তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৭
সরকার সৎ ও দক্ষ সমবায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে
-- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
রংপুর, ৩০ ভাদ্র (১৪ সেপ্টেম্বর) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বর্তমান সরকার সৎ ও দক্ষ সমবায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। অসৎ ও মতলববাজ সমবায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর মহানগরের আলমনগরে রংপুর ড্রাগ কেমিক্যাল কোঅপারেটিভ সোসাইটি (আরডিসিসিএস) লিমিটেড পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমবায় আন্দোলনকে বিকশিত করতে হবে। ইতিমধ্যে সরকার সমবায়ীদের কল্যাণে যুগোপযোগী সমবায় আইন প্রণয়ন কাজ শুরু করেছে। এ আইন প্রণীত হলে সমবায়ের নামে কেউ সমবায়ীদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। তিনি সমবায়ীদেরকে সরকারের চলমান সমবায় আন্দোলনকে গতিশীল করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
#
আহসান/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৬
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে
---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ ভাদ্র (১৪ সেপ্টেম্বর) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশে হিজড়া নামধারী আমাদেরই কিছু ভাই বোন অবহেলিত থাকবে, তা হতে পারে না। মন্ত্রী আজ সকালে ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে হিজড়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
হিজড়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উত্তরাধিকার আইন, মৃত হিজড়াদের সৎকারে সামাজিক বাধা, বিদেশ গমনে সমস্যা, স্কুল কলেজে ভর্তিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিজড়াদের জীবনমান উন্নয়ন জনগোষ্ঠীর প্রকল্প পরিচালককে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী হিজড়াদের নানা অসঙ্গতির কথা শোনেন। পরে হিজড়াদের জন্য আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ যুক্তিসঙ্গত সকল দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন হিজড়া জীবনমান উন্নয়ন জনগোষ্ঠীর প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এটিএম নাসির মিয়া, হিজড়া সম্প্রদায়ের গুরু মা ববি হিজড়া, আয়শা হিজড়া, লতা হিজড়াসহ অন্যান্য এলাকা থেকে আগত হিজড়া নেতৃবৃন্দ।
#
মাইদুল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮৩৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৫
জাতীয় লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে
---- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ ভাদ্র (১৪ সেপ্টেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যের অবসান ঘটিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে লক্ষ্য অর্জনে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তÍুত করতে তাদেরকে যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ’এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৮ : কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ( ডিআরইউ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী ডিআরইউ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে সংবর্ধনা পেয়েছেন তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন এবং তারা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে ও দক্ষতায় নিজেদের বিকশিত করে দেশের সেবায় কাজ করবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আধুনিক ও দক্ষ নাগরিক তৈরির পাশাপাশি আমরা ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, গত ৯ বছরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বিদ্যুৎ ও খাদ্য উৎপাদনসহ দেশে সর্বক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, এত অল্প সময়ে এ পরিবর্তন পৃথিবীর কোনো দেশে হয়নি। বাংলাদেশ এখন সকল ক্ষেত্রে ভাল’র উদাহরণ। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার মান আরো বাড়াতে হবে। এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। মান বাড়ানো এখন সারা দুনিয়ার চ্যালেঞ্জ। আমরা সে কাজটাই করছি।
ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সা ধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী এবং সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত তাবাসসুম মোস্তফা অথৈ এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আতিয়া ফাইরুজ চৌধুরী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসএসসিতে ১৭ জন এবং এইচএসসিতে ৬ জন সর্বমোট ২৩ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বৃত্তি প্রদান করা হয়। এরা সবাই ডিআরইউ সদস্যদের সন্তান।
#
আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৩৪
‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ এর ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩০ ভাদ্র (১৪ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ এর ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ এর ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতির পিতা ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সাম্য, স¦াধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাঁর অতুলনীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতিকে স¦াধীনতা সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করে। তাঁর নির্দেশে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স¦াধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন করেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক কমিটি জাতির পিতার কর্মের স¦ীকৃতিপত্রে এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে তাঁর অবদানের স¦ীকৃতিস¦রূপ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তাঁকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে। এটি ছিল বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের আন্তর্জাতিক স¦ীকৃতি। বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।
জাতির পিতা ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ এবং ‘সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আমরা সরকার গঠন করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সব সময় জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেছি। আমরা শান্তির জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি।
আমি আশা করি, ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’-এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ অর্জনের জাতীয় ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও গণমানুষের কাছে তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
আমি ‘ জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ’ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৪৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/পারভেজ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/আব্বাস/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা