তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৭৬
আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে
-- স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন প্রধান উপদেষ্টার উপর নির্দেশ ছিল আহতদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দেওয়া। সেটা আমরা পালন করার চেষ্টা করেছি এবং করে যাচ্ছি। পাঁচটা দেশ থেকে চিকিৎসকরা এসেছেন আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য । ইতোমধ্যে ৩০ জন আহতকে ব্যাংকক এবং সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আহতের একজনের জন্য আমাদের ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আর কবে নাগাদ তার রিকভারি হবে সেটা আমরা জানি না। একজনের ব্রেইন ইনজুরি ছিল তার জন্য ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৩৬ লাখের বেশি খরচ হয়েছে। আমরা কখনো অর্থের কথা চিন্তা করিনি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যেভাবে হোক আমাদের সন্তানগুলোকে সুস্থ করে তোলা।
আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকাল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক ডোনাল্ড ইউ বলেন, আমরা ২৭৮ জনের মতো আহত রোগী দেখেছি এবং বলতে হচ্ছে আমার চিকিৎসা জীবনের সবচেয়ে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এত বেশি চোখের ইনজুরি আমরা আমাদের চিকিৎসা জীবনেও কোনোদিন দেখিনি। এটি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। কিছু কিছু রোগীর বয়স ৯ থেকে ১০ বছর। এছাড়া আহত রোগীদের ক্রিটিক্যাল ফেইজে বাংলাদেশের চিকিৎসকগণ যে চিকিৎসা দিয়েছে সেটাকে আমি মিরাকল বলবো।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, আহত যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করে আমরা কখনো মিডিয়ার সামনে নিয়মিত বা বিরতি দিয়ে আসিনি। আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তিনি আরো বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করে আমরা যথাসাধ্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। এছাড়া আহত যোদ্ধাদের যে সকল বিষয় নিয়ে মনোবেদনা এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সেই বিষয়গুলোতে আমরা মনোযোগ দিয়েছি এবং দিচ্ছি। উচ্চতর চিকিৎসার ব্যাপারে যে সকল আবেদন থাকবে সেগুলো আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিব।
আহতদের ফিজিওথেরাপির ব্যাপারে তিনি আরো বলেন আহত যোদ্ধাদের ফিজিওথেরাপির ক্যাপাসিটি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। চায়না থেকে রোবোটিক ফিজিওথেরাপির যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।
আহত যোদ্ধাদের পুনর্বাসনসহ সবক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে যারা জড়িত থাকবেন এবং তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত চিকিৎসবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহাদাত/মেহেদী/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৫/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৭৫
বায়ুদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট: ১৭ লাখ টাকা জরিমানা, ৪টি ইটভাটা বন্ধ
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় আজ পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা, চারটি ইটভাটা বন্ধ করেছে।
আজ বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে বাগেরহাট, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ ও পঞ্চগড় জেলায় নয়টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। ২০টি মামলার মাধ্যমে ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৪টি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া ১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরের বনানী ও মালিবাগ এলাকায় তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ১০টি মামলার মাধ্যমে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয়।
চট্টগ্রাম, নীলফামারী ও বাগেরহাট জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। পাঁচটি মামলার মাধ্যমে ১৫ হাজার ৯শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সমগ্র দেশে আনুমানিক ৩০৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন দোকান মালিককে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
যানবাহন থেকে অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরের পল্লবীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। চারটি মামলার মাধ্যমে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ১০টি পরিবহনের চালককে সতর্ক করা হয়।
#
দীপংকর/মেহেদী/পবন/রানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৫/২১০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৭৪
তরুণ প্রজন্ম মেধাভিত্তিক ও পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়
- উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম মেধাভিত্তিক ও পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
আজ সাভারে বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ৭৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আমলাতন্ত্রের সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় আমলাতন্ত্রকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার সময় এসেছে। এজন্য আমলাতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মমূল্যায়ন পদ্ধতিরও সংস্কারের প্রয়োজন।
রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করতে চায়। এজন্য সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। সংস্কার কমিশনসমূহের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তন হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর আস্থা রেখেই জনগণ ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে। তিনি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবীন কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তথ্য উপদেষ্টার সেশন পরিচালনার সময় বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর সাঈদ মাহবুব খান-সহ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সেশনে ৭৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ২২টি ক্যাডারের ৬০৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৫/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৭৩
সোনারগাঁওয়ে তিতাসের অভিযান: ৯০০ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে আজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হাতুড়াপাড়া ও নয়াপুর মাঠ সংলগ্ন এলাকায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও তিতাস গ্যাস মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে ৪টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মিষ্টি কারখানা মালিকদের তাৎক্ষণিক অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে ৪টি স্পটে প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিতরণ লাইন ও ৭০০টি বাড়ির ৯০০টি অবৈধ আবাসিক চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ২ ইঞ্চি ডায়াবিশিষ্ট ২০ ফুট, ১.৫ ইঞ্চি ডায়াবিশিষ্ট ৪০ ফুট ও ১ ইঞ্চি ডায়াবিশিষ্ট ৩০ ফুট এমএস পাইপের সম্পূর্ণ অংশ এক্সকাভেটরের মাধ্যমে অপসারণ করে জব্দ করা হয় এবং প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং ও ক্যাপিং করা হয়।
নয়াপুর বাজার সংলগ্ন ৩টি মিষ্টি তৈরির ফ্যাক্টরির অবৈধ সোর্স পয়েন্ট কেটে কিলিং করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করায় মালিকপক্ষকে মোবাইল কোর্ট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
অভিযান পরিচালনাকালে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে।
#
শফিউল্লাহ/মেহেদী/পবন/রানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৫/২১০৮ ঘণ্টা
Handout Number: 2572
Preserving Dhaka’s Green Spaces and Wetlands is the Only Way to Make it Livable
-- Syeda Rizwana Hasan
Dhaka, 30 January:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Water Resources and the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, stated that Preserving Dhaka’s green spaces and wetlands is the only way to make it livable. She emphasized that without protecting wetlands, Dhaka cannot be saved. She pointed out that even light rainfall causes severe waterlogging in many parts of the city, making it resemble Cox’s Bazar. Restoring canals and water bodies can change this situation. If Dhaka’s canals can be effectively freed from pollution, they will serve as buffer zones.
Speaking as the chief guest at a national dialogue titled ‘Re-Wet Dhaka’ on the occasion of World Wetlands Day, held at the Krishibid Institution in the capital today, the Advisor made these remarks.
Rizwana Hasan said, The government has initiated efforts to reclaim and free 19 canals in Dhaka from encroachment and pollution. However, it is unfortunate that even after 53 years, an effective sewerage system has not been established in the city. The canals are severely polluted, and when excavated, discarded mattresses, pillows, plates, and buckets are often found in them. While the situation cannot be entirely transformed within a year or two, a path to solutions can be identified. Public participation is crucial in this effort. Cultivating vegetables along the banks of lakes and canals can improve the environment and contribute to food supply.
Rizwana Hasan extended her heartfelt greetings to all participants of the event, stating that they are not merely workers but should take leadership roles. She expressed appreciation for RAJUK (Rajdhani Unnayan Kartripakkha) for the first time, taking steps to reclaim a nine-acre wetland in Keraniganj, which was being filled in for housing development. She stressed that although time is limited, the focus should be on setting examples by making meaningful progress. She further stated that misleading economic arguments should not divert them from their mission. There will be resistance, but it must be collectively countered.
At the beginning of the event, Advisor Syeda Rizwana Hasan inaugurated the Re-Wet Project’s website. Mohammad Ejaz, Chairman of the River and Delta Research Center (RDRC), shared insights from the project in the closing remarks of the first session. He emphasized the importance of multi-stakeholder collaboration, government and private sector support, and increased public awareness to protect and restore Dhaka’s wetlands.
The dialogue featured special guests, including Major General (Retd.) Siddiqur Rahman Sarkar, Chairman of RAJU Nyoka Martinez-Backström, First Secretary for Environment and Climate Change, Embassy of Sweden, Iftekhar Mahmud, Journalist, ASM Marjan Noor, Climate and Environment Advisor, British High Commission in Dhaka.
The Re-Wet Project is supported by Reversing Environmental Degradation in Africa and Asia (REDA), the International Institute for Environment and Development (IIED), and UK International Development. Consortium members include the University of Sheffield, Sheffield Hallam University, Smith College, Nagar Abad, YouthNet for Climate Justice, and the Prochesta Foundation.
Notably, ‘Re-Wet’ is a research-based initiative funded by the UK Foreign, Commonwealth & Development Office and is led by the University of Sheffield and Bangladesh’s River and Delta Research Consultants. The project focuses on restoring a section of the Gulshan-Banani Lake in Dhaka.
#
Mamun/Rana/Mosharaf/Shamim/2025/2200hrs
Handout Number: 2571
Japan Reaffirms Commitment to Ongoing Support for Bangladesh
Dhaka, 30 January:
Japanese Parliamentary Vice-Minister IKUINA Akiko met Foreign Adviser Md. Touhid Hossain at the Ministry of Foreign Affairs in Dhaka today. During the meeting, Japanese Vice-Minister reiterated Japan’s support for the interim government and its ongoing reform and nation-building initiatives. The Foreign Adviser thanked Japan for its immense contribution to Bangladesh’s socio-economic development initiatives since independence. The Japanese Parliamentary Vice-Minister is on a two-day visit to Bangladesh.
Japanese Vice-Minister conveyed Japan’s continued support for Bangladesh during the post-LDC graduation period. She underscored the need for early conclusion of Economic Partnership Agreement (EPA) in order to boost up trade and investment between the two countries. Appreciating Bangladesh’s positive investment climate, vice-minister
Akiko mentioned that the Japanese investment and businesses are continuing their operations in Bangladesh despite recent political changes. She noted that more than 310 Japanese companies are currently doing business in Bangladesh and the number will go higher. Reiterating Bangladesh’s commitment to improving investment environment, the Foreign Adviser mentioned that BIDA is very proactive to ensure effective functioning of One-Stop Service (OSS) to facilitate services for foreign investors.
Vice-Minister Akiko highlighted the importance of a free and open Indo-Pacific region for regional peace and stability. In response, the Foreign Adviser mentioned that as an advocate for regional peace and stability, Bangladesh has been supportive of a free and open Indo-Pacific region with freedom of navigation for all parties. He thanked Japan for their continued efforts towards a durable solution to the Rohingya crisis through the repatriation of the Rohingyas from Bangladesh to the Rakhine State of Myanmar. Appreciating Japan’s humanitarian assistance for the Rohingyas including their relocation to Bhashan Char, the Foreign Adviser sought Japanese support to draw a roadmap for early repatriation of the Rohingyas. He also sought Japanese support for hosting a high-level conference on the Rohingya issue in Doha in collaboration with the United Nations. Both sides talked about mutual support and collaboration in election matters in the international fora.
Foreign Adviser thanked Japanese Vice-Minister for visiting Bangladesh and expressed hope that her visit will provide new momentum in the existing bilateral relationship between Bangladesh and Japan.
#
Kamrul/Mehedi/Paban/Sanjib/Shamim/2025/1930hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৭০
বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে সরকারি নির্মাণে ব্লকের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার
--- পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি নির্মাণকাজে ব্লকের ব্যবহার বাড়ালে বায়ুদূষণ হ্রাস পাবে এবং কৃষিজমি বাঁচবে। এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এ জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
আজ ঢাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় বায়ুদূষণ হ্রাস ও কৃষিজমি সংরক্ষণে ব্লকের ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ব্লকের ব্যবহার শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, এটি নির্মাণ খাতের স্থায়িত্বও বাড়ায়। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অংশীজনের সাথে সমন্বয় করে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করব। তিনি আরো বলেন, এই উদ্যোগ পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে সমন্বয় করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সভায় ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন নীতি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়। ব্লককে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, কাস্টমস ও ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনা এবং ব্লক উৎপাদনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
এছাড়া, উন্নয়ন প্রকল্পে ব্লকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এলজিইডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার রেট সিডিউল হালনাগাদ করার বিষয়ে মতামত উঠে আসে। সব ধরনের ব্লকের গুণগত মান বজায় রাখতে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) এবং বিএসটিআই-এর সহযোগিতায় জাতীয় মানমাত্রা নির্ধারণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি, নির্মাণ খাতের বিশেষজ্ঞ এবং ব্লক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু।
এর আগে মন্ত্রণালয়ে সচিবের সভাপতিত্বে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
#
দীপংকর/মেহেদী/পবন/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২০১০ঘণ্টা
Handot Number: 2569
Government Plans to Boost Block Usage in
Construction to Cap Air Pollution and Save Farmland
---Syeda Rizwana Hasan
Dhaka, 2 February:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest, and Climate Change, and the Ministry of Water Resources, stated that increasing the use of blocks in government construction projects will not only reduce air pollution but also help preserve agricultural land. She emphasized that this is a significant step toward sustainable development and requires collective efforts from all stakeholders.
A consultation meeting was held at the conference room of the Ministry in the Bangladesh Secretariat in Dhaka today. The meeting focused on strategies to increase the use of blocks in public construction to mitigate air pollution and protect agricultural land. Adilur Rahman Khan, Advisor to the Ministry of Housing and Public Works, and the Ministry of Industries, was also present as a special guest.
Syeda Rizwana Hasan remarked, the use of blocks is not only environmentally friendly but also enhances the efficiency and sustainability of the construction sector. We are committed to coordinating with all relevant ministries and stakeholders to achieve this goal.
She added, This initiative marks a groundbreaking step in environmental conservation and sustainable development. We are dedicated to implementing this plan in collaboration with all concerned departments.
The meeting discussed various policy supports to boost block production and usage. Key proposals included exempting blocks from VAT, reducing customs duties and taxes, and lowering import duties on machinery used for block production.
Additionally, the meeting highlighted the need to update the rate schedules of relevant organizations, such as LGED, the Department of Public Works, City Corporations, and Municipalities, to ensure the use of blocks in development projects.
To maintain the quality of all types of blocks, the meeting emphasized the importance of setting national standards with the assistance of the Housing and Building Research Institute (HBRI) and the Bangladesh Standards and Testing Institution (BSTI).
The meeting was chaired by Dr. Farhina Ahmed, Secretary of the Ministry of Environment, Forest, and Climate Change. Attendees included Additional Secretary Tapan Kumar Biswas, Director General of the Department of Environment Dr. Md. Kamruzzaman, representatives from various ministries and departments, construction sector experts, and block manufacturing companies. The keynote presentation was delivered by Siddharth Shankar Kundu, Deputy Secretary of the Pollution Control Wing at the Ministry of Environment.
Earlier, a meeting chaired by the Secretary discussed the implementation of a cleanliness program on Saint Martin’s Island. It was preliminarily decided to conduct a cleanliness drive on the island in the second week of February, involving local volunteers, students, and representatives from various organizations.
#
Dipankar/Mehedi/Paban/Sanjib/Abbas/2025/1924 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৬৮
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে জলাশয় এবং সবুজকে বাঁচানো ছাড়া বিকল্প নেই
---পানি সম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হলে ঢাকার জলাশয় বাঁচানো এবং সবুজকে বাঁচানো ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, জলাশয় না বাঁচলে ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না। সত্যিকার অর্থেই ঢাকার খালগুলোকে দূষণমুক্ত করা গেলে এগুলো বাফার জোন হিসেবে কাজ করবে।
আজ বিশ্ব জলাভূমি দিবসকে উপলক্ষ্য করে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘রি-ওয়েট ঢাকা’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ঢাকা শহরের ১৯টি খালকে দখল-দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। দুঃখজনক বিষয় হলো, ৫৩ বছরেও এই শহরে কার্যকর স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। খালগুলো মারাত্মকভাবে দূষিত হয়েছে। মরে যাওয়া খাল খনন করতে গেলে সেখানে তোষক-বালিশ বা প্লেট-বালতি পাওয়া যায়। এক-দেড় বছরে আমরা এই সামগ্রিক চিত্র বদলাতে পারব না, তবে সমাধানের পথ দেখাতে পারব। স্থানীয় জনসাধারণের সম্পৃক্ততা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেক বা খালের পাড়ে শাকসবজির আবাদ করা হলে যেমন সেখানকার পরিবেশ ভালো থাকবে, তেমনি তা খাদ্যের চাহিদাও অনেকাংশে মেটাবে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সকলকে আন্তরিক অভিবাদন জানিয়ে বলেন, আপনাদের আসলে কর্মী নয়, নেতৃত্বের অবস্থানে আসতে হবে। তিনি বলেন, রাজউককে ধন্যবাদ দেই যে রাজউক এই প্রথমবারের মতো একটি বিল উদ্ধার করার কাজ হাতে নিয়েছে। বিলটা ৯ একরের মতো। বিলটাকে ভরাট করে একটা হাউজিং কোম্পানি প্লট বিক্রি করছে যেটি কেরানীগঞ্জে। রাজউক এই প্রথমবারের মতো বিলটাকে উদ্ধারের কাজ হাতে নিয়েছে। যেটুকুন সময় আছে এটুকুনের মধ্যে কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার চেষ্টা করব। উপদেষ্টা আরো বলেন, ভ্রান্ত অর্থনৈতিক যুক্তি দিয়ে আমাদেরকে আমাদের রাস্তা থেকে যেন সরাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক বাধা আসবে সেগুলো আমরা একসাথে মিলে প্রতিরোধ করব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রি-ওয়েট প্রকল্পের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, সুইডেনের দূতাবাসের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রথম সচিব নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, সাংবাদিক ইফতেখার মাহমুদ এবং ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা এ এস এম মারজান নূর।
রি-ওয়েট প্রকল্পে আরো সহযোগিতা করেছে রিভার্সিং এনভায়রনমেন্টাল ডিগ্রেডেশন ইন আফ্রিকা অ্যান্ড এশিয়া (রিডা), ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইইডি) এবং ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট। কনসোর্টিয়াম মেম্বার হিসেবে আরো রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড, শেফিল্ড হ্যালাম ইউনিভার্সিটি, স্মিথ কলেজ, নগর আবাদ, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন।
উল্লেখ্য যে, 'রি-ওয়েট' মূলত যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে তৈরি একটি গবেষণাভিত্তিক উদ্যোগ, যা ইউনিভার্সিটি অভ্ শেফিল্ড এবং বাংলাদেশের রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ কনসালট্যান্টস-এর নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এর আওতায় ঢাকার গুলশান-বনানী লেকের একটি অংশ পুনরুদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
#
মামুন/মেহেদী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৬৭
রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না
--- বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ ঢাকার একটি হোটেলে খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম : বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান শীর্ষক পলিসি কনক্লেভ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, দেশে আমদানি ব্যবস্থা ও মজুত যথেষ্ট আছে। ইনশাআল্লাহ রমজান উপলক্ষ্যে কোনো সমস্যা হবে না। তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের কোনো সংকট বাজারে নেই।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম দেখি দেশের বাজারে তাতে দাম কমার কথা। দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক মূল্য কী হতে পারে তা নিয়ে আজ অনেক আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো কীভাবে কর্মে পরিণত করা যায় তা নিয়ে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। ভোক্তাকে প্রকৃত সাহায্য করার জন্য নীতি প্রণয়ন দরকার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাজারের সঠিক প্র্যাকটিস নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, আছে ব্যবসায়ী পরিসর বৃদ্ধি করার জন্য টিসিবি। সর্বোপরি, বাজারকে ভোক্তার জন্য সহনীয় করতে ট্যারিফ কমিশন এবং এনবিআর কাজ করছে। এ সময় তিনি স্থানীয় উৎপাদক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের বাজারকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বছরে ৫-৬ লাখ টন রাইস ব্র্যান অয়েল ভারতে চলে যেত। রাইস ব্রান অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আমরা এটার রপ্তানি কঠিন করে দিয়েছি। অলরেডি ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স ইম্পোজ করা হয়েছে। এই তেল বাজারে আসলে বর্তমানের চেয়ে তেলের বাজার আরো স্থিতিশীল হবে। বোতল তেল ও খোলা তেলের ভেতর কোনো পার্থক্য নেই, একমাত্র পার্থক্য দাম বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিযোগিতা কমিশনকে স্বাধীন করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমাদের নীতিগুলো ধনিক শ্রেণির সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে, সাধারণ মানুষের জন্য নয়। গত ১৫ বছরে দেশে বড় কোনো বিনিয়োগ হয়নি, ফলে কর্মসংস্থানও বাড়েনি। বিনিয়োগ না বাড়লে ট্যাক্স কালেকশন কীভাবে বাড়বে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ব্যাংকগুলোকে অপরাধ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক, টিসিবি ধ্বংস করা হয়েছে। টিসিবির তালিকায় ৪৩ লাখ ভুয়া উপকারভোগী পাওয়া গেছে, যা আরো যাচাই করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুর রহিম খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক সার্জিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সমন্বক উমামা ফাতেমা বক্তৃতা করেন।
#
কামাল/মেহেদী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫৬৬
ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শেষ হচ্ছে ৩ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা, ১৯ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি):
ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ শেষ হচ্ছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৮ বা তার পূর্বে কিন্তু কোনো কারণে তথ্য সংগ্রহকারীর মাধ্যমে ফরম-২ পূরণ করতে পারেননি; তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে (ছবি তোলার কেন্দ্র) উপস্থিত হয়ে সরাসরি ফরম-২ পূরণপূর্বক ছবি ও আঙুলে ছাপ প্রদান করে ভোটার হতে পারবেন। এছাড়া তারা অনলাইনে (www.nidw.gov.bd) ফরম-২ পূরণ করে ডাউনলোডকৃত কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিজ এলাকার জন্য নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে ছবি ও আঙুলে ছাপ প্রদান করে ভোটার হতে পারবেন।