Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জুন ২০১৮

তথ্যবিবরণী 22/6/2018

 

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর :  ১৮০০

বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের নাম জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে
                                                                -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং যারা এ হত্যাকা-ে ষড়যন্ত্র করেছেন তাদের সকলের নাম জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের ওপর রচিত গল্প ‘মহামানবের দেশে’ অবলম্বনে নির্মিত কাহিনী চিত্র ‘সেদিন শ্রাবণের মেঘ ছিল’ ও  ‘জনক ১৯৭৫’ এর প্রিমিয়াম শো ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা বাংলাদেশকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তার স্বপ্ন, তার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ  আইনের মাধ্যমে খুনিদের বিচার করেছেন। তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণ করছেন। সোনার বাঙলা গড়ছেন। সবাইকে জাতির পিতার আদর্শ লালন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে সহযোগিতা করতে হবে। 

সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক 
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সংসদ সদস্য  মাহামুদুর রহমান বেলায়েত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের 
সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, সামিয়া রহমান, এফবিসিসিআই’র পরিচালক ড. মোহাম্মদ  ফারুক, স্থপতি জিয়াউল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জহির উদ্দিন মাহমুদ লিটন, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, অভিনেতা শহিদুল ইসলাম সাচ্চু প্রমুখ। 

#

রেজাউল/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২২৫০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ১৭৯৯

কৃষিতে আরো গবেষণা ও বিনিয়োগ প্রয়োজন
                                               -- অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশে কৃষি উৎপাদন অনেক বেড়েছে কিন্তু এখনও তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। তিনি কৃষি উৎপাদন আরো বৃদ্ধির জন্য গবেষণা ও বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

অর্থমন্ত্রী আজ ঢাকায় কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত “২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা” বিষয়ক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, এদেশের কৃষকেরা অত্যন্ত দক্ষ। তারা অভিজ্ঞতার আলোকে কৃষি উৎপাদন অনেক বাড়িয়েছে। আগে একবার ফসল হতো, এখন তিনবার ফসল হয়। তিনি আরো বলেন, দেশে ভুট্টার উৎপাদন বেশ বেড়েছে,  কিন্তু আবহাওয়ার সমস্যার কারণে গমের উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না।

কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ এমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার ম-ল এবং সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক এম কামরুজ্জামান।

#

শাহেদ/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৫০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ১৭৯৮

জাতীয় স্বার্থে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে
                                               -- ত্রাণ মন্ত্রী

মতলব উত্তর (চাঁদপুর), ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় স্বার্থে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। 

মন্ত্রী আজ মতলব উত্তরের নিজ বাসভবনে মতলব উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। মতলব উত্তর ও দক্ষিণের উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। হয়তো সবাই সমভাবে মূল্যায়িত নাও হতে পারেন। তাই বলে নিজেদের মধ্যে দলাদলি, রেষারেষি করে নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকা বা বিরোধী দলকে সুযোগ করে দেওয়া যাবে না। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দলীয় নেতৃবৃন্দ, নির্বাচিত চেয়ারমান ও মেম্বারদের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সরকার অনেক কাজ করেছে, সরকারের অনেক অর্জন রয়েছে। কেউ যাতে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে এ বিষয়ে 
নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

#

দেওয়ান/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৪০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৭৯৭
 
আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের অগণিত নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এদিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ সকল নেতৃবৃন্দকে। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে। আমি স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ স¦াধিকার আন্দোলন, স¦াধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে শহিদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের - যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ গণমানুষের এক বিশাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
বাঙালি জাতির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখ-ে যা কিছু বিশাল অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আত্মপরিচয়ের সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৫২’র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২’র আইয়ুবের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪’র দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের মাটি ও মানুষের দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে মহান স¦াধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক এবং মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানের সুমহান গৌরব । ১৯৭০’র নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগের পক্ষে নিরঙ্কুশ রায় দেয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১’র ৭ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা ঘোষণা করেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স¦াধীনতার সংগ্রাম’’।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যা। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধামে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স¦াধীনতার ঘোষণা দেন।
১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন¦য়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স¦প্নের ফসল-স¦াধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সদ্য স¦াধীন, যুদ্ধবিধ্বস্ত  বাংলাদেশকে যখন জাতির পিতা তাঁর স¦প্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরের সংগ্রামে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তখনই ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩রা নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং স¦াধীনতাবিরোধী চক্র ও অবৈধ সেনাশাসকদের নির্যাতন আর নিপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় জনগণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। কিন্তু কোন অপচেষ্টা কখনই সফল হয়নি। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা জীবন দিয়ে সকল প্রতিকূলতা, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে, শক্তিশালী করেছে। 
গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্র্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে রাষ্ট্র্র পরিচালনা করে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারই খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স¦াক্ষরিত হয়। কারও মধ্যস্থতা ছাড়াই স¦াক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। আওয়ামী লীগের এই পাঁচ বছরের শাসনামল ছিল জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ¦ল সময়।
চলমান পাতা-২
পাতা-২
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গত সাড়ে ৯ বছরে দেশের কৃষি, স¦াস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি খাতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার কমে এখন ২২ শতাংশ। মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫২ মার্কিন ডলার। রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।  ৫ কোটির বেশি মানুষ নি¤œ আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দেশ খাদ্যে স¦য়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। ৬৭ লাখ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা পাচ্ছেন। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। স¦াস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায়। মানুষ বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ঔষধ পাচ্ছেন। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর। সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, পাতাল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেল, নৌ ও যোগাযোগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে। আমরা নিজস¦ অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে  ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ বিজয় করেছে বাংলাদেশ। ফলে এক অনন্য উচ্চতায় আজ বাংলাদেশ।
আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছি। ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করছি। বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। আমরা ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমারও শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আজ আত্মপ্রত্যয়ী, বিশ্বে উন্নয়ন বিস্ময়। জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে সর্বত্রই বাংলাদেশ গর্বিত অবস্থান প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। কোন অশুভ শক্তি এদেশে বিস্তার লাভ করতে পারবে না। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সফলকাম হয়েছি। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের স্থান বাংলাদেশে হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন-গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী সকল অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, এদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ অতীতের মতো সকল অপশক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করবে।
বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার স¦প্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ও আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।
                                                                                              জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
                      বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০৫ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :১৭৯৬ 
আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ২৩ জুন ২০১৮ ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'ঞৎধহংভড়ৎসরহম এড়াবৎহধহপব ঃড় জবধষরংব ঃযব ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং'  অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান সরকার স¦চ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কর্মকা-ে বিশ্বাসী। জনপ্রশাসনকে জনমুখী ও সেবাবান্ধব করার জন্য সরকার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকারের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে নির্বাহী বিভাগ তথা জনপ্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ডিজিটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সরকারি কাজে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই করার জন্য কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, বিদ্যমান সেবার সহজীকরণ, ‘রূপকল্প ২০২১’  ও ‘রূপকল্প  ২০৪১’ বাস্তবায়নে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 
সর্বোচ্চ ত্যাগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করাই সিভিল সার্ভিস সদস্যগণের মূল দায়িত্ব। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কর্মচারী সম্পর্কে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই।’ বর্তমান সরকার সরকারি কর্মচারীদের পেশাগত উৎকর্ষ লাভের লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ করে দেশের সর্বসাধারণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের ভালো কাজের স¦ীকৃতি ও প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রবর্তন করেছি। 
আমি আশা করি, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি কর্মচারীগণ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করবেন।
আমি ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০১৮’ এর সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
   বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৭৯৫

 

আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :   

 

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

 

          ''আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত সকল কর্মচারীকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

          বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।” এ জন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সব সময় সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সরকারি সেবাসহ সকল ন্যায্য অধিকার পায় তা নিশ্চিত করতে সিভিল সার্ভিসের প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব সময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।

          দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের রয়েছে নিবিড় সংযোগ। একটি প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র গঠনে বর্তমান সরকার রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে সরকারের বহুমুখী পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দকে সততা, দক্ষতা ও সর্বোপরি পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

          বিশ্বায়নের এই যুগে জনসাধারণের চাহিদা ও সেবার ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। কেবল যুগোপযোগী, মানসম্পন্ন ও পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে সংগতি রেখে চলা জনপ্রশাসনই জনগণকে দ্রুততর কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে সক্ষম। আমি আশা করি, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভালো কাজের স্বীকৃতি প্রদানে ‘সিভিল সার্ভিস পদক’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রবর্তনের উদ্যোগ এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে আরও বেশি আন্তরিক হবেন, আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে এ প্রত্যাশা করি।

          আমি আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০১৮ উদ্‌যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।

          খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"

#

ইমরানুল/মাহমুদ/মোশারফ/আববাস/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা  

Todays handout (4).docx