Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd ডিসেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ১ ডিসেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৪৫৯৮

পাঠ্যক্রমে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনছে সরকার

                                                               -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

          শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার পাঠ্যক্রমে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনছে। সেইসাথে মূল্যায়ন পদ্ধতি, শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনছে। প্রযুক্তি, নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষায় সবার অভিগম্যতা যেন থাকে তা সরকার নিশ্চিত করছে।

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের উদ্বোধন ও বধ্যভূমির স্মৃতিফলক উন্মোচনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে যেন শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শেষ করে নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আজ শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও  অগ্রযাত্রায় ভীত হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আজ নতুন করে অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তারা দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে নতুন করে আবার বিতর্কের সৃষ্টি করছে।

          সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ   অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোঃ আসলামুল হক এবং ১৯৭১: গণহত্যা- নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের  সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

          উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সরকারি বাঙলা কলেজ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। মুজিব বর্ষে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে এ প্রজন্মের সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্যতম বধ্যভূমি সরকারি বাঙলা কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

#

খায়ের/ফারহানা/খালিদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০১৫ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৪৫৯৭

জনগণকে যথাযথ সেবা প্রদানে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন

                                                                                -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) : 

          ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা সরকারের কাছে তুলে ধরা এবং সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেবা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকগণ সেতু হিসেবে কাজ করে থাকেন। গঠনমূলক পরামর্শ জনগণকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এবং দায়িত্ব পালনে একান্তভাবে সহায়তা করবে। তিনি এ সময় দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা ও গঠনমূলক পরামর্শ কামনা করছেন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম (আরআরএফ) এর প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাৎ প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীর সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি, হয়রানিমুক্ত হজ ব্যবস্থাপনা, জেদ্দার ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করা, হজে গমন সহজ ও নিরাপদ করা অন্যতম। এছাড়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ওয়াকফ প্রশাসকের মাধ্যমে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এছাড়া মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ও প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ শিশু ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়, এ সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি আছে। আলাপ আলোচনা করে যে কোন সমস্যা সমাধান করা যায়। তিনি সকল পক্ষকে উসকানীমূলক মন্তব্য ও বিবৃতির বিষয়ে সংযত থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোদী সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে সমাজের বিভিন্ন  স্তরে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে।

          রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম (আরআরএফ)-এর সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ বাদলের নেতৃত্বে ফোরামের নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ সাক্ষাৎকালে নবনিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

#

আনোয়ার/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯২০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৪৫৯৬

বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ

স্বাধীনতার ধারণাকে বঙ্গবন্ধু ধারবাহিকভাবে মানুষের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন

                                                                                     -- এম এ মুহিত

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

          সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাকে বঙ্গবন্ধু ধারবাহিকভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে বোধগম্য ও জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। এভাবে তিনি জাতি গঠন ও জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।

          আজ বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ঢাকায় সুগন্ধায় নবনির্মিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের প্রথম দিনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আবুল মাল আব্দুল মুহিত এসব কথা বলেন।

          বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল সংকল্প, সাহস, উদারতা এবং দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনা। বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য উর্বর ভূমি ও বিশাল জনগোষ্ঠীসহ সবকিছুই তাঁর ছিল। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনকল্যাণের নীতি অনুসরণ করেন জাতির পিতা।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সূচনা বক্তব্যে বলেন,  বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও মননশীলতার ওপর গবেষণা প্রয়োজন। একারণে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম কার্যালয় সুগন্ধায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর ডিপলোমেটিক স্ট্রাটেজি এন্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রকৃতপক্ষে জনগণের বন্ধু এবং অত্যন্ত দূরদর্শী নেতা।  বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। জনগণের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বঞ্চনা ও  বৈষম্য দূরীকরণে তিনি তাঁর সমগ্র জীবন ব্যয় করেছেন।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৬৮টি বৈদেশিক মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ প্রবাসীদের অংশগ্রহণে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বনেতৃবৃন্দের নিকট আমরা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে চাই ।

          এ সময় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শেণিপেশার মানুষ ভার্চুয়ালি ও সরাসরি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। 

#

তৌহিদুল/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯১০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৪৫৯৫

এইডস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছে সরকার

                                                                                                   -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বিশ^ এইডস দিবস উপলক্ষে আজ বিশেষ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশ থেকে এইডস ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করতে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্যখাত এসব নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। বিশে^র অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশে এই সংখ্যা ক্রমশ হ্রাসমান রয়েছে। এই করোনা সময়েও এইডস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এবং সরকার এইডস রোগীদের সব ধরণের চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা বিনামূল্যে চালু রেখেছে। এর ফলে, দেশে এইডস-এর সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

          আজ বিশ^ এইডস দিবস উপলক্ষে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সারা বিশে^র ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’। দিবসটি উপলক্ষে আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল, লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল এন্ড এএসপি অধ্যাপক ডা. মোঃ শামিউল ইসলাম প্রমুখ।

          স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনার প্রথম ঢেউ সামলাতে সক্ষম হয়েছি এবং দ্বিতীয় ঢেউ এলেও তেমন সমস্যা হবে না। সরকারি-বেসরকারি উভয় শক্তি মিলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে। দেশের মানুষকেও একই সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

#

মাইদুল/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮১০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৪৫৯৪

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :  

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৫০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ২৯৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন-সহ এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৭৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।

#

হাবিবুর/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৫৯৩

একনেক-এ ২ হাজার ১১৫ কোটি টাকার ৪ প্রকল্প অনুমোদিত

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর):

          জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি একনেক- দুই হাজার ১১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়সংবলিত ৪টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ৪৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩০০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ ৩৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

          প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ গণভবণের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

          অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘নরসিংদী জেলার অন্তর্ভুক্ত আড়িয়াল খাঁ নদী, হাড়িদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখানদী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখানদ পুনঃখনন-১ম সংশোধিত’ প্রকল্প; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ-১ম সংশোধিত’ প্রকল্প ও ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন’ প্রকল্প এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স এ্যান্ড সার্ভিসেস-২য় সংশোধিত’ প্রকল্প।

          তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযু্ক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সভায় অংশগ্রহণ করেন।

          মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।  

#

শাহেদুর/পরীক্ষিৎ/শাহ আলম/জুলফিকার/খোরশেদ/২০২০/১৪০০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর :  ৪৫৯২

পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :  

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছরপূর্তি  উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  

            “পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমি পার্বত্য জেলাসমূহের জনগণ ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই।

            পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তি ও উন্নয়নের ধারা। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।

            সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া বিবর্জিত পশ্চাদপদ পার্বত্য জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় ফিরিয়ে আনেন। পার্বত্যবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের সম-সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের জুন মাসে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহে্‌ পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

            ‘৭৫-পরবর্তী অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। খুন, অত্যাচার-অবিচার, ভূমি জবরদখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলকে আরো অস্থিতিশীল করে তোলে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তি চুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। তাদের এ হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

            ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। ভূমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বোর্ডের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।

            পার্বত্য অঞ্চলের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, সেসব এলাকায় ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারের মধ্যে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। ৪ হাজার পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নারী ও শিশুদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া ঢাকার বেইলী রোডে পার্বত্যবাসীর স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে প্রায় ২ একর জমির ওপর ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি শৈল্পিক ও নান্দনিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাসমূহ কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার।

            আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

            পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”

#

ইমরুল/পরীক্ষিৎ/শাহ আলম/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১৪১২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৫৯১

পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর):

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছরপূর্তি’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 

          “পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আমি পার্বত্য এলাকার সকল অধিবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

          নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার বাংলাদেশের তিন পার্বত্যজেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। যুগ যুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও শান্তিপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহের দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে। সূচিত হয় শান্তির পথচলা। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে এটি একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

          পার্বত্য চট্রগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের অবকাঠামোসহ আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

          পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তিচুক্তি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে-এ প্রত্যাশা করি।

          জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

আজাদ/পরীক্ষিৎ/শাহ আলম/রেজ্জাকুল/খোরশেদ/২০২০/১৪০০ ঘণ্টা

2020-12-02-12-43-3ca9ae00ff26aabcebcccbbf29aa613d.doc 2020-12-02-12-43-3ca9ae00ff26aabcebcccbbf29aa613d.doc