮ মাসের বেতন-ভাতাদি’র সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন।
#
শফিকুল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৫৭
শিল্পমন্ত্রীর সাথে বিশ^ তাবলিগ জামাত প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :
বিশ^ তাবলিগ জামাতের এক প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে তার মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতকালে তারা মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য সর্বস্তরে দ্বীনের দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশের সূচনালগ্নে তাবলিগ জামাতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকুণ্ঠ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়টিও তারা তুলে ধরেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু তাবলিগ জামাতকে টঙ্গী ইস্তেমা ময়দান বরাদ্দ দিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাকরাইল মসজিদের মারকাযের জায়গা সম্প্রসারণের সুযোগ দিয়ে দ্বীনের খেদমতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
রাসূল (সা.) এর বংশধর ও সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শেখ গাচ্ছান, সৌদি তাবলিগ জামাতের মুরব্বি শেখ ফাদিল, ফ্রান্স তাবলিগ জামাতের আমীর শেখ ইউনুসি, বেলজিয়াম তাবলিগ জামাতের আমীর ইউসূফী ও বেলজিয়াম তাবলিগ জামাতের মুরব্বি দাহমান প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
#
জলিল/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪৪৬ ঘণ্টা