Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জুলাই ২০২০

তথ্যবিবরণী ২৭ জুলাই ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ২৭৯০

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 ‌         স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এদের মধ্যে ২ হাজার ৭৭২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৬৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৩ জন।

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

#

তাসমীন/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯১৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর :  ২৭৮৯

 

দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে গবেষণা কার্যক্রম

জোরদার করতে বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব

 

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  

 

          দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে মাছের জাত উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।

 

          আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২০ উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর ও বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী সংক্রান্ত অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব একথা বলেন।

 

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালকগণ সভায় অনলাইনে যোগদান করেন।

 

          সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আরো বলেন, “মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পোনা অবমুক্তি কার্যক্রম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ করার জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে। সরকারি হ্যাচারিগুলোতে বেশি বেশি পোনা উৎপাদন করতে হবে। যাতে বন্যা পরবর্তী সময়ে মৎস্যচাষীদের বিনামূল্যে মাছের পোনা সরবরাহ করা যায়। এছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন হ্যাচারি মালিকদের মাছের পোনা অবমুক্তকরণের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।”

 

          সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় সপ্তাহ, ২০২০ এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

          সমাপনী দিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ধানমন্ডি লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।

 

          এছাড়া সপ্তাহব্যাপী জেলা-উপজেলায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা, মৎস্য খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বিরোধী অভিযান, মৎস্য আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, চাষিদের মাঝে মৎস্যচাষের উপকরণ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

 

#

 

ইফতেখার/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর :  ২৭৮৮

 

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই

                                  -- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। এই পরীক্ষা আরো অধিকতর যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ লক্ষ্যে শিক্ষা বোর্ড গঠনের কাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা সম্ভব হলে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা শেষ করা হবে। যদি সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলা সম্ভব না হয় তাহলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ উন্নীত করা হবে। তবে উভয় পরিকল্পনার জন্যই সংশোধিত সিলেবাস তৈরির কাজ চলছে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ শিক্ষা সাংবাদিকদের  সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনায় প্রাথমিক শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

          ইরাবের সভাপতি মুসতাক আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধূরী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ।  

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেবাস সংশোধনের ক্ষেত্রে একটি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা হচ্ছে এক শ্রেণি থেকে পরের শ্রেণিতে উঠতে তাদের যতটুকু পাঠ যোগ্যতা দরকার, সেটি রাখা হবে। গুরুত্বপুর্ণ অধ্যায়গুলো থাকবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পরের শ্রেণির পাঠের সঙ্গে খাপখাইতে পারে। এছাড়া বছরের শুরুতেই সারা বছরের পাঠপরিকল্পনা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেটাকেও রিভাইস করতে হবে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (ন্যাপ) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আমরা এখন পরীক্ষা নিয়ে ভাবছি না, আমরা মূল্যায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করছি। শিক্ষার্থী পরবর্তী ক্লাসের জন্য প্রস্তুত কিনা সেটা মূল্যায়ন করা হবে। প্রযুক্তির বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদেরকেও শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনলাইন, সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা ক্লাস সম্প্রচার করছি। কিন্তু প্রযুক্তির বাইরেও অনেক শিক্ষার্থী আছে, তাদেরকে আমরা এই কার্যক্রমে আনতে চাই। সেটা নিয়েই কাজ চলছে। তিনি বলেন, সকলের কাছে মোবাইল ফোন আছে। এজন্য আমরা রেডিওর মাধ্যমে ক্লাস সম্প্রচার করবো। এটি করলে ৯৬ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। আগামী দুই-এক সপ্তাহের মাধ্যে এটি শুরু হবে। এছাড়া ৩৩৩৬ হট লাইন চালু করা হচ্ছে- এটার মাধ্যমে বিনামূল্যে ৫ মিনিট শিক্ষার্থীরা যে কোন শিক্ষকের সাথে কথা বলতে পারবেন। অনলাইনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এই বছর অলিম্পিয়াডের জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে,  আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।       

  #

রবীন্দ্রনাথ/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ২৭৮৭

আনুষ্ঠানিকতায় নয়, বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে হবে হৃদয়ে

                    --  স্থানীয় সরকার বিভাগ সিনিয়র সচিব

 

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  

          স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ পালন উপলক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা ও সকল স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

          আজ স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত এ উপলক্ষে এক অনলাইন সভায় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে কুমিল্লায় অবস্থান করায় তাঁর সদয় অনুমতিক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

          সভাপতির বক্তব্যে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আনুষ্ঠানিকতা পালনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদর্শ লালন ও পালন করা। জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বির্ণিমাণ করা।

          তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর বছরে সরকার অনেক কর্মসূচি নিলেও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে তা পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।

          জাতির পিতার স্মৃতিচারণ করে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই নিজের কথা ভাবেন নি। তিনি সারা জীবন এদেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই তাঁর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে একটি উন্নত দেশ গঠনে দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

          সভায় জানান হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল দপ্তর/সংস্থা এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য জাতীয় শোক দিবসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করবে।

          জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান এবং দোয়া মাহফিল ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন দপ্তর/সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়।

          জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জাতীয়ভাবে আয়োজিত শোক দিবসের কর্মসূচিতে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে অংশ নিতেও বলা হয়েছে সভায়।

          সভায় জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।

#

হায়দার/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর :  ২৭৮৬

 

মেহেরপুর অঞ্চলকে মডেল হিসাবে দেশের কাছে প্রতিষ্ঠা করতে হবে

                                                        -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  

 

          জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মেহেরপুর অঞ্চলের উন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

 

          আজ মেহেরপুরের শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতাধীন বয়স্ক, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের মাঝে ভাতা বই বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। 

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন সময় হচ্ছে এই এলাকার জন্য কাজ করার। এলাকার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করে মেহেরপুর অঞ্চলকে মডেল হিসাবে দেশের কাছে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষিকাজ ও অন্যান্য কাজে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রয়োজন। তাই, পানির চাহিদা মেটানোর জন্য এ অঞ্চলের নদীগুলো খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

 

          তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে ভাতাভোগীরা সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারছে। এছাড়াও সরকার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে যাতে তারা ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরে এসে নিজেদেরকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারে।

 

          তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে কিছু কাজ বাধাগ্রস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে করোনাকাল মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।

 

          শহর সমাজসেবা কার্যালয়, মেহেরপুর কর্তৃক ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৩০ জন ভাতাভোগীর মধ্যে ভাতা রিতরণ করা হয়। মাসিক ৭৫০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয় ১০৯ জন ভাতাভোগীকে, মাসিক ৫০০ টাকা হারে বিধবা ভাতা প্রদান করা হয় ৬৯ জন ভাতাভোগীকে এবং মাসিক ৭৫০ টাকা হারে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হয় ১৫২ জন ভাতাভোগীকে।

 

  #

 

শিবলী/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ২৭৮৫

যেখানে অন্যায় হবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হবে

                                            -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  

            স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি এখন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যখাতে কোনো অনিয়ম হয় কিনা তার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল সেবা মনিটরিং-এর জন্য নতুন কমিটি করা হয়েছে। কাজেই এখন যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

            আজ দুপুরে, বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সংশ্লিষ্ট ৮টি বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

            দেশের স্বাস্থ্যখাতের অধিক সমালোচনার কারণে ভিন্ন কোনো মহল সুবিধা নিতে পারে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “দেশের স্বাস্থ্যখাত এখন আর সেই ভঙ্গুর অবস্থায় নেই। কিন্তু সারাক্ষণ এই খাতকে বেশি সমালোচিত করলে মানুষ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আস্থা হারাবে এবং চিকিৎসার জন্য সামান্য কিছু হলেই বিদেশমূখী হবে। এতে অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্যখাত লাভবান হবে। আর আমাদের স্বাস্থ্যখাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ আমাদের দেশে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা এখন বিদ্যমান রয়েছে।”

            বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “বিশ্বের প্রতিটি দেশ করোনা সামলাতে হিমশিম খেয়েছে। আমেরিকাসহ অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর অবস্থা আমরা জানি। আমাদের দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এবং আমরা অপেক্ষাকৃত কম স্বাস্থ্য সচেতন। এরপরও করোনায় আমাদের মৃত্যুহার বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। পার্শ্ববর্তী ভারত থেকেও আমরা অনেক এগিয়ে রয়েছি। এই ভাইরাস কেবল আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, এটি বিশ্বের সব দেশেরই ক্ষতি করেছে। কাজেই শুধু সমালোচনা করলেই সব সমাধান হবে না। সমালোচনার পাশাপাশি আমাদের অর্জনগুলোও তুলে ধরতে হবে। তাহলে দেশের মানুষ চিকিৎসা নিতে বিদেশে গিয়ে অযথা তাঁদের অর্থ-সম্পদ বেশি নষ্ট করবে না। আর কোথাও কোনো অনিয়ম হলে আমরা অতি দ্রুত সেটির ব্যবস্থা নিতে কোনো রকম পিছুপা হবো না।”

            স্বাস্থ্যখাতের সমালোচনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের ভালো অর্জনগুলোও প্রচারের অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “বিএনপি-জামাতের সময়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করুন অবস্থায় ছিল। দেশে হাতে গোনা কিছু হাসপাতাল ছিল। সেই অবস্থা থেকে বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা হাসপাতাল করা হয়েছে। ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে গেছে। দেশে এর মধ্যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। নিরাপদ মাতৃত্ব, শহর-গ্রাম সর্বত্র টিকাদান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান এখন উন্নত বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের মর্যাদাশীল পুরস্কার ভ্যাকসিন হিরো, সাউথ সাউথ, এমডিজি গোল অর্জনসহ বহু সংখ্যক পুরস্কার বয়ে এনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। বর্তমানে দেশের প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৮ বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল করা হচ্ছে। ১০ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবল প্রস্তুত করা হচ্ছে।”

            স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট ৮টি বিভাগের প্রধানগণসহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি সম্পাদনকৃত বিভাগগুলো হচ্ছে-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার, নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নিমিউ এর টেকনিক্যাল ম্যানেজার, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্কশপ ও এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড। 

#

মাইদুল/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ২৭৮৪

সজীব ওয়াজেদ জয়ের রূপকল্পেই ঠিক সময়ে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ

                                                                         -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :  

          তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রূপকল্পেই বাংলাদেশ ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।’

          আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় ও প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান বর্ণ এসময় বক্তব্য রাখেন। গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অভ্‌ বাংলাদেশ এবং পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অনলাইনে যোগ দেন।

          প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পকার, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ দেশ-সমাজকে ডিজিটালাইজ করা, রোবটিক্স প্রযুক্তি প্রভৃতির প্রয়োগে যোগ দেবার জন্যেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। কারণ প্রথম তিন শিল্পবিপ্লবে আমরা যুক্ত হতে দেরি করেছি। প্রথম শিল্প বিপ্লব বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের প্রায় ১০০ বছর পর, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব বিদ্যুৎ আবিষ্কারের বেশ কয়েক দশক পর এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব কম্পিউটার আবিষ্কারেরও বেশ পরে আমরা সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিলাম।’

          ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান যেখানে আমরা দিয়েছি ২০০৮ সালে, সেখানে ডিজিটাল ভারতের স্লোগান এসেছে ২০১৪ সালে, এমনকি যুক্তরাজ্যও আমাদেরও কয়েক বছর পর ডিজিটাল দেশ রচনার স্লোগান দিয়েছিল, বলেন তথ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব আমাদের এই জনপদ পিছিয়ে থাকলেও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্যপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো আন্তর্জাতিকখ্যাতি সম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ ও ভবিষ্যৎদ্রষ্টার কাছ থেকে ধারণা আসার কারণে আমরা ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

          ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘২০০৮ সালে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছিল এবং তার ধারণা প্রসূত এই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে যখন দেয়, তখন অনেকেই এটি নিয়ে হাস্যরস করেছিল, অনেকেই এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্নের কথা নয়, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।’

          হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আগের মতো চলাচল করতে পাচ্ছিনা, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা করা যে কত প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা অনুধাবণ করতে পারছি। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করছে, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে, ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিকসেবা একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।

         

চলমান পাতা/২

 

 

-- ০২ --

 

          ২০১০ সালে ইউএনডিপির তৎকালীন মহাপরিচালক হেলেন ক্লার্ক এর সাথে চর কুকরি-মুকরিতে ডিজিটাল সেন্টার তথ্য বাতায়ন কেন্দ্র উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তখন সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছিলাম। আর হেলেন ক্লার্ক নিউইয়র্কে গিয়ে তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘চর কুকরি-মুকরিতে যে রেজ্যুলেশন পেয়েছি তা অনেক সময় নিউইয়র্কেও পাওয়া যায় না, এমনভাবেই তখন থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছেছে।’

          এখন একজন পিতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া ছেলের কাছ থেকে টাকা পেয়ে যায়, শিক্ষার্থীরা এসএমএস করে, ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে তার কাছে পরীক্ষার ফলাফল চলে আসে, বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে বসে কিংবা বঙ্গোপসাগরের নির্জন দ্বীপ থেকেও একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে দরখাস্ত করতে পারে -এটিই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, বর্ণনা করেন তথ্যমন্ত্রী।

          সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী  লীগের সভাপতি, চার চারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর ৫০তম জন্মদিনে আমি তাঁকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তিনি সব শিক্ষার্থীর স্বপ্নের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  কম্পিউটার সাইন্সে মাস্টার্স করা, উচ্চশিক্ষিত। তাঁর নেতৃত্ব ও সঠিক দিকনির্দেশনা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, ভবিষ্যতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

          তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান তাঁর বক্তৃতায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন। আমরা তাঁর সাথে রয়েছি।’

          তথ্যমন্ত্রী এ সময় ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের প্রকাশক, সম্পাদক ও প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জাকারসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জয়ীতা প্রকাশনী দু’টি বই প্রকাশ করার মধ্যদিয়ে এই জন্মদিনকে আরো অর্থবহ করেছে বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য, ১১২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে দেড় শতাধিক সংবাদচিত্র স্থান পেয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় : সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শিরোনামে আরো একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী।

#

আকরাম/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘণ্টা  

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                 নম্বর : ২৭৮৩

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টের কর্মসূচি

ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :

            ১৫ আগস্ট বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন করা হবে।

            স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহঃ

            ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখ শনিবার স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সমগ্র বাংলাদেশ ও প্রবাসে জাতীয় শোক দিবস পালনের উদ্দেশ্যে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি গৃহীত হয়।

            ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখ শনিবার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও  বেসরকারি ভবসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

            সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত।

            ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ তারিখে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য শহিদের কবরে (ঢাকার বনানীস্থ কবরস্থানে) সকাল সাড়ে ৭টায় পুষ্পস্তবক ও ফুলের পাপড়ি অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ  ও মোনাজাত।

            ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখ শনিবার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত।

            টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন।

            সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সারা দেশের মসজিদসমূহে বাদ যোহর বিশেষে মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য  ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা।

            জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক বিশেষ অনুষ্ঠানমালার প্রচার।

            জাতীয়  দৈনিক ও সাময়িকীতে  ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। পোস্টার মুদ্রণ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/গ্রোথ  সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোসটার স্থাপন ও এলইডি বোর্ডের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।

            জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সকল  মোবাইল গ্রাহককে ক্ষুদে বার্তা  প্রেরণ করবে।

            শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু একাডেম

2020-07-27-20-56-d3f1561db042d6d50acfa011a732a698.docx 2020-07-27-20-56-d3f1561db042d6d50acfa011a732a698.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon