Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd মার্চ ২০২৫

তথ্যবিবরণী ৩ মার্চ ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ২৮৯৯

 

রোজা যেন কেবল লৌকিকতায় পরিণত না হয়

                                     -- ধর্ম উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ): 

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, রমজানের তাৎপর্যকে অনুধাবন করে সিয়াম সাধনা করতে হবে। রোজা যেন কেবল লৌকিকতায় পরিণত না হয়।

 

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা একথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা দেন তুর্কি দিয়ানেত ফাউন্ডেশন।

 

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, রমজানের সুষমাকে ধারণ করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিশুদ্ধি আনতে হবে। আমাদের চরিত্রে নৈতিকতার উজ্জীবন ঘটাতে হবে এবং সুকুমার বৃত্তিকে জাগ্রত করতে হবে। চরিত্রের কূপ্রবৃত্তিকে দমিয়ে রাখতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাৎ করাকে দুর্ভাগ্যজনক অভিহিত করে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে লুটেপুটে খাওয়ার অশুভ মানসিকতা পরিহার করতে হবে। আমরা দায়িত্ব পেলে উপরেরটিও খাই, তলারটিও কুড়াই। এই কালচার থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। তিনি রমজানে সংযমের মাধ্যমে চরিত্রের মন্দ দিকগুলো পরিহার করার আহ্বান জানান।

 

ড. খালিদ বলেন, রমজানের সিয়াম সাধনা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, কেবল আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য। তিনি সকলকে সিয়াম সাধনার আল্লাহর সন্তুষ্টির পাশাপাশি সমাজে সম্প্রীতির বার্তা ও ভ্রাতৃত্বের সৌরভ ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

 

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কি সরকারের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা মাত্রিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে দিয়ানেত ফাউন্ডেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি এ ইফতার মাহফিলকে বাংলাদেশ ও তুর্কি দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমদ খান ও বাংলাদেশে দিয়ানেত ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি অঘুজহান আদসিজ। মুখ্য আলোচক হিসেবে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর জোবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি সায়মা হক বিদিশাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আবুবকর/মাহমুদুল/পবন/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৫/২০৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ২৮৯৮

 

পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

পরিবেশ সুরক্ষায় বিচারক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব

 

ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ): 

 

ব্রাজিলের ন্যাশনাল হাই কোর্ট (STJ)-এর প্রধান বিচারপতি আন্তোনিও হারমান বেঞ্জামিন আজ আগারগাঁওয়ের বন ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস উপস্থিত ছিলেন।

 

আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই বন ব্যবস্থাপনায় বিচারিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরিবেশ আইন বিশেষজ্ঞ বিচারপতি বেঞ্জামিন বন সংরক্ষণ ও জলবায়ু ন্যায়বিচারে ব্রাজিলের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

 

পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও সুন্দরবন-জাফলংসহ পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ সম্পর্কে জানান।

 

বৈঠকে পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। পরিবেশ আইনের প্রয়োগ ও টেকসই উন্নয়নে বিচারিক সক্রিয়তার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়। জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে তরুণ ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকার ওপরও আলোকপাত করা হয়।

 

ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশের সক্রিয় অবস্থানকে সাধুবাদ জানান এবং আইনি ও নীতিগত বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আরো অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ বিষয়ে বিচারকদের সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দেন। পরিবেশ উপদেষ্টা প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস বন উজাড় রোধসহ পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ব্রাজিল ও বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

#

দীপংকর/মাহমুদুল/পবন/মোশারফ/সেলিম/২০২৫/১৯৩০ ঘণ্টা  

  

Handout                                                                                                       Number: 2897

Brazilian Chief Justice Meets Environment Advisor, proposed

Judges' Conference on Environmental Protection

Dhaka, March 3:

Chief Justice of the National High Court of Brazil (STJ) Antonio Herman Benjamin met with Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, at the Forest Department in Agargaon today. The meeting was also attended by the Brazilian Ambassador to Bangladesh, Paulo Fernando Dias Feres.

During the discussion, both sides emphasized the importance of strengthening environmental governance and judicial cooperation to address climate change, biodiversity conservation, and sustainable forest management. Justice Benjamin, a globally recognized expert in environmental law, highlighted Brazil’s experience in legal frameworks for forest protection and climate justice. In response, Advisor Rizwana Hasan shared Bangladesh’s initiatives in safeguarding natural resources, tackling plastic pollution, and conserving biodiversity in ecologically sensitive areas such as the Sundarbans and Jaflong.

The meeting underscored the shared commitment of Bangladesh and Brazil to international environmental agreements. Both parties agreed on the necessity of judicial activism in enforcing environmental laws and ensuring sustainable development. The discussion also touched upon the role of youth and communities in climate resilience, aligning with Bangladesh’s efforts to engage local stakeholders in conservation strategies.

The Brazilian Chief Justice praised Bangladesh’s proactive stance on environmental issues and expressed interest in further exchanges between the two countries on legal and policy frameworks for environmental protection. He also proposed to organise a Judges' Conference on environmental and forest protection. Environment Adviser also expressed willingness to organise such an important conference.

Ambassador Paulo Fernando Dias Feres reiterated Brazil’s willingness to collaborate with Bangladesh in areas of mutual concern, particularly in combating deforestation.

#

Dipankar/Mahmudul/Paban/Mosharaf/Salim/2025/19.00 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ২৮৯৬

ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাংলাদেশের দুইজন

ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ):

          বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন, যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

          অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের প্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরবর্তীতে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

          শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

          এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

          উল্লেখ্য, ইউএসএআইডি প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

          অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির (DOAG-Development Objective Assistance Agreement) মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

          আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

#

কামরুল/মাহমুদুল/পবন/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/১৯৩০ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                                 Number: 2895

Bangladesh Takes Initiative to Restore Extinct Wildlife

                                                --- Environmental Advisor
Dhaka, 3 March:

            The Government of Bangladesh has taken initiatives to restore species that have gone extinct from the country as part of its efforts to conserve wildlife, stated Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest, and Climate Change and the Ministry of Water Resources. She mentioned that efforts to reintroduce peacocks have already begun, with some being released in safari parks, and steps are underway to reintegrate them into their natural habitat. Additionally, a nature-friendly afforestation project covering 150 acres has been planned in the Madhupur Sal Forest.

            The Advisor made these remarks as the chief guest at a discussion event marking World Wildlife Day 2025 at the Bana Bhaban in Agargaon in Dhaka today. This year’s theme is ‘Wildlife Conservation Finance: Investing in People and Planet.’

            In her speech, the Advisor emphasized that Bangladesh's biodiversity is a source of pride but also faces significant threats. However, she highlighted positive progress, announcing a major development: the Finance Ministry has approved 360 new positions for the Forest Department, which will enhance efforts in forest and wildlife conservation.

            Addressing the issue of forest fires in the Sundarbans, she stressed the need for more effective measures to prevent recurrence and underscored the importance of public awareness in protecting forests and wildlife. She also called for better living conditions for zoo animals, restructuring safari parks to provide a freer environment for wildlife, and improving veterinary services through collaboration with foreign experts.

            The Advisor further stated that a project to establish elephant corridors is set to begin implementation next month ensuring the coexistence of humans and wildlife. She noted that numerous fishing cats were rescued this year and for the first time, ‘Fishing Cat Day’ was observed in Bangladesh. Awareness campaigns are also being conducted through District Commissioners, and these efforts will continue.

            She urged collective efforts to not only reintroduce wildlife but also ensure their safe habitats, emphasizing that public awareness and participation are the key drivers of conservation.

            The event was presided over by Md. Amir Hossain Chowdhury, Chief Conservator of Forests, and featured special guests Md. Khairul Hasan, Additional Secretary (Secretary in routine charge), Ministry of Environment, Forest, and Climate Change, and Dr. Mohammad Ali Reza Khan, Wildlife Specialist and Former Principal Wildlife Specialist, Dubai Safari Park, UAE.

            At the event, the Advisor distributed awards to the winners of the ‘Know Your Wildlife’ and ‘Wildlife Photography’ competitions. Experts also emphasized the necessity of establishing dedicated wildlife departments in public universities.

#

Dipankar/Mahmudul/Paban/Mosharaf//Joynul/2025/1850 hour 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ২৮৯৪

 

বাংলাদেশের বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

                                                        -- পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ): 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রাণীগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ময়ূর পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। সাফারি পার্কে ময়ূর অবমুক্ত করা হয়েছে এবং প্রকৃতিতেও তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। মধুপুর শালবনে নতুন করে ১৫০ একর এলাকায় প্রকৃতিবান্ধব বনায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বন ভবনে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য আমাদের গর্বের বিষয়, কিন্তু একই সঙ্গে এটি নানা হুমকির মুখে রয়েছে। তবে আশার বিষয়, ইতিবাচক অনেক পরিবর্তনও ঘটছে। একটি সুসংবাদ দিতে চাই—আমাদের বন অধিদপ্তরের জন্য নতুন ৩৬০টি পদের অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি আমাদের বন সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষার প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করবে।

উপদেষ্টা সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের আরো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বনভূমি ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। আমরা চাই, চিড়িয়াখানাগুলো প্রাণীদের জন্য আরো উন্নত বাসস্থান হোক। সাফারি পার্কগুলোর কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে প্রাণীগুলো মুক্ত পরিবেশে চলাফেরা করতে পারে। পাশাপাশি, সাফারি পার্কগুলোর চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হাতির করিডোর তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী মাস থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে। তিনি আরো জানান, এ বছর আমরা বহু মেছোবিড়াল উদ্ধার করেছি এবং দেশে প্রথমবারের মতো ‘মেছোবিড়াল দিবস’ পালন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

উপদেষ্টা বলেন, বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কেবল বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে আনাই নয়, তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থলও নিশ্চিত করতে চাই। প্রকৃতি, বন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানুষের সচেতনতা ও অংশগ্রহণই আমাদের মূল শক্তি।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে) মোঃ খায়রুল হাসান  এবং  দুবাই সাফারি পার্কের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ওয়াইল্ডলাইফ স্পেশালিস্ট বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ‘এসো চিনি বন্যপ্রাণী’ এবং ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এতে বিশেষজ্ঞগণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্যপ্রাণী বিষয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

#

দীপংকর/মাহমুদুল/পবন/মোশারফ/সেলিম/২০২৫/১৮৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ২৮৯৩

 

দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে

                                              -- বাণিজ্য উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ): 

 

আগামী দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

 

আজ রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা একথা বলেন। শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আশা করছি আজ থেকেই সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

 

সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সয়াবিন তেল বেশি দামে যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি পামওয়েল তেল সরকার নির্ধারিত দাম থেকে ২৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মোট ভোজ্য তেলের ৬০ শতাংশ পামওয়েল। আশা করছি সয়াবিন তেলের দামও কমে আসবে।

 

গণমাধ্যম কর্মীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজালরোধে পবিত্র রমজান মাসে বিএসটিআই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আজ চারটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 

          বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, ‍শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

কামাল/মাহমুদুল/পবন/মোশারফ/সেলিম/২০২৫/১৬৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                       নম্বর : ২৮৯২

শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমাতে শব্দদূষণ রোধ করতে বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা                                  

ঢাকা, ১৮ ফাল্গুন (৩ মার্চ):  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি হতে বিরত থাকতে হবে। তিনি বলেন, শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

উপদেষ্টা আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নাক, কান, গলা ও হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটে ‘বিশ্ব শ্রবণ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানসিকতার পরিবর্তন: নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন’।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, শব্দদূষণ শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের অন্যতম কারণ। শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার শব্দ ও উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, হর্ন বাজানো বন্ধ করা ও সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে উচ্চ শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করা জরুরি।

ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. জাহানারা আলাউদ্দিন, সদস্য সচিব কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতালের অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ খান ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. আলী ইমাম সভায় বক্তৃতা করেন।

#

দীপংকর/জাভেদ/তৌহিদ/শাহিদা/মিতু/সুবর্ণা/আলী/আসমা/২০২৫/১৩১৫ ঘণ্টা  

2025-03-03-15-29-445bdf5bdd1be3a5a530c1267a17183f.docx