Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                               নম্বর : ৫২৬

বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অবিচ্ছেদ্য সত্তা

                                   -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

            ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে মূলত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি স্থাপন  করে গিয়েছেন। তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

         প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের পৃথিবীতে যে দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যত বেশি নিরাপদও ভালো অবস্থায় আছে সে দেশকে ততটা সভ্য ও উন্নত দেশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়সমূহের কল্যাণ ও নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সরকার একটি সভ্য দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।

         ফরিদুল হক বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অবিচ্ছেদ্য সত্তা। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানা অপরিহার্য। বিশেষ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা, আদর্শ এবং কর্ম আমাদেরকে জ্ঞানের পথে পরিচালিত করবে। তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করবে।

      প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনো ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত কাক্সিক্ষত বিষয়, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এদেশে যে কোনো মূল্যে বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

            চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারএ বি এম আজাদ এনডিসি’র সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন  প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি, ধর্ম বিষয়ক  মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম, পিএইচডি, অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, যুগ্মসচিব ফারুক আহম্মেদ, জেলা পরিষদ, চেয়ারম্যান  এম এ সালাম প্রমুখ।

#

আনোয়ার/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২১৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ৫২৫

তথ্য আপা প্রকল্প ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট এর মধ্যে ‘ই-কমার্স বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

তৈরি হবে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস

ঢাকা, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

            মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) মধ্যে ই-কমার্স বিষয়ে আজ ঢাকায় সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস তৈরি করা হবে। যেখানে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তারা এই প্ল্যাটফর্মে তাদের উৎপাদিত ও সংগৃহীত পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।

            ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মীনা পারভীন এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পক্ষে ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন।

            অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে নতুন সে ধরনের আরো একটি দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয় একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদেরকে ক্ষমতায়ন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে ই-কমার্সের ব্যাপ্তি আরো বেড়েছে।  কিন্তু ই-কমার্সের মাধ্যমে অনেক বড়-বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে। গ্রামীণ মহিলাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্যে একটি অন্যতম শর্ত হলো অর্থনৈতিক মুক্তি। নারীরা যদি এভাবে স্বাবলম্বী হয়, একটা সময় আর সংকট থাকবে না।

            অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন বলেন, এই প্রকল্পের শুরুতে যারা ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠির নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

            অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, যুগ্মসচিব এ কে এম শামীম আক্তার এবং যুগ্মসচিব অধিশাখা নার্গিস খানম, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক ওবায়দুল আজম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ আব্দুর রহিম খান।

#

আলমগীর/রোকসানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ৫২৪

এক মাসে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য-মাটি অপসারণ করা হয়েছে

                                 -- মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

ঢাকা, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

            ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার পর গত এক মাসে ৩টি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য-মাটি অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নিজস¦ অর্থায়নে ডিএসসিসি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

            নিয়মিত সপ্তাহিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আজ শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের পর শ্যামপুরের বড়ইতলা এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।

            ডিএসসিসি মেয়র বলেন, দুই জানুয়ারি থেকে ডিএসসিসি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ আরম্ভ করেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সকল খাল পরিস্কার করা, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে সেগুলো হলো- খালের পাশের যে জমি দখল হয়েছে সেগুলো অবমুক্ত করে সেখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, হেঁটে চলা, সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা করা, যাতে করে মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে এবং সেখানে যতটা সম্ভব নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তোলা।

            ডিএসসিসি মেয়র আরো বলেন, শ্যামপুর অনেক বড় খাল, এখানে শাখা-প্রশাখা বেশি। খালগুলো দখল ও বদ্ধ হয়ে আছে। আবর্জনা-ময়লা স্তুপ হয়ে আছে। দীর্ঘ সময়ে এগুলো পরিস্কার করা হয়নি। পানি প্রবাহ বা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। সামনের কর্মযজ্ঞ অত্যন্ত দুরূহ, ভয়াবহ পরিবেশ রয়েছে। এখানে একটি অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল রয়েছে। তাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেগুলোর সাথে এগুলোর সংযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে অব্যবস্থাপনা ও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।

            খালের দু'পাশ দখলে রাজনৈতিক মদদ থাকার কথা শোনা যায়, আপনারা কি পদক্ষেপ নেবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডিএসসিসি জোরালোভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মান্ডা খালের পাশে থাকা জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। খালের প্রশস্ততার জন্য সিএস জরিপে যা আছে, মানচিত্রে যা আছে, সে অনুযায়ী জমি অবমুক্ত করা হবে।

            শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দিকনির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এ বিষয়ে কয়েকটি কমিটি কাজ করছে। এরই মাঝে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আইনগুলো আরো কঠোরভাবে পরিপালন করতে বলা হয়েছে।

            পরে ডিএসসিসি মেয়র জুরাইন কবরস্থানে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সময় মত কাজ শেষ না করার কারণে এখানে ঠিকমত কবর দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী জুন মাসেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হবে।

            এ সময় ডিএসসিসি মেয়র আরো বলেন, প্রত্যেক সোমবারে ডিএসসিসি চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো পর্যালোচনা করে থাকে। আগামী পর্যালোচনা সভায় ডিএসসিসি জুরাইন কবরস্থানের কার্যক্রম পর্যালোচনা করবে। সুতরাং আগামী জুনের মধ্যেই জুরাইন কবরস্থানের দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন কার্যক্রম সমাপ্ত করা হবে। না হলে, সেই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করে বাকি কাজের জন্য হয়তোবা নতুন ঠিকাদারের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে সময় মতো এ কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করা যায়।

            এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ডিএসসিসির  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, মুন্সী মোঃ আবুল হাসেম, কাজী মোঃ বোরহান উদ্দিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

#

নাছের/রোকসানা/সাহেলা/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                               নম্বর : ৫২৩

ওএমএসের কলেবর বৃদ্ধি

ঢাকা, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

            ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ হতে ওএমএসের আওতায় ঢাকা মহানগরে ভ্রাম্যমাণ ৪টি ট্রাকের মাধ্যমে মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাকপ্রতি দৈনিক আরও ৩ মে.টন করে ১২ মে.টন চাল বিক্রি করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়াধীন খাদ্য অধিদপ্তর।

            উল্লেখ্য, ওএমএস খাতে ঢাকা মহানগরে A, B, C ক্যাটেগরি ভিত্তিতে ১২৪টি বিক্রয়কেন্দ্রে দৈনিক ১-১.৫ মেট্রিক টন আটা এবং ১ মেট্রিক টন চাল বিক্রয় হয়ে আসছে। একইসাথে শ্রমঘন ৪টি জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর) মোট ১৪৭টি কেন্দ্রে দৈনিক ২ মেট্রিক টন করে আটা এবং ১ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রয় হয়ে আসছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে মোট ৪৩২ টি বিক্রয় কেন্দ্রে দৈনিক ১ মেট্রিক টন করে চাল এবং ১ মেট্রিক টন করে আটা বিক্রয় হয়ে আসছে।

            এছাড়াও ইনোভেশন কার্যক্রমের আওতায় সচিবালয় প্রাঙ্গণে দৈনিক ২ মেট্রিক টন এবং মতিঝিল ও আজিমপুর এলাকায় দৈনিক কেন্দ্র প্রতি ১ মেট্রিক টন করে প্যাকেট আটা বিক্রয় করা হচ্ছে।

ভারত থেকে মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে

            গতকাল পর্যন্ত ভোমরা, দর্শনা, বেনাপোল, সোনা মসজিদ, হিলি, বুড়িমারি, বাংলাবান্দা, শেওলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে বেসরকারিভাবে মোট ৫৬ হাজার ৩শত ৯১ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে। এছাড়া সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় ৫৫ হাজার ১শত ২৯ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে। সর্বমোট ১ লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

            ইতোপূর্বে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য গত ৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ১০জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন, ৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ১২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, ৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ৪৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরো ১ লাখ ৭১ হাজার ৫শত মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৭২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরো ১ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ১৩ জানুয়ারি ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬ হাজার ৫শত মেট্রিক টন চাল এবং ১৭ জানুয়ারি ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫শত মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করে আমদানির অনুমতি প্রদানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

            বরাদ্দ পত্র ইস্যুর ৭ দিনের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়। ৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণকে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল এবং ১০-১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণকে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ৩০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে মর্মে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এলসি খোলার সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক অফিস আদেশে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এলসি খোলার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নির্দেশনা জারি করা হয়।

            খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকগণকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।

#

সুমন/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৯৩৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                               নম্বর : ৫২২

ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের ৮৫ শতাংশ পূর্ণ

ঢাকা, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রদত্ত ৩ হাজার ৬৫ ভূমিহীন পরিবারকে যথাযথভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনর্বাসন বিষয়ে অনুশাসনের ৮৫ শতাংশ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাকি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়ে যাবে।

আজ ঢাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ২০২০-২১ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সভার সভাপতি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে এ কথা জানান।

ভূমিমন্ত্রী এ সময় কর্মকর্তাদেরকে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মন্ত্রণালয়কে আরো দক্ষতার সাথে কাজ করে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে।

সভায় আরো জানানো হয়, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকার তেজগাঁওয়ে নির্মিতব্য ভূমি ভবন কমপ্লেক্সে কিছু ভূমি অফিসের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় ভূমি কমপ্লেক্স ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। 

ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনা, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অন্যান্যের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন।

#

নাহিয়ান/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৮১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                               নম্বর : ৫২১

বিদেশি মিডিয়ার স্লট ভাড়া করে দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে একটি চিহ্নিত চক্র

                                                                       -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

            ‘বিদেশি মিডিয়ার স্লট ভাড়া করে একটি চিহ্নিত চক্র দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে, দেশবাসীকে এদের বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

            আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘একুশের চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। 

            মন্ত্রী বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, মুক্তিযুদ্ধে তিরিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিল, আমাদের স্বনামধন্য একজন আইনজীবীর মেয়ের ইহুদী জামাতাসহ স্বাধীনতাবিরোধী জামাত চক্র, যারা আজ দেশের মানুষের কাছে নিন্দিত, ঘৃণিত, ধিকৃত ও বর্জিত, তারা এখন তাদের অর্থ-বিত্ত দিয়ে মানুষ ভাড়া করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার স্লট ভাড়া করে, মানুষ ভাড়া করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু প্রতিবেদন সেই অপচেষ্টারই প্রতিফলন মাত্র। কিছু ভুল ও অসত্য তথ্য কাট-পেস্ট করে যে ধরনের প্রতিবেদন প্রচার করা হচ্ছে, সেটি আসলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।’

            ‘অতীতে যেমন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এগুলো করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘এই ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে কারণ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে -এটি অনেকের পছন্দ নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সঠিকভাবে করোনা মোকাবিলায় সমর্থ হয়েছে, এটি অনেকের গাত্রদাহ, এজন্যই তারা এই ঘৃণ্য নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। কিন্তু এই খেলা খেলে কোনো লাভ হবে না। বিশ্বব্যাংক একসময় বড় একটি দেশের সহায়তা নিয়ে এদেশে পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, সেটি ভেস্তে গেছে। এখনও যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেগুলোও ভেস্তে যাবে।’

            মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যারা পলাতক, যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালে যাদের বিচার হচ্ছে, তারা এখন বিদেশি গণমাধ্যমের স্লট ভাড়া নিয়ে এসব বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। দেশের মানুষ সজাগ আছে, সতর্ক আছে এবং আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই সরকারের ভিত্তি তৃণমূলে প্রোথিত। সুতরাং এই ছোটখাট কাতুকুতু দিয়ে লাভ হবে না।’     

            ইতিহাসের সূত্র ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশ যখন দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই দেশবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। একে একে পাঁচ জন আওয়ামী লীগের এমপিকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুহত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয় এবং জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এখনও বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে যখন বিশ্ব প্রশংসায় পঞ্চমুখ, মানব উন্নয়ন-অর্থনৈতিকসহ সমস্ত সূচকে যখন আমরা বহু আগে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, করোনাকালে ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধির মাত্র ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ যখন বিশ্বে তৃতীয় স্থান অর্জন করে, করোনাকালে অনাহারে মৃত্যুর সকল শঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে বাংলাদেশ যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে, সেজন্য যখন সারাবিশ্ব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, এই সময়ে দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, এসব তারই অংশ।’ 

            ড. হাছান এ সময় ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার মাস এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রথম স্ফুলিঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘ইতিহাস কখনো চাপা থাকে না, ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ছিল। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ঢাকার কার্জন হলে ‘উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেইসময় যে প্রতিবাদ হয়েছিল, তা তুলেছিলেন সেসময়ের তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং তিনিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহ’র ঘোষণার প্রতিবাদে প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে দীর্ঘ অন্তরীণের মধ্যে ভাষার দাবিতে, হত্যা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনশন করেছিলেন। এ ইতিহাস সবার জানা নেই।’

            ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধিকার আদায়ের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’ স্লোগানে মুক্তির মন্ত্রে জাগ্রত করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদেশকে স্বাধীন করেছেন এবং প্রথমবারের মতো বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন’ উল্লেখ করেন ড. হাছান।     

            ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার ও এম এ করিম বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন। স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্নাহ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি এবং মানিক লাল ঘোষ এ সময় বক্তব্য দেন । 

#

আকরাম/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৭৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৫২০

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

           স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৯৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ৮ হাজার ১৬২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন।

#

হাবিবুর/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৭৪৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                     নম্বর : ৫১৯

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাইকা এর মধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প স্বাক্ষর

ঢাকা, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি) :

            বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর মধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। আজ রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবন এর বিজয় একাত্তর হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

            চুক্তির মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা হলো; কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ; বিভিন্ন প্রকার নীতি প্রণয়ন; SOP বা মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন; যুগোপযোগী গাইডলাইন নির্মাণ; কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ প্রণয়ন; বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন; বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ ইত্যাদি।

            অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে 'জিরো টলারেন্স' ব্যক্ত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্বপালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা অর্জন করার জন্য জনবলের দক্ষতা; কারিগরি জ্ঞান; ট্রেনিং এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।

            স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই বন্ধুরাষ্ট্র জাপান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করলেও নিরাপদ খাদ্যের জন্য এ প্রকল্পটি প্রথম উদ্যোগ। এজন্য তিনি জাপানের জনগণ এবং সরকারকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

            জাপানের রাষ্ট্রদূত Naoki Ito বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।

            চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে হোটেল ও রেস্তোরাঁ মনিটরিং সংক্রান্ত 'নজর অ্যাপ' এর উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় তিনি 'নজর অ্যাপে'র মাধ্যমে রাজধানীর নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁর দুটি আউটলেট ও ফার্স রেস্তোরাঁর মনিটরিং কার্যক্রম দেখেন। পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ সারাদেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ 'নজর অ্যাপে'র আওতায় আনা হবে।

            খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জাপানের রাষ্ট্রদূত NAOKI Ito বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি এর অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সরকার এবং জাইকা এর পক্ষে জাইকার প্রতিনিধি Yuho Hayakawa রেকর্ড অভ্ ডিসকাশনে স্বাক্ষর করেন।

#

সুমন/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জসীম/আসমা/২০২১/১৬১৪ ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                              &nbs

2021-02-03-22-07-85bd8b613c6508db6a7c8a04ed05d430.docx 2021-02-03-22-07-85bd8b613c6508db6a7c8a04ed05d430.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon