Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৮৪৮

যুক্তরাজ্যে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ১৬ ডিসেম্বর :

    লন্ডনস' বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ সকালে হাইকমিশন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন। 

    জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর হা্‌ইকমিশন ভবনের হলরম্নমে দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনার শুরম্নতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলড়্গে  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি'ত ছিলেন যুক্তরাজ্যে অবস'ানরত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স'ায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কারো দয়ায় আসেনি, রক্তের বিনিময়ে এসেছে আমাদের এই স্বাধীনতা। আনত্মর্জাতিক ড়্গেত্রে যুদ্ধকালীন সময়ে কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে খুব অল্প সময়ে। 

    হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরম্নতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ও নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহিদ হয়েছেন, সেই সকল শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরঙ্গনা ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে বসবাসরত বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাঙালিদের অনন্য ভূমিকার কথা উলেস্নখ করেন। তিনি আরো বলেন, দেশ আজ প্রতিটি ড়্গেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে আর এই উন্নয়ন অগ্রগতিতে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। 

#

নাদীম/সেলিম/নবী/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২০৪০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৮৪৭

মুম্বাই উপহাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

মুম্বাই (ভারত), ১৬ ডিসেম্বর :

    যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলড়্গে উপহাইকমিশনার কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপহাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোকচিত্র, ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি হসত্মশিল্প খাবার প্রদর্শনীর আয়োজন করাসহ দিনব্যাপী বিসত্মারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

    মুম্বাইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মিজ সামিনা নাজ সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসুচির সূচনা করেন। উপহাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং  মুম্বাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীগণ এবং স'ানীয় গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ এসময় উপসি'ত ছিলেন।

    মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহিদের রম্নহের মাগফেরাত এবং  দেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ  দোয়া ও  মোনাজাত করা হয়।  মোনাজাত শেষে মহান এ দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
    
    মহারাষ্ট্র  সরকারের চিফ অভ্‌ প্রোটোকল ও অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুমিত মলিস্নক বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে উপহাইকমিশনার আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে দিবসটির তাৎপর্যের উপর বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত  নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন। উপহাইকমিশনার তার বক্তব্যে আজকের এ দিনটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে উলেস্নখ করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোকপাত করেন। মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিবৃন্দ, মহারাষ্ট্র  সরকারের উচ্চপদস' কর্মকর্তাগণ, মুম্বাইয়ের ডিপেস্নামেটিক  কোরের প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপসি'ত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সদস্য,  কর্নেল (প্রাক্তন) পুতামবেকার মুক্তিযুদ্ধে তার সশস্ত্র অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করেন।

    উপহাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোকচিত্র ও বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের হসত্মশিল্প, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, খাদ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। 

#

তারিক/সেলিম/নবী/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৮৪৬

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টানত্ম 
                                                               -- শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ২  পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) :

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ এবং সরকার যে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল, তা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টানত্ম বলে মনত্মব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্যের পাশাপাশি ভারত প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আড়াই লাখ ভারতীয় সেনার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলে তিনি উলেস্ন্লখ করেন।

শিল্পমন্ত্রী গতকাল কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজয় উৎসব’ এর উদ্বোধনকালে একথা বলেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এ উৎসবের আয়োজন করে। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি'ত ছিলেন।  

আমির হোসেন আমু বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার লক্ষ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশি শরণার্থীদের লালন-পালনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছিল। সেসময় ভারত ৬৯টি বেজ ক্যাম্প ও ১শ’ উপ-বেজ ক্যাম্পে ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এর পাশাপাশি যুদ্ধকালে বিশ্বের জনমতকে বাংলাদেশের অনুকূলে আনার জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন। তিনি বিশেষ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বিভিন্ন দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছিলেন। 

শিল্পমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা সেদিন বাংলাদেশের জনগণের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কলকাতার থিয়েটার রোডে অবসি'ত বাংলাদেশ সরকারের অস'ায়ী অফিসটি বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে বলে তিনি উলেস্ন্লখ করেন। 

উলেস্ন্লখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের ব্যবস'া রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জামদানি, টাঙ্গাইল তাঁত শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক, বুটিক, হসত্ম ও কারম্ন শিল্প, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সিরামিক ও মেলামাইন সামগ্রী। রয়েছে কাচ্চি বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি, পিঠা-পুলি, সন্দেশসহ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি মুখরোচক খাবার। 

এছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনীরও ব্যবস'া থাকছে। এর ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 
#

জলিল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৮৪৫

বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ঘোষণা থেকেই স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রাম শুরম্ন হয়
                                                        -- ত্রাণমন্ত্রী

নয়াদিলিস্ন (ভারত), ১৬ ডিসেম্বর :

    দুর্যোগ ব্যবস'াপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ঘোষণা এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম-তখন থেকেই আমাদের স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রাম শুরম্ন হয়। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার মূল সংগ্রামের জন্য প্রস'তি নিতে থাকে।

    মন্ত্রী আজ ভারতের নয়াদিলিস্নর নেহেরম্ন মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি মিলনায়তনে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং ভারত সরকার আয়োজিত ভারত-পাকিসত্মান যুদ্ধ-১৯৭১ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্মারক সভায় বক্তৃতাকালে এ তথ্য জানান। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তিনি এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

    ভারতের নেহেরম্ন মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের পরিচালক শক্ত িসনিহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং, সাবেক স্পিকার শ্রীমতী মীরা কুমার, বাংলাদশে থকে েআমন্ত্রতি কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আল জাহদি বীরপ্রতকি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    দুর্যোগ ব্যবস'াপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জয় লাভের জন্য প্রয়োজন ছিল অস্ত্র, সামরিক প্রশিড়্গণ, গৃহহারা মানুষের আশ্রয়, সর্বোপরি প্রয়োজন ছিল দৃঢ় মনোবল ও সাহসিকতা। ভারতের জনগণ অকুণ্ঠচিত্তে বাংলাদেশকে সব রকমের সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভারত প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে ৯ মাস আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য ও চিকিৎসা দিয়েছে, হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিড়্গণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, স্বাধীনতার পড়্গে আনত্মর্জাতিক জনমত তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। আমাদের অস'ায়ী সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতের এ অকৃত্রিম সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পড়্গ থেকে মন্ত্রী ভারতের জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ভারতের যেসব সৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন তাদের প্রতি তিনি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
     
#
দেওয়ান/সেলিম/আলী/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৫০ ঘণ্টা

 

Todays handout (2).docx Todays handout (2).docx