তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০৯
৭-২৮ অক্টোবর প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সকল মাছধরা নিষিদ্ধ
ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :
ইলিশসম্পদ সংরক্ষণে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম অর্থাৎ আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর -২০১৮ পর্যন্ত মোট ২২ দিন প্রজনন ক্ষেত্রের ৭০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়বিক্রয় সরকার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আজ ঢাকায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এতে সভাপতিত্ব করেন।
প্রজনন ক্ষেত্রসমূহ হচ্ছে - মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গ-ামার পয়েন্ট।
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ¥ীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীতে এ সময় সকল প্রকার মাছধরা বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাসমূহেও এই ২২ দিন মাছধরা বন্ধ থাকবে। দেশের মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২২ দিন অভিযান পরিচালিত হবে।
মন্ত্রী জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য সমিতি, সধারণ জনগণসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের এসময় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান।
সভায় মৎস্য সচিব রইছউল আলম ম-ল, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ইয়াহিয়া মাহমুদ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি যথাক্রমে ইসলাম আলী ও ফনী ভূষণ মালো এবং নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহ আলম/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০৮
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার
---যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেছেন কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত যুব সমাজ খুব সহজেই দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যেতে পারে। টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। তাই কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জুরাইনে শেখ কামাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং ইউএনডিপি’র যৌথ আয়োজনে ‘কর্মমুখী শিক্ষা-সমৃদ্ধির দীক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়। স্বপ্নবিহীন জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পারে না। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুব সমাজকে টার্গেট করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের ভিত্তিতে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের পরিকল্পনায় কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং নজরুল ইসলাম বাবু বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০৬
দেশের উন্নয়ন বার্তা জনগণের কাছে তুলে ধরার আহ্বান স্পিকারের
পীরগঞ্জ, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের সাফল্যগাঁথা’ এখন বিদেশিদের গবেষণার বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দেশের উন্নয়ন বার্তা জনগণের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
স্পিকার আজ পীরগঞ্জের ৩নং বড়দরগাহ ও ২নং ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত উন্নয়নমূলক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ আজ সকল ক্ষেত্র উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে গত নির্বাচনে দেওয়া অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়ন করেছে। রাস্তাঘাট, কালভার্ট-ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ পীরগঞ্জের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। দেশে এখন ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃণমূলের শিক্ষার্থীরাও আজ বৈদ্যুতিক আলোয় লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে।
এর আগে স্পিকার রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসুস্থ মেহেদী হাসান রনিকে হাসপাতালে দেখতে যান। পরে তিনি বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নমূলক পথসভায় বক্তব্য রাখেন এবং স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করেন।
#
তারিক/সেলিম/সঞ্জীব/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৭৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০৭
অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা
---পরিকল্পনামন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে বিটুমিনের সড়ক টিকবে না। পানি বিটুমিনের শত্রু। পানির সাথেই আমাদের সবসময় বসবাস। আমাদের ২০ বছর মেয়াদি কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করতে হবে। প্রথম ১০ বছর কংক্রিট সড়কে হাতই দিতে হবে না। খরচের বিষয়ে প্রথম দিকে কংক্রিটের রাস্তায় খরচ বেশি পড়তে পারে কিন্তু টেকসই হিসেবে সেই খরচ বিটুমিনের চেয়ে অনেক কম হবে এবং মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসবে। যেসব জায়গায় ওভারপাস বা আন্ডারপাস দরকার সেসব জায়গাতে এগুলো তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী আজ শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশে মানসম্মত সড়ক অবকাঠামো বিনির্মাণ : সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, এর ভিতর দিয়েই কাজ করতে হবে। সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে দেশকে নিয়ে যেতে হবে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের অবকাঠামোও নেই, ভৌত এবং অভৌত দু’টি অবকাঠামোতেই আমাদের দুর্বলতা রয়েছে, এগুলোও আরো উন্নয়ন করতে হবে। জনগণকে প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত করতে হবে, যাদের জন্য প্রকল্প তাদেরকে অধিকহারে সংযুক্ত করতে না পারলে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে আগামী ৫ বছরের পর সিঙ্গাপুর ও দুবাইকে পিছনে ফেলবে বা ংলাদেশ । তবে আগে দেশের সড়ক ঠিক করতে হবে। কেননা একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার পূর্বশর্ত হলো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, সওজ’র প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, গবেষক কলামিস্ট আবুল মকসুদ, বুয়েট অধ্যাপক শামসুল হক এবং নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
#
তৌহিদুল/সেলিম/সঞ্জীব/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৮৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০৫
জাতীয় গণমাধ্যম এর উদ্যোগে আজ থেকে ৪ সপ্তাহব্যাপী ‘বেতার ও টেলিভিশন সংবাদ রিপোর্টিং’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ পাঠ্যধারা শুরু হয়েছে। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান এ পাঠ্যধারার উদ্বোধন করেন।
পাঠ্যধারাটিতে বাংলাদেশ বেতারের ৭ জন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২ জন ও ১২ জন ফ্রিল্যান্সসহ মোট ২১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ বাংলাদেশের অভ্যূদয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ, এসডিজি, সপ্তম-পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, তথ্য অধিকার আইন, বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়া, সংবাদ, সংবাদ সম্পাদনা, সংবাদ ব্যবস্থাপনা, সংবাদের রিপোর্ট প্রস্তুত, প্রেস রিলিজ, বিভিন্ন প্রকার রিপোর্টিং, সাক্ষাৎকার, অনলাইন রিপোর্টিং ইত্যাদি বিষয়ে তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের হাতেকলমে পাঠদানের মাধ্যমে সংবাদ রিপোর্টের কলাকৌশল ও পেশাগত বিষয়ে পারদর্শী করে গড়ে তোলাই এ পাঠ্যধারার মূল লক্ষ্য।