Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ মে ২০১৯

তথ্যবিবরণী ০৫/০৫/২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                 নম্বর : ১৮২৮
 
অসহায় বিচারপ্রার্থীদের দ্রুত আইনি সেবা দেয়ার আহ্বান আইনমন্ত্রীর
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অসহায় বিচারপ্রার্থীদের যত দ্রুত আইনি সেবা দেয়া যাবে তত বেশি সুফল পাবে। মন্ত্রী বলেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যে কেউ আইনগত সহায়তা পাবে, এটা তাঁর আইনগত অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতা- এই চার মূলনীতিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন। 
আজ সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা : চলমান প্রক্রিয়া ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়। মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এজন্য ২০১৫ সালে ”আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” বিধিমালা প্রণয়ন করে লিগ্যাল এইড অফিসারদেরকে এডিআর বা বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষমতাকে আরো কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে দেওয়ানি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করা হয়েছে। ফলে অনেক গরিব বা অসহায় মানুষ এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন। 
মন্ত্রী বলেন, সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সত্যিকারভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্যানেল আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের আরো বেশি সংবেদনশীল হতে হবে। সরকারি স্টিকার সংবলিত মামলাসমূহ দায়ের থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত জড়িত সকল পক্ষ সর্বোচ্চ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নিষ্পত্তির চেষ্টা করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
দেশের অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণ যারা অধস্তন আদালতের কোন রায় বা আদেশে সংক্ষুব্ধ এবং উচ্চ আদালতে আপিল, রিভিশন করতে আগ্রহীদের জন্য ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মার্চ/২০১৯ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে লিগাল এইড অফিস থেকে ৭ হাজার ১৬৯ জনকে আইনি পরামর্শ সেবা এবং ২ হাজার ৪৩৭ জনকে মামলায় সহায়তা সেবা প্রদান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সেখানে একজন অতিরিক্ত জেলা জজকে পূর্ণকালীন লিগাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য পদ সৃজন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ৭টি সহায়ক কর্মচারীর পদ সৃজন করা হয়েছে। এসব পদে খুব শীঘ্রই লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। 
 
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অ্যাটোর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম ও বেসরকারি সংস্থা - মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বক্তৃতা করেন।
 
#
 
রেজাউল/ফারহানা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/২১০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৮২৭
 
ঢাকার বাইরে অবকাঠামো নির্মাণে কাজ করছে সরকার
                                             ---ভূমিমন্ত্রী 
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
 
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, দেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল কারিগর বেসরকারি সেক্টর এবং এতে এটাও প্রমাণ হয় বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ফ্যাসিলিটেটর’ (সহায়তা প্রদানকারী) হিসেবে সফল। ভূমিমন্ত্রী মনে করেন আবাসন খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান সংস্থান। ভূমিমন্ত্রী উপস্থিত সবাইকে সাধারণ ভাবনা থেকে বের হয়ে সমগ্র বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করতে বলেন। তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে অবকাঠামো নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক সময় উন্নয়ন শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক ছিল, এখন বর্তমান সরকার দেশের সামগ্রিক এবং সমানুপাতিক উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে, সরকার কী করবে তা নিয়ে বসে না থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়েও ঢাকার বাইরে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। 
আজ ঢাকা শিল্প ও বণিক সমিতির উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'ঈযধষষবহমবং ড়ভ জবধষ ঊংঃধঃব রহ টৎনধহরুধঃরড়হ ধহফ উবপবহঃৎধষরুধঃরড়হ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম হবে শহর’ এর অর্থ গ্রামকে ঢাকা শহর বানানো নয়। এর অর্থ শহরাঞ্চলের মৌলিক সুযোগ সুবিধা গ্রামাঞ্চলে নিশ্চিত করা এবং গ্রামে একটি ‘সিস্টেম্যাটিক’ টাউন স্থাপন করা - যা আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকার। বিকেন্দ্রীয়করণের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ল্যান্ড-জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের সময় আমরা লক্ষ্য রাখছি কৃষি জমির সুরক্ষার ব্যাপারে, যেন দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাহত না হয়। 
ভূমিমন্ত্রী বলেন, কোনো নতুন কাজ শুরু করার আগে সরকারের অনেক কিছু ভাবতে হয়। বেসরকারি সেক্টরে সেই অসুবিধা অনেক কম। তিনি মনে করেন প্রাইভেট পর্যায়ে কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে পিপিপি’র আওতায় দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। মন্ত্রী এক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদাহরণও প্রদান করেন। 
মন্ত্রী আরো বলেন এই বছরের জুন কিংবা জুলাই নাগাদ সমগ্র দেশে ই-নামজারি চালু হয়ে যাবে এবং ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন ফি এবং কর প্রদানের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে পেমেন্ট গেটওয়ের স্থাপন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।  তিনি বলেন, এই সরকার এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার নিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমরা বিশ্বাসী। এসব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ।  
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির। সেমিনারে সভাপতিত্ব এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ওসামা তাসীর এবং সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী।
সরকারি-বেসরকারি আবাসন খাত বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী এবং নির্বাহীসহ উক্ত খাতের সাথে স্বার্থসংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এবং উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ঢাকা চেম্বার এবং রিহ্যাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। 
 
#
নাহিয়ান/ফারহানা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০১৪ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৮২৬

 

গণমাধ্যম কর্মীদের হঠা ছাঁটাই কোনোভাবেই সমীচীন নয়

                                                      -- তথ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :

 

            তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, 'প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক কোনো গণমাধ্যম কর্মীদেরই হঠাৎ ছাঁটাই কোনোভাবেই সমীচীন নয়। তাদের সংসার ও জীবনের কথা ভাবতে হবে। একান্ত প্রয়োজন হলে আগে থেকে নোটিশ এবং কয়েক মাসের বেতন দেয়ার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

 

            মন্ত্রী আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর স্মরণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। বিশিষ্ট  সাংবাদিক আবেদ খান এবং বেগম আলমগীর এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, প্রখ্যাত অভিনেতা হাসান ইমাম, প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক সৌমিত্র দেবসহ বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও গবেষক রহমান মুস্তাফিজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন। 

 

            মন্ত্রী এ সময় প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, 'তার কাছ থেকে আমাদের বহু কিছু শেখার আছে। তিনি এমন মানুষ যার কোনো শত্রু ছিলো না।’ 

 

            উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ক্যান্সার চিকিৎসাধীন শাহ আলমগীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমের সকল অঙ্গনের প্রতিনিধিদের স্মৃতিচারণে শোকসভায় এক হৃদয়বিদারক আবহ তৈরি হয়।

 

#

 

আকরাম/ফারহানা/রাহাত/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/২০০২ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৮২৫
 
সরকারি অর্থ ব্যয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিকল্পনা মন্ত্রীর
 
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
 
প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ায় আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এই টাকা জনগণের টাকা। তাই বাহুল্য ব্যয় পরিহার করে খরচের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। প্রকল্প যেন সময় মতো বাস্তবায়ন হয়, সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
 
আজ ঢাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে আইএমইডি আয়োজিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ডিজিটাল মনিটরিংয়ের জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (পিএমআইএস) বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখেছি, সেখানে সিস্টেমের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা দায়িত্বশীলতার। তাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হবে না। তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মচারীদের গাড়ির সুবিধাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তাই তাদের কাজের গতি বাড়াতে হবে।’
 
কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে ১ হাজার ৯১৬টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৫৬২টি প্রকল্প পিএমআইএস সফটওয়্যারে যুক্ত হয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলোকেও দ্রুত এই সফটওয়্যারে যুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেয়া হয়। পিএমআইএস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেসব প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে মাসিক অগ্রগতি, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা, বছরভিত্তিক অগ্রগতি, ডিপিপির চাহিদার বিপরীতে প্রাপ্ত বরাদ্দ, অর্থায়নের ভিত্তিতে প্রকল্পের বিন্যাস, এডিপির অগ্রগতি, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ভিত্তিক চিত্র, উচ্চ ও নিম্নক্রম বিন্যাস, কস্ট ও টাইম ইত্যাদি।
 
আইএমইডি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফোকাল পার্সনগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আইএমইডি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
#
শাহেদ/ফারহানা/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৮২৪
 
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে উদ্ভাবন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
 
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
 
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্ভাবন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রাজধানীর ব্যানবেইস মিলনায়তনে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির অধীন গবেষকদের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গবেষকদের সুবিধা বৃদ্ধি করতে এবং গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সরকার আন্তরিক রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রেখেছে। প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।
 
ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ্’র সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন।
 
শিক্ষা উপমন্ত্রী দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালানোর জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। 
 
শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৪৮৫টি গবেষণা প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৯টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে যার অনুকূলে ৪৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ২০১৬- ১৭ অর্থ বছরে গৃহীত ৭৬টির মধ্যে ৫২টি এবং ২০১৭ -১৮ অর্থ বছরে গৃহীত ৮৭টির মধ্যে ৮৫টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৯৯ টি গবেষণা প্রকল্প গৃহীত হয় এবং গত ১ নভেম্বর ২০১৮ গবেষণা প্রকল্পের অর্থের চেক প্রদান করা হয়।
 
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে অর্থের সংকুলান থাকায় পরে আরো ২০টি গবেষণা প্রকল্প অর্থায়নের জন্য গৃহীত হয় যার বাস্তবায়ন এ বছরই শুরু হবে।
 
#
খায়ের/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৯৪৫ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৮২৩
 
রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্ট
        ---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
 
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সরকারি গেজেট, নিয়োগ, নীতিমালা, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, প্রটোকল, মূল্যবান রেকর্ড, নথিপত্র, রাষ্ট্রীয় তথা জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর। আর্কাইভাল রেকর্ড ছিল বলেই ৪৮ বছর আগের নথিপত্র খুঁজে বের করে (পর্যালোচনা করে) মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। একইভাবে ভূমির ক্ষেত্রেও ৭০-৮০ বছরের পূর্বের গেজেট ও নথিপত্র দেখে ভূমি সংক্রান্ত অনেক জটিলতা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্ট।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত   ‘এডভান্সড আর্কাইভাল রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট’ এবং ‘ডিজিটাল/আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিকে মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে যেখানে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত লাইব্রেরিয়ানের পাশাপাশি একটি মুজিব কর্নার থাকবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, লাইব্রেরিকে আরো জনমুখী ও উন্নততর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে।
 
আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোঃ সুজায়েত উল্ল্যা।
 
উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল হতে ৫ মে ২০১৯ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ‘এডভান্সড আর্কাইভাল রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট’ কোর্সে ২৩টি মন্ত্রণালয়ের ২৩ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ‘ডিজিটাল/আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’ কোর্সে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারের ২৩ জন লাইব্রেরিয়ান অংশগ্রহণ করেন।
 
#
ফয়সল/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮৪৫ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৮২২
 
উন্নয়নের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে
              ---গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
 
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘উন্নয়নের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু উন্নয়নের কথা নয় বরং টেকসই উন্নয়নের কথাও বলতে হবে। কোনোভাবেই যেন একটি সৃষ্টি বিপন্নতার দিকে চলে না যায়। গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী বা নির্মাণ কাজে সম্পৃক্তরা আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা, সততা আর নিষ্ঠার সাথে কাজ না করলে সে কাজের ক্ষতি হবে সুদূর প্রসারী। এজন্য দায়-দায়িত্বের জায়গায় আন্তরিক থাকতে হবে।’
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দরিদ্র, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, বিপন্ন ও তৃণমূল জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধতার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। যাদের ত্যাগে, শ্রমে ও অর্থে আজ আমরা এখানে এসেছি, আমাদের সবচেয়ে বড় দায় তাদের জন্য। এজন্য বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে’।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বড় ধরনের উন্নয়নের চালিকা শক্তি আপনারা।  গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের সঙ্গে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সকলে সম্পৃক্ত। তাই কাজের পরিসর আরো বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে গুণগতমানের। 
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সকলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। সে কাজে আমরা গুণগতমান নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পরিহার করতে হবে। এ সময় অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন ও ড. মোঃ আফজাল হোসেন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
 
#
ইফতেখার/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৮৫৩ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ১৮২১
 
শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল অনুকরণীয়
    ----মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার শুধু গাজীপুর নয়, সারা দেশের কৃতি সন্তান। তিনি শুধু শ্রমজীবী মানুষের নেতা নন, গণমানুষের নেতা। তিনি জাতির জন্য জীবন দান করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাঁকে শুধু শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেই হবে না, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করতে হবে । তাঁর জ্ঞান, শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং জীবনে কাজে লাগাতে হবে। তাঁর রক্ত যেন বৃথা না যায় এ জন্য তার আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে।
আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তখনকার ক্ষমতাসীন সরকার এ জঘন্য হত্যাকা-ের পর তদন্ত ছাড়াই দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে চালিয়ে দেন। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের চেষ্টা করলেও তা করতে দেয়া হয়নি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের সন্তান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের বর্ণাঢ্য জীবনী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেন। তিনি কিভাবে দেরাদুনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দেশের জন্য যুদ্ধ করেন, স্বাধীনতার পর শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন, সব কিছু সবিস্তারে বর্ণনা করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের ইচ্ছায় প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, সর্বশেষে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এমপি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কূর আহমেদ, সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর 
ডঃ হারুন-অর-রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আতাউর রহমান।
বক্তাগণ একবাক্যে বলেন, তাঁর মতো সজ্জন ও জনদরদী মানুষ বিরল। তারা শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকা-ের রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান।
#
দীপংকর/ফারহানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮০৮ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৮২০
 
 
রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য সফ্টওয়্যার একাউন্টিং সিস্টেম চালুর পরামর্শ
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
 
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চিনিকল, সার কারখানাসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক করতে এগুলোর ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা। তারা কারখানাগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে বাধ্যতামূলকভাবে সফ্টওয়্যার একাউন্টিং সিস্টেম চালুর তাগিদ দেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সাথে মন্ত্রণালয় মনোনীত পরিচালকদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় আজ এই পরামর্শ দেয়া হয়। ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প সচিব বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প কারখানাগুলো লাভজনক করতে মন্ত্রণালয়ের আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানি তিনটির ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। তিনি কোম্পানি তিনটির অনুসরণে বিসিআইসি, বিএসএফআইসি এবং বিএসইসি’র আওতাধীন কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা, হিসাব, উৎপাদন ও বিপণন কৌশল ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেন। চিনি শিল্পকে কোনোভাবেই লোকসানি প্রতিষ্ঠানে হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি এ শিল্পের উন্নয়নে বিটিএবি মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা আখ চাষিদের ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়কে একটি পেশাদার মন্ত্রণালয় হিসেবে উল্লেখ করেন এবং শিল্প ও বাণিজ্য সম্পৃক্তদের সাথে শিল্প মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী লিংকেজ গড়ে তোলার তাগিদ দেন। 
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সঞ্চালনায় এতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেডের (কাফকো) এর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হাবিবুল্লাহ মঞ্জু, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিটিএবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলেসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। 
সভায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশ (বিটিএবি) এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি, জনবলের প্রশিক্ষণ এবং সিএসআর কার্যক্রম নিয়ে পৃথকভাবে তিনটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এর ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলোর উন্নয়নে কী ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে  মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 
 মুক্ত আলোচনায় প্রতিষ্ঠান তিনটির কর্মকর্তারা রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার উন্নয়নে  ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। একই সাথে তারা এসব কারখানার জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও হিসাব ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে খাতভিত্তিক কোর কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন। তারা কোম্পানি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্যদেরকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে আরো নিবিড়ভাবে জড়িত হবার সুপারিশ করেন। তারা শিল্প মন্ত্রণালয়ের আগ্রহের প্রেক্ষিতে চিনি, সার এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলোর জনবল ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হন।   
#
 
জলিল/ফারহানা/রাহাত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১৮১৯
 
বিএনপি’র জঙ্গি তোষণ ও পৃষ্ঠপোষকতাই জঙ্গিবাদ নির্মূলে বড় বাধা
   ---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশান সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি’র জঙ্গি তোষণ ও জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতাই দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে সবচেয়ে বড় বাধা।’
আজ জাতীয় জাদুঘরে বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ নির্মূল : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান তাঁর বক্তৃতায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারতে জঙ্গি হামলা হলে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল সেটিকে জাতীয় দুর্যোগ মনে করে তা মোকাবিলার জন্য সরকারের পাশে দাঁড়ায়, আর আমাদের দেশে আমরা দেখি, জঙ্গিদেরকে একটি বড় রাজনৈতিক দল থেকে তোষণ ও পোষণ করে রাজনৈতিক মিত্র এবং সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং তাদেরকে জঙ্গি তৎপরতার জন্য সাহায্য করা হয়, যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক এইভাবে বিএনপি ও ২০ দলীয় ঐক্যজোট ক্রমাগতভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য জঙ্গিবাদীদের ব্যবহার করেছে এবং যখনই জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তখনই তারা এর বিরোধিতা করেছে।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৬ কেজি বোমা পুঁতেও হত্যার চেষ্টা হয়েছে। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, শামীম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর জঙ্গি হামলা করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১২ আগস্ট বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একসাথে বোমা হামলা করা হয়েছে। এ সব কিছু মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে শান্তি ও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।’
জঙ্গিবাদকে বিশ্বব্যাপী সমস্যা বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মতো শান্তিপূর্ণ দেশে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মানুষের ওপরে হামলা করে নির্বিচারে হত্যা ও তার সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার, শ্রীলঙ্কায় হোটেল এবং গির্জায় নৃশংস বোমা হামলা, যেখানে আমাদের শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান-এর মতো শিশুও নিহত হয়েছে, এমন জঙ্গিবাদী ঘটনা আমাদের মর্মাহত করে। কিন্তু একথা সত্য যে, বিশ্বের উন্নত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশি সফল হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদকে দমন করতে সক্ষম হয়েছি।’
মন্ত্রী ড. হাছান তাঁর নিজের জীবনের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র শিবির আমাকে দু’বার ধরে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। একবার রটেই যায়, আমি নিহত হয়েছি। আর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার চল্লিশটি স্প্রিন্টার এখনো আমার শরীরে। আরো হাজারো স্প্রিন্টার শরীরে বহন করে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছেন আরো অনেকেই, মহিলা আওয়ামী লীগেও এমন অনেক সদস্য রয়েছেন। ’ 
তথ্যমন্ত্রী এ সময় জঙ্গিবাদ নির্মূলে সমাজ ও সংস্কৃতির ভূমিকাকে প্রাধান্য দিয়ে বলেন, ‘শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব নয়। পারিবারিক শিক্ষা ও বন্ধনকে দৃঢ়তর করা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে শিশু কিশোরদের অধিক সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বিশেষ অতিথি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী সম্মানিত অতিথি, বিশিষ্ট অর্থনীতিবি
Todays handout (9).docx Todays handout (9).docx