তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০৯
বিডার আয়োজনে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তির রূপান্তর বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৯ ফাল্গুন (১৩ মার্চ) :
আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর আয়োজনে সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্থানীয় একটি হোটেলে ‘ওহফঁংঃৎু ৪.০- ঞৎধহংভড়ৎসধঃরাব ঞবপযহড়ষড়মরবং ভড়ৎ এৎড়ঃিয ্ উবাবষড়ঢ়সবহঃ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মসিউর রহমান ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও হার্ভার্ড ল’ স্কুল হতে আগত রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট উড়ৎধ ঝধৎর এবং ঢরধড়ৎধহ ঈযবহ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রযুক্তি সর্বদা মানব সভ্যতাকে সৃজন করেছে। বর্তমানে আমাদের জীবন ধারণ, কাজ বা পারস্পারিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার উপর প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাপক। প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ দুটোই আছে। বাংলাদেশের প্রধান শক্তি জনগণ। জনশক্তির মাধ্যমে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের রূপান্তর ঘটাতে হবে।’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের ভয় পাওয়া চলবে না। ভবিষ্যতের উৎপাদন, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে রোবটিক্স প্রযুক্তির ব্যবহারের সাথে আমাদের মানিয়ে নিতে প্রস্তুত হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন দক্ষতা। প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) গঠন করেছেন যেন দক্ষতার সাথে ভবিষ্যতের শিল্প, জনবল, আইন, নীতি প্রভৃতি পরিবর্তনের সাথে আমরা মানিয়ে নিতে পারি। এজন্য গত বছর ‘দক্ষতা তহবিল’ নামক একটি তহবিলও গঠন হয়েছে, যা সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত দ্বারা পরিচালিত হবে।’
সেমিনারে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত বিভিন্ন সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া সেমিনারে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী, মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক এবং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবু আবদুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
#
শরীফা/মাহমুদ/রাহাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০৮
ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের হাতেই থাকতে দিন
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ ফাল্গুন (১৩ মার্চ) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছাত্রদের রাজনীতি ছাত্রদের হাতেই থাকতে দিন। ছাত্র রাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতিতে এনে জল ঘোলা করার অপচেষ্টা করবেন না, বরং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল কেন হারলো, সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করুন।’
মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতার ৯৯তম জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতাকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সুসংহত করে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন, তখনই যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা তাঁকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আর এখনও তারাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাক করা উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। নির্বাচনে ভরাডুবির পর তারা এখন সংবাদ সম্মেলনের রাজনীতি করছে।’ ‘কিন্তু এতে তাদের কোনো লাভ হয়নি, বরং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল হারিয়ে গেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডান-বাম এমনকি অতি ডান-অতি বাম মিলেও ছাত্রলীগকে হারাতে পারেনি।’ ড. হাছান বলেন, ‘স্মর্তব্য যে, দীর্ঘ প্রায় তিরিশ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। ছাত্রদের আবার সুস্থ রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার বাস্তব পদক্ষেপ।’
এ সময় ‘বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, বাংলাদেশ আজ মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো’ উল্লেখ করে মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক’টি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ জিডিপি-তে বিশ্বের ৪৩ তম দেশ, ক্রয়ক্ষমতা সূচক বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে বিশ্বের ৩১তম দেশ এবং আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫২ ডলার আর পাকিস্তানের ১ হাজার ৬৪০, আমাদের রপ্তানি বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন। আমাদের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৮ বছর আর পাকিস্তান ও ভারতের প্রায় ৬৮ ও ৬৯। অর্থাৎ সব সূচকেই বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। আর এ কারণেই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে সুইডেন বানাবার কথা বলেন, তখন সংসদ সদস্যরা তাকে ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মতো বানাবার পরামর্শ দেয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর বাবার দেশ কেনিয়ায় গিয়ে বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোর বাংলাদেশ থেকে অনেক শেখার আছে। ভারতের গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের লেখা নিবন্ধে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতির উত্থান স্থান পায়।’
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় ও ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ সভাপতি মোঃ খবির হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০১৫ ঘণ্টা
Handout Number : 1006
Belgium to send a trade mission to Bangladesh
Dhaka, March 13 :
Belgium is planning to send a trade delegation to Bangladesh later this year to explore trade and investment opportunities. New Belgian Ambassador to Bangladesh, with residence in New Delhi, Francois Delhaye informed this at a meeting with Bangladesh Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen today. During the meeting, Foreign Minister Momen briefed the Ambassador about tremendous socio-economic developments that Bangladesh has achieved particularly during the last one decade under the visionary leadership of the Prime Minister.
Bangladesh Foreign Minister requested the Belgian Ambassador for his country’s partnership in Bangladesh’s journey towards a middle income country by 2021 and a developed on by 2041 in line with Prime Minister Sheikh Hasina’s Vision 2021 and Vision 2041. Dr. Momen also highlighted Bangladesh’s demographic dividend and attractive packages that are on offer for Foreign Direct Investment (FDI). Belgian Ambassador informed the Foreign Minister about Belgian company Jan De Nul’s entering into concession agreement with the Government of Bangladesh for the dredging of Payra Port.
Rohingya issue figured high on the agenda as Foreign Minister Momen asked Belgium to continue to play leadership role in the European Union and the UN Security Council (as Belgium has been elected as non-Permanent member of the UNSC for the term 2019-2020) to mount persistent pressure on Myanmar for sustainable solution to the crisis including creating congenial environment for their safe and dignified return at the earliest. Ambassador Delhaye reiterated Belgium’s commitment to that end.
Belgian Ambassador presented his credentials to the President Md. Abdul Hamid at Bangabhaban yesterday. Earlier today, he also had meetings with Science and Technology Minister Architect Yeafesh Osman and State Minister of Power, Energy and Mineral Resources Nasrul Hamid at their respective offices in Bangladesh Secretariat.
#
Tohidul/Mahmud/Sanjib/Salim/2019/19.45 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০৪
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০২
স¦াস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ভূটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মেডিকেল কলেজগুলোতে ভূটানের শিক্ষার্থী কোটা বাড়ানোর অনুরোধ
ঢাকা, ২৯ ফাল্গুন (১৩ মার্চ) :
বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ভূটানের শিক্ষার্থীর কোটা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশে ভূটানের রাষ্ট্রদূত সুনাম টোবডেন রাবগি (ঝড়হধস ঞড়নফবহ জধনমুব)।
আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে রাষ্ট্রদূত এই অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মানের ওপর ভূটানসহ এশিয়ার অনেক দেশের ব্যাপক আস্থা রয়েছে এবং এ দেশ থেকে পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশের পেশায় উৎকর্ষতা দেখাচ্ছে। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। মেডিকেল শিক্ষার মান যেন কোনো ভাবেই ক্ষুণœ না হয় সে জন্য কঠোর পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার।
আগামী এপ্রিলে ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক নেওয়ার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় জানান, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দক্ষতা বিভিন্ন দেশে প্রশংসিত হচ্ছে। পাশাপাশি এ দেশের ঔষধ শিল্পও আজ যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৬০টিরও বেশি দেশে সমাদৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ভূটানে ঔষধ রপ্তানির উদ্যোগ নিতে সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ভূটানকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি দেওয়া থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সব সময় ভূটান বাংলাদেশের উন্নয়নের বন্ধু হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০১
১৭ মার্চ সরকারি হাসপাতালসমূহে বিনামূল্যে চিকিৎসা
ঢাকা, ২৯ ফাল্গুন (১৩ মার্চ) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ রবিবার সকল সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বহির্বিভাগে সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশে ঐ দিন বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
ঐ দিন সকল হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। শিশু ওয়ার্ডগুলোকে সুসজ্জিত করা হবে। বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৯
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন ( ১৩ মার্চ ):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বিশ্বে অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ হয়েও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত নানা ধরণের দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়। এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতামূলক মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া ও প্রোক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সারা দেশে প্রায় ৪৭ লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। শিল্পাঞ্চলসহ সারা দেশে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। গ্রামাঞ্চলে বজ্রপাত মোকাবিলায় প্রায় ৩৯ লাখ তাল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ কখনো বলে কয়ে আসে না। তাই সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন যাতে জানমালের ক্ষতি কম হয়।
বন্যা, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোনো দুর্যোগে পূর্ব প্রস্তুতি ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে প্রতিমন্ত্রী আহ্বান জানান।
এর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে National Dissemination Workshop on Safe & Sustainable Cities: Human Securities, migration and well-being এর উদ্বোধন করেন। প্রতিমন্ত্রী ‘Accommodation Migration in Climate Change Adaptation–A GBM Delta Bangladesh Perspective’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
#
সেলিম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/১৮৪৪ ঘণ্টা