তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫২
চাঁদপুরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী
চাঁদপুর, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতাধীন চাঁদপুর নদী কেন্দ্রে আজ প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত একটি ডরমিটরি কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে ইলিশের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী, জেলে, আড়তদার, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সম্প্রসারণকর্মীদেরকে ইলিশ উৎপাদনে অভয়াশ্রমের প্রভাব, আকার ও গ্রুপভিত্তিক ইলিশ মাছ ধরার প্রভাব, ইলিশ বিচরণ ও প্রজনন ক্ষেত্রসমূহের পরিবর্তনের প্রভাব, ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়নে জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রভাব এবং ইলিশ সম্পদ পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
৩৩ একর বিশিষ্ট চাঁদপুর নদী কেন্দ্রে ইলিশ মাছের উন্নয়নে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর চাঁদপুর নদী কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশ সরজমিনে ঘুরে দেখেন এবং এর উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের নানা রকম নির্দেশনা দেন। পরে তিনি নদী কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পৃথক-পৃথক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। তিনি গবেষণা কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে সবাইকে ইলিশসহ মৎস্য উৎপাদনে আরো মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
#
শাহ আলম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২১০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫১
‘বাপা+৪০’ এর দ্বিতীয় দিন
এলডিসি থেকে উত্তরণ টেকসই করতে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে
কার্যকর করার আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েনস আয়ারস (আর্জেন্টিনা), ২২ মার্চ :
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসে জাতিসংঘের চলমান দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক ২য় উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের (বাপা+৪০) দ্বিতীয় দিনে গতকাল (২১ মার্চ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্লেনারি সেশনে সভাপতিত্ব করার পাশাপাশি তিনটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা ও একটি সাইড ইভেন্টসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন।
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় স্বল্পোন্নত দেশ, ভূ-বেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া বিষয়ক সাইড ইভেন্টটির আয়োজন করে আর্জেন্টিনা, চীন, গিনি এবং জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত ও ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের উচ্চ প্রতিনিধির কার্যালয় ও দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা কার্যালয়। আয়োজিত এই সাইড ইভেন্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলডিসি থেকে সদ্য উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনকারী দেশসমূহের উত্তরণকে টেকসই করতে এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে আরও কার্যকর করার আহ্বান জানান।
প্যানেল আলোচনাসমূহে প্রদত্ত বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতাভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে বিদ্যমান সুবিধা ও সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করে কারিগরি সহযোগিতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষির আধুনিকায়ন এবং ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে নিজ নিজ দেশের অর্জিত অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম অনুশীলন পারস্পরিকভাবে বিনিময় করার আহ্বান জানান। তিনি উপরিউক্ত বিষয়গুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরেন। দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাসমূহ ও দ্বিপাক্ষিক দাতাগোষ্ঠীর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দক্ষিণের দেশগুলোর উন্নয়ন, অর্থ, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি ফোরাম গঠন এবং ঢাকায় ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠাসহ এ জাতীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ট্রায়াঙ্গুলার সহযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী করা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।
দক্ষিণের দেশগুলোতে এজেন্ডা ২০৩০ এর বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুত আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং উন্নত দেশগুলোর প্রযুক্তিগত জ্ঞান হস্তান্তরের পাশপাশি দক্ষিণের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
এছাড়া আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে একটি পৃথক বৈঠক করেন যেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন এবং এশিয়ার সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক
এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট র্কাসটি কালজুলেইড (কবৎংঃর কধষলঁষধরফ) এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন, ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। দু’দেশের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের বিষয়টি প্রাধান্য পায় এ বৈঠকে। এছাড়া এস্তোনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী খ্যাতনামা স্থপতি লুই আই ক্যান যিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেরও স্থপতি, তাঁর স্মরণে এস্তোনিয়া আগামী মাসে জাতিসংঘে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করছে যেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানান এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র ও উপাসনালয় বিষয়ক মন্ত্রী জর্জ মারসেলো ফ্যাউরি (ঔড়ৎমব গধৎপবষড় ঋধঁৎরব) এর সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলপ্রসূ এ বৈঠকে ‘ফ্রেন্ডস্ অভ্ লিবারেশন ওয়ার অনার’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত আর্জেন্টিনার লেখিকা ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো (ঠরপঃড়ৎরধ ঙপধসঢ়ড়) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা স্মরণ করেন। কৃষি ও কারিগরি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহের কথা জানান আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের একটি অনারারি কনস্যুলেট খোলা এবং অনারারি কনসাল নিয়োগের অগ্রায়নের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুলে ধরলে এক্ষেত্রে দ্রুত এবং পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্জেন্টিনাতে বাংলাদেশের ফুটবলারদের প্রশিক্ষণের কথা তুললে তাতে সহযোগিতা প্রদানের সম্মতি দেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের বিষয়েও আলোচনা হয় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্বেচ্ছা প্রণোদিত প্রত্যাবাসনের বিষয়টিতে আর্জেন্টিনা একমত পোষণ করে মর্মে জানান মারসেলো ফ্যাউরি।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন আগামীকাল শেষ হবে।
#
তৌহিদ/মাহমুদ/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫০
জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসবে কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
সমকাল ও বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের (বিডিবিও) যৌথ উদ্যোগে আজ অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসব ২০১৯। রাজধানীর সাইন্স ল্যাবেরটরি স্কুলে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী
ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। দেশের প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সারাদেশে ১০ আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ীরা এতে অংশগ্রহণ করে।
তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানমুখী করতে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, জীববিজ্ঞান নিয়ে এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করবে। বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ উৎসব আয়োজন নতুন গতি পাবে। মেধাবী যেখানেই থাকুক তাদের সুযোগ দিতে হবে। মেধা, সততা নিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
জীববিজ্ঞান বিষয়ক মেধা যাচাইয়ের এ উৎসবে তিনটি ক্যাটেগরিতে অর্থাৎ জুনিয়র ক্যাটেগরি (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি বা সমমান), সেকেন্ডারি ক্যাটেগরি (নবম-দশম শ্রেণি বা সমমান) ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটেগরিতে (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি বা সমমান) বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।
সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তফিজ শফি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান ও বিডিবিওর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৪৯
প্রতিবন্ধীকে মূল্যায়ন করতে হবে
-- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দেশের সকল প্রতিবন্ধী ও অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সমপর্যায়ের সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রতিবন্ধীরা আমাদেরই সন্তান, আমাদেরই ভাই। তাদেরকে পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। কাজেই দেশের সকল নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব হবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে নিজেদের সমপর্যায়ের হিসেবে মূল্যায়ন করা।’
গতকাল ২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরে ‘৬ষ্ঠ জাতীয় ও ১৪ তম বিশ্ব ডাউন সিন্ড্রোম দিবস ২০১৯’ উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী কথাগুলো বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরো বলেন, ডাউন সিন্ড্রোম কোনো রোগ নয়, বরং এটি জেনেটিক পার্থক্য এবং ক্রোমোজোমের একটি বিশেষ অবস্থা। এটি একটি শিশুর জন্মের আগে গর্ভাবস্থাতেই ঘটে থাকে। বিষয়টিকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি এবং আশা করছি গর্ভবতী মায়েদের প্রশিক্ষণ বা সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। আর উপযুক্ত পরিবেশ ও বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এই বিশেষ শিশুদের জীবন কর্মক্ষম ও অর্থবহ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মুহাম্মদ নূরুল কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. প্রাণ গোপাল দত্ত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের অগ্রগামিতায় কোনো ব্যক্তির পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। কাজেই, ডাউন সিন্ড্রোম শিশুদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
এর আগে সকালে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজের নেতৃত্বে ডাউন সিন্ড্রোম শিশুদের সাথে নিয়ে সকাল ১০ টায় একটি র্যালি বের করা হয়।
#
মাইদুল/মাহমুদ/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৪৮
ময়মনসিংহ অঞ্চল আর পশ্চাৎপদ থাকবে না
---মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কৃষি ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল শিক্ষা ও শিল্পায়নে পিছিয়ে রয়েছে যেটি আশাপ্রদ নয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চল আর পশ্চাৎপদ থাকবে না, আর সেজন্য দায়িত্ব নিতে হবে আগামী প্রজন্মকে। তিনি বলেন, সামনের যুগ ডিজিটাল রূপান্তরের যুগ আর এতে প্রধান নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে মেধা। এ অঞ্চলের মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে ময়মনসিংহ ডিজিটাল রূপান্তরে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
মন্ত্রী আজ বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘বার্ষিক সম্মেলন ২০১৯ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন। ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উন্নয়ন প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। নৌপরিবহন সচিব এ অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে যে ৪১ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তা অত্যন্ত যুগোপযোগী ও সুদূরপ্রসারী হয়েছে। এর মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উন্নয়ন প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০-২৫ বছর পর ময়মনসিংহ শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে দেশকে নেতৃত্ব দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ এর বার্ষিক সম্মেলন ২০১৯ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মোঃ ফসিউল্লাহ।
সম্মেলনে “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন : প্রেক্ষাপট বৃহত্তর ময়মনসিংহ” শীর্ষক উপস্থাপনা পেশ করেন নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য উজ্জ¦ল বিকাশ দত্ত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিষয়ক সচিব ড. শামসুল আরেফিন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, নেত্রকোনা জেলা সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুল হান্নান খান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দিন ও সাবেক সচিব হুমায়ূন খালেদ।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২০২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৪৭
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাল আছেন। অপারেশনের পর তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তাঁর আইওবিপি মেশিন খুলে ফেলা হয়েছে। তিন থেকে চার দিন পর তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এবং নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভী আজ বিকাল ৫ টায় মেডিকেল বোর্ডকে উদ্ধৃত করে হাসপাতাল লবিতে উপস্থিত পরিবারের সদস্য ও অন্যদেরকে এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য গত বুধবার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে জনাব কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।
এ সময় হাসপাতাল লবিতে অন্যান্যর মাঝে উপস্থিত ছিলেন জনাব কাদেরের সহধর্মিনী এডভোকেট ইসরাতুন্নেসা কাদের, মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এমপি, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, জনাব কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মীর্জা, আওয়ামীলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্না, নাইমুজ্জামান মুক্তা, ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দীন, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েলফেয়ার অফিসার মো. আল আমিন হোসেনসহ জনাব কাদেরের পরিবারের সদস্যগণ ও সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৪৬
তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে শীর্ষ পর্যায়ে উন্নীত করবো
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশে^ বাংলাদেশকে আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষ পর্যায়ে উন্নীত করবো। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার ফাইভ-জি যুগে প্রবেশের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই আমরা শুরু করেছি। প্রযুক্তির বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি সফটওয়্যার ও ডিজিটাল ডিভাইস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন বেসিসসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও উদ্ভাবকদের ফাইভ জির সাথে সম্পৃক্ত প্রযুক্তি বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগডাটা, আইওটি ও ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর নিজেদের আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী রাজধানীর বসুন্ধরায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রদর্শনী বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ এর সমাপনী উপলক্ষে গতরাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
গত ১৯ মার্চ টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি সেøাগানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এবং সহ-সভাপতি ও সফটএক্সপো ২০১৯ এর আহবায়ক ফারহানা এ রহমান বক্তৃতা করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়ে হাসি তামাসা করা হতো। আজ তা পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে! তিনি গত দশ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সফলতাকে অভাবনীয় উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আজ বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল। ৫৬৫ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশ গত দশ বছরে ১৯০৯ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৮ দশমিক ১৩ ভাগ জিডিপি অর্জনের মধ্য দিয়ে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, বাংলাদেশ পারবে।
সাবেক বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বেসিস প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন প্রতিকূলতাসহ প্রতিষ্ঠাকালীন স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, আজকের প্রযুক্তির উৎকর্ষের দিনে এটা প্রমানিত হয়েছে, বেসিস প্রতিষ্ঠার স্বপ্নটা সঠিক স্বপ্ন ছিলো। আমরা এমন একটা সময়ে এখন উপনীত হয়েছি যখন ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনের বিষয়টি অনেক সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এখন ১৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। আইওটি পণ্য আমরা সৌদি আরবে রপ্তানি করছি। তিন দিনের বেসিস মেলায় মানুষ দেখতে পেয়েছে আমরা কোথায় পৌছেছি, কী করছি, কোথায় আছি উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে দেশের প্রথম কম্পিউটার ব্যবহারকারী মোহাম্মদ মুসাকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরিবারের পক্ষে তার মেয়ে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৪৫
.jpg)
.jpg)
.jpg)
Todays handout (15).docx
