তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৬
পূর্বাচলে হবে অত্যাধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
-- ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাই পূর্বাচলে আমরা অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করতে যাচ্ছি। পাশাপাশি কক্সবাজারেও একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছি।
আজ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিএসবি ফাউন্ডেশন স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৯-এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএসবি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত টুর্নামেন্ট ক্রিকেট জগতে নতুন করে জাগরণ সৃষ্টি করবে। আমরা আশা করি, এ ধরনের টুর্নামেন্ট আরো অনুষ্ঠিত হবে। এসব টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন মেধাবী খেলোয়াড় বের হবে, যারা এক সময় জাতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেবে। আমি বিশ্বাস করি, এ জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীদের মাদক ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহ ছোবল থেকে মুক্ত রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে ক্রীড়াঙ্গনে যে সফলতা বয়ে এসেছে তা ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ আজ ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলেই। তাঁরই অকুণ্ঠ সমর্থন, আশির্বাদ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচরণ করছে। তিনি সময় পেলেই খেলার মাঠে ছুটে যান। দেশের খেলোয়াড়রা আনন্দে উদ্বেলিত হন। তিনি দেশের ক্রীড়া ও তারুণ্যের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
বিএসবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. জাফর আহমেদ, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মোঃ নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন, নাজমুল আবেদীন, ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাকসুদ করিম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
#
আরিফ/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৫
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা
-- তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
বাজেট নিয়ে ‘অযথা সমালোচনা’ করায় বিএনপি ও সিপিডি’র তীব্র সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে রেড ক্রিসেন্ট আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদসহ সমগ্র বিশ্ব প্রশংসা করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে শুধু আক্ষেপ করেন, অথচ প্রশংসা করতে পারে না একটি পক্ষ। গত ১০ বছরে বাজেট দেওয়ার পর কি কি ত্রুটি সেগুলোই শুধু সিপিডির চোখে পড়ে। আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখি, গত ১০ বছর ধরে ভুল বাজেট দেওয়ার কারণেই কী দারিদ্রতা ২০ শতাংশে নেমে আসার মতো যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন হয়েছে? গত ১০ বছরে দেশে মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে ২০০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাজেটে ভুল থাকলে মাথাপিছু আয় তিনগুণ কী করে হলো? কীভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হলো?
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। ২০০৯ সালে লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি। আমরা তখন ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে শুরু করেছিলাম। আজকে দেশে লোকসংখ্যা ১৭ কোটি। এখন বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। এগুলো কী সরকারের অর্জন নয়?’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বাজেটের পর বিএনপি বলে, এটি গণমুখী বাজেট নয়। দরিদ্র মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। অথচ বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, বাজেটে শিক্ষাখাতে প্রায় ১৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে ১২ শতাংশর মতো বরাদ্দ। সামাজিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই আমরা। এজন্য সামাজিক উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গিয়েছিলেন। এরপর টানা ৫ বছর বিএনপির দেশ পরিচালনার পর খাদ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ টনে। তাদের ক্ষমতায় থাকাকালীন দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা লোকসংখ্যা কমেনি এবং বাংলাদেশ ঋণনির্ভর হয়ে পড়ে। বর্তমানে আমাদের বাজেট সামান্য ঋণনির্ভর। বাকিটা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আমরা সংগ্রহ করছি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে আলোচনা করেন সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার প্রমুখ।
#
আকরাম/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৪
প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবন গড়তে হবে
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, তরুণ প্রজন্মই দেশের ভবিষ্যৎ। নিজেদের ক্যারিয়ার ও দেশের কল্যাণে তাদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। মোবাইল ফোনসহ সকল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবন গড়তে হবে। সফল হতে হলে প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো গ্রহণ এবং খারাপ দিকগুলো বর্জন করতে হবে। মেধা বিকাশের জন্য শরীরের প্রতি যতœ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাদের দুই হাত এবং মেধা আছে তারা কারো ওপর নির্ভরশীল হতে পারে না। অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে প্রয়োজনীয় সকল জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে যোগ্যতম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ।
মন্ত্রী আজ ঢাকার গুলশানে ক্যামব্রিয়ান কলেজ অডিটোরিয়ামে ঢাকা-ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘তরুণরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তরুণদের মেধা বিকাশের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তরুণ ও যুব সমাজকে কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে।
ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল হক, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কমিশনের সাবেক সদস্য সমর চন্দ্র পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর কে এম সাইফুল ইসলাম, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিজয় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নায়লা কবির এবং ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান শরীফ তালুকদার বক্তব্য রাখেন।
#
দীপংকর/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৩
ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাথে ড. মোমেনের প্রথম বৈঠক
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
ঈড়হভবৎবহপব ড়হ ওহঃবৎধপঃরড়হ ধহফ ঈড়হভরফবহপব ইঁরষফরহম গবধংঁৎবং রহ অংরধ (ঈওঈঅ) এর ৫ম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে-তে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকরের সাথে স্থানীয় এক হোটেলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এস জয়শংকরের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম সাক্ষাৎ।
এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে। বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকা- বন্ধে ড. মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সংবেদনশীলতা দেখিয়েছেন।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ক ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ-বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুসমূহ সমাধান করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন, তা বিশ্বের অপরাপর দেশসমূহের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. এস জয়শংকরকে অভিনন্দন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ঝঢ়বপরধষ ঊপড়হড়সরপ তড়হব) ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে ড. এস জয়শংকরের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপনে ভারতকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ড. এস জয়শংকর দ্রুতই একটি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূ-কৌশলগত সুবিধার কথা উল্লেখ করে ড. এস জয়শংকর বলেন, ইওগঝঞঊঈ-কে শক্তিশালী করলে তা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তিনি আরো বলেন, ভারত আঞ্চলিক সংযোগের ওপর সমধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।
১৯৭১ সালে ভারতে শরণার্থী হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করে ড. মোমেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ড. মোমেন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্বিপাক্ষিক সফরের সর্বপ্রথম গন্তব্য হিসেবে তিনি ভারতকেই বেছে নেন। এস জয়শংকর ১৯৭১ এর ঘটনা প্রবাহকে তাঁর জীবনের ফবভরহরহম সড়সবহঃ হিসেবে অভিহিত করে মুক্তিযুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।
#
তৌহিদুল/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৯৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২২
আগামীর বাংলাদেশের জন্য যুবকদেরকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে
--মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যুব সমাজ আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে আগামীর বাংলাদেশের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে তারা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। দেশের অভাবনীয় অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা জরুরি। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছাড়া ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান হবে একটি দুরূহ বিষয়। যোগ্যতা দিয়েই লড়াই করতে হবে এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য সরকারের পাশাপাশি যুব সংগঠকদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি, ঢাকা’র উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই আহ্বান জানান।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম সভাপতি মোস্তাফা জব্বার গতানুগতিক ধারায় ঈদ পুনর্মিলনী কিংবা নৌবিহার বা অন্য কোনো বিনোদনমূলক কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, যুব সমাজকে যদি সংগঠিত এবং দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারেন, তাহলে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই সমিতি কোনো কাজে আসবে না। যুব সমিতিগুলোতে নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক যিনি ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে এমন একটি রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, ভিশন ২০৪১, ২০৭১ ঘোষিত হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী সরকারের দশ বছরের অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ধান ও মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, জিডিপি, মাথাপিছু আয়, শিক্ষার হার, গড় আয়ুসহ দেশের প্রতিটি উন্নয়ন সূচকের দিকে তাকালে বাংলাদেশ সকলকে চমকে দেওয়ার অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। যে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয়েছে সেই পাকিস্তান কোনো উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের সাথে তুলনা করার যোগ্যতা রাখে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৮৭ থেকে যুব সমাজের জন্য প্রতিষ্ঠিত নিজ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে নিজ এলাকার যুবকদের ডেকে এনে বিনা টাকায় প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা উল্লেখ করে বিজয় সফটওয়্যারের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে- আমরা যে অঞ্চলে বসবাস করি সেই অঞ্চলটি কৃষিনির্ভর। ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকেরা কৃষি ছাড়া আর কিছুই করত না। এই কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহে সেই অর্থে বৃহত্তর শিল্প কারখানার বিকাশ হয়নি। গত দশ বছরে সেই চিত্রও অনেকটা পাল্টে গেছে। রাজনীতিতে, সাংবাদিকতায়, প্রশাসনে, শিক্ষা-শিল্প-বাণিজ্যে আজকের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোল্লা জালাল, সচিবালয়স্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি ঢাকা’র আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মতাসিম বিল্লাহ ফারুকী এবং সদস্য সচিব রুজিনা সুলতানা বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৯৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২১
ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ এবং জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছর ১৬-৩০ জুন ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ এবং ১৬-১৮ জুন ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’র আয়োজন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশ স¦য়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি শাক-সবজি এবং ফলমূল উৎপাদনেও এসেছে ব্যাপক সাফল্য। এখন পুষ্টির নিরাপত্তা অর্জন একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশীয় ফল বিশেষ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় দেশীয় ফলমূলের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। তাই পরিকল্পিতভাবে আধুনিক প্রযুক্তির সমন¦য় ঘটিয়ে বছরব্যাপী দেশীয় ফলের চাষ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছরই কম বেশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ নৈসর্গিক শোভা বর্ধনে দেশীয় ফল ও ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে অঞ্চল উপযোগী স¦ল্প মেয়াদি, অধিক ফলনশীল ও লাগসই দেশীয় ফলের জাত উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।
ফল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ফলের বাগান গড়ে তোলার সাথে সাথে গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ির আঙিনায়, রাস্তার ধারে, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় এবং শহরাঞ্চলে বাসভবনের ছাদে যতটা সম্ভব ফলদ বৃক্ষ রোপণ করা যেতে পারে। অবহেলা ও সংরক্ষণের অভাবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ফলগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। ডেউয়া, চালতা, কাউ, করমচা, জাম, গোলাপজাম, ক্ষুদেজাম, তেঁতুল, বরই, লটকন, বিলিম্বি, গাব ইত্যাদি দেশি ফল বৃক্ষ রোপণে বিশেষ নজর দিতে হবে। একইসাথে স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগনফল, এভাকাডো, মিষ্টি তেঁতুল ইত্যাদি নতুন বিদেশি ফলের আবাদ বৃদ্ধির জন্যও উদ্যোগ নিতে হবে।
আমি আশা করি, ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ এবং ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ আমাদের ফল চাষে অনুপ্রাণিত করবে।
আমি ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ২০১৯’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৭০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২০
ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী ১৬-৩০ জুন ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ ও ১৬-১৮ জুন ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মানবদেহের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সহজলভ্য ও প্রাকৃতিক উৎস হলো ফল। আমাদের মাটি ও জলবায়ু বিভিন্ন রকমের ফল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বর্তমান সরকারের বহুমাত্রিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় কৃষিখাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শাকসবজি, ফলমূল উৎপাদনও বেড়েছে বহুগুণ। দেশীয় ফলমূলের ব্যাপক উৎপাদন জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। সারাদেশে ফল চাষের সম্প্রসারণ ঘটিয়ে জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ফল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
ঐতিহ্যবাহী নানা জাতের দেশি ফল গাছ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে অল্প পরিচর্যায় আশানুরূপ ফলন দিয়ে থাকে। তবে অনেক প্রজাতির ফল আমাদের দেশ হতে বিলুপ্তির পথে। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী নতুন প্রজন্মকে বৈচিত্র্যময় ফল সম্পর্কে ধারণা প্রদানসহ তাদের ফলদ বৃক্ষ রোপণে উৎসাহিত করবে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীকে বেশি করে ফলদ বৃক্ষ রোপণের আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৯ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/১৭০০ ঘণ্টা