Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 18/12/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩৩৮৫

অভিবাসীর মর্যাদা রক্ষা ও নিরাপদ অভিবাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে
                                                -- খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :

    প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৮ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, সরকার অভিবাসীর মর্যাদা রক্ষা ও নিরাপদ অভিবাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ^ব্যাপী অভিবাসন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া নিরাপদ ও সুষ্ঠু করতে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ কর্মী বিশে^র ১৬৮টি দেশে কর্মরত রয়েছে। বিশ^ শ্রমবাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকার জনগণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলছে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সকল প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রবাসী কর্মীর সন্তান মেরাজুল হক মেহেদী, আব্দুল্লাহ আমীন ফারহান, সায়রা জাহান সারবীন, তানজীম আহমেদ ও সাজনীন হককে শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করেন।

    আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান, বায়রা’র সভাপতি বেনজির আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর মিশন প্রধান গিওরগিও গিগারিও এবং অভিবাসী কর্মীদের পক্ষে লামিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ সেলিম রেজা।

    অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মেলা উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

     এরপর বিকাল চারটায় শুরু হয় ‘সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব’ শীর্ষক বিতর্ক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, আমাদের মানবসম্পদ অত্যন্ত উন্নতমানের। আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ বিশে^র নানা দেশে দক্ষতা ও সমৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করছে এবং বিশে^র বুকে মাথা উচু করে দেশের সুনাম অক্ষুণœ রাখছে। তিনি আরো বলেন, অধিক সংখ্যক লোকের বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিতভাবে আমাদের একটি সফলতা। আর এই সফলতা ধরে রাখতে হবে।
#
রাশেদ/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১২০ ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩৩৮৪
সাইদুল আনাম টুটুলের মৃত্যুতে সংস্কৃতিমন্ত্রীর শোক
 
ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সাইদুল আনাম টুটুলের মৃত্যুতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এক শোকবার্তায় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী সাইদুল আনাম টুটুল ছিলেন একাধারে অভিনয় শিল্পী এবং ছোট ও বড় পর্দার বরেণ্য নির্মাতা ও চিত্র সম্পাদক।  তাঁর  মৃত্যুতে দেশ একজন গুণী চলচ্চিত্রকারকে হারালো। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ করে চলচ্চিত্রে তাঁর মূল্যবান অবদানের জন্য বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে দীর্ঘকাল স্মরণ রাখবে।
 
#
 
ফয়সল/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/২১১০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৩৮৩
মুম্বাইয়ে মহান বিজয় দিবস ২০১৮ উদ্যাপন 
 
মুম্বাই, ভারত (১৮ ডিসেম্বর) :
ভারতের মুম্বাইয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৪৭তম বার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মুম্বাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় স্থানীয় ‘মুম্বাই জিমখানা’ প্রাঙ্গণে ’বাংলাদেশ উৎসব’ আয়োজন করা হয়। 
দিবসের প্রথম ভাগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বিশেষ মোনাজাত, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মোঃ লুৎফর রহমান অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সকল নাগরিকের প্রতি সচেতনভাবে কাজ করার এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান জানান। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘ইধহমধনধহফযঁ ঋড়ৎবাবৎ রহ ড়ঁৎ ঐবধৎঃং’  প্রদর্শিত হয়। 
মহারাষ্ট্র সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুমিত মল্লিক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে থেকে আগত সাংস্কৃতিক দল সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। 
 বিশেষ মোনাজাতে জাতির পিতার আত্মা এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির শান্তি ও উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়। 
এ আয়োজনে ‘সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ ও ‘ফুড ফেস্টিভল’ অন্তর্ভূক্ত ছিলো। 
অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, মুম্বাইয়ের ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বেশ কয়েক জন সদস্য, উপহাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
নাফিসা/মাহমুদ/মাসুম/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/২০৪০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩৩৮২
মানুষ আর ধ্বংস-ফ্যাসাদ চায় না
                            --- আইনমন্ত্রী 
 
ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেই স্বাধীনতা কাউকে নস্যাৎ করতে দেয়া হবে না। সেই স্বাধীনতা যেন আরো উজ্জ্বল হয়, শহিদদের মর্যাদা যেন আরো বাড়ে সেই চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল মানুষ চায় উন্নয়ন। তাঁরা আর ধ্বংস-ফ্যাসাদ চায় না। 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের আইনজীবীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশে^ আমাদেরকে পরিচিত করে দিয়েছেন। আমরা চাই তাঁর নেতৃত্বে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হোক। আমরা চাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার স্বপ্নের উন্নত দেশ হোক। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি এগিয়ে যাই তাহলে আসছে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের স্বপক্ষের দলকে পরাজিত করতে হবে। শেখ হাসিনা ২১০০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা দিয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশকে নিয়ে ২১০০ সালের পরিকল্পনা দেন নাই। তাই এই নেতৃত্বকেই ধরে রাখতে হবে। 
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 
#
রেজাউল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০৩৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৩৮১
বিচার বিভাগের প্রতি বঙ্গবন্ধুর গভীর আস্থা ছিল
                                    -- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর তথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এই শিক্ষা নিয়েছিলেন যে, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে  প্রয়োজন শক্তিশালী, স্বাধীন ও জনগণের আস্থাশীল বিচার বিভাগ। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের পদে পদে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি কখনো বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারাননি। 
আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোট জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর আস্থা, পরম শ্রদ্ধা। বিচার বিভাগের প্রতি তাঁর গভীর আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তিনি বাংলাদেশ সংবিধানে বিচার বিভাগকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে গেছেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং ওই বছরে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি বলেন, আজ আমাদের স্বীকার করতেই হবে, ৪৭ বছরের পথচলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সুপ্রীম কোর্টের বহু উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা, ১৯৭১-এর মানবতা বিরোধী অপরাধ ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল মামলার বিচারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের অবদান ভোলার নয়। দেশে বিচারহীনতার যে সংষ্কৃতি তৈরি হয়েছিলো তা থেকে বাঙালি জাতিকে কলংকমুক্ত করতে এসব হত্যাকা-ের বিচারের কথা জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে। 
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি আজকের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন কিন্তু আজকের অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য যে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তা স্মরণ না করলে ভবিষ্যত পথচলায় ভ্রান্তি হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের স্মরণ রাখতে হবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ২১ বছর একটি মামলা পর্যন্ত রুজু হয়নি। বরঞ্চ এই হত্যাকান্ডের বিচার যাতে না হয় সেই জন্য একটি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। এ ব্যাপারে তখনকার সুপ্রীম কোর্টে কোনো চঁনষরপ ওহঃবৎংঃ খরঃরমধঃরড়হ বা ঝড়ঁ গড়ঃঁ জঁষব দিয়েও এই কালা কানুনগুলোকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে ফেলার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ১৯৮২ সালে আমরা দেখেছি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে মার্শাল-‘ল’  ফরমান দ্বারা এজলাসে বসা অবস্থায় চাকুরিচ্যুত করতে। আমারা আরো দেখেছি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করতে হাইকোর্টের ৭ জন বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছেন। তারপরও এসব অন্যায়কে পিছনে ফেলে আজকের সুপ্রীম কোর্ট একটি সুদৃঢ় অবস্থানে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ ও স্বাধীন বিচার বিভাগকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়  ১ নভেম্বর ২০০৭ সালে। তারপর থেকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচার বিভাগের এই স্বাধীনতা এবং পৃথকীকরণকে সুদৃঢ়, দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই করার জন্য বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বক্তৃতা করেন। 
#
রেজাউল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩৩৮০
 
এ বছর রপ্তানি ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে
                                   --- বাণিজ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিগত চার মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং সেবা খাতের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। 
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানির চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর মোট রপ্তানির পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। 
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকার কাওরান বাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ২০১৬ সালে পণ্য রপ্তানির জন্য ১৩৭ জন রপ্তানিকারক এবং ৪১ জন ব্যবসায়ী-সংগঠককে সিআইপি(রপ্তানি) ও সিআইপি(ট্রেড) কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শেষ হলে দেশে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় বাড়বে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ^বাসীর কাছে বিস¥য়। বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। নারীর কর্মসংস্থান ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন থেকে ২২ মিলিয়নে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, ২০২১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ দেশের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প  এখন মানুষের কাছে দৃশ্যমান।
বাণিজ্যমন্ত্রী রপ্তানিকারকদের উদ্দেশে বলেন, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা এগুলো গ্রহণ করে দেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করুন। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালে পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না। প্রতিযোগিতা করে বিশ^ বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে। সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য এবং সিআইপিগণের মধ্য থেকে মোঃ আজিজুল ইসলাম এবং মনোয়ারা হাকিম আলী।
#
বকসী/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৩৭৯
চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতবিনিময়
 
চট্টগ্রাম, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে চট্টগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 
মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদীন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান, সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমানসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, ইউএনও, পুলিশ সুপার, আনসার ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনি দায়িত্বভার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। বর্তমানে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার  মতো পরিবেশ রয়েছে। সকল প্রার্থীকে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালানোর সহায়তা করবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। আইনশৃঙ্খলার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সকল রাজনৈতিক দলকে সমসুযোগ দেওয়ার তাগিদ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। 
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় নির্বাচনের সব ধরণের প্র¯ুÍতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। নির্বাচনি শৃঙ্খলায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা সেজন্য ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
#
 
বশার/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩৩৭৮
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মাস্টার্স নিয়মিত ভর্তি কোটার মেধা তালিকা প্রকাশ ২০ ডিসেম্বর 
 
ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) ভর্তি কার্যক্রমে কোটার মেধা তালিকা ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ প্রকাশ করা হবে। 
২০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে ঝগঝ এর মাধ্যমে হঁ<ংঢ়ধপব>ধঃসভ<ংঢ়ধপব>ৎড়ষষ লিখে ১৬২২২ নম্বরে ঝবহফ করে এবং রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট িি.িহঁ.ধপ.নফ/ধফসরংংরড়হং  থেকে ফল পাওয়া যাবে। 
#
 
ফয়জুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮১০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৩৭৭
 
বার কাউন্সিল অফিসের ঠিকানা পরিবর্তন
 
ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ভবনের স্থানে নতুন ১৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। বার কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিক হাইটস, লেভেল-৪ ও লেভেল-৮, ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ এবং রূপায়ন ট্রেড সেন্টার লেভেল-৫, ১১৪ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ -এ বার কাউন্সিলের অস্থায়ী অফিসের জন্য স্পেস ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
বার কাউন্সিলের সাথে পত্র যোগাযোগের ঠিকানা হবে ইউনিক হাইটস লেভেল-৪, ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা।
#
 
আফজাল/মাহমুদ/নাছির/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৩৭৬

অ্যাক্রেডিটেশন পেতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গাইডলাইন তৈরি করবে বিএবি

ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পেতে আগ্রহী দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুসরণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করবে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)। একই সাথে সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাক্রেডিটেশনের নতুন আবেদন নিষ্পত্তি এবং পুরাতন সনদ নবায়নের কাজ নিশ্চিত করা হবে। 
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড আয়োজিত ‘বিএবি অ্যাসেসর রিফ্রেশার্স কোর্স’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।  
দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড থেকে সনদপ্রাপ্ত দেশীয় ও বহুজাতিক বিভিন্ন টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন সংস্থায় কর্মরত ৬৬ জন অ্যাসেসর ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।  
অনুষ্ঠানে মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিএবি খুব শিগ্গির বাংলাদেশে স্থাপিত দেশীয় ও বহুজাতিক মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং মান পরিদর্শন সংস্থার (ইন্সপেকশন বডি) অনুকূলে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করবে। এ লক্ষ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কোঅপারেশনের (এপ্লাক) মূল্যায়ন কার্যক্রম ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এপ্লাকের সাধারণ সভায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদিত হলে, বাংলাদেশ এ বিষয়ে পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তিস্বাক্ষর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  
বিএবি’র মহাপরিচালক আরো বলেন, গুণগত শিল্পায়নের ধারা বেগবান করতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের সক্ষমতা জোরদার করা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।  বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অ্যাক্রেডিটেশনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও ধারণা জাতীয় স্বার্থে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।  
#

জলিল/অনসূয়া/সেলিনা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৬১২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৩৭৫
জাপান-বাংলাদেশ ফরেন অফিস কন্সাল্টেশন অনুষ্ঠিত
টোকিও (জাপান), ১৮ ডিসেম্বর :
২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হতে জাপান বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ১৭ ডিসেম্বর টোকিওতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কন্সাল্টেশন (এফ ও সি) সভায় এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন জাপানের সিনিয়র পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী কাজুইউকি ইয়ামাজাকি। 
সভায় দশ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাসহ বাংলাদেশ দলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই আর ডি,পরিবেশ অধিদপ্তর, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
সভায় দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্র সচিব জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সচিব বলেন, যৌথ উন্নয়ন ও সহযোগিতার উদ্যোগ দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বকে আরো গভীর করেছে। বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে ও সহযোগিতার নতুন কৌশল খুঁজে বের করতে দুই দেশ একমত পোষণ করে। এসময় দুই পক্ষের নেতা দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ও দুই দেশের জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তায় আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন ‘বে অভ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট’ (বিগ-বি) উদ্যোগ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের অংশগ্রহণমূলক ও জনগণকেন্দ্রিক ‘ব্লু-ইকোনমি’ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে গভীর সমুদ্রে মৎস্য ও সম্পদ আহরণে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন। 
সচিব বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউট স্থাপনে জাপানকে সহযোগিতা করতে ও দেশটির অনুমোদিত ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কাজে দক্ষ ও অদক্ষ বাংলাদেশি জনসম্পদকে বিবেচনার অনুরোধ করেন।
মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় কাজুইয়োকি ইয়ামাজাকি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবং তাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 
 #
শিপলু/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৫০৪ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৩৭৪
অভিবাসীর মর্যাদা ও অধিকার বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ
ঢাকা, ৪ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) :
স্বল্পব্যয়ে নিরাপদ অভিবাসন ও সুষ্ঠু, নিয়মিত বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের রেমিটেন্সের ভূমিকা অপরিসীম। রেমিটেন্স বৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলজিআরডি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। 
মতবিনিময়কালে মন্ত্রী আরো বলেন, অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অভিবাসীর অধিকার- মর্যাদা ও ন্যায়বিচার’ বাস্তবায়নে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং আন্তরিকভাবে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। 
মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, বিএমইটি’র মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। 
#
রাশেদ/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪১৩ ঘণ্টা 
Todays handout (8).docx Todays handout (8).docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon