Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ১৯০৩

 

মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে যুগান্তকারী উদ্যোগ

 

কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া), ৭ ডিসেম্বর :

 

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহজ ও দ্রুততর সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের লক্ষ্যে উন্নত অনেক দেশের আদলে আউট সোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসবান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সম্প্রতি কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড (ESL) কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে।

 

ESL কোম্পানিটি বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় নিবন্ধনকৃত কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা আবেদনের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে জালান দুয়া-চান শো লেনে  (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার  বর্গফুট প্রশস্থ ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে তা সুসজ্জিতকরণ করেছে। উক্ত ভবনে খোলামেলা জায়গার পাশাপাশি উন্নতমানের সুপরিসর স্যানিটেশনসহ আধুনিক ভবন ব্যবস্থাপনার সকল ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভবনটি যে এলাকায় অবস্থিত সেখানে যাতায়াতের জন্য সকল নাগরিক সুবিধা যেমন, বাস, এলআরটি, এমআরটি বিদ্যমান রয়েছে। ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এখানে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হচ্ছে এবং  ৪৭টি সার্ভিস কাউন্টার স্থাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

 

বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিদ্যমান বৃহৎসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্টসেবা প্রদান করে আসছে। উল্লেখ্য যে, নতুন চুক্তির মাধ্যমে গত একবছরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ সময়োপযোগী বলে হাইকমিশন মনে করে।

 

ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ, স্ক্যান ও বায়োমেট্রিকসহ আবেদনের সকল কার্যক্রম ESL সম্পন্ন করবে। বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়ার পোস্টাল বিভাগ (Pos Malaysia) এর মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ নিশ্চিত করবে। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

আউটসোর্সিং কোম্পানি তাদের প্রদানকৃত সেবার জন্য কী পরিমাণ সার্ভিস চার্জ  পাবেন তা স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ  করা হয়েছে। শ্রমিক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে  ই-পাসপোর্ট এর  জন্য আবেদন ফরম পূরণ, ইন্টারভিউ, সরকারি ফি জমাকরণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট, ডকুমেন্ট স্ক্যানিং, পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য অনলাইন এ্যপয়েন্টমেন্টসহ মোট  সার্ভিস চার্জ করা হয়েছে  ৩২ রিঙ্গিত। পেশাজীবী ও অন্যান্যদের এই সেবার জন্য সার্ভিস চার্জ দিতে হবে ৬০ রিঙ্গিত। একইভাবে মালয়েশীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা আবেদনের জন্য সার্ভিসচার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ রিঙ্গিত। ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে কাজ করায় পুরো প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহীতাকে একবার মাত্র সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। ESL কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে যেমন জহরবাহরু, পেনাং এ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করবে।

 

আউটসোর্সিং কোম্পানি  ESL পরিচালিত ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’টি -এর সার্বিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় সরাসরি হাইকমিশনের কর্মকর্তা / কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং সিসিটিভি-এর মাধ্যমে তা হাইকমিশন থেকে সরাসরি  মনিটরিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও, জনবল নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগকৃত কর্মীদের হাইকমিশনের মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশন-এর (বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া) বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং আউটসোর্সিং কোম্পানির সেবা প্রদান কার্যক্রম সন্তোষজনক না হলে চুক্তি বাতিলের ক্ষমতা হাইকমিশনের হাতে রয়েছে।

 

আউটসোর্সিং কোম্পানির প্রস্তুতি কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর-এর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ESL-এর প্রধান কার্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এসময়, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর গিয়াস আহমেদ এবং তার সহকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হাই কমিশনের প্রতিনিধি দলটি ESL-এর কার্যক্রমের  অগ্রগতি বিশেষ করে অফিস ব্যবস্থাপনার নির্মাণাধীন অবকাঠামো এবং বাহ্যিক অবয়ব দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শন টিমে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, কাউন্সেলর (কনসুলার) জিএম রাসেল রানা, ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর সময় থেকেই আউটসোর্সিং কোম্পানি ESL প্রধানত ই-পাসপোর্ট আবেদন ক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যাদি সম্পন্ন করবে। সম্প্রতি, কতিপয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন মিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসকল প্রতিবেদনে বস্তুনিষ্ঠ নয় এমন বেশকিছু তথ্য মিশনের সাথে যাচাই-বাছাই না করে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি তবে দ্রুত ই-পাসপোর্ট চালুর অভিপ্রায় নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া ও আউটসোর্সিং কোম্পানি ESL তাদের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করছে।

#

 

মারুফ/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৯০২

 

সরকার বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে

                                                                                -- শিল্প সচিব

ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) :

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন,  ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। বরং সরকার বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ ও নির্দেশনার কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করে যাবে শিল্প মন্ত্রণালয়।  সার ও চিনি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সার উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আজ ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় শিল্প সচিব এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান, এফবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, শিল্প মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন, নিলুফার নাজনীন, এস এম আলম,  জাকিয়া খানম, মুঃ আনোয়ারুল আলম, মোঃ শামীমুল হক এবং যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় উপযুক্ত শিল্পনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, এসএমই, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, পণ্যের মান এবং মেধা সম্পত্তির অধিকার রক্ষা, শিল্প খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২২, হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার নীতিমালা ২০২২, প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৩, জাতীয় লবণনীতি ২০২২, অটো মোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১, জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন, বাংলাদেশ শিল্প কারগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, এনপিও, চামড়া শিল্প, রুগ্নশিল্প এবং বিএসটিআই’তে সমস্যা, সম্ভাবনা ও নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা এসব প্রস্তাবনা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

#

মাহমুদুল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ১৯০১

 

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই ফসলি জমি রক্ষায়ও সরকার বদ্ধপরিকর

                                                              -- ভূমি সচিব

 

ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) :

 

 ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান বলেছেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই ফসলি জমি রক্ষায়ও সরকার বদ্ধপরিকর।

 

ভূমি সচিব আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

 

ভূমি সচিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূ-প্রাকৃতিক যে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে তাতে ভূমি মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভূমি জোনিং প্রকল্পসমগ্র বাংলাদেশের মৌজাভিত্তিক ডিজিটাল জোনিং ম্যাপ প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ডিজিটাল ভূমি জরিপ করার জন্য কোরিয়ান আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ কার্যক্রম ৬টি এলাকায় কাজ করছে।

 

এসমস্ত কাজ বাস্তবায়নের ফলে ভূমি মন্ত্রণালয় যেমন একদিকে ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক সেবা নিশ্চিত করছে তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনে সরকারকে সঠিক তথ্য উপস্থাপনে সাহায্য করতে পারছে বলে ভূমি সচিব মনে করেন। তিনি এসময় বলেন, জলবায়ু মোকাবিলায় সরকারের কাজের সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ দুবাইতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮)-এ বাংলাদেশ বৈশ্বিক অভিযোজন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।

 

উল্লেখ্য, সরকার দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন ফসলি জমি সুরক্ষায় এ ধরনের জমিতে কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতিপূর্বে নিয়েছে।

 

ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইশরাত ফারজানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তা হিসেবে ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্বাছ উদ্দিন এবং উপসচিব এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

 

প্রসঙ্গত, কৃষিজমি সুরক্ষা, অকৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমার বিধান, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে করার উদ্দেশ্যে ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

 

#

 

নাহিয়ান/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/শামীম/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ১৯০০

 

সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ নির্বাচন উৎসবে অংশগ্রহণ করবে

                                                                           -- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

 

শরীয়তপুর, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) :

 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ দেশে কখনো নির্বাচন ভন্ডুল করে অবৈধভাবে কোনো অপশক্তি আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০১৪ সালে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, ২০১৮ সালেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। আগামী ৭ জানুয়ারিও সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

 

আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগরে গণসংযোগ ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

এনামুল হক শামীম বলেন, কিছু কিছু দল নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও জনগণ এখন নির্বাচনমুখী। শত বাধা ও আন্দোলনের মুখেও মানুষ নির্বাচন বিমুখ হয়নি। গণমুখী রাজনীতি না করে ষড়যন্ত্রের চোরাবালিতে পা দিয়ে বিএনপির আজ এ দুরবস্থা। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ওদিন সারা দেশে জনগণের অংশগ্রহণের উৎসব হবে।

 

উপমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে বোঝা যায় ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। এদেশের মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পক্ষেই থাকবে। আর তাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।

 

নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, আওয়ামী কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সদস্য সৈয়দ হেমায়েত হোসেন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর এ আলম আশিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

গিয়াস/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

Handout                                                                                                          Number : 1899

 

 

Economic Relations Division of Bangladesh and FAO

Sign Four Technical Assistance Project Agreements

 

Dhaka, December 07 :

 

The Economic Relations Division (ERD) of the Ministry of Finance is delighted to announce the signing of four technical assistance project agreements with the Food and Agriculture Organization of the United Nations (FAO). These agreements, involving a total grant amount of USD 7.68 Million, will bolster various aspects of agriculture, food security and nutrition in Bangladesh.

 

Details of the Projects:

 

1. Technical Assistance to the Diversified Resilient Agriculture for Improved Food and Nutrition Security Project (RAINS-TA)

2. Integrating Improved Agricultural Practices and Market Linkages to Enhance Nutrition and Incomes of Smallholder Farmers in Ukhiya and Kutubdia Subdistricts of Cox’s Bazar District

3. Acceleration of Economic and Social Inclusion of Smallholder Farmers through Strong Producers Organization (ACCESS)

4. Public-Private Blended Finance Facility for Climate Resilient Rice Landscape

 

Signatories of the Agreement: 

The agreements were formally executed through the signatures of Md. Shahriar Kader Siddiky, Secretary of the Economic Relations Division and Arnoud Hameleers, FAO Representative in Bangladesh. The signing ceremony was moderated by AKM Sohel, Wing Chief, UN Wing ERD.

 

Implementation Bodies:

The implementation of the first three projects will be led by the Department of Agricultural Extension, in collaboration with the Department of Agricultural Marketing, Department of Fisheries, Department of Livestock Services, Department of Primary Education and Bangladesh Bank. The Bangladesh Rice Research Institute under the Ministry of Agriculture will implement the fourth project in collaboration with the Department of Environment and Department of Agricultural Extension. 

 

FAO's Continued Support:

Since Bangladesh's membership in FAO in 1973, the country has received extensive technical and financial assistance, spanning various sectors. FAO's involvement has significantly contributed to 411 projects in Bangladesh, aligning with the objectives of the 8th Five Year Plan and the Sustainable Development Goals. This support underpins Bangladesh's efforts towards efficient, inclusive, resilient, and sustainable agri-food systems.

 

Alignment with FAO's Country Programming Framework:

These projects align with FAO's Country Programming Framework for 2022-2026, focusing on enhancing production, nutrition, environmental sustainability, and quality of life, ensuring no one is left behind.

 

#

 

Bidhan/Shafi/Rafiqul/Salim/2023/19.00 Hrs.  

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ১৮৯৮

 

মা ও শিশু মৃত্যুরোধ-সহ জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ৫০০টি সরকারি

স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করা হয়েছে

                                                      -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) :

 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে এখনো ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা বছরে মাতৃত্বকালীন মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশু মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনো বছরে এত মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে ও শিশু মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে।

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক ৯-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, দেশে এখন সিজার করে বাচ্চা নেবার হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরাও সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়। তিনি বলেন, মা ও শিশু মৃত্যুহার কমাতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে সরকার ইতোমধ্যেই ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে ৪০০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই ২৪ ঘন্টা সেবা চালু করা হবে। তিনি বলেন, দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেয়া অর্ধেকের বেশি কমাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

 

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক শিক্ষা প্রফেসর টিটু মিয়া, মহাপরিচালক নার্সিং, মহাপরিচালক নিপোর্ট এবং UNFPA-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিাইন ব্লোকস। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি। সভায় জুম অনলাইনে  দেশের ৮০টি উপজেলা হাসপাতাল স্বাস্থ্য প্রতিনিধি যুক্ত ছিলেন।

 

#

 

মাইদুল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৮৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৮৯৭

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) :

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য  দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৮১২ জন।

 

#

 

সুলতানা/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ১৮৯৬

 

বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচিত

                                                                  -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) :

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে প্রথম সরকারের ছত্রছায়ায় গঠিত দল বা কিংস পার্টি হচ্ছে বিএনপি। কারণ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করেছিলেন, তারপর সরকারের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছিলেন এবং সেই উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন।’

 

আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা রাজনীতিতে কিংস পার্টি নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পাশপাশি রাজনীতিতে নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যে সমস্ত কথাবার্তা বলে সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু আজকে দেশ জুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে, আগুনে ঝলসে গেছে, গতকালও সারা দেশে ১০টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এগুলো তখনই বন্ধ হবে যখন সারা দেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে এবং সেই আওয়াজটা আমরা যারা সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজ তাদের পক্ষ থেকে আসা প্রয়োজন।  কিন্তু নাগরিক সমাজের কোনো বিবৃতি নেই, কোনো বক্তব্য নেই। এটি খুবই দুঃখজনক।’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, যে নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত, যারা সময়ে সময়ে বিবৃতি দেয় আর এখন তারা নিশ্চুপ, তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আমি সাংবাদিকদেরও অনুরোধ জানাবো এদেরকে চিনে রাখার জন্য।’

 

‘বিএনপি নেতারা দেখবেন ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী’

 

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ দল ভাগানোর রাজনীতি করছে’ এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতারা বিএনপি থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এই দলটা কেন করেন, যে দল আপনাদেরকে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা বা জেলা পরিষদ নির্বাচন তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না।’

 

তিনি বলেন, ‘এক সময় রিজভী সাহেবরা দেখবেন যে উনারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। কারণ বিএনপি’র এই অপরাজনীতির সাথে বিএনপি’র নেতারাই একমত নয়। রিজভী সাহেবের মতো কিছু মানুষ আছে- ইয়েস স্যার, হ্যাঁ স্যার, জি স্যার। তারাই তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এই অগ্নিসন্ত্রাসের আহ্বান জানাচ্ছে। এই অপরাজনীতি থেকে তাদের বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’

 

বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না এ প্রশ্নে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘একটি দল নির্বাচনে না আসলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না এমন তো সংবিধানে লেখা নেই, পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নাই। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে যেখানে বহু দল অংশ নেয়নি। যেমন ১৯৭০ এর নির্বাচনেও অনেক বড় নেতার নেতৃত্বাধীন দল অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল এবং সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

 

অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে হাঙ্গেরির নির্বাচনে একটি বড় দল অংশ নেয়নি, ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশে এ রকম হয়েছে কিন্তু সেই নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে। দেশেও কয়েক মাস আগে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপিসহ তার মিত্ররা এমনকি তৃণমূল বিএনপি বা অন্যান্য যে সমস্ত দল আজকে অংশগ্রহণ করছে তারাও অংশ নেয়নি। এরপরও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল, সে কারণে সে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও প্রতি আসনে প্রায় ৭ জন করে প্রার্থী আছে। গ্রামে-গঞ্জে নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং দেখতে পারবেন আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।’

 

#

 

আকরাম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৭৪৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৮৯৫

 

রাষ্ট্রপতির কাছে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের হাইকমিশনার, মিশরের

রাষ্ট্রদূত ও ভ্যাটিকান সিটির এপস্টলিক নানসিও-এর পরিচয়পত্র পেশ

 

বঙ্গভবন, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর) :

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের হাইকমিশনার, মিশরের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটির এপস্টলিক নানসিও (Apostolic-Nuncio) আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে তাঁদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

আজ বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট এর একটি চৌকস দল তাঁদের গার্ড অভ্‌ অনার প্রদান করে। পরে পাকিস্তানের হাইকমিশনার SYED AHMED MAROOF, শ্রীলংকার হাইকমিশনার DHARMAPALA  WEERAKKODY, মিশরের রাষ্ট্রদূত OMAR MOHIE ELDIN AHMED FAHMY এবং হলি-সি ভ্যাটিকানের এপস্টলিক KEVIN RANDAL রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।

এ সময় নতুন দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতির এই মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, গত দেড় দশকে  যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে দেশে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহের সহযোগিতা উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখেছে।

নতুন দূতগণ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন ।

সাক্ষাৎকালে পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি এবং শ্রীলংকার নতুন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তাঁরা বাংলাদেশের সাথে নিজ নিজ দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নতুন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

রাহাত/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৭১০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৯৪

বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান ২০২৩ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন

৫ জন বিশিষ্ট নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক

ঢাকা, ২২ অগ্রহায়ণ (৭ ডিসেম্বর):

ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামী ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রদান উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, আনন্দের মাস ও স্বজন হারানোর মাস। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক

2023-12-07-16-57-e469c253890a50e1650fbf9bbf93d5fb.docx 2023-12-07-16-57-e469c253890a50e1650fbf9bbf93d5fb.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon