তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৭
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেলপথ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
ভারতের রেলপথ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ভারতে ৬ দিনের সরকারি সফরে ভারতের রেলপথ মন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম-সহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, পশ্চিম অঞ্চলের জিএম-সহ ৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় ভারতের রেলপথ মন্ত্রী পিযুশ গোয়াল ও প্রতিমন্ত্রী সুরেশ আংগাদি-সহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-সহ ভারতের রেলের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ভারতের লাইন অভ্ ক্রেডিট (এলসি) কার্যক্রমের আওতায় চলমান প্রকল্পগুলো সময় ও গুণগত মান অনুযায়ী বাস্তবায়নে ভারতীয় রেলমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। তিনি বাংলাদেশকে দশটি ব্রডগেজ ও দশটি মিটার গেজ লোকোমেটিভ প্রদান এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভারতের সহায়তা চান। চট্টগ্রামস্থ রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমির কারিকুলাম ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মান উন্নয়ন, বাংলাদেশ রেলওয়ে সেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ রেলওয়ে কারখানাগুলোর মান উন্নয়নে ভারত সরকারের সহায়তা কামনা করেন মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাতায়াতের সময় কমানো ও ট্রিপ বাড়ানো, খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেসের কোচ সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন দু’দেশের রেলপথ মন্ত্রীদ্বয়।
ভারতের রেলপথ মন্ত্রী বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রীকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার মান উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আলোচনার ভিত্তিতে চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও অন্যান্য বিষয় সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে একটি কার্যপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
সফরকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলটি ভারতের বিদ্যমান রেল ব্যবস্থাপনা, ক্যাটারিং সার্ভিস, টিকিট বিক্রি কার্যক্রম-সহ বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করে।
#
শরিফুল/ইসরাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৬
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে সরকার
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মকভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করছে। আজ ছুটির দিনেও আমরা সকলে কাজ করছি। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সারা বছর কাজ করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি নাগরিকরা যদি তাদের বাসা ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেন তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে।
আজ রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এডিস মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন গলি, দোকানপাট, বসতবাড়ির আঙিনা ও ছাদ পরিদর্শন, মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ এবং সিটি কর্পোরেশনের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে মন্ত্রী ও মেয়রের উপস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আমদানিকৃত নতুন কীটনাশক ম্যালাথিয়ন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির ব্যবহার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন, যুগ্মসচিব সোহরাব হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
হাসান/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৫
বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় করেই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় করেই বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জটি সরকার সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রে সফল প্রয়োগ জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা আরো জোরদার করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় কাওরান বাজারে পেট্রোবাংলা ভবনে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেল অয়েল থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র (তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ) ক্রয় করে দেশের জ্বালানি খাতকে সুসংহত করেন। দেশের মোট গ্যাস উৎপাদনের ৩৫ শতাংশ গ্যাস এখনও এই ৫টি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত হয়। তিনি জ্বালানি খাতে কর্মরত কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আগামী দিনের জ্বালানি অর্থনীতির কাঠামো বিবেচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। প্রতিমন্ত্রী এ সময় প্রযুক্তি অন্বেষণ করে দেশীয় কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। পরিশেষে তিনি ঈদের ছুটিতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ পারভেজ। মূল প্রবন্ধের ওপর প্যানেল বক্তব্যে স্রেডা (SREDA) এর সদস্য অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিক জোবাইর জ্বালানি সাশ্রয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, জ্বালানি পরিকল্পনার সাথে জ্বালানির ভৌত উপাদান, পরিবেশ ও আর্থিক বিষয়াবলীর সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। প্যানেল বক্তব্যে এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও কয়লা উত্তোলনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মোঃ শহিদুজ্জামান সরকার, বিপিসির চেয়ারম্যান সামছুর রহমান ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/ইসরাত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৪
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৩
সড়কে পশু কেনা-বেচা করলে মোবাইল কোর্ট
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
মূল হাটের বাইরে রাস্তায় পশু কেনা-বেচা করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমৈ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলক্ষ্যে সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ‘নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকরণ প্রস্তুতি’ সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা থেকে যানবাহন ছেড়ে যাওয়ার রুটসহ (যেমন : যাত্রাবাড়ি, মাতুয়াইল, গাবতলী, মহাখালী, টঙ্গী, আশুলিয়া, চন্দ্রা ইত্যাদি) দেশের সকল সড়ক ও মহাসড়কে কোনক্রমেই পশুর হাট বসানো যাবে না বলে সভা থেকে নির্দেশ দেয়া হয়।
মন্ত্রী সকল সিটি কর্পোরেশনকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট ও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ কায©ক্রম সফলভাবে পরিচালনা জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। যত্রতত্র অথবা সড়কে পশু কোরবানি যাতে না হয়, সে বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচারণা কায©ক্রম গ্রহণ করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
এডিস মশা যাতে যানবাহনের মাধ্যমে ঢাকার বাইরে ছড়াতে না পারে সেলক্ষ্যে ঢাকা ছাড়ার প্রাক্কালে সকল যানবাহনে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন।
#
পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৩৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭২
সমুদ্রবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত নামাতে বলা হয়েছে
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের আজ দুপুর ২টার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ ৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস : ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস : খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দেশের সব নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ২৮ হাজার ৬৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার কার্টন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে।
#
কাদের/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭১
ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় পদক্ষেপ
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটির মাঝেও সারা দেশের গ্রাম পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো খোলা থাকবে। ঈদের দিন ছাড়া আজ ৯ আগস্ট থেকে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সরকার দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যারা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলো মশা নিধন কর্মসূচি প্রতিদিনই অব্যাহত রাখবে। ঈদের ছুটির সময় যেন অফিস বা তার চারপাশে কোন পানি জমে না থাকে সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে এডিস ও লার্ভা নিধন কায©ক্রম নিয়মিত তদারকি করতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও স্কুল কলেজসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অফিস খোলা রেখে ঈদের ছুটির দিনগুলোতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া ডেঙ্গু সংক্রান্ত সহায়তা ২৪ ঘণ্টা পাওয়ার জন্য নীচের হটলাইনগুলো খোলা থাকবেঃ
০১৩১৪-৭৬৬০৬৯/০১৩১৪-৭৬৬০৭০, ০২-৪৭১২০৫৫৬/০২-৪৭১২০৫৫৭,
ই-মেইল : ministermonitoringcell@gmail.com;
হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার : ০১৭৫৯১১৪৪৮৮;
#
পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১৩৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭০
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
কোরবানিকৃত পশুর রক্ত, নাড়িভূড়ি, গোবর, চামড়া ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে অপসারণ না করলে চারদিকে দূর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে। নর্দমায় এসমস্ত বর্জ্য ফেললে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে মানুষকে আক্রান্ত করে। প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বর্জ্যের চাপে ড্রেন বা নর্দমা বন্ধ হয়ে যাবার আশংকা থাকে। আবার অল্প বৃষ্টিতে নর্দমা আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।
সচেতনতার অভাবে জবাইকৃত পশুর রক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় অংশ নর্দমাসহ যেখানে সেখানে ফেলার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই বিস্তারসহ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে। এ পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কোরবানি সময় শহর থেকে গ্রামের সর্বত্র সকলকে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
সরকার নির্ধারিত স্থানে ও পরিস্কার জায়গায় পশু কোরবানি দিতে হবে। রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে। মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ মাটিচাপা দিতে হবে। বর্জ্য অপসারণ এবং মাংস বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ ব্যবহার করাই উত্তম। পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্য ও অন্যান্য উচ্ছিষ্ট যেখানে সেখানে না ফেলে ব্যাগে করে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে।
নাড়িভূড়ি বা এ জাতীয় বর্জ্য কোনভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা ঠিক নয়। নিজের ইচ্ছেমতো যত্রতত্র কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন মিলে একইস্থানে কোরবানি দিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা হয়। জীবাণু যাতে না ছড়ায় তার জন্য কোরবানির স্থানে ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক ছড়িয়ে দিতে হবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোরবানির দিনে সকলের সুস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে।
#
পরীক্ষিৎ/আসমা/২০১৯/১২৪৫ ঘণ্টা