Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৭ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                  নম্বর : ২৫০১

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ চলমান

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

            চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

            চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১০৩,৮৭৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫,১৯,৩৭৫ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার পুরোটাই এ পর্যন্ত ১,৮৩,০৩১টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭,৬২৫টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৬১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২৩৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২,৬০৫টি পরিবার।

            কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ৪৩,৩৫৭ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১,৭৪,৭২৭ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৮,০৬,৫৭৪ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ পেয়েছে আরো ১,৩৬৮টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১,৫২২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১,৩১৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর(ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩১,৬০০ পরিবার ও ১,২৩,২৪০জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৩১,৫০২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা ২০০ টি প্রান্তিক পরিবার ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা ২০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

            খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২২,৯০০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৫ লাখ ০৬ হাজার ৮০৫ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই ৩৩,২৬৭ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।

            বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১৭,৪১৪টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার পুরোটাই এ যাবৎ ৫৯,০৮২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

            লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩২,৪৯৭টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৭৫,০৫৯ টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩,৭৫,২৯৫ জন প্রান্তিক মানুষ। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ০৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ লাখ টাকা ৪০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।

            নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৩,৬০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার পুরোটাই অদ্যাবধি ১,৬৭,৭৫০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬১৫টি পরিবার। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১৮০০ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ১৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

            ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ২৩,৮০১ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই ৩৬,৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।

            কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা ১,০৮,৭৪৯টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার পুরোটাই ১,৯১,১৪০টি প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৪২ লাখ টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ৬,৫১৮টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪০৮ টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১০০০ প্যাকেটের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্যাকেট ১৫৪ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৯৫৮টি পরিবার।

            চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ১০০,২০৯টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১,০১,২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫টি পরিবার।

            ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ৫৮,৭৪৬টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১,৩৫,৮২২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৩৫টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১১৯৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৩১১টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।

#

ফয়সল/সাহেলা/জয়নুল/২০২১/২২৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                         নম্বর : ২৫০০

ময়মনসিংহ বিভাগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

          ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

          ময়মনসিংহ বিভাগের আওতাধীন ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা হতে পাঠানো পৃথক পৃথক বিবরণীতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে।

          ময়মনসিংহ জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৭০ হাজার ৮৭৮টি পরিবারের ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯০ জন মানুষ। ময়মনসিংহ মহানগর এলাকার জন্য ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা ১ হাজার ২৫০টি পরিবারের ৬ হাজার ২৫০ জন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৮টি পরিবারের ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪০ জন মানুষ।

          ময়মনসিংহ মহানগরী এলাকায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থের পুরোটাই ৩ হাজার ৭৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলায় গো-খাদ্যের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। উল্লেখ্য, ৩৩৩ এর মাধ্যমে মোট উপকারভোগী পরিবার ৬১৫টি।

          জামালপুর জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে, উপকারভোগীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ৩০০টি পরিবারের ১ লাখ ৭৩ হাজার ২০০ জন মানুষ। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১৩ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৭৩টি পরিবারের ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯২ জন মানুষের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া জামালপুর জেলায় শিশু খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৩৩৩ এর মাধ্যমে মোট উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৪৯২টি।

          নেত্রকোনা জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার পরিবারের ২ লাখ ৭৪ হাজার মানুষ। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে । ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৪টি পরিবারের ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭০ জন মানুষের মাঝে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া, শিশু খাদ্য হিসেবে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়, যার মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১৩২০।

           গো-খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। ১৭০টি জন গৃহস্থের মাঝে গোখাদ্যের এ অর্থ বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৩৩৩ এর মাধ্যমে জেলায় মোট সেবা গ্রহীতার পরিবার সংখ্যা ৬২টি।

          শেরপুর জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৫১৭টি পরিবারের ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৪০ জন। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার মধ্যে পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী ৮৪ হাজার ৯৫৯টি পরিবারের ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৫ জন।

          এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৮০২। গোখাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে ৬০ হাজার টাকা ৯৮টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

#

মাহমুদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/ ২২৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                   নম্বর : ২৪৯৯

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মা ফৌজিয়া মালেক ইন্তেকাল করেছেন

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

          আজ রাজধানীর এ এম জেড হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের মা ফৌজিয়া মালেক এজমা ও বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। মরহুমা ফৌজিয়া মালেক মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হরগজ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুমার স্বামী মৃত কর্নেল এম এ মালেক ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ছিলেন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

          মৃত্যুকালে ফৌজিয়া মালেক এক ছেলে (স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক) ও এক মেয়ে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর রুবিনা হামিদ) রেখে গেছেন।

          মরহুমা ফৌজিয়া মালেক গত ৪ দিন রাজধানীর এ এম জেড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত দুইদিন আগে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল। এর ৫ মাস আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

          দেশবাসীর কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

#

মাইদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৫৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ২৪৯৮

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মা ফৌজিয়া মালেকের মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শোক 

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :   

 

          স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মা ফৌজিয়া মালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
আ ক ম মোজাম্মেল হক; কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী;  বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
মোঃ শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী; রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। 

          এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল; সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু; সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।  

#

মারুফ/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১৪৭ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                        নম্বর : ২৪৯৭

অনলাইন হচ্ছে ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

          নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কাগজের ভলিউমে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইনে দলিল রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

          এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনায় ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

          প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে সারা দেশের ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলবে।

          এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আজ রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তরে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে নিবন্ধন অধিদপ্তরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহা-পরিদর্শক ও প্রকল্প পরিচালক শহীদুল আলম ঝিনুক এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান লজিকফোরাম লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তারিকুল হক (অব.) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

          চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও যুগ্ম সচিব এ এইচ এম হাবিবুর রহমান সহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

          প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বা ই-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি প্রচলনের উপযোগিতা যাচাইকরণ, ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়ারের প্রকৃতি যাচাইকরণ, ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের সফটওয়ার ব্যবহারের জন্য হার্ডওয়ারের প্রকৃতি যাচাই ও পরিমাণ নির্ধারণ করা, হাতে লেখা এলটি নোটিশ এর পরিবর্তে ই-এলটি নোটিশ জারীর পরীক্ষামূলক সফটওয়ার উন্নয়ন, হাতে লেখা বালাম বহির পরিবর্তে ডিজিটাল বালাম প্রচলনের সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ, ডিজিটাল সূচিকরণ বা ই-ইন্ডেক্সিং পরীক্ষামূলক চালুকরণ ও বিদ্যমান ম্যানুয়াল দলিলসমূহ ডিজিটাল করার সম্ভাব্য ব্যয়  নির্ধারণ করা।

          আনিসুল হক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমির মালিকানা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি অনলাইনে অটোমেটিক যাচাই হবে এবং বায়োমেট্রিক টিপ গ্রহণ করে দলিল অনলাইনে রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে শৃঙ্খলা আসবে ও জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এতে রেজিস্ট্রি সেবা গ্রহণে মানুষের হয়রানি, সময় ও খরচ এবং আদালতে জমি-জমা সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা কমে যাবে। 

#

রেজাউল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১১০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৪৯৬

 

তথ্য ও সম্প্রচার কর্মীরা সরকার ও জনগণের মধ্যে 'সেতুবন্ধ'

                                               ---তথ্য সচিব

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) : 

          সরকারের নীতি, কৌশল এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ব্যাপক প্রচার ও এতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব খাজা মিয়া বলেছেন, এই মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কমচারীরা রাষ্ট্র-সরকার ও জনগণের মধ্যে কার্যকর সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করছে।

 

          আজ ‘শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল কর্মশালা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব খাজা মিয়া এসব কথা বলেন।

 

          গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কাজকে আরো বিস্তৃত ও জোরালো করতে সারাদেশে ২৬টি জেলা তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে খাজা মিয়া বলেন, এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ২০২০-২১ অর্থবছরে শুরু করা সম্ভব হবে। তিনি এই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

 

          এই ভার্চুয়াল কর্মশালায় দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৪টি পার্বত্য  উপজেলা (কাপ্তাই, লামা, রামগড়, পটিয়া) তথ্য অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৮জন কর্মকর্তা এবং সদর দপ্তরের কর্মকর্তাগণ যুক্ত হন। যারা প্রধানত সরকারের নীতি, কৌশল, প্রেক্ষিত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আন্তঃব্যক্তিক মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বার্তা দিয়ে থাকেন।  

 

          কর্মশালার সভাপতি গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার জানান, ব্রিটিশ ভারতে ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা আবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় সরকারের এই সংস্থাটি আজকের পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের উন্নয়ন কাজের তথ্যাদি প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগের সময় বিশেষ করে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে তথ্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।

 

          এছাড়া কর্মশালায় যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) এবং এই প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মোঃ আনছার আলী প্রকল্পটির নানা দিক তুলে ধরে এর বাস্তবায়নে মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ দেন।

 

          পরিশেষে, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়া সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি টানেন কর্মশালার সঞ্চালক গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়)
মোঃ মনিরুজ্জামান।

#


মনিরুজ্জামান/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১০৫ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৪৯৫

বরিশাল বিভাগে করোনাকালীন সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) : 

          বরিশাল বিভাগের কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গরিব, অসহায়, দুঃস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

 

          বরগুনা জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ কার্য (নগদ অর্থ সহায়তা) খাতে ৩০ হাজার ৪৭১টি পরিবারের ১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৪ জনের মাঝে ১ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার ১২২টি পরিবারের ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৮৮ জনের মাঝে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩-এ কলের মাধ্যমে ৪২১টি পরিবারের ১ হাজার ৬৮৪ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

          ভোলা জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ কার্য (নগদ অর্থ সহায়তা) খাতে ৩৮ হাজার ৪৪৫টি পরিবারের ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫৭ জনের মাঝে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৩৮টি পরিবারের ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৩ জনের মাঝে ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩-এ কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৭১ টি পরিবারের ৩ হাজার ৭৩৮ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

          জেলাসমূহের জেলা তথ্য এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

#

জাহাঙ্গীর/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯৫৭ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২৪৯৪

করোনা মহামারির কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না

                                                -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

          সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ সরকার সফলভাবে মোকাবিলা করছে। এ মহামারির মধ্যেও সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সচল রয়েছে। করোনার মহামারির কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না।

          আজ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় তিনটি সড়ক উদ্বোধন উপলক্ষে কালীগঞ্জ  উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, করোনার ঝুঁকির মধ্যে কর্মচারীরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী  সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের উল্লেখ করে বলেন, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব, কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেলের কোচ  চালানো হয়েছে, দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে।

          নুরুজ্জামান আহমেদ তাঁর নির্বাচনি এলাকার জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলায় যত রাস্তাঘাট প্রয়োজন সব করা হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের গুণগত মানে কোন ছাড় দেয়া হবে না, শতভাগ মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করবেন।

          পরে মন্ত্রী ভার্চুয়ালি কালীগঞ্জ উপজেলায় তিনটি সড়ক উদ্বোধন করেন।

#

জাকির/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৪৯৩

 

ঢাকা বিভাগে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) : 

          করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে  সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

          গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

 

          ঢাকা  জেলায়  ২ কোটি ১১  লাখ ৬৫ হাজার ৯৬০টাকা  নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০ টাকা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

          রাজবাড়ী জেলায়  ১ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮হাজার ৮০০ টাকা এবং শিশু খাদ্য ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। 

 

          নরসিংদী  জেল

2021-05-27-16-50-e0b4303c9e6779e0eff9c1d9d4e06f62.docx 2021-05-27-16-50-e0b4303c9e6779e0eff9c1d9d4e06f62.docx