Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ জুন ২০১৯

তথ্যবিবরণী - 26.06.2019

তথ্যবিবরণী                         নম্বর : ২৩৬৩
শুধু জঙ্গিদের নয়, জঙ্গিবাদকেই দমন করতে হবে
                         --- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী 
 
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বর্তমান সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনের লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতির দিকে তাদের মনোনিবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান, স্মারক বক্তৃতা এবং ‘বাঙালি সংস্কৃতির ধর্ম নিরপেক্ষতা ও মানবতার ঐতিহ্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি দেশের মানুষ যখন ভুলতে বসেছিলো, শহীদ জননীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। তিনি বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুুদ্ধ করার কাজে আত্মনিয়োগের জন্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। 
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদ-জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ‘বাঙালি সংস্কৃতির নির্যাস-অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবিকতা’ শীর্ষক জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা করেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের আহ্বায়ক সংগীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.) প্রমুখ। 
উল্লেখ্য, এবারের ব্যক্তি ক্যাটেগরিতে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক পুরস্কারে ভূষিত হন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটেগরিতে রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট। মন্ত্রী এ সময় বিজয়ীদের মাঝে স্মারক তুলে দেন।
#
 
দীপংকর/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর :  ২৩৬২
 
            সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সাথে ডিএফআইডি, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সাক্ষাৎ                                                প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এক সাথে কাজ করার আগ্রহ
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
 
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে ডিএফআইডি (উঋওউ), বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ঔঁফরঃয ঐবৎনবৎঃংড়হ সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বিষয়ে অলোচনা হয়। এ সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, ডিএফআইডি, বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন উন্নয়ন উপদেষ্টা আলেক্সান্ড্রা মেক্লিন (অষবীধহফৎধ গধপষবধহ) ও সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা তাহেরা জাবিন উপস্থিত ছিলেন।
 
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূলে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে, পাশাপাশি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। বর্তমান সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় আনতে বেশ কিছু প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। 
 
মন্ত্রী অসহায় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পরিচালিত প্রতিবন্ধী, অসহায়, দুস্থ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বাস্তবায়িত  বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে ঔঁফরঃয ঐবৎনবৎঃংড়হ কে অবহিত করেন। তিনি বয়স্ক, অসহায় ও দুস্থ মানুষকে শতভাগ সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনতে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন এবং এ খাতে ডিএফআইডি’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
 
ডিএফআইডি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, আগামী ১০ বছরে সংস্থাটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকা-ের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বয়স্ক, অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
 
#
 
জাকির/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                         নম্বর : ২৩৬১
শিক্ষকদের যোগ্যতার ওপর মানসম্মত শিক্ষা নির্ভর করে
                                            --- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার গুণগত মান নির্ভর করে শিক্ষকদের যোগ্যতার ওপর। শিক্ষকদের যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য সরকার দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। তিনি আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুন্সী শাহাবুদ্দীন প্রমুখ। 
মন্ত্রী বলেন, সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব না থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয় না। তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জড়িত থাকতে হবে। এই ধরনের প্রতিযোগিতার ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বিকাশ ঘটবে। 
উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে পরিবেশ সর্ম্পকে সচেতন করে তুলতে হবে। দুর্নীতি রোধ করতে হলে আমাদের চাহিদা সীমিত করতে হবে। অসীম চাহিদার কারণে আমরা দুর্নীতিতে জড়িত হই। শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এই মহান দায়িত্ব শিক্ষকদের। তিনি বলেন, সাক্ষরতার হার না বাড়িয়ে কারিগরি বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে।
প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা অফিসারের ক্যাটেগরিতে চট্টগ্রাম জেলার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও  রাঙ্গামাটি লংগদুরের মোঃ সাইফুল ইসলাম নির্বাচিত হন। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাটেগরিতে রাজশাহী কলেজ শ্রেষ্ঠ কলেজ,  ময়মনসিংহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়, খুলনার দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা ও রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শ্রেষ্ঠ কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্যাটেগরিতে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, যশোর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ড. সৈয়দ আব্দুল আজি, মৌলভীবাজারের ইটাউরী মহিলা আলিম মাদ্রাসার মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান ও ময়মনসিংহ এম ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যাল শাহনাজ কবীর নির্বাচিত হন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর ক্যাটেগরিতে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈঋতা হালদার, রাজশাহী কলেজের অনন্যা শাহরিন প্রমি, চট্টগ্রাম জামেয়া আমমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাম্মদ ফয়সাল ও রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সুরঞ্জন দাস নির্বাচিত হন।
#
 
খায়ের/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৩০ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর :  ২৩৬০
 
রাসায়নিক গুদাম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে
                                                         -- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, পুরানো ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত রাসায়নিক গুদামগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে অগ্নিকা-ে মানুষের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত পুরানো ঢাকার চকবাজার এলাকায় এবং বনানীর এফআর টাওয়ারে সংঘটিত অগ্নিকা-ের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
 
  প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় গোয়ালখালী, চিত্রকোট ও কামারখান্দা মৌজায় ৩শ’ ১০ একর জমিতে ৬শ’ ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বিসিক কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ করা হবে। এখানে ২ হাজার ১শ’ ৫৪টি প্লট থাকবে এবং এটি আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে নির্মিত হবে। তিনি বলেন, ঢাকার কদমতলীর শ্যামপুরে বন্ধ থাকা উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির স্থানে ৫৪টি রাসায়নিক গুদাম তৈরি করা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।  এছাড়াও গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার কাঠালদিয়ায় ৫৩টি রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ কাজ আগামী ২০২০ সালের জুনে শেষ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
 
#
 
সেলিম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা
 
তথ্যববিরণী                                                    নম্বর : ২৩৫৯
 
চীন থেকে আমদানিকৃত কার্প মাছের পোনা ৯টি সরকারি হ্যাচারিতে হস্তান্তর
 
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :  
 
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু সর্বোচ্চ জেনেটিক গুণসম্পন্ন প্রায় ৩৯ হাজার সিলভারকার্প, বিগহেডকার্প ও গ্রাসকার্প মাছের পোনা দেশের ৯টি সরকারি হ্যাচারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ হস্তান্তর করেন। খামারগুলো হচ্ছে ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য-হ্যাচারি কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মৎস্যপ্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নরসিংদীর বাগহাটা মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, দিনাজপুরের পার্বতীপুর মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, নাটোরের কারবালা মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, বরিশালের গৌরনদী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, মেহেরপুর সদরের মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, ময়মনসিংহের মাসকান্দা মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার ও গাজীপুরের টঙ্গী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার। 
 
মৎস্য অধিদফতরের আওতায় ‘ব্রুডব্যাংক স্থাপন প্রকল্প (৩য় পর্যায়)’ এর উদ্যোগে মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী খামার ও হ্যাচারির কর্মকর্তাদের কাছে এসব পোনা হস্তান্তর করেন। 
 
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীনের পর আশির দশকে প্রাকৃতিক মাছ দিয়ে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালে সরকার মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশীয় কার্প জাতীয় মাছের পাশাপাশি চাইনিজ কার্পকে চাষিদের মাঝে সম্প্রসারিত ও জনপ্রিয় করে তোলে। কিন্তু সঠিক ব্রিডিং প্রটোকল অনুসরণ না করায় এক সময় কার্পের আন্তঃপ্রজনন সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং এ মাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন দিন দিন কমতে থাকে। ফলে গত ১৩ জুন সরকার সঠিক গুণমানসম্পন্ন এই তিন প্রজাতির সাড়ে তিন সেন্টিমিটার সাইজের ৩৮ হাজার ৪৬১টি ক্রমবর্ধনশীল কার্প মাছ আমদানি করে, যার মধ্যে সিলভারকার্প ১২ হাজার ৮২০টি, বিগহেড কার্প ১২ হাজার ৮২০টি এবং গ্রাস কার্প ১২ হাজার ৮২১টি। এসব পোনাই আজ দেশের ৮টি বিভাগের ৯টি খামারে প্রতিপালনের জন্য হস্তান্তর করা হলো। ৩ বছরের মধ্যে পোনাগুলো ব্রুডমাছে রূপান্তরিত হলে দেশের ১৪৩টি সরকারি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের মাধ্যমে রেণুপোনা উৎপাদন করা হবে। এরপর দেশের ১ হাজার ১৩টি বেসরকারি হ্যাচারিতে হস্তান্তর করে তাদেরকে ব্রুডমাছে পরিণত করার পর সেগুলো থেকে উৎপাদিত রেণু সারা দেশের বেসরকারি পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য ছড়িয়ে দেয়া হবে। 
 
মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছুল আলম ম-ল, প্রকল্প পরিচালক সিরাজুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 
 
#
 
শাহ আলম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/১৮১২ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                           নম্বর : ২৩৫৮
ন্যায়বিচার  নাগরিকের মৌলিক অধিকার
                             --- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ন্যায়বিচার একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং আইনের শাসনের মূলনীতি। সরকার বিশ্বাস করে, সকল নাগরিকের ন্যায়বিচারে প্রবেশের সমান অধিকার এবং নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার অধিকার থাকা প্রয়োজন। তাই নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করেছে এবং জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান অফিসের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে লিগ্যাল এইড অফিসারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘রেস্টোরেটিভ জাস্টিস (আরজে) অ্যাপ্রোচ ইন মেডিয়েশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, ‘আরজে’ আপস মীমাংসার একটি অনন্য পন্থা। এখানে অংশগ্রহণমূলকভাবে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। এটা সালিসের মতই একটি প্রক্রিয়া হলেও কিছুটা ভিন্ন। এই প্রক্রিয়ায় স্থানীয়ভাবে দ্বন্দ্ব-বিবাদ মীমাংসা করা হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বা ক্ষতি প্রশমনকে গুরুত্ব দেয়া হয়। পাশাপশি অভিযুক্তের জবাবদিহিতা তৈরি ও তার আচরণের সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। যেন তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতিকর কাজ আর না করেন। এতে করে সমাজে শান্তি আসে, সম্প্রীতি বাড়ে এবং দ্বন্দ্ব-বিবাদ হ্রাস পায়। 
আনিসুল হক বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক আইনি কাঠামোয় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র অধীনে প্রত্যেক জেলা জজ আদালতে ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিস’ স্থাপনসহ সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে পূর্ণকালীন লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে পদায়ন করেছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ইতিমধ্যে আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের অন্তর্ভুক্ত। আর তাই লিগ্যাল এইড অফিসারগণ বর্তমানে আপস-মীমাংসার মাধ্যমেও বিরোধ নিষ্পত্তি করছেন। ভবিষ্যতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ পদ্ধতি ব্যবহার করে আপস-মীমাংসার ক্ষেত্রে আধুনিক ও যুগোপযোগী পন্থা প্রয়োগের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বিরোধ মীমাংসায় লিগ্যাল এইড অফিসারগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। আইনগত সহায়তার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বপ্রণোদিত, দ্রুত ও কার্যকর আইনিসেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারিত্ব স্থাপন বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্যও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২০ সালের মধ্যে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ হাজার। সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০১৬ সালে এই লক্ষ্যমাত্রার ১৭৮ শতাংশ অতিরিক্ত অর্জিত হয়েছে। এই সংখ্যা নির্দেশ করে যে, ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সক্ষমতা জানতে কার্যকর অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশে জিআইজেড প্রকল্পের উপ জাতীয় প্রকল্প পরিচালক প্রমিতা সেন গুপ্ত বক্তৃতা করেন।
#
 
 রেজাউল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮০০ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                           নম্বর : ২৩৫৭
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে
                           -স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) : 
স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথের কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। মানসম্মত মধ্যম আয়ের দেশের জন্য আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। পরিচ্ছন্ন ও নির্মল পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা। একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সেদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  রাখে। তাই যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরন ও প্রয়োজনীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সন্নিবেশ ঘটানো সরকারের উন্নয়নের যাত্রাকেই আরো বেগবান করবে। পরিবহন মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারকগণ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আন্তরিক হলেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন সম্ভব। 
  মন্ত্রী আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথে কঠিন বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। 
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বেসিক স্যানিটেশন কভারেজ প্রায় শতভাগ। উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগের হার শতকরা মাত্র ১ ভাগ। স্যানিটেশনের এই সাফল্য পর্যালোচনাপূর্বক প্রকৃতঅর্থে স্যানিটেশন অর্জিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞগণ তাদের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
#
মাহমুদুল/অনসূয়া/রবি/শামীম/২০১৯/১৫৩৮ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                           নম্বর : ২৩৫৬
নদী রক্ষা করা সরকারের চ্যালেঞ্জ
        -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) : 
বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো নদীকে রক্ষা করা। ২০০৯ সালে সরকারের চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুতের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ গুরুত্বকে অনুধাবন করে নদী রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন যেসব পদক্ষেপ নেবে সেগুলো বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্মশালার আয়োজন করে। 
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, পি কে এস এফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ ও মোঃ আলাউদ্দিন।  
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী উদ্ধারে অনেক বাধা এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা কোন ধরনের কমপ্রোমাইজ করিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা নদী উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি। 
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ নদী রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও নদী রক্ষায় আন্তরিকতার কোন কমতি নেই। ৭৫ পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ছিলনা, এখন তা ফিরে এসেছে। উন্নয়নের ফসল সবাই ভোগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। 
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/রবি/শামীম/২০১৯/১৫০৬ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী               নম্বর : ২৩৫৫
 
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান
 
সিলেট, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) : 
 
গত ২৩ জুন উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে আজ রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী আহতদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ নেন এবং চিকিৎসাধীন ২ জনের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেন। 
মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, আখাউড়া সিলেট রুটে ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। এ রুটে বিদ্যমান লাইনের সব সেতু নতুন করে নির্মিত হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, আর যেন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সারাদেশের রেললাইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।     
এরপর মন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহত ফাইমিদা ইয়াসমিন ইভার পরিবারকে সান্ত¦না জানাতে তাঁর গ্রামের বাড়ি যান। সেখানে তিনি নিহতের পরিবারের হাতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করেন এবং নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। পরে মন্ত্রী মৌলভিবাজার জেলার কুলাউড়ার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশের রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মোহাম্মদ রফিকুল আলম, অতিরিক্ত মহারিচালক অপারেশনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।           
#
শরিফুল/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৯/১৪৫৭ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ২৩৫৪  

জাতীয় বীজ মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ জুন ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২৭-২৯ জুন তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ আয়োজিত হচ্ছে  জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।  

এবারের জাতীয় বীজ মেলার প্রতিপাদ্য ‘খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে মানসম্মত বীজের ব্যবহার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে কৃষির আধুনিকীকরণ ও সার্বিক উন্নয়নে কৃষিবান্ধব নীতি ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগসহ তাদের নগদ সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভাসমান চাষ, বৈচিত্র্যময় ফসল উৎপাদন, ট্রান্সজেনিক জাত উদ্ভাবন, পাটের জেনোম সিকুয়েন্স উন্মোচন ও মেধাসত্ত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা এখন সবার পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য অর্জনে ফসল উৎপাদনে গুণগত মানসম্মত বীজের কোন বিকল্প নেই।

আমরা ফসল উৎপাদনে উন্নত ও মানসম্মত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় মানসম্মত বীজের ঘাটতি মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে বীজবর্ধন খামার এবং নোয়াখালীতে ডাল ও তেল বীজবর্ধন খামার স্থাপনের পাশাপাশি বীজ প্রক্রিয়াকরণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ‘বীজ আইন ২০১৮’ প্রবর্তন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। বেসরকারি বীজ খাতকেও পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ধান, গম, পাট, ভুট্টা, আলু, সবজি, তেল ও মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্পন্ন বীজের সরবরাহ দেড়গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবর্তিত জলবায়ু ও দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বীজ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সচেষ্ট হতে হবে।

আমি আশা করি, এ মেলা ফসল উৎপাদনকারী কৃষক-কৃষানি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের মানসম্মত বীজ উৎপাদন, সরবরাহ ও ব্যবহারে আরো উদ্বুদ্ধ করবে।

আমি ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরুল/অনসূয়া/রবি/জসীম/আসমা/২০১৯/১২০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ২৩৫৩

জাতীয় বীজ মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) : 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ২৭ জুন ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২৭-২৯ জুন ঢাকায় ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতে মানসম্মত বীজের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। সে প্রেক্ষাপটে এবারের জাতীয় বীজ মেলার প্রতিপাদ্য ‘খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে মানসম্মত বীজের ব্যবহার’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বীজ কৃষির প্রধান উপকরণ। ফসল উৎপাদনে বীজ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে কৃষির অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সুস্থ, সবল ও সুপুষ্ট উন্নতমানের বীজের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কৃষির এই অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন ফসলের মানসম্মত বীজের ব্যবহার বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ কৃষকসহ বীজ উৎপাদন, বিপণন ও সম্প্রসারণের সাথে যুক্ত সরকারি-বেসরকারি সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মানসম্মত বীজের উৎপাদন ও ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি মনে করি।
কৃষির আধুনিকায়নের সাথে বিভিন্ন শাকসবজি ও মাঠ ফসলের উচ্চফলনশীল, হাইব্রিড জাতের বীজের ব্যবহার আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়েছে। আগামীতে বীজের আমদানি নির্ভরতা আরো কমিয়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সম্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি কৃষকপর্যায়ে মানসম্মত বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সচেষ্ট হতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 
আমি ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/অনসূয়া/রবি/জসীম/শামীম/২০১৯/১১১৭ ঘণ্টা 
 
Todays handout (10).docx Todays handout (10).docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon