Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ মার্চ ২০১৯

তথ্যবিবরণী ১৯/০৩/২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১১০৫
 
ল্যাপটপ প্রদান করে প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
 
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
২০তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক বিজয়ী দলসহ অন্যান্য পদকজয়ীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে একটি করে ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব উপহারসামগ্রী তুলে দেন। প্রথম বারে অংশগ্রহণ করেই স্বর্ণপদক অর্জনের জন্য বাংলাদেশ দলের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯ এর আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ও ২০তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের দলনেতা ড. লাফিফা জামাল ও বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের প্রধান সমন্বয়ক রেদওয়ান ফেরদৌস। 
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং চ্যানেল আই-এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঋঁঃঁৎব ড়ভ জড়নড়ঃরপং ধহফ ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ভড়ৎ ইধহমষধফবংয’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক বিজয়ী দলসহ অন্যান্য পদকজয়ীদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার ল্যাপটপ উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ২০তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেই বাংলাদেশ দল একটি স্বর্ণপদক, দুইটি হাইলি কমেন্ডেড পদক এবং একটি টেকনিকেল পদক অর্জন করে। বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা সেখানে ১৫টি দেশের প্রায় ৮০০ প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে। 
ক্রিয়েটিভ ক্যাটেগরি জুনিয়র গ্রুপে স্বর্ণপদক অর্জন করে চিটাগাং গ্রামার স্কুল (ঢাকা)-এর কাজী মোস্তাহিদ লাবিব, তাফসির তাহরীম ও ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মেহের মাহমুদের দল ‘রোবোটাইগার্স’। রোবট ইন মুভি জুনিয়র গ্রুপে হাইলি কমেন্ডেড পদক অর্জন করে সানবীমস স্কুলের নাশীতাত যাইনাহ রহমান ও আগা খান স্কুলের যাহরা মাহজারীন পূর্বালীর দল ‘রোবো চ্যালেঞ্জার্স’। স্বর্ণপদক জয়ী চিটাগাং গ্রামার স্কুলের (ঢাকা) কাজী মোস্তাহিদ লাবিব এবং তাফসির তাহরীম রোবট ইন মুভি জুনিয়র ক্যাটেগরিতেও হাইলি কমেন্ডেড পদক পুরস্কার পায়। 
ক্রিয়েটিভ ক্যাটেগরি সিনিয়র গ্রুপে টেকনিকেল পদক অর্জন করে লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের খায়রুল ইসলাম ও ঢাকা কলেজের সানি জুবায়েরের ‘টিম বাংলাদেশ’ দল। এছাড়া রোবট গ্যাদারিং সিনিয়র গ্রুপের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলের রাফিহাত সালেহ চৌধুরী।
#
শহিদুল/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/ ২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১১০৪
১৯ মার্চের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ ইতিহাসের এক মাইলফলক
                                     -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
গাজীপুর, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র  প্রতিরোধ মহান মুক্তিযুদ্ধের এক মাইলফলক। এদিন জাতির পিতার নির্দেশে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের (সেই সময়ের জয়দেবপুর) বীর জনতা গর্জে উঠেছিল এবং সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। 
মন্ত্রী আজ  সন্ধ্যায় গাজীপুর রাজবাড়ী মাঠে ১৯ মার্চ স্বাধীনতার  প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা,  বীরদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯ মার্চের পর সারা বাংলাদেশে সেøাগান ওঠে ‘জয়দেবপুরের পথ ধর-বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘জয়দেবপুরের পথ ধর-সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু কর’।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের প্রস্তাবের জবাবে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৯ শে মার্চ জাতীয় জীবনে এক স্মরণীয় দিন। তাই আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর পূর্বেই জাতীয়ভাবে এই দিবসটি পালিত হবে।
সে দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সে সময়ের জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক, বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন,  ১৭ মার্চ  ’৭১ জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল নেমেছিল ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। এ সময় কুর্মিটোলা (ঢাকা) ক্যান্টনমেন্টে অস্ত্রের মজুত কমে গেছে অজুহাতে জয়দেবপুরে ২য় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করে ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে রক্ষিত অস্ত্র আনার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্রের সংবাদ বঙ্গবন্ধুকে জানাই। এ অবস্থায় আমাদের কি করণীয় জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু বাঘের মতো গর্জে উঠে বললেন, “তুই একটা আহম্মক, কি শিখেছিস যে আমাকে বলে দিতে হবে”। একটু পায়চারী করে রাগতস্বরে বললেন “বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্র করতে দেয়া যাবে না। ১৯শে মার্চ শুক্রবার আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়বেদপুরস্থ (গাজীপুর) ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌছে যায়। এসময় মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, ডিজেল প্লান্ট ও সমরাস্ত্র কারখানায় শ্রমিক জনতা চারিদিক থেকে লাঠিসোটা, দা, দোনালা বন্দুকসহ জয়দেবপুর উপস্থিত হয়। জয়দেবপুর রেল গেইটে মালগাড়ির বগি, রেলের অকেজো রেললাইন, সিøপারসহ বড় বড় গাছের গুঁড়ি, কাঠ,  ইট ইত্যাদি যে যেভাবে পেরেছে তা দিয়ে এক বিশাল বেরিকেড দেয়া হয়। জয়দেবপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত আরো ৫টি বেরিকেড দেয়া হয় যাতে পাকিস্তানি বাহিনী অস্ত্র নিয়ে ফিরে যেতে না পারে। ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন-কমান্ড মেজর কে. এম শফিউল্লাহকে (পরবর্তীকালে প্রধান সেনাপতি) জনতার উপর গুলি বর্ষণের আদেশ দেয়া হয়। বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা আমাদের/জনতার উপর গুলি না করে আকাশের দিকে গুলি ছুঁড়ে সামনে আসতে থাকলে আমরা বর্তমান গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উপরে অবস্থান নিয়ে বন্দুক ও চাইনিজ রাইফেল দিয়ে সেনাবাহিনীর উপর পালাক্রমে গুলি বর্ষণ করি।
মন্ত্রী জানান, আমরা যখন বেরিকেড দিচ্ছিলাম তখন টাঙ্গাইল থেকে রেশন নিয়ে একটি কনভয় জয়দেবপুর আসছিল। সে রেশনের গাড়িকে জনতা আটকে দেয়। সে কনভয়ে থাকা ৫জন সৈন্যর চাইনিজ রাইফেল ও এলএমজি তাদের নিকট থেকে কেড়ে নেয়া হয়। এদিকে রেল গেইটের বেরিকেড সরানোর জন্য ২য় ইস্ট বেঙ্গলের রেজিমেন্টকে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব আদেশ দেয়। পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে জয়দেবপুরে কয়েকজন শহিদ হন  আহত হন শত শত বীর জনতা। বর্তমানে সেই স্থানে চৌরাস্তার মোড়ে ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ নামে ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে। পরদিন বঙ্গবন্ধু আলোচনা চলাকালে পাক বহিনীর আক্রমণে ১৯ মার্চের নিহতের কথা উল্লেখ করলে জেনারেল ইয়াহিয়া খান উল্লেখ করে যে, জয়দেবপুর জনতা পাক বাহিনীর ওপর আধুনিক অস্ত্র ও চাইনিজ রাইফেল দিয়ে আক্রমণ করেছে এবং এতে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক সৈন্য আহত হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুস সাত্তার।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধকারী বীরদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
#
দীপংকর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১০৩
 
হাসপাতালে সার্বিক উপস্থিতির হার বেড়েছে
                              -- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
 
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের মনিটরিংয়ের কারণে হাসপাতালগুলোতে উপস্থিতির হার এখন বেড়ে ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের যৌথ মনিটরিং কঠোরভাবে অব্যাহত রেখে এই হার শতভাগে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, হাসপাতালের যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যেও মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর জন্য সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদের জবাবদিহিতা বাড়ানোরও  উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিয়মিতভাবে মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শন অব্যাহত রেখে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবার মান বাড়ানোর দিকে নজর দেয়া হচ্ছে। 
 
আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত চিকিৎসা শিক্ষার আসন মূল্যায়ন, উচ্চ শিক্ষার কোর্সসমূহের সমন্বয়করণ এবং প্রেষণ নীতিমালা-২০১৩ যুগোপযোগীকরণ সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
 
সভায় আসন সংখ্যা মূল্যায়ন ও কোর্সসমূহের সমন্বয়করণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কমিটিতে বিএমএ সভাপতি, স্বাচিপ সভাপতি, বিএমডিসি সভাপতি এবং মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে থাকবেন। 
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের যেমন উচ্চ শিক্ষার অধিকার আছে, তেমনি সাধারণ মানুষেরও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিতে গিয়ে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক সংকট হলে রোগীদের ভোগান্তি হবে। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক না পেলে, চিকিৎসা না হলে মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। এই বিষয়টিও সংবেদনশীলতার সাথে বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার আসন পুনর্বিন্যাস করে প্রেষণ নীতিমালার কঠোর প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। 
 
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লাহ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১১০২
 
৩১৭টি অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ এবং দু’একর জায়গা অবমুক্ত করেছে বিআইডব্লিউটিএ
 
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদীতীর দখলমুক্ত করতে আজ গাবতলী/আমিনবাজার ব্রিজ হতে  মিরপুরের জহুরাবাদ পর্যন্ত তুরাগ নদীর উভয় তীরে দু’টি দোতলা, ১৫টি একতলা, ৩৬টি আধাপাকা ভবন, ১৪টি বাউন্ডারি ওয়াল ও ২৫০টি টং দোকানসহ মোট ৩১৭টি অবৈধ স্থ্পনা উচ্ছেদ এবং দুই একর জায়গা অবমুক্ত করেছে।
আগামীকাল তুরাগ নদীর তীরে মিরপুর বেড়িবাঁধ-জহুরাবাদ এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।
#
 
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১১০১
 
 দেশীয় ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে
                                       --- কৃষিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে জনসংখ্যার মাথাপিছু ভোজ্য তেলের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশীয় ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী নতুন নতুন তেলবীজের জাত উদ্ভাবন করে ব্যাপক হারে আবাদ করে ভোজ্য তেলের আমদানি হ্রাস করতে হবে। এক সময় ভোজ্য তেল হিসেবে সরিষাই প্রধান ছিল। সরিষা শুধু তেলই নয় এ থেকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খৈল পাওয়া যায়, যা মৎস্য ও পশু খাদ্য হিসেবে বেশ চাহিদা রয়েছে।
মন্ত্রী আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরিষা/তেলবীজ চাষ সম্প্রসারণ ও ভোজ্যতেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন। 
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের মানুষ গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ গ্রাম করে তেল খায়। বিগত মৌসুমে প্রায় ৭ দশমিক ২৪ লাখ হেক্টর জমিতে তেলবীজ ফসলের চাষ করে ৯ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন ফসল উৎপন্ন হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ। দেশে মোট ৪ দশমিক ৪৪ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়, যা থেকে ৬ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন সরিষা এবং সরিষা থেকে ২ দশমিক ৫০ লাখ টন তেল উৎপন্ন হয়। দেশে মোট ভোজ্য তেলের চাহিদা ৫১ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু আমদানি করতে হয় ৪৬ দশমিক ২১ লাখ মেট্রিক টন যার মূল্য ৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।  
মন্ত্রী বলেন, তেলবীজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে সরিষার আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করে দিতে হবে। এছাড়া কৃষকদের উন্নত বীজ সরবরাহ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ ও কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তেলবীজ তথা সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করা হবে। মন্ত্রী তেলবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থার প্রধান, কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক ও কৃষিবিদ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।  
#
গিয়াস/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১১০০
২৯ মার্চ চালু হচ্ছে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা জাহাজ সার্ভিস
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
আগামী ২৯ মার্চ ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা নৌ-রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে যাত্রীবাহী জাহাজ সার্ভিস। সে দিন সন্ধ্যা সাতটায় নারায়ণগঞ্জের পাগলাস্থ মেরি এন্ডারসন ভিআইপি জেটি থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) জাহাজ এমভি মধুমতি ছেড়ে যাবে। বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সেবা চালু করা হচ্ছে। জাহাজটি ২৯ মার্চ রওনা দিয়ে বরিশাল-মোংলা-সুন্দরবন-খুলনার আন্টিহারা-ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে ৩১ মার্চ আনুমানিক দুপুর ১২টায় কলকাতায় পৌঁছাবে। বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নৌপরিবহন  মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিসি নিজস্ব অত্যাধুনিক নৌযান পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা যাত্রীবাহী সার্ভিস চালু করছে। 
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এম ভি মধুমতি ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা গমণাগমণের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। 
বৈঠকে জানানো হয় যে, এমভি মধুমতি জাহাজে ঢাকা-কলকাতা ভ্রমণের জন্য (একক যাত্রায়) যাত্রী সাধারণের জন্য রয়েছে দু’জনের ফ্যামিলি স্যুট ভাড়া ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি কেবিন (এক সিট) প্রতিটি পাঁচ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি সেমি ডাবল কেবিন সাত হাজার টাকা, ডিলাক্স শ্রেণি কেবিন (দু’সিট) প্রতিটি ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার প্রতিটি দু’হাজার টাকা এবং সুলভ ও ডেক শ্রেণির যাত্রী প্রতি ভাড়া এক হাজার পাঁচশত টাকা। জাহাজে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, বিকালের নাশতা ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। তবে এসব খাবার যাত্রীদের কিনে খেতে হবে। ভারত গমণের ভিসাসহ ভারতে হোটেল বুকিং এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যাদি ভ্রমণকারীকে নিজ দায়িত্বে ও খরচে সম্পন্ন করতে হবে। ভিসায় কোন পথে যাত্রীরা যাবেন এবং কলকাতা হয়ে ফেরত আসবে সে বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে। 
বৈঠকে আরো জানানো হয়, মধুমতি জাহাজে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ভ্রমণের জন্য যাত্রীসাধারণ বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক (বাণিজ্যিক) এন এস এম শাহাদাত আলী (ফোন-৯৬৩৪৯২০, মোবাইল ০১৭১১৩৯২৫৭০); মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও যাত্রী/প্রশাসন), শেখ মু. নাসিম (ফোন ৯৬৩৪২৭২, মোবাইল ০১৭১৫০১৬৭৫১); উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য/যাত্রী) শাহ মোঃ খালেদ নেওয়াজ (ফোন নম্বর ৯৬৬৯৪৭৮, মোবাইল নম্বর ০১৭১৫-৬৩৫৩৪১) এবং সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সৈয়দ জাফর হোসেন (ফোন নম্বর ৯৬৬৭৯৭৩, মোবাইল নম্বর ০১৭৫৩-৯৯০৮২৬) এর সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিতে পারবেন। 
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কোস্টাল এবং প্রটোকল রুটে প্যাসেঞ্জার ও ক্রুজ সার্ভিস চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটর  প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষর হয়। 
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার পারভেজ আহমেদ চৌধুরী, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশের পরিচালক তৌফিক রহমানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর : ১০৯৯
 
অন্যায়ের সাথে আপোস নয় 
         -- মন্ত্রিপরিষদ সচিব
 
 
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :  
 
অন্যায়ের সাথে কোন আপোস করা যাবে না। ন্যায়ের জন্য স্রোতের প্রতিকূলে চলার মনোবল থাকতে হবে। হার না মানার মনোভাব নিয়ে জনসেবা করতে হবে। মানুষ তথা সেবাপ্রার্থীদের মনের ভেতর জায়গা করে নিতে হবে যেন তাঁরা আজীবন মনে রাখে।
 
 রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিতব্য দুই সপ্তাহের ‘বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স’র উদ্বোধন করার সময় কোর্সে অংশগ্রহণকারী নবনিযুক্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি)/এসিল্যান্ডদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখতে যেয়ে প্রধান অতিথি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব  আরও বলেন, মানুষকে সাহায্য করার সুযোগ ভূমি মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি। পজিটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে, ‘নলেজ’, ‘স্কিল’ এবং সঠিক ‘অ্যাটিচিউট’ প্রয়োগ করতে পারলে এসিল্যান্ডরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবে। মর্যাদাবোধ নিয়ে চলতে পারলে আর কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
 
উল্লেখ্য, দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব ডিজিটাল ভূমিসেবা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভূমিমন্ত্রী বেসিক প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রয়োজনীয় পরিমার্জনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী এ কোর্সটি পরিচালিত হবে এবং কোর্সের এক পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্তি দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া, বেসিক কোর্স করে মাঠে কাজ করার কিছুদিন পর তাঁরা পুনরায় সংক্ষিপ্ত রিফ্রেশার্স কোর্স করার জন্য ঢাকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আবার আসবেন। 
 
বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে বিশেষ অতিথি ভূমিসচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘আমাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অনুশাসন ছিল আমরা যেন জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করি এবং জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেই। অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের সেবক হিসেবে বিবেচনা করি। সুতরাং সবসময় সেবা প্রদানের মানসিকতা রাখা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।’
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আব্দুল হাই। ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী এসিল্যান্ডগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তসলীমুল ইসলাম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন। ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর যৌথভাবে  ২০১৯ সালে নবনিযুক্ত ১৭০ জন এসিল্যান্ডদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
#
নাহিয়ান/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১০৯৮
 
বিসিআইসি’র প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করতে 
পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর
 
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) আওতাধীন ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, সততা ও পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে উৎপাদন ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়ে এগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনের পরামর্শ দেন তিনি। 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বিসিআইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম এবং বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মোঃ হাইয়ুল কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন। 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সাথে টিকে থাকতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্র গড়ে তোলা সকলের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে সবাইকে দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের হৃদ¯পন্দন বুঝতে পারতেন বলেই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববরেণ্য নেতায় পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলছে।’ লুটেরা ও সন্ত্রাসীদের কোনো দেশ নেই উল্লেখ করে তিনি নিজ দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা লাভজনক করার জন্য দেশ প্রেমের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে দেশের ষোল কোটি মানুষের বত্রিশ কোটি হাতকে উন্নয়ন ও উৎপাদনের কাজে লাগাতে হবে। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের নিয়মিত কাজ করতে হবে এবং সাধারণ শ্রমিকদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রশাসনিক কাজে ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের অবৈধ হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না বলে তিনি হুশিয়ার করেন। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার কিংবা আন্দোলনের নামে উৎপাদন ব্যাহত করার মতো যেকোনো অনিয়ম মোকাবিলায় বিসিআইসি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন। একই সাথে তিনি কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি  দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী পদে কর্মরতদের পদ স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 
এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দ্য বেঙ্গল চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এক প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রীর সাথে পৃথকভাবে তাঁদের দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ মেলার জন্য বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ‘হাইলাইটেড কান্ট্রি’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তারা ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ার ২০১৯ এ অংশগ্রহণের জন্য শিল্পমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশকে আসন্ন মেলায় ‘হাইলাইটেড কান্ট্রি’ হিসেবে মনোনীত করায় শিল্পমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান। তারা এ মেলায় অংশ নিতে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এ সময় দ্য বেঙ্গল চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বিপণন বিভাগের সচিব উৎপল রায়সহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
#
জলিল/মাহমুদ/শহীদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১০৯৭
 
বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যানের সাথে আইসিএবি প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)- এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে আজ তাঁর কার্যালয়ে দ্য ইনস্টিটিউট অভ্ চার্টার্ড একাউন্টস অভ্ বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর প্রেসিডেন্ট এ এফ নেসারুদ্দিন এফসিএ-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। 
এ এফ নেসারুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে অনেক পেশাদার হিসাব রক্ষক ও নিরীক্ষক বিদেশি ব্যক্তি কাজ করেন। তাদের জন্য একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব অর্জন করেছে। তাই বিদেশি পেশাদারের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে দেশি পেশাদারদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যানের পরামর্শ ও সহযোগিতা চান।
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, বিডা এ ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করবে। পেশাদারী সংগঠন হিসেবে আইসিএবি একটি নির্ভরযোগ্য মানদ- তৈরি করেছে। এছাড়া আইসিএ বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাপারে বিডাকে সাহায্য করতে পারে বলে নির্বাহী চেয়ারম্যান মত প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে ইজ অভ্ ডুইং বিজনেস এর ক্ষেত্রে বিডা ও আইসিএবি একসাথে কাজ করার সম্ভাব্যতার বিষয়েও আলোচনা হয়।
#
শরীফা/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০০০ ঘণ্টা

qbyj/2019/1800NÈv

Handout                                                                                                                Number : 1096

Bangladesh-Bhutan relations to reach new heights

Dhaka , 19 March :

            2nd Foreign Office Consultations (FOC) between Bangladesh and Bhutan held at the State Guest House, Meghna in Dhaka. Foreign Secretary of Bangladesh Md. Shahidul Haque and Foreign Secretary of Bhutan Sonam Tshong led the respective delegation of today two countries. During the talks, both sides discussed the entire gamut of bilateral relations and took stock of the progress in ongoing bilateral cooperation including in the areas of power, trade and investment, education, tourism, human resources development, science and technology, agriculture, food security, water resources management, climate change and people-to-people contact.

            Foreign Secretary Shahidul Haque who led a 19 member delegation drawn from the various Ministries and Departments of the Government, said that the 2nd FOC will help in further intensifying bilateral cooperation between the two countries. At the outset of the talks, he recalled the special relationship that Bangladesh and Bhutan share since 1971 when Bhutan became the first country to recognize the newly independent Bangladesh. He highlighted the successful visit of Prime Minister Sheikh Hasina to Bhutan in 2017 which further deepened the existing cooperation and prospects for collaboration.

            Apart from bilateral issues, the two sides also discussed cooperative frameworks on transit and connectivity, specially under the BBIN framework which Bangladesh believes is crucial for the future development of the sub-region. Trilateral cooperation between Bangladesh, Bhutan and India in the field of hydroelectric power was also discussed. During the talks Bhutan showed keen interest to recruit Bangladeshi doctors to work in Bhutan.

            Bangladesh Foreign Secretary revealed that today’s talks have laid the ground for a VVIP visit from Bhutan next month at the invitation of Prime Minister Sheikh Hasina. During the VVIP visit, a number of bilateral instruments are expected to be signed by both sides related to cooperation on inland waterways for cargo transportation, cooperation in health and agriculture sectors and cooperation between the Public Administration Training Centers of the two countries for exchange of faculty members as well as training and capacity building.

            Bhutanese Foreign Secretary expressed his happiness at holding of the FOC which hold special significance in light of the forthcoming visit of Bhutanese Prime Minister to Bangladesh. He highlighted that Bangladesh holds a special place for the Prime Minister of Bhutan since he is an alumnus of Mymensingh Medical College. He mentioned that Bhutan is highly optimistic about realizing full potential of cooperation with Bangladesh as well as exploring new areas of collaboration.

            Foreign Secretary Tshong is leading an eight member delegation on a 3-day visit to Bangladesh.

#

Marzuk/Mahmud/Sanjib/Joynul/2019/1840hours
তথ্যবিবরণী                                                                &nb
Todays handout (10).docx Todays handout (10).docx