তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪৫
অসহায় দরিদ্রদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
আইনমন্ত্রী আনিুসল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার রয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সকল নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে অসহায় ও দরিদ্র্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ইউএসএআইডি’র ‘জাস্টিস ফর অল প্রোগ্রাম’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা ও সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিটি নাগরিকের জানা দরকার। এজন্য সরকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে ইউএসএআইডি’র ‘জাস্টিস ফর অল প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ৬শ’ বিচারক, আইনজীবী, আইনি সহায়তা কর্মকর্তা এবং আদালতের কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইউএসএআইডি’ ‘জাস্টিস ফর অল প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে বিগত ৬ বছরে ১৫টি পাইলট জেলায় আইনি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ৮ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
#
রেজাউল/নাইচ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪৪
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দমনের জন্য নয়
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অপরাধ দমনের জন্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দমন করার জন্য নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক স্বাধীনতা কিংবা মিডিয়ার স্বাধীনতা কোনটাই স্পর্শ করবে না বরং অপরাধ বন্ধ করার লক্ষ্যেই এই আইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়িত্বশীল করতে আইনী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার আগে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। গত পৌনে দশ বছরে ইন্টারন্টে ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে আট কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে সাড়ে ১৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যান্ড উইথ ব্যবহার হতো মাত্র ৭ দশমিক ৫০ জিবিপিএস। বর্তমানে ব্যান্ড উইথ ব্যবহৃত হচ্ছে ৭৫০ জিবিপিএস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় এক অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শক্তিশালী মিডিয়া হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগসহ সরকার কার্যকর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশ^াসী নয়। প্রযুক্তি দিয়েই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মাধ্যমে অপরাধ মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন. দৃশ্যমান সম্পদের চেয়ে ডাটা অনেক বেশি মূল্যবান সম্পদ।
#
শেফায়েত/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪৩
সরকার প্রত্যেক উপজেলায় স্টেডিয়াম করছে
-- মায়া চৌধুরী
মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর), ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধি করতে সরকার প্রত্যেক উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে অনেক উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
মন্ত্রী আজ মতলব দক্ষিণ উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা (অনূর্ধ্ব-১৭) এর উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা উপভোগ শেষে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতলব নিউ হোস্টেল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন খেলাধুলা সুষ্ঠু শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং সামাজিক সৌহার্দ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মাদক, বাল্য বিবাহ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে খেলাধুলা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
#
দেওয়ান/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪২
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি ও উপস্থিতির হার বাড়াতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে
-- সমবায় প্রতিমন্ত্রী
গংগাচড়া (রংপুর), ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি, উপস্থিতির হার বাড়ানো, ঝরে পড়া কমানো এবং শিক্ষা সমাপন হার বৃদ্ধি করতে শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বকশিগঞ্জে হাজী নেছার উদ্দিন শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশে প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ এ ক্ষেত্রে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত ও দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নসহ গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় অর্জিত সাফল্য দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বড়বিল ইউনিয়নের মন্থনা জামে মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন ও বড়াই বাড়িসহ বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
#
আহসান/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪১
১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ হয়েছে, ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান
-- নৌপরিবহন মন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
নৌপথ খননের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক ড্রেজার সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বড় পরিসরে ড্রেজার বহর পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সাতটি ড্রেজার বেইজ সংস্কার ও নির্মাণ করতে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জস্থ খানপুরে স্বল্প পরিসরে নির্মিত ড্রেজার বেইজ অফিস ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়া বরিশাল, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মোংলার রামপাল, জামালপুর ও মানিকগঞ্জের আরিচায় ড্রেজার বেইজ অফিস নির্মিত হবে। ‘২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জস্থ খানপুর ড্রেজার বেইজ এলাকায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে খানপুর ড্রেজার বেইজ এলাকায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল নারায়ণগঞ্জের খানপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারগুলোর অযতœ ও অবহেলায় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ, যা বর্ষাকালে এসে দাঁড়ায় ছয় হাজার কিলোমিটারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নৌপথ উদ্ধার ও সচল রাখার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহণ করেছে। সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খনন প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ২ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নদী তীর অবৈধ দখলদারের হাত থেকে রক্ষা করতে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
শাজাহান খান বলেন, নৌপথ খননের জন্য ড্রেজার প্রয়োজন। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নৌপথ খননের লক্ষ্যে ড্রেজার সংগ্রহে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে সংগৃহিত সাতটি ড্রেজার দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গত মেয়াদে (২০০৯-২০১৪) ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলানাথ দে, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৪০
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া হবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে গত নয় বছরে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষানীতি প্রণতি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় সকল শিশু এখন স্কুলে যাচ্ছে। যদিও ঝরে পড়া এখনও একটি বড় সমস্যা। শিক্ষাক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যন্ত ছেলে-মেয়ের মধ্যে সমতা অর্জিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া এবং সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল পেপারলেস করা হয়েছে। ভর্তি কার্যক্রম, পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশ সময়মত হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা: বাস্তবায়নে গতি প্রকৃতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শিশুকে বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়া হচ্ছে। প্রাকপ্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এ বছর ৩৫ কোটি ৪২ লাখ পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট বই বিতরণ করা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ। পাঠ্য পুস্তক প্রদানের ফলে ঝরে পড়ার হার কমছে। সাধারণ বৃত্তি, উপবৃত্তি ও মেধাবৃত্তিসহ ২ কোটি ৬৬ লাখ শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়।
কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষকের সংকট রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৭ হাজারের বেশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ও মান বাড়াতে আরো মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মান বৃদ্ধির জন্য সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষককে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চীনে ৫৮১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে ভবিষ্যতে অবশ্যই কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০২০ সালে কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে। সকল নাগরিককে বেসিক শিক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা এবং যে কোন একটি কারিগরি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। ২০২০ সাল নাগাদ প্রায় ২৪ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. নাসরীন আহমাদ এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব শামসুন নাহার চাঁপা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
#
আফরাজ/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৯
আন্তর্জাতিক ওজোন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Keep cool and carry on, The Montreal Protocol’ অর্থাৎ ‘শীতল থাকার পরিবেশবান্ধব কৌশল, মেনে চলি মন্ট্রিল প্রটোকল’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
১৯৮৭ সালে ওজোনস্তর রক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মন্ট্রিল প্রটোকল ওজোনস্তর রক্ষার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এ প্রটোকল বাস্তবায়নের প্রথম দিকে সিএফসি ও এইচসিএফসি-এর পরিবেশবান্ধব বিকল্প না থাকায় হাইড্রোফ্লোরোকার্বন ব্যবহার অনুমোদন করা হয়, যা উচ্চ মাত্রায় উষ্ণায়ন ক্ষমতাসম্পন্ন রাসায়নিক। ২০১৬ সালে মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় পৃথিবীর সকল দেশ হাইড্রোফ্লোরোকার্বন ব্যবহার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী অনুমোদন করে।
ওজোনস্তর রক্ষায় ১৯৮৭ সাল থেকে বিশ্ববাসী একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে ওজোনস্তর ক্রমান্বয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এ কার্যক্রমের গর্বিত অংশীদার। মন্ট্রিল প্রটোকল সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ‘জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি’ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারকে প্রশংসাসূচক সনদপত্র প্রদান করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব শীতলীকরণ বিকল্প গ্যাস ও যন্ত্র ব্যবহারে সকলে আরো সচেতন হবে বলে আমি মনে করি।
আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় মন্ট্রিল প্রটোকল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে।
আমি আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীরী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এ বছর আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস যথাযোগ্যভাবে পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ওজোনস্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এ দিবস সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
পৃথিবীর বায়ুম-লে ওজনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে জীব বৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আর ওজনস্তর ধ্বংসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পে বিশেষ করে শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি গ্যাস বড় ভূমিকা রাখে। তাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশ মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোফ্লোরোকার্বন ব্যবহার রোধে সোচ্চার হয়েছে। এ বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক আন্তর্জাতিক ওজোন দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘শীতল থাকার পরিবেশবান্ধব কৌশল, মেনে চলি মন্ট্রি প্রটোকল’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি। বিশ্বের সকল দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু যে ওজোনস্তরই রক্ষা পাচ্ছে তা নয় বরং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রভাবে দিন দিন পরিবেশ দূষণ বেড়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ওজোনস্তর ক্ষয় ও এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে পরিবেশ সুরক্ষায় আমি সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।