Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd সেপ্টেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর: ৯৯৮

 

বেতারে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নির্মোহভাবে প্রচার করতে হবে

                                                            ---তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):   

 

              তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নিউ মিডিয়ার উপযোগী করে বেতারে বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে। বেতারের অনুষ্ঠান যত যুগোপযোগী হবে, বেতার ততো জনগণের কাছাকাছি যেতে পারবে। বেতারকে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিষয়ে নির্মোহভাবে প্রচার করতে হবে। বেতারের অনুষ্ঠান তৈরিতে রাষ্ট্রের স্বপ্ন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।  

              আজ ঢাকার আগারগঁওয়ে বেতার ভবনে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

             উপদেষ্টা বেতারে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বার্তা প্রচারের পাশাপাশি জনগণের জীবনের গল্প প্রচারের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বেতারের সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়ন করে তা দ্রুত উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।  

             এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ ছালাহ্ উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ ও প্রধান প্রকৌশলী মুনীর আহমদ বক্তব্য দেন। বাংলাদেশ বেতারের কার্যক্রম ও সাংগঠনিক কাঠামো বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত পরিচালক সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম।

              মতবিনিময় সভা শেষে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা জাতীয় বেতার ভবন আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল স্টুডিও-সহ মাস্টার কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করেন এবং বেতারের অনুষ্ঠান ও বার্তা বিভাগের স্টুডিও পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে বেতারে সাক্ষাৎকার দেন।

 

                                                     #

 

মামুন/আকরাম/খায়ের/রানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর: ৯৯৭

 

জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ

                                                     ---স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):   

 

          স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ট্রাস্ট হিসেবে কাজ করছি। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

           উপদেষ্টা আজ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে তাঁর কার্যালয়ের সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংগলি এর সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।

           স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য কী, রিংগলি’র এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে স্থানীয় সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিগণ খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারে না। কিন্তু স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিগণ নির্বাচিত হলে তারা প্রকৃত অর্থেই স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখবে ।

           উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিগত সরকারের আমলে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের প্রতিনিধিগণকে অপসারণ করেছি। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। যেসব ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে অভিযোগ ছিল তদন্ত সাপেক্ষে সেসব পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। আমরা চাই স্থানীয় পর্যায়ের সকল স্তরের প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আসুক।

            হাসান আরিফ জানান, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। সুইজারল্যান্ড-সহ যে সব উন্নত রাষ্ট্র স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সফলতা পেয়েছে প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষক গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক সমন্বয় এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

            স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়ে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংগলি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কমিশনের কার্যপরিধি বা লক্ষ্য কি হতে পারে? জবাবে হাসান আরিফ বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ একটি পরিবর্তন চেয়েছে। তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা কাজ করছি। একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা আমরা সবাই চাই। এজন্য সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচন ব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে পরিপূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে।

            এছাড়া উক্ত সভায় হেলথ্ স্যানিটেশন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, সুইজারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন এবং হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচজ পিগনানি প্রমুখ।

                                                    #

 

পবন চৌধুরী/আকরাম/রানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২১৪৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ৯৯৬

 

২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশে ৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছে

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):

          ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২:০১ মিনিট হতে পরবর্তী রাত ১২:০০ টা পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৮টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

          এই সমস্ত দুর্ঘটনায় মোট ৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ২টি, নিহত হয়েছে ২ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রামে দুর্ঘটনা হয়েছে ১টি এবং মারা গেছে ১ জন, নোয়াখালী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ১টি এবং আহত হয়েছে ১ জন। রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় ১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং নিহত হয়েছে ১ জন।

অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের বরিশালে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১টি এবং এতে আহত হয়েছে ১ জন। ভোলা জেলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ১টি এবং এতে নিহত হয়েছে ১ জন। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১টি দুর্ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে এবং এতে মারা গেছে ১ জন।

          বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লিখিত তথ্যের বাহিরেও যদি কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তার তথ্য (brtaroadsafety@gmail.com) এই ই-মেইলে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

#

 

সড়ক পডরিবহন কর্তৃপক্ষ/আকরাম/খায়ের/রানা/মোশারফ/রফিকুল/রেজাউল/২০২৪/১৯৩২ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৯৯৫

 

শীঘ্রই গণমাধ্যম কমিশন গঠন করা হবে

            --- তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টা

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):

          তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে কিছু গণমাধ্যমকর্মী ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিলেন। যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাই আগামী সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যম কমিশন গঠন করা হবে।

          আজ তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদকসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।

          গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অবিচার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা প্রত্যাহার করা হবে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা না বলে সে বিষয়ে তিনি সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

          মতবিনিময় সভায় প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ নিজামূল কবীর বলেন, ক্রোড়পত্রের বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

          সভাপতির বক্তৃতায় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিডিয়া তালিকাভুক্তি, সংবাদপত্রের নিরীক্ষা, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান সমস্যা উল্লেখ করেন এবং সমস্যা থেকে উত্তরণে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ক্রোড়পত্র খাতে ৭৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বকেয়া বিল দ্রুত পরশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

          উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকগণ প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ, সংবাদপত্রের নিরীক্ষা, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন অসংগতির কথা উল্লেখ করেন। তাঁরা সংবাদপত্রসমূহকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনার জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মতবিনিময় সভায় সাত শতাধিক পত্রিকার সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক-সহ অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।

          সভা শেষে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট পরিদর্শন করেন।

#

মামুন/আকরাম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৯৯৪

 

ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):

          তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলরকে ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

          আজ ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা একথা বলেন।

          নাহিদ ইসলাম বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যে নীতি ও আদর্শ রয়েছে সেটা সামনে রেখেই  নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সাথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

          বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে কর্মকর্তারা বলেন, ইতোমধ্যে একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু’জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়েছে। ডিভিশন থেকে সকল প্রকল্প পর্যালোচনার জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে  জটিলতার কথাও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কর্মকর্তারা।

          উপদেষ্টা বলেন, অভিযোগ তদন্তের বিভিন্ন কমিটির কাজ স্বচ্ছতার সাথে চালিয়ে যেতে হবে। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী-সহ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

#

 

জসীম/আকরাম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৯৯৩

 

পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার

                                             ---উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

 

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):

 

           পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক  উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পরিবেশ রক্ষা, ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি-সহ সকল ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে। এ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চায়।


            আজ সচিবালয়ে উপদেষ্টার সাথে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স হেলেন লাফ্যাভ  (Helen LaFave)-এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

              সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এদেশ সকল নাগরিকের দেশ। তিনি বলেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি। তিনি বলেন, এখানকার বিভিন্ন ভাষাভাসী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী-সহ সকলের জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অন্যান্য সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

               উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা শিক্ষার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করছি। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সকল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধি করা হবে, পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে বিবিধ প্রকল্প চলমান রয়েছে। দুর্গম এলাকায় সরকারের বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চার্জ দ্য এফেয়ার্স বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সুশাসন, ট্যুরিজম, সমউন্নয়ন, পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বৃদ্ধি, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, নারী ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে আরো বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে মর্মে অভিমত প্রকাশ করেন।

 

              এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা-সহ ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাউন্সিলর Eric Geelan,  হিউম্যান রাইটস অফিসার Anne Daughterly, ই্উএসএইড মিশন পরিচালক Reed Aeschliman প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

রেজুয়ান/আকরাম/রানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০২৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৯৯২

 

রাজনৈতিক কারণে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক

মামলাসমূহ প্রত্যাহার সংক্রান্ত কমিটি গঠন কর্মপদ্ধতির প্রজ্ঞাপন জারি

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):  

 

               বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার দু’টি কমিটি গঠন করেছে। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কমিটি গঠন, কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে।

               জেলা পর্যায়ের কমিটিজেলা ম্যাজিস্ট্রেট সভাপতি; পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাসমূহের জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) সদস্য এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। 

               জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি কর্মপদ্ধতি: (১) রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।

(২) আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।

(৩) আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) এর নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করবেন।

(৪) আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) তাঁর মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করবেন।

(৫) পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।

(৬) জেলা কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্যকোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের নিকট সুপারিশ করবে।

(৭) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিটসহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংযুক্ত ‘ছক’ অনুযায়ী তথ্যাদি-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।

           মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি: আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সভাপতি; জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), যুগ্ম-সচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়) সদস্য এবং জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

                মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি কর্মপদ্ধতি: জেলা কমিটির নিকট থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে। 

                দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো The Criminal Law Amendment Act, 1958-এর ১০ (৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।

                                                     #

 

জননিরাপত্তা বিভাগ/আকরাম/রানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০৪১ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর: ৯৯১

 

প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার বিচার চাই না

                          ----আইন উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর): 

 

                  আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গত জুলাই হত্যাকাণ্ডে জনগণ নিজ চোখে দেখেছেন একটি বৃদ্ধ প্রজন্ম দেশের একটি তরুণ প্রজন্মকে উন্মত্তভাবে খুনের নেশায় মেতেছিল। তিনি বলেন, আমাদের বুকের ভিতর যত কষ্ট থাক, যত হতাশা থাক, যত ক্ষোভ থাক - এই খুনের বিচারকে অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আমরা প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার বিচার করতে চাই না। আমরা সুবিচার নিশ্চিত করতে চাই।

                   আজ রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে "আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩" সংশোধন বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভায় আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, অতীতে দেখেছি, এদেশে বিচারের নামে কি ধরনের অবিচার হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।

                 আইন উপদেষ্টা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকে সচল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বোর্ড (ট্রাইব্যুনাল)-কে পুনর্গঠন করা। আমরা এখন ‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩" সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সংস্কার কার্যক্রম এখানেই থেমে থাকবে না। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের সবার মতামত নিয়ে এই আইন সংশোধন করা হবে।

                এর আগে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় "আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩" সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়।

                প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে ৪এ, ১৩এ ও ২০এ নামে ৩টি নতুন ধারা এবং ৩(৩) ও ১২(২) নামে ২টি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়। এছাড়া ধারা ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়।

               আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) মোঃ রফিকুল হাসান, ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিসের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সোস্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ড. জাহেদুর রহমান, সাংবাদিক সাঈদ আব্দুল্লাহ, সানজিদা ইসলাম, শরিফ ভূঁইয়া-সহ প্রমুখ নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন।

 

                                                  #

 

রেজাউল/আকরাম/রানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৯৯০

মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

                                                       --- মৎস্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর):

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের খাদ্য প্রাণীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

          আজ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এলআরআই) কনফারেন্স হলে ‘প্রাণিসম্পদের ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ।

          উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, সুষম পুষ্টি, বেকার সমস্যার সমাধান ও আত্ম -কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন ও বৈদেশিক আমদানি নির্ভরতা হ্রাসে জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান অপরিসীম। প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বণ্টন-প্রক্রিয়া অন্যান্য খাতের চেয়ে ভিন্ন ও জটিল। এ প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে না পারলে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। নতুন নতুন রোগের উদ্ভব হবে। এর ফলে শিল্পটি হুমকির মুখে পড়বে। সমন্বিত ব্যবস্থাপনা করা না হলে মারাত্মক রোগ ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের জন্য এ খাতের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে একত্রে সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে।

          ভ্যাকসিন তৈরিতে দেশের প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভ্যাকসিন প্রান্তিক খামারিদের জীবন-জীবিকার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। রোগগুলো যেন গবাদিপশুকে আক্রমণ করতে না পারে সে লক্ষ্যে  ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে একদিকে যেমন বিদেশ নির্ভরতা কমবে অন্যদিকে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে প্রাণিসম্পদ খাত আরো বিকশিত ও সমৃদ্ধ হবে।

          এলআরআইকে দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে রিসার্চ পুল গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী রাতদিন পরিশ্রম করেন তাদের ইনসেন্টিভ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা এলআরআই এর ভ্যাকসিন উৎপাদন কমপক্ষে ৩ গুন বাড়াতে চাই। দেশে পশুজাত খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আঞ্চলিক ল্যাব স্থাপনের গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমরা প্রান্তিক মানুষের নিকট সেবা পৌঁছানোর জন নিরাপদ চেইন সিস্টেম বানাতে চাই।

          প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে মৎস্

2024-09-23-16-46-726cd79e42638fa9901c8493c79ab5f6.docx