তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৬৭৫

 

দুর্নীতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করেছে 

                                --- আইনমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি) :

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশে আর দুর্নীতি হতে দেওয়া যায় না। কারণ দুর্নীতি মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে আঘাত করেছে। দুর্নীতি দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করেছে। দুর্নীতি সামাজিক অবক্ষয় ও সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।  তাই যে কোনো মূল্যে দুর্নীতি দমন করতে হবে।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও নেতৃত্বের সাফল্য’ শীর্ষক এক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে মূলত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যার পর থেকে দুর্নীতির ডালপালা মেলতে শুরু করে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে দেশে দুর্নীতের মাত্রা চরম আকার ধারণ করে। ফলে বিশ^ব্যাপী বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত হয়। ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সরকারের দায়িত্ব পেলে তিনি এই দুর্নাম ঘোচানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। দুর্নীতি বিরোধী অস্ত্র নামে খ্যাত তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেন। এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প গ্রহণ করেন। জনগণকে অল্প সময়ে, সহজে ও অল্প ব্যয়ে নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিকভাবে স¦াবলম্বী করার জন্য তাদের বেতন-ভাতা প্রায় দিগুণহারে বাড়িয়ে দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে সক্রিয় করান এবং দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখী দাঁড় করান। তার সরকারের এরকম বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে দুর্নীতির পথগুলো ক্রমান্বয়ে সংকোচিত হচ্ছে এবং দুর্নীতির পরিমাণ  হ্রাস পাচ্ছে। বিশে^ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।  

মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সর্বক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে কারণ সবকিছু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি এমনিতেই কমতে থাকবে। তাই সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো যাতে তাদের সবকিছু ডিজিটাইজড করে সে ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনেরও দৃষ্টি দেওয়া উচিত। 

দুর্নীতি দমনে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জনগণকে আরো সচেতন করতে হবে এবং এ আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ এ আইন অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্তরে স্বচ্ছতা আনয়ন, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও  দুর্নীতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

ফোরামের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাবেক সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন, কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ বক্তৃতা করেন।  

#

 

রেজাউল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৩৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৬৭৪

 

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে রয়েছে সর্বাধিক সম্ভাবনা

                                        --- কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি) :

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনধারায় নানা পরিবর্তন আসছে। খাদ্যাভ্যাসও বদলে যাচ্ছে ক্রমেই। বাংলাদেশের খাদ্য সংশ্লিষ্ট কৃষিজ পণ্যের অবস্থা ভালো। পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সম্ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের যথাযথ বিকাশ না হওয়ায় কৃষিপণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের রয়েছে সর্বাধিক সম্ভাবনা। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প কৃষি উৎপাদনের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল, যেহেতু তার কাঁচামাল মূলত কৃষিজাত পণ্য। এ কারণে এই শিল্পকে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। যার মধ্যে রয়েছে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং মৌসুমভিত্তিক ফসল উৎপাদন। 

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) ও বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজি স্টোক হোল্ডার’স মিটিংয়ে এসব কথা বলেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি, আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং জনগণের আরো পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প দেশের বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং রফতানির ভিত্তিতে নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। কৃষক যে ফসলে ভালো দাম পাবে সেই ফসলই ফলাবে।

#

 

গিয়াস/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৬৭৩

 

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৫ ফাল্গুন (১৭ ফেব্রুয়ারি) :

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চেীধুরী বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মমতাজউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আজ এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজ বগুড়ায় জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

#

 

জাহাঙ্গীর/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/১৯১০ঘণ্টা