Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ August ২০১৫

তথ্যবিবরণী ০৭/০৮/১৫

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১৯২

 

মংলা-ঘষিয়াখালী নদীখনন সম্পন্ন হলে আঞ্চলিক অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে

                                                     -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

মংলা (বাগেরহাট), ২৩ শ্রাবণ (আগস্ট ৭) :

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মংলা-ঘষিয়াখালী নদীখনন সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে। ইতোমধ্যে চ্যানেলটির ৭২ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অচিরেই বাকি কাজ শেষ হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ বাগেরহাট জেলার মংলা-ঘষিয়াখালী নদীখনন কাজ পরিদর্শন শেষে রামপাল খেয়াঘাটে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ চ্যানেল খননে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। চ্যানেলটির খননকাজ সম্পন্ন হলে এটি আন্তর্জাতিকমানের নৌপথ হবে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে মংলাবন্দর এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মংলা ও রামপালের ৮২টি খাল পর্যায়ক্রমে খনন করা হবে। এছাড়া, তিনি দখলকৃত খালগুলো উদ্ধার করা এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন।

 

সংসদ সদস্য এডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ এবং বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাংগীর আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

পরে প্রতিমন্ত্রী  শ্যালা নদী এবং সুন্দরবনের করমজল পরিদর্শন করেন।

 

#

 

সুলতান/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২০৩০ ঘণ্টা     

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১৯১

 

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী

দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত

অটোরিক্সাসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ

 

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী), ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :

 

          দেশের প্রধান প্রধান ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সাসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ মহাসড়কগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

          আজ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী মহাসড়কগুলোর নাম তুলে ধরেন।

 

          এসময় তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ দেশের প্রধান প্রধান মহাসড়কগুলোতে ধীরগতির গাড়ি চলাচলের জন্য আগামী বছর হতে বাইলেন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

 

          তিনি বলেন, ঘোষিত ২২টি মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সাসহ অটোটেম্পু এবং অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বিধানে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২২টি প্রধান মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক সড়ক ও জেলা সড়কে অটোরিক্সা চলাচলে কোনো বাধা নেই।

 

          যেসব জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিক্সা, অটোটেম্পু এবং অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ সেগুলো হলো- কাঁচপুর  সেতু (ঢাকা)-মদনপুর-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম-রামু (কক্সবাজার); কাঁচপুর  সেতু (ঢাকা)-ভেলানগর (নরসিংদী)-ভৈরব-সরাইল-মাধবপুর-মিরপুর-শেরপুর-সিলেট বাইপাস; জয়দেবপুর চৌরাস্তা-ময়মনসিংহ বাইপাস পয়েন্ট; জয়দেবপুর চৌরাস্তা-টাঙ্গাইল-জামালপুর; আমিনবাজার  সেতু (ঢাকা)-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া ঘাট-খয়েরচর ঘাট-কাশিনাথপুর-হাটিকুমরুল-বগুড়া বাইপাস-রংপুর বাইপাস-সৈয়দপুর বাইপাস-দশমাইল (দিনাজপুর)-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা; কাশিনাথপুর (পাবনা)-পাবনা বাইপাস-দাশুড়িয়া-নাটোর বাইপাস-রাজশাহী বাইপাস-নবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী স্থলবন্দর; দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (রাজবাড়ী  মোড়) -মাগুরা-ঝিনাইদহ বাইপাস-যশোর বাইপাস-খুলনা সিটি বাইপাস-মংলা;  তেঘরিয়া  মোড় (ঢাকা) -মাওয়া-কেওড়াকান্দি-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী; ময়নামতি (কুমিল্লা) -ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাইপাস-সরাইল; মদনপুর-ভূলতা-মিরেরবাজার-ভোগড়া-কড্ডা [ঢাকা বাইপাস]; এলেঙ্গা-নলকা-হাটিকুমরুল; বগুড়া-নাটোর; রংপুর-বড়বাড়ী-কুড়িগ্রাম; হাটিকুমরুল-বনপাড়া; বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারি; নবীনগর-ইপিজেড-চন্দ্রা; যশোর-মাগুরা; ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-দাশুড়িয়া; চাঁচড়া  মোড় (যশোর) -বেনাপোল; ভাঙ্গা-ফরিদপুর বাইপাস-রাজবাড়ী  মোড়; ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-মোল্লারহাট-ফকিরহাট-নোয়াপাড়া এবং ভাটিয়াপাড়া-কালনা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর।

#

 

নাছের/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯৩০ ঘণ্টা    

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১৯০

শিল্পমন্ত্রীর সাথে ভারতীয় উদ্যোক্তা প্রতিনিধিদলের বৈঠক

জ্বালানিসাশ্রয়ী এলইডি বাতি উৎপাদনে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :

বাংলাদেশে বিশ্বমানের জ্বালানিসাশ্রয়ী এলইডি বাতি উৎপাদনে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেনটেক ইন্ডিয়া লিমিটেড। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিনিধিদল আজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে এ প্রস্তাব দেন। ঢাকায় শিল্পমন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্স (আইসিসি) এর উপদেষ্টা নকিব আহমেদ,  যুগ্মপরিচালক বধিষ্ণতা মুখার্জি, বেনটেক ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় চৌধুরী, তেল ও গ্যাস শিল্পের উদ্যোক্তা এ কে মুখার্জি, ওয়্যারপ্লেট শিল্প উদ্যোক্তা দেবাংশু বোস, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক শিল্প উদ্যোক্তা এস কে সাহাসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, ভারত সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারি অফিস-আদালতে এলইডি বাতি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশেও এধরনের বাতি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সুযোগ রয়েছে। সড়ক, রেল ও সমুদ্র পথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে সম্প্রতি সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করেন। ভারতের গৌহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের শাখা অফিস স্থাপনের উদ্যোগ ভিসাপ্রদান প্রক্রিয়া সহজতর করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের শিল্পখাতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের প্রতি বাংলাদেশ সবসময় ইতিবাচক। দু’দেশের জনগণের মধ্যে অভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতিসহ ঐতিহাসিক সম্পর্ক এ দৃষ্টিভঙ্গির পেছনে কাজ করছে। তিনি জ্বালানিসাশ্রয়ী এলইডি বাতি উৎপাদনখাতে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্যতা-যাচাই সমীক্ষা চালানোর পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের জন্য লাভজনক যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পূর্ণ সহায়তা থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, টেকসই আর্থসামাজিক অগ্রগতির জন্য আঞ্চলিক কানেকটিভিটি জোরদার করা প্রয়োজন। ভৌগোলিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি জোরদারের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যমান স¤ভাবনা কাজে লাগিয়ে দু’দেশকে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এ লক্ষ্যে তিনি দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে দু’দেশের উদ্যোক্তাদের যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের যেকোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব বাংলাদেশ যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে তিনি প্রতিনিধিদলকে জানান।

#

জলিল/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮৩০ ঘণ্টা     

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১৮৮
বঙ্গমাতা  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিবের 
৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :
    রাষ্ট্রপতি  মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গমাতা  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    ‘‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। 
    শেখ ফজিলাতুন নেছা ১৯৩০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। গ্রামের আলো-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা  সহজ-সরল ও নিরহঙ্কারী এই মহিয়সী নারী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, অসীম ধৈর্য ও সাহস নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করতেন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও আন্দোলনে তিনি মূল্যবান পরামর্শ দিতেন ও সহযোগিতা করতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা তাঁকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেবল জাতির পিতার সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে অন্যতম এক অগ্রদূত। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
    বঙ্গমাতার নির্লোভ, নিরহঙ্কার ও পরোপকারী জীবনে পার্থিব বিত্তবৈভব বা ক্ষমতার জৌলুস কখনো তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। তিনি সবসময় অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সাথে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে নির্মমভাবে শহিদ হন। জাতির ইতিহাসে এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। বঙ্গমাতা আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ যুগ যুগ ধরে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
    আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জš§বার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/নবী/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা     
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর :  ২১৮৯
বঙ্গমাতা  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গমাতা  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    “বঙ্গমাতা  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
    মহিয়সী নারী  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া  পৈতৃক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন  যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত  নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিব আমৃত্যু স¦ামীর পাশে  থেকে  দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রাখেন। এ মহিয়সী নারী ছিলেন সহজ-সরল নিরহঙ্কারী। স¦ামী একটি স¦াধীন সার্বভৌম  দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো তিনি স¦ামী-সংসার, আত্মীয়-স¦জন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের স¦াধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স¦াধীনতার পরে  দেশ গঠনে তাঁর অসাধারণ ভূমিকার কারণে তিনি ছিলেন স¦তন্ত্র  বৈশিষ্ট্যে উজ্জ¦ল।
    মহিয়সী এ নারী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে স¦ামীর কারাবরণকালীন উত্তাল দিনগুলোতে হিমালয়ের মতো অবিচল  থেকে একদিকে তিনি স¦ামীর কারামুক্তিসহ তাঁর অবর্তমানে প্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগ পরিচালনায় অবদান  রেখেছেন। অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে  প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়ে স¦াধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে  যেতে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেন।  ৬ দফা ও ১১ দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি  থেকেও এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স¦ামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন  ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। বাংলাদেশের স¦াধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।  দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার কারণে জাতি তাঁকে যথার্থই  ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।
    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স¦ামী, পুত্র, পুত্রবধূ ও নিকট আত্মীয়স¦জনসহ ঘাতকদের হাতে তিনিও নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।
    বঙ্গমাতা  যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত  রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমার প্রত্যাশা, এই মহান নারীর জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম  দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, বাঙালির স¦াধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স¦াধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে তারা ধারণা পাবে।
    আমি বঙ্গমাতা  শেখ ফজিলাতুন  নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
                                    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা     

 

 

 

Todays handout (2).doc Todays handout (2).doc