Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ জুন ২০১৮

তথ্যবিবরণী ৩০ জুন ২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১৮৫২
 
হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদে অর্থনীতিতে মাইলফলক সৃষ্টি সম্ভব
                                                -- মোস্তাফা জব্বার
 
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের  জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে আরো একটি নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করা সম্ভব। মন্ত্রী আজ ঢাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অক্সফাম, প্রতীক এবং সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজের যৌথ উদ্যোগে ‘চ্যালেঞ্জেস অভ্ সাসটেইনেবল লাইভলিহুড অভ্ হাওর কমিউনিটিজ’ শীর্ষক গোলটেবিল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কানেকটিভিটি, ভূপ্রকৃতিগত কারণে গ্যাসসহ সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের মাধ্যমে আহরণ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ, পর্যটনের জন্য  যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং মৎস্য সম্পদ সম্প্রসারণে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। হাওরের  সঞ্চিত বৃষ্টির পানির যথাযথ ব্যবহার ও জীববৈচিত্র রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র বিনষ্ট হয় এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
 
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। হাওরবাসিও পিছিয়ে থাকবে না। উন্নয়নের মূল স্র্রোতধারায় হাওর অঞ্চলকে সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। হাওর উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি কার্যকর কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। 
 
#
 
শেফায়েত/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১৮৫১
 
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এলজিআরডি মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
 
গোপালগঞ্জ, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
 
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা আজ বাঙালি জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবার প্রতি আহ্বান করেন তিনি।
 
#
 
জাকির/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১৮৫০
 
উদ্ভাবিত প্রযুক্তি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে 
                                                -- মৎস্যমন্ত্রী
 
সাভার (ঢাকা), ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্প্রসারণের ফলে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। মেধাবী জাতি গড়তে হলে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই আর এ জন্য গবেষণা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। জাতীয় প্রয়োজনে নব নব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 
 
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘প্রযুক্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠান’ এ প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। 
 
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও প্রাণিসম্পদের উপর নির্ভরশীল, এই মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি  হচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে। হস্তান্তরিত এই প্রযুক্তিগুলো গুরুত্বের সাথে সম্প্রসারণ করার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের এইচ আই পরীক্ষার জন্য এইচ এ এন্টিজেন প্রযুক্তিটি দেশীয়ভাবে উৎপাদনের ফলে আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
 
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে প্রযুক্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা-১৯ এর সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান,  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম ম-ল এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ আইনুল হক উপস্থিত ছিলেন। 
 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীসহ প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
শাহ আলম/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৪০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১৮৪৯
 
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে
              -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমাদের শ্রেষ্ঠতম অর্জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। আজ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ডাকে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা এদেশকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পরিধি বাড়াচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে দুই ঈদে দুটি বোনাস পেলেও এ অর্থবছর  তারা আরো ২টি বোনাস পেতে যাচ্ছেন। মহান  বিজয় দিবস এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দু'টি বোনাস দেওয়া হবে।
 
মন্ত্রী  বলেন, সব মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধকালীন  বক্তব্য রেকর্ড করে আজীবন তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা খরচে চিকিৎসা ও ওষুধ সুবিধা প্রদান করবে সরকার। মৃত্যুর পরে সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের সব যুদ্ধক্ষেত্র ও গণহত্যার বদ্ধভূমিতে একই ডিজাইনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। 
 
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায়  দেশের সব উপজেলায় একটি করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে পৌনে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের  উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর তিনতলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বিপণী বিতান এবং তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয় থাকছে। 
 
#
 
মারুফ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১৮৪৮
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
 
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১লা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ৯৭ বছর পূর্তিতে ১লা জুলাই ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
 
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
 
বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধির চর্চা, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ও গৌরবদীপ্ত ভূমিকা রয়েছে। উচ্চশিক্ষার বিস্তারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সর্বজনবিদিত। গণতন্ত্র বিনির্মাণ, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সহযোগী।
 
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সূচিত আমাদের স্বশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন। অনেকে শহিদ হয়েছেন।
 
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অপশক্তির নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ মহাকাশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়ক ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে। উন্নয়নের এ ধারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে- এ আমার প্রত্যাশা।
 
আমি আশা করি, এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং জ্ঞান ও মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবেন। 
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
 
                                                                                             জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
                                                                                         বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
 
 
#
 
ইমরুল/সেলিম/সঞ্জীব/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৭১৮ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর ঃ ১৮৪৭
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপনের এ আনন্দঘন মুহূর্তে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সম্মানিত শিক্ষকম-লীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
 
১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। ১৯২১ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ সূচনা হয়। শতাব্দী ছুঁই ছুঁই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার বিস্তারসহ বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশ, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে। ঐতিহ্য ও গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাই কেবলই উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠ নয়, জাতির আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের কেন্দ্রস্থলও। আমার বিশ্বাস আগামীতেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-গবেষকগণ তাদের মেধা, সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরো অবদান রাখতে সমর্থ হবেন। 
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির আশা-আকাক্সক্ষার ধারক ও বাহক। বৈশ্বিক পরিবর্তনে জাতীয় আকাক্সক্ষারও পরিবর্তন ঘটেছে। সেই আকাক্সক্ষাকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে, জাতি তা প্রত্যাশা করে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে যথাযথ বলে আমি মনে করি। 
 
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন ও ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ তাঁদের মেধা, মনন, দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে, জাতিকে নিয়ে যাবে বিশ্বের গৌরবময় অবস্থানে-এ প্রত্যাশা করি।
 
আমি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
 
#
 
হাসান/সেলিম/সঞ্জীব/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৭১৮ ঘণ্টা 
Todays handout (3).docx