Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী ৬ এপ্রিল ২০১৯

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৯৫
 
আগামী দিনে মেধার ওপর বিনিয়োগ হবে সবচেয়ে লাভজনক
                                              -- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইতিমধ্যে পৃথিবী  ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করায় প্রচলিত ধারার ব্যবসার বিদ্যমান ব্যবস্থাটি আর প্রচলিত ধারায় চলবে না। আগামী দিনের জন্য  মেধার ওপর এবং স্বপ্নের  ওপর বিনিয়োগ হবে সবচেয়ে লাভজনক বিনিয়োগ।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আয়োজিত  ই-জেনারেশন প্রেজেন্টস স্টার্টআপ ওয়াল্ডকাপ ২০১৯ প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার স্টার্টআপ প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের আগামী ৫ বছর হবে খুবই উজ্জ্বল। সামনের দিনের পথচলার নির্দেশনা থেকে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান।
১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কম্পিউটার সফটওয়্যার রপ্তানির জন্য গৃহীত কর্মপরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সরকার কম্পিউটারের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার করায় কম্পিউটার সাধারণের নাগালে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ গত দশ বছরে অগ্রগতিতে বিশ^ মানচিত্রে স্থান করে নেওয়ার জায়গায় পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে ই-জেনারেশনের চেয়ারপার্সন শামীম আহসান বক্তৃতা করেন।
আগামী ১৭ মে সিলিকন ভ্যালিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপ ২০১৯ এর গ্রান্ড ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধির হাতে মন্ত্রী ক্রেস্ট তুলে দেন। 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে অবদানের জন্য স্টার্টআপ ঢাকা, গ্রামীণফোন এবং বেসিসকে  ই-জেনারেশন স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
#
 
শেফায়েত/নাইচ/এনায়েত/রাহাত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২২৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৯৪
সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সত্য এড়ানোর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
                                                                 -- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফেইক নিউজের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে সরকারের পাশাপাশি মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তৈরি করে তা দ্রুততম সময়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে যাতে তারা সংবাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ না হয়। সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সত্য এড়ানোর প্রবণতা, নীরবতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে মানুষের সত্য জানার পথ যেখানে বন্ধ হয়ে যায়, ফেইক নিউজের পথ চলা সেখান থেকেই শুরু হয়। 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর মালিবাগে বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউএনবি আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, ফেইক নিউজ চিহ্নিতকরণের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা উচিত। কারণ প্রযুক্তিকে প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করা সমীচীন। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ফেইক নিউজ তৈরি করে প্রচার করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। 
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী হিসেবে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া কোনটা নিউজ, আর কোনটা ফেইক নিউজ এ সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা রাখতে হবে। আমরা আসলে কী ধরনের লিংক বা সংবাদ ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছি তা শেয়ারের আগে অন্তত কয়েকবার চিন্তা করে দেখতে হবে। কারণ, অসচেতনভাবে হলেও আমাদের শেয়ার করা একটি ফেইক নিউজের কারণে যে কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে, যার দায় আমরা এড়াতে পারবো না। আর আজ আমরা সজ্ঞানে ফেক নিউজ শেয়ার করলে আগামীকাল যে নিজেরাই এর শিকার হবো না, তা বলা যায় না। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু দেখেই গুজব ছড়ানো যাবে না। বরং ধৈর্য ধরে তথ্যটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আর কেউ যদি মনে করেন তিনি 'ফেইক নিউজ' যাচাই বাছাইয়ের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারেননি, তাহলে তার গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যমের ওপর নির্ভর করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। 
সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ইনস্টিটিউিট অভ্ সাউথ এশিয়ান স্টাডিসের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো                      ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে একাউন্টিবিলিটি এন্ড ইন্টারনেট ডেমোক্রেসি বিষয়ক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড্যান শিফেট এবং ইউএনবি’র প্রধান সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান বক্তৃতা করেন।
#
 
রেজাউল করিম/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/২২৪৫ ঘণ্টা
.
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৯৩
 
ঢাকা শহরকে বাস উপযোগী ও আধুনিক করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি
                                               ---গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘নাগরিকের মৌলিক অধিকার কেউ কোনভাবে খর্ব করুক এটা শেখ হসিনা সরকার কোনভাবেই চায় না। ঢাকা শহরকে বাস উপযোগী, ঝুঁকিমুক্ত আধুনিক একটি নগরীতে পরিণত করার জন্য যেখানে যা যা করা দরকার আমরা সে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। আমরা ঢাকা মহানগরীকে একটা মৃত্যুকূপে পরিণত হতে দিতে পারি না। কিছু অর্থলিপ্সু মানুষের লোভের কারণে মানুষের জীবন চলে যাবে, তাদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়বে, এতো বড় ক্ষতি আমরা হতে দিতে পারি না।
মন্ত্রী আজ ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘ইমারত নির্মাণে সরকারের দায়িত্ব ও নাগরিকদের করণীয়’ বিষয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ডুরার সভাপতি মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডুরার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেল।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে অনেক অনাকাঙ্ক্তি ঘটনা প্রবাহ বাংলাদেশের উন্নয়নকে স্তিমিত করে দিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশের জায়গায় ফিরিয়ে এনেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যাসহ অন্যান্য অপরাধের বিচার করার ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনা বিচার করে দেখিয়েছেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি বলেন, আমাদের নতুন শহর ঝিলমিল, পূর্বাচল, উত্তরা ৩য় ফেজ-সেখানে আমরা ৪৫ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রেখেছি, যেনো দুটি বাড়ির মাঝে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা থাকে, সেখানে যেনো পরিবেশ দূষণ না হয়, খেলার মাঠ রেখেছি, পার্ক রেখেছি, লেক খনন করছি, বাজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা এবং চিত্ত-বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরনো ঢাকার অপরিকল্পিত ভবন রাতারাতি ভেঙ্গে নতুন কিছু করা সম্ভব হয়নি। আমরা সেখানে রি-ডেভেলপমেন্টের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা পুরনো বিল্ডিং ভেঙ্গে মানসম্মত, পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোড মেনে নতুন বিল্ডিং করে দেবো। যাতে পুরনো ঢাকায় জীবন ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও নিন্দেশনা রয়েছে’।
 
মন্ত্রী  ‘বনানীর এফ আর টাওয়ার সম্পর্কে বলেন, ২০০৭ সালে এফ এর টাওয়ারের অবৈধ অংশের রিপোর্ট আসার পরও রাজউকের চেয়ারম্যানসহ অন্যরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কেনো সেটা তারা করেননি অথবা পরবর্তী সময়ে কেনো এ বিষয়টি কারো দৃষ্টিগোচরে আসলো না, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি’। ইমারত নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত শুধু তাঁরা নয়, এ নির্মাণ পরিদর্শন করার দায়িত্ব রাজউকের যাদের ছিলো তাদেরকেও সমান দায় নিতে হবে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘যে ভবনে শুধু অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, তাদেরকে নির্ধারিত সময় দিয়ে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পৃক্ত করতে বলা হবে। যে বিল্ডিংয়ে জরুরি বহির্গমন পথ নাই তাদেরকে নির্ধারিত সময়ে তা করতে হবে। যে ভবনে গ্যারেজের জায়গায় স্থাপনা করা হয়েছে তাদেরকে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলতে হবে, যদি না করেন আমরা ব্যবস্থা নেবো। যারা অনুমোদন ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী ইমারত নির্মাণ করেছেন, তাদেরকে তা সরিয়ে নিতে হবে’।
পরিদর্শন ও তদন্ত রিপোর্ট এবং সকল অনিয়ম জাতীয় পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশ করবো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্ত অপরাধীদের স্বরূপ আমরা মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই’।
রাজউক বড় কর্মসূচি নিতে পারবে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘র‌্যাংগস্ ভবনসহ প্রভাবশালীদের অনেক স্থাপনা ভাঙ্গা হয়েছে, সমস্যা হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্ত, অপরাধ কে করেছেন সেটা দেখে বিচার হবে না, যেমনভাবে অনেক দুর্নীতিবাজের বিচার হয়েছে’।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মানসম্মত ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনসহ সকলের অংশগ্রহণ করা দরকার। রাজউককে দেখতে হবে অনুমোদিত নকশার বাইরে কোনো বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে কি না, তার কোনো ব্যত্যয় ঘটলো কিনা’। দীর্ঘদিনের জঞ্জাল দূর করতে ব্যবহারকারীদেরও সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,‘ব্যবহারকারীদের দেখতে হবে ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কিনা, বিল্ডিং থেকে দ্রুত গতিতে নেমে যাবার সিঁড়ি আছে কিনা, বিল্ডিং এ পরিকল্পনার বাইরে কোনো অংশ আছে কিনা, নিচে গাড়ির গ্যারেজ আছে কিনা। সরকারের দায়িত্ব আছে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা, নাগরিকেরও কর্তব্য রয়েছে রাষ্ট্রের আইন যাতে প্রতিপালিত হয়, সেটিতে সহায়তা করা’।
অনেক হুমকি, অনেক প্রলোভন কর্মকা-ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উল্লেখ করে মন্ত্রী যোগ করেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারে আমি একজন অংশীদার। শেখ হাসিনা চান কোনো অপরাধী যেনো নিস্তার না পায়। বিল্ডিংয়ের মালিক যেই হোন কেনো সেটা আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আইনসঙ্গতভাবে হয়েছে কি-হয়নি সেটা আমরা দেখতে চাই।
 
রাজউকের আমূল পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যার এলাকায় অবৈধ ইমারত নির্মাণ হচ্ছে তিনিই দায়ী হবেন। বিল্ডিং এর নম্বর দিয়ে পরিদর্শককে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতে হবে। বেআইনি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা অঙ্কুরেই আঘাত হানতে চাই’। কোনো চাপ আমাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। টানা অগ্নিকা-ের ঘটনায় নাশকতা দেখছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখন এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে, শুধুমাত্র শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে নাকি এর পেছনে অন্য কারণও আছে।
 
নতুন বিল্ডিং কোড আইন আগামী ২-১ সপ্তাহের মধ্যেই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘২০১৭ সালের শেষদিকে আইনটি ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের আপত্তি ও আন্দোলনের মুখে একটা সমস্যা তৈরি হয়’।
#
ইফতেখার/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/২২১৪ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৯২
 
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে হবে
     ---কৃষিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতিটি স্কুল-কলেজে শরীর চর্চার শিক্ষক রয়েছে, তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে হবে। ভবিষ্যৎ মেধাবী, কর্মচঞ্চল প্রজন্ম তৈরিতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। 
 
আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ স্পোর্ট প্রেস এসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন আমরা স্কুল কলেজে পড়ার সময় নানা ধরনের খেলাধুলা করতাম, এখনকার ছেলেমেয়েরা টিভিতেই বেশি সময় কাটায়। অথচ শরীরের জন্য, সুস্থ মনের জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন। 
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা জন সমালোচনা করত উল্লেখ করে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তাদের সমালোচনার জবাব দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন মুশফিকুর রহীম, রুমানা আহমেদ ও আবদুল্লাহ হেল বাকী। অন্ষ্ঠুানে মোট ১১ টি ক্যাটেগরিতে ১৮ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়।
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, বিসিবির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন, স্কয়ার গ্রুপের অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। সভাপতিত্ব করেন বিএসপিএ-এর সভাপতি মোস্তফা মামুন।
#
গিয়াস/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৯১ 
 
টেলি সামাদের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
 
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
 
জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
 
আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
 
তথ্যমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় টেলি সামাদকে অভিনয় শিল্পের অনন্য প্রতিভা বলে উল্লেখ করে প্রয়াতের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আকরাম/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/আব্বাস/২০১৯/২১৪৮ ঘণ্টা   
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৮৯  
 
বঙ্গবন্ধু কাপ গল্ফ দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছে
                                     -- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
বঙ্গবন্ধু কাপ গল্ফ ওপেন ২০১৯- এর শিরোপা জিতেছেন থাইল্যান্ডের সাদম কায়েও-কানজানা (ঝধফড়স কধবশিধহলধহধ)। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ আজ রাজধানীর কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবে টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কাপ ট্রফি ও পুরস্কারের চেক সাদমের হাতে তুলে দেন। এছাড়া মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশি গল্ফারদের মধ্যে মোঃ জামাল হোসেন মোল্লা এবং শফিক বাঘাকে যথাক্রমে সেরা পেশাদার ও সেরা অপেশাদার গলফারের পুরস্কার তুলে দেন। ভারতের দুই পেশাদার গল্ফার অজিতেশ সান্ধু (অলববঃবংয ঝধহফযঁ) ও রশিদ খান টুর্নামেন্টে যথাক্রমে ২য় ও ৩য় স্থান লাভ করে। 
তথ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় এশিয়ান ট্যুর গল্ফের এই পঞ্চম আসর বঙ্গবন্ধু কাপ গল্ফ ২০১৯ আয়োজক ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন দেশের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করবে এবং বিশ্বে বাংলাদেশের গৌরব বৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করবে।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেট কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজকে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে এ আয়োজনের সকল অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানান। 
কিংবদন্তি ক্রিকেটার গর্ডন গ্রিনিজ, বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল মোঃ এনায়েত উল্লাহ, টুর্নামেন্ট স্পন্সর ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রিক হক শিকদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। টুর্নামেন্টে ২৪ দেশের ১৪৬ জন পেশাদার ও ৬ জন অপেশাদার গল্ফাররা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রন হক শিকদার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোস্তাক আহমেদ, গল্ফ ফেডারেশনের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার মোঃ সাঈদ সিদ্দিকী, টুর্নামেন্ট পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) আবিদুর রেজা খান, যুগ্ম সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) জিএসএম হামিদুর রহমানসহ গল্ফাররা উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
আকরাম/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৩৯০ 
 
উপযুক্ত স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে
                                                      --- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সকলের জন্য উপযুক্ত স্যানিটেশন ও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার।
আজ রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, আইটিএন-বুয়েট ও বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশে ঈরঃু ডরফব ওহপষঁংরাব ঝধহরঃধঃরড়হ (ঈডওঝ) এর ওপর জাতীয় পর্যায়ের পরামর্শ ও পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। 
ঈডওঝ বা শহরব্যাপী সমন্বিত স্যানিটেশন এর ধারণাকে সকলের সাথে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখতে পারে সে লক্ষ্যে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, গেস্ট অভ্ অনার ছিলেন বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. রুশান রাজ শ্রেষ্ঠা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়রগণ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিএইচই, এলজিইডি, মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ, সেক্টর প্রফেশনাল, এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ।
মন্ত্রী বলেন, স্যানিটেশনের সকল ক্ষেত্রকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলার জন্যে ঈডওঝ এর ধারণা এখন সর্বত্র প্রয়োগ হচ্ছে। ঈডওঝ সকলের জন্য পর্যাপ্ত, উপযুক্ত  স্যানিটেশন এবং হাইজিন সেবা নিশ্চিত করার পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করে। সঠিক প্রযুক্তি সহকারে ব্যাপক পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি উভয়ই এক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের সুদৃঢ় পদক্ষেপ ও প্রতিশ্রুতি, আর্থিক বরাদ্দ এবং অন্যান্য সহায়তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের আর্থিক সহযোগিতা ডিপিএইচই, এলজিইডি, ওয়াসাসহ বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রচেষ্টার কারণে বাংলাদেশে শহরভিত্তিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়নের সূচনা ঘটেছে। 
মন্ত্রী আরো বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা যে কোনো দেশের সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারে স্যানিটেশনকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে সরকার প্রণীত বিভিন্ন নীতিমালায় স্যানিটেশনের এই উচ্চ পর্যায়ের অঙ্গীকারসমূহ প্রতিফলিত হচ্ছে। পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সেক্টরে বিদ্যমান জাতীয় নীতিমালা, কৌশলপত্র এবং নির্দেশিকায় নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী সম্প্রদায়, ক্ষতিগ্রস্ত এবং ছিন্নমূল ও ভাসমান দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সমধারায় আনা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত স্যানিটেশনের কভারেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সকল পৌরসভায় ২০২৭ সালের মধ্যে ঝধভবষু গধহধমবফ ঝধহরঃধঃরড়হ এর লক্ষ্য অর্জনে সরকার কর্তৃক বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন ও সহযোগিতায় দেশের ১০০ টিরও অধিক পৌরসভায় পয়ঃবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ১-২ বছরের মধ্যে সকল পৌরসভা শহর প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার  কাজ শুরু করতে পারবে। 
মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক এবং আইনি কাঠামো (আইআরএফ-এফএসএম) বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে। পৌরসভা পর্যায়ের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে ৪টি পৌরসভা (ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং বেনাপোল), যেখানে পূর্বে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা এফএসএম বাস্তবায়ন হচ্ছিলো, সেগুলো ঈডওঝ শহরে পরিণত হওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ঢাকা ওয়াসা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহায়তায় ঢাকাকে ঈডওঝ শহরে পরিণত করার জন্য চেষ্টা শুরু করেছে। 
#
হাসান/নাইচ/রাহাত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/২১৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৮৮ 
 
অর্থমন্ত্রীর সাথে আইএসডিবির প্রেসিডেন্ট ও মরক্কোর অর্থমন্ত্রীর বৈঠক 
 
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৫-৬ এপ্রিল ২০১৯ মরক্কোর মারাকাসে অনুষ্ঠিত ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) ৪৪তম বার্ষিক সভায় যোগদান করেন। মরক্কো সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এবারের বার্ষিক এ সভার প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ট্রান্সফর্মিং ইন এ ফাস্ট চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড : এ রোড টু এসডিজি’স”। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ এপ্রিল আইএসডিবির প্রেসিডেন্ট ড. বান্দার এম এইচ হাজ্জার এর সাথে বৈঠকে মিলিত হন। প্রেসিডেন্ট ড. বান্দার এম এইচ হাজ্জার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এও স্পষ্ট করে বলেন যে বাংলাদেশ একটি ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশের আরো বেশি সম্পদের প্রয়োজন যা হতে পারে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক। প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের এ ট্রান্সফরমেশনে আইএসডিবির জোরালো ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কসহ আরো কয়েকটি ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরীক্ষাধীন অবস্থায় আছে বলে জানান। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ সকল প্রকল্পের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
বোর্ড অভ্ গভর্নরস সভায় ও বিভিন্ন সেশনে আনুষ্ঠানিক যোগদানের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এবারের বার্ষিক সভার চেয়ার ও মরক্কোর অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বেঞ্চাবোনের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে দুদেশের অর্থমন্ত্রী পারস্পারিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বিগত ১০ বছরে দেশের সকল অর্থনৈতিক সূচকে প্রভূত উন্নয়নের বিষয়ে মরক্কোর অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি দেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে টেকসই করার জন্যই সরকার এই শিল্পাঞ্চলগুলো গড়ে তুলেছে। তিনি এ সকল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে পিপিপি পদ্ধতিতে তৈরি পোশাক শিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইলেক্ট্রনিক্স, চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য মরক্কোর প্রতি অনুরোধ জানান। এ সকল পণ্য মরক্কোর বাজারে শুল্ক মুক্তভাবে প্রবেশাধিকারের বিষয়েও অনুরোধ করেন। মরক্কোর অর্থমন্ত্রীকে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে মোহাম্মদ বেঞ্চাবোন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া অবিশ্বাস্য সফলতা দেখার জন্য তিনি শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে দুদেশের অর্থমন্ত্রী আশাব্যক্ত করেন।
 
উক্ত বৈঠক দুটির সময় ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
#
তৌহিদুল/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/আব্বাস/২০১৯/২১২২ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৩৮৭  

আগামী ২১ এপ্রিল রবিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত
  
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া যায়নি। ফলে আগামীকাল ৭ এপ্রিল রবিবার পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগমী ৮ এপ্রিল সোমবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসাব মতে, আগামী ২১ এপ্রিল রবিবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উদ্যাপিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ।
 সভায় ধর্মসচিব মোঃ আনিছুর রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাঃ আজহারুল হক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী নূরুল ইসলাম, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোঃ আলমগীর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও শাহ মোঃ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের আইন কর্মকর্তা শেখ মোঃ শাহাদৎ আলী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় বিশেষজ্ঞ আলেম-ওলামাগণ উপস্থিত ছিলেন।  
সভায় ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকল কার্যালয় এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, অদ্য ২৯ রজব ১৪৪০ হিজরি, ২৩ চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ৬ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২৪ চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ৭ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ রবিবার পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ২৫ চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ৮ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ সোমবার থেকে ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হবে।
 প্রেক্ষিতে, আগামী ১৪ শাবান ১৪৪০ হিজরি, ৮ বৈশাখ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ২১ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ রবিবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উদ্যাপিত হবে।
#

নিজাম/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/রেজাউল/২০১৯/২১১৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৩৮৬
 
দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক মানের বয়লার উৎপাদনে সক্ষম
 
ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :
আন্তর্জাতিক মানের বয়লার উৎপাদন করার ক্ষমতা অর্জন করেছে দেশী বয়লার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশে উৎপাদিত বয়লার ব্যবহার করে দেশের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে এবং বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। বয়লার ব্যবহারকারীদের দেশীয় বয়লারের উন্নতমান সম্পর্কে অবহিত করা সম্ভব হলে বাংলাদেশে উৎপাদিত বয়লারের বাজার স্থানীয়ভাবে আরো সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশে উৎপাদিত বয়লারের রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ও তাদের আস্থা অর্জনে বয়লারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শতভাগ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে। 
 
প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ হাজার ৩৯ টি বয়লার ব্যবহারের প্রত্যয়ন পত্র নবায়ন, ৭৬২ টি নতুন বয়লার রেজিস্ট্রেশন প্রদান, ৩০৯ টি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বয়লারকে সনদ প্রদান, ৪৮৬ জন বয়লার পরিচারকের পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক সনদ প্রদান এবং বয়লার সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান করে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ কোটি ৪৭ লাখ  ১৪ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বয়লার চালনার সনদপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ জানানো হয়েছে। ফলে বয়লার ব্যবহারকারীগণ যথাসময়ে ফি পরিশোধ করে বয়লারের সনদ নবায়ন করতে পারছেন। বর্তমানে ২০টির অধিক বয়লার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় হতে অনুমোদন নিয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের বয়লার উৎপাদন করছে। 
 
সম্ভাবনাময় এই বয়লার শিল্পের বাজার আরো সম্প্রসারিত করা সম্ভব হলে এ শিল্প হতে আরো অধিক রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। 
 
#
মাসুম/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৯/২০৫২ ঘণ্টা   
তথ্যবিব
Todays handout (15).docx Todays handout (15).docx