তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭৩
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ উদ্যাপন অনুষ্ঠান স্থগিত
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর উৎক্ষেপণ উদ্যাপন উপলক্ষে ২৪ জুন ২০১৮ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠান দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ও প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
#
সাইফুল্লাহ/আসমা/২০১৮/১৬৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭২
মৌলভীবাজারে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার সৈয়ারপুর ও খলিলপুরের বন্যা কবলিত এলাকায় ১৯ জুন নিজ তহবিল ও স্থানীয় ত্রাণ সহায়তা ফান্ড থেকে প্রায় ৭০০ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
আজ সকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সৈয়ারপুর ও খলিলপুরের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ত্রাণ ভা-ারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রীর মজুদ রয়েছে। বন্যাকালীন সময়ের দুরাবস্থা কাটানো ও বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও পরবর্তী পুনর্বাসনে সরকারের সব ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সম্ভব সব কিছুই করা হবে।’
এসময় মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব সৈয়দা সায়রা মহসীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার শাহজালাল ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৮/১৬২০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭১
কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ জুন কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। একদিকে তিনি ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি; অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর দৃপ্ত পদচারণা।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামরকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। তিনি শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা।
৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭১’র অসহযোগ আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫’র ১৫ই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছে।
কবি সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত করে।
আমি কবি বেগম সুফিয়া কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১০৪৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৭০
কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২০ জুন কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম সুফিয়া কামালের ১০৭তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
কবি সুফিয়া কামালের জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তৎকালে বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকা সত্বেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং শৈশব থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন। তাঁর কবিতায় ব্যঞ্জনাময় ছন্দে ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমাজের সার্বিক চিত্র। কবির প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায় ১৯২৬ সালে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হলে রবীন্দ্রনাথ এ কাব্য পড়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ কাব্যের ভূমিকা লিখেন কাজী নজরুল ইসলাম। সুদীর্ঘকাল ধরে তিনি সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারী কল্যাণমূলক নানা কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন। কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার সাথে সুফিয়া কামালের সাক্ষাৎ ঘটে ১৯১৮ সালে কলকাতায়। বেগম রোকেয়া ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন সর্বদা সচেষ্ট। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য।
কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। কবির জীবন ও আদর্শ এবং তাঁর অমর সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। আমি এ মহীয়সী নারীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১০৪৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না