Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd মে ২০১৯

তথ্যবিবরণী - 22/5/2019

তথ্যবিবরণী                                        নম্বর : ২০৩৬
 
 
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা
বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনই নিরাপদ অভিবাসনের একমাত্র উপায় 
 
কক্সবাজার, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে): 
 
আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানে দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
 
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ। এতে রিসোর্স পারসন হিসেবে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব আহমদ কবীর (উপসচিব)। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরোয়ার কাজল, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ আলী জিন্নাহ, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও  সাংবাদিকবৃন্দ।
 
বক্তারা বলেন, বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনই নিরাপদ অভিবাসনের একমাত্র উপায়। বর্তমান সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থানে দক্ষতার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিদেশে যারা যাবেন তারা যেন জেলা মানবসম্পদ অফিস অথবা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে নাম নিবন্ধন ও বায়োমেট্রিক দিয়ে স্মার্ট আইডি কার্ড নিয়ে যান। 
 
উল্লেখ্য সেমিনারে  প্রবাসী পরিবারের ৬ জনকে ৯ হাজার ৯শ’ টাকা ও ২ জনকে ২৭ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৪শ’  টাকা শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান করা হয়। 
 
#
 
রাশেদুজ্জামান/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                             নম্বর :  ২০৩৫
 
প্রোগ্রামিং শিক্ষা প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হবে
                             -- মোস্তাফা জব্বার
 
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) : 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিক্ষা প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হবে। এটি শুধু প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য নয়। এটি শিশুর জীবনে যে কোনো সমস্যা মোকাবিলায় কাজে লাগবে। তিনি বলেন, আগামী দিনের প্রযুক্তির বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে শিশুদেরকে যুক্তিসঙ্গত চিন্তাভাবনা করার সুযোগ দিতে হবে, সৃজনশীলতা তাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা অর্জনে তাদের প্রস্তুত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগ এবং ইয়াংবাংলা’র যৌথ উদ্যোগে  জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার প্রাথমিক স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রোগ্রামিং শিখাটা প্রাথমিক স্তর থেকেই শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পর্যায়ে শিশু কিশোরদের প্রোগ্রামিং টুর্নামেন্ট আমরা বাধ্যতামূলক করতে চাই।
ডাক ও  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিল্প বিপ্লবের চতুর্থ স্তরে আমরা প্রবেশ করেছি। এই স্তরের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা হবে সবচেয়ে কঠিন। যারা যোগ্য তারাই টিকবে। অযোগ্যরা হারিয়ে যাবে। আগামী ৫ বছরে বিদ্যমান পেশার শতকরা ৮০টিরই অস্তিত্ব থাকবে না। ডিজিটাল যুগে পৃথিবীতে প্রতিমুহূর্তে পরিবর্তনশীল। পৃথিবীতে কৃষিযুগ গেছে হাজার হাজার বছর কিন্তু ডিজিটাল যুগে রূপান্তর ঘটছে প্রতিমুহূর্তে। আগামী দিনে  পেশাগত যে পরিবর্তন আসবে তার প্রতিটির সাথে কোনো না কোনোভাবে প্রোগ্রামিং যুক্ত থাকবে বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী শিশুদের জন্য  প্রোগ্রামিংয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে বলেন, ‘প্রোগ্রামিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করছি। 
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূর দৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে গত দশ বছরে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ হবে বিশে^র বিস্ময়। 
মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান শিশুদের কল্যাণে কাজে লাগাতে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
#
শেফায়েত/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                        নম্বর : ২০৩৪
 
 
সুন্দরবনের বাঘ জরিপের ফলাফল প্রকাশ
 বেড়েছে বাঘের সংখ্যা 
 
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে): 
 
সুন্দরবনের বাঘ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন। আজ আগারগাঁও বন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন। ফলাফলে বলা হয়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১১৪টি। 
 
ঝবপড়হফ চযধংব : ঝঃধঃঁং ড়ভ ঞরমবৎ রহ ইধহমষধফবংয ঝঁহফধৎনধহ ২০১৮ নামে এ রিপোর্ট এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে মন্ত্রী বলেন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের সৌর্যবীর্যের প্রতীক। সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে বাঘের দেশ হিসেবে। আমাদের জাতীয় ক্রিকেট টিমকে আমরা টিম টাইগার বলি। সেই বাঘ রক্ষার জন্য ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্বের বাঘ আছে এমন দেশসমূহের সম্মেলনে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়ে এসেছিলেন তা আমরা পালন করতে পেরেছি। ২০১৫ সালের জরিপে আমাদের দেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। বর্তমান জরিপে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪টিতে। আমরা আশা করি, আমাদের সময়োপযোগী তৎপরতার মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরো বাড়াতে পারবো।
   
টঝঅওউ এর আর্থিক সহযোগিতায় ইবহমধষ ঞরমবৎ ঈড়হংবৎাধঃরড়হ অপঃরারঃু (ইঅএঐ) প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিং এর মাধ্যমে বাঘ গণনার কার্যক্রম শুরু করা হয় ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর। ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চারটি ধাপে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও শরণখোলা রেঞ্জের তিনটি ব্লকের ১ হাজার ৬৫৬ বর্গ কি. মি. এলাকায় বিশেষ এক ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মোট ২৪৯ দিনব্যাপী পরিচালিত এ জরিপ কার্যক্রমে ৬৩টি পূর্ণবয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ এবং ৫টি অপ্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সর্বমোট ২ হাজার ৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়। সুন্দরবনে বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র ৪ হাজার ৪৬৪ কি. মি. এলাকাকে আপেক্ষিক ঘনত্ব দিয়ে গুণন করে বাঘের সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে ১১৪টি। এ হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা শতকরা ৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্লক অনুযায়ী বাঘের ঘনত্ব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শরণখোলা রেঞ্জে বাঘের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি (৩.৩৩ বাঘ/১০০ বর্গ কি. মি.) এবং খুলনা রেঞ্জে বাঘের ঘনত্ব সবচেয়ে কম (১.২১ বাঘ/১০০ বর্গ কি. মি.)।
 
প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। 
 
#
 
পাশা/ফারহানা/ইসরাত/মোশারফ/জয়নুল/সেলিম/২০১৯/২০৪০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                        নম্বর : ২০৩৩ 
 
প্রধানমন্ত্রী শিল্পীদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক
                           --- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পীদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে তিনি সবসময় তৎপর। সদ্যপ্রয়াত গুণী শিল্পী সুবীর নন্দীর অসুস্থতার সময় তিনি সর্বদা খোঁজখবর নিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত সদ্যপ্রয়াত দেশবরেণ্য সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দীর স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্পী সুবীর নন্দীর সকল গান ও সৃষ্টিকর্মকে আর্কাইভের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে। আমাদের দেশে অনেক দুঃস্থ ও অস্বচ্ছল শিল্পী রয়েছে। তন্মধ্যে ২৫০০-৩০০০ জন শিল্পীকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাৎসরিক অনুদান প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় শিল্পী সুবীর নন্দীর আত্মার শান্তি কামনা করনে ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন।
শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্য বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দিন, শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, শুভ্র দেব, কোনাল, সাব্বির প্রমুখ।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২২১৬ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                      নম্বর :  ২০৩২
 
দায়িত্ব পালনে চাই সকলের সহযোগিতা
                      -- তথ্য প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) : 
 
দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন নবনিযুক্ত তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান।
 
আজ দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ কামনা ব্যক্ত করেন। তথ্যসচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক ও মোঃ মিজান-উল-আলম এবং মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং জনগণ ও সরকারের মাঝে তথ্য আদান প্রদানের সেতুবন্ধ অক্ষুণœ রাখাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বগুলো সফলতার সাথে পালন করাই আমার মূল লক্ষ্য। আমি আশা করবো সকলে এ কাজে আমাকে সহায়তা করবেন।’
 
প্রথমে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দিকগুলো বিশদভাবে জেনে তারপর বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের জবাব দেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান ডা. মোঃ মুরাদ হাসান । চার মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয় পরিবর্তন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যেখানেই কাজের দায়িত্ব দেবেন, সেখানেই মেধা ও মননের সবটুকু দিয়ে পূর্ণ আন্তরিকতায় তা পালন করাই আমার ব্রত।’
 
#
 
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ২০৩১
পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার ২০১৮ প্রদান
বিচারকাজ ও বেগম জিয়ার সুবিধার জন্যই কেরানীগঞ্জে আদালত
                                                         -- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) : 
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিচারকাজ ও বেগম জিয়ার সুবিধার জন্যই কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপন করছে সরকার এবং তা আইন ও বিধি অনুসারেই হচ্ছে।
আজ দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার ২০১৮ প্রদান শেষে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিএনপি’র মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি একথা বলেন। 
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আইন ও বিধি অনুসারে যে কোনো স্থানে সরকার আদালত স্থাপন করতে পারে। এর সাথে সংবিধানের বিরোধ নেই। আর বিএনপি নেতারা ক্রমাগতভাবে বলে আসছেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। যদিও তার আর্থাইটিস, কোমর ও হাঁটুর ব্যথা নতুন নয়, এ ব্যথা নিয়েই তিনি দু’বার প্রধানমন্ত্রীত্ব ও বিরোধীদলীয় নেতার কাজ করেছেন, তবুও সরকার তা বিবেচনায এনে বিচারকাজের সুবিধার জন্য কেরানীগঞ্জে আদালত গঠনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বিএনপি’র খুশি হবারই কথা।’ 
এর আগে পুরস্কার প্রদান সভায় বক্তৃতায় ড. হাছান মাহ্মুদ মানুষের মানবিক নানা দিক নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির আহ্বান জানান সাংবাদিকদের।   
পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্যসচিব আবদুল মালেক, এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং ভোরের কাগজের সম্পাদক জুরি বোর্ড প্রতিনিধি শ্যামল দত্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার বক্তৃতায় ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিকে মানুষের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষার জন্য আবশ্যক হিসেবে বর্ণনা করে এ বিষয়ে আইনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। 
পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার-২০১৮ বিজয়ীরা হলেন, বৈশাখী টিভি’র বুদ্ধদেব কুন্ডু, রাইজিং বিডি’র রফিকুল ইসলাম মন্টু, দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন’র ইব্রাহিম হোসাইন, বাংলাদেশ বেতারের মোঃ       মোস্তাফিজুর রহমান, দৈনিক গ্রামের কাগজের উজ্জ্বল বিশ্বাস, অনলাইন ঢাকা ট্রিবিউন’র সৈয়দ জাকির হোসেন এবং দৈনিক শেয়ার বিজ’র মোহাম্মদওয়ালী উল্লাহ।
পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার-২০১৮ জুরি বোর্ডের সদস্যরা ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম বজলুর রহমান, গাজী টেলিভিশন ও সারাবাংলা ডট নেটের এডিটর-ইন চিফ ইশতিয়াক রেজা, রয়টার্সের রফিকুর রহমান, এটুআই প্রোগ্রামের কমিউনিকেশন এক্সপার্ট তানজিনা শারমিন এবং পিআইবি’র সাবেক মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীর। 
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                      নম্বর :  ২০৩০
 
পার্বত্য অঞ্চলের একটি শিশুও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না
                                                        -- শিক্ষামন্ত্রী
 
বান্দরবান, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) : 
 
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের একটি শিশুও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না। তার জন্য যা করণীয় সরকার তাই করছে। ইতিমধ্যে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে,  রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। বান্দরবানে নার্সিং কলেজ ও কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এ অঞ্চলের উন্নয়নে বিদ্যুৎ একটি সমস্যা। সরকার এ সমস্যা সমাধানে সোলার প্যানেল বিতরণ শুরু করেছে।   
 
মন্ত্রী আজ দুপুরে বান্দরবান জেলার  অরুণ সারকী টাউন হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এটুআই ও বান্দরবান জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে শিক্ষার জন্য আলো ও সোলার পরিচালিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।  
 
পার্বত্য জেলায় শিক্ষক সংকট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মামলার কারণে দীর্ঘদিন এনটিআরসির নিয়োগ বন্ধ ছিল। যার কারণে শিক্ষক সংকট হয়েছে। খুব শীঘ্রই পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষক সংকটের সমাধান করা  হবে এবং এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের এখানেই পদায়ন করা হবে।                 
 
অনুষ্ঠানে গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  পার্বত্য চটগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী  বীর বাহাদুর উশৈসিং। 
 
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা  এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের  সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, এটুআই  প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোস্তফিজুর রহমান, বান্দরবান জেলার জেলা  প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার প্রমুখ। 
 
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সোলার পরিচালিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪ হাজার সোলার প্যানেল ও লাইট বিতরণ করেন।        
 
#
 
খায়ের/মাহমুদ/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২০২৯
এফ আর টাওয়ারের অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে
                                                                   -- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) : 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘এফ আর টাওয়ারের অবৈধ কাজের সঙ্গে রাজউকের কর্মকর্তাসহ যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লেখা হবে। যারা অবসরে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য প্রক্রিয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এখনো কর্মরত আছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আজ দুপুরে সচিবালয়স্থ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গত ২৮ মার্চ বনানী মডেল টাউনের এফ আর টাওয়ারে অগ্নি দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তদন্তের বিষয় ছিলো এফ আর টাওয়ার নির্মাণে কোনো অনিয়ম, ব্যত্যয় হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে তা কি ধরণের হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্তরে কী কী অনিয়ম হয়েছে। এ অনিয়মের সাথে মালিক পক্ষ, ডেভেলপার পক্ষ এবং রাজউকে তৎকালীন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছিলেন তাদের সম্পৃক্ততা কিভাবে ছিলো। কী কী নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে’।
রেজাউল করিম বলেন, ‘১৯৯০ সালে এফ আর টাওয়ারের ১৫ তলা পর্যন্ত ভবনের অনুমোদন সঙ্গত ছিলো। পরবর্তী সময়ে ১৫ তলা থেকে ১৮ তলা পর্যন্ত নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়া যথাযথ ছিলো, কিন্তু অনুমোদনকালীন বিদ্যমান বিধির আওতায় অনুমোদন দেয়া হয়নি, আবেদনকালীন বিদ্যমান আইনের আওতায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে আইনগত বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটেছে। ১৮ তলার ঊর্ধ্বে ভবনের সকল তলা সম্পূর্ণ অবৈধ। এফ আর টাওয়ার কর্তৃপক্ষ একটি প্ল্যানের অনুমোদিত কপি দেখানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু রাজউকের রেকর্ডে কোথাও তার কোনো অস্তিত্ব নেই। রাজউকের কাছে সংরক্ষিত নথিতে মূল প্ল্যানেরও কোনো কপি নেই। রাজউকের কোনো অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের মাধ্যমে বিল্ডিং এর মালিক ও ডেভেলপার বাইরের একটি প্ল্যান তৈরি করতে পারে, আইনগতভাবে এই প্ল্যানের কোনো বৈধতা নেই। পরবর্তীতে অসাধু যোগসাজশে ঋণ গ্রহণের অনুমতি প্রদানের প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদেরও তদন্তে দায়ী করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পরিদর্শক পর্যন্ত রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাপনায় যারা ছিলেন, যারা ঋণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন তাদের সকলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই ঘটনায় জড়িত হিসেবে রিপোর্টে এসেছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তি হিসেবে অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণাদি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তে অনেকগুলো অনিয়ম সনাক্ত হয়েছে, সব মিলে আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ নেই। এফ আর টাওয়ারের অবৈধভাবে নির্মিত অংশ ভেঙ্গে ফেলার জন্য আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে আমরা আইনকে অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।
রাজউক থেকে বহুতল ভবনের অনিয়ম চিহ্নিত করার জন্য ২৪টি পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সকল বিল্ডিং পরিদর্শন করবো। প্রাথমিকভাবে বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে। বহুতল ভবনেরর ভেতরে এ পর্যন্ত রাজউক অনুমোদিত নকশা আছে এমন ভবন পাওয়া গেছে ১১৩৬টি, রাজউক ব্যতীত অন্যান্য সংস্থা অনুমোদিত নকশা আছে এমন ভবন ২০৭টি, ভবন মালিকগণ রাজউক অনুমোদিত নকশা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে এমন ভবনের সংখ্যা ৪৩১টি এবং সরকারি ভবনের নকশা প্রদর্শন করা হয়নি এমন ভবন ৪৪টি। নির্দিষ্ট সময়ে নকশা প্রদর্শনে ব্যর্থ ভবনের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যত্যয়কৃত ভবনের অনিয়মকৃত অংশ ভেঙ্গে ফেলার জন্য আমরা নির্দেশ দেবো। ভেঙ্গে না ফেললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
বিফ্রিং অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসিরসহ তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৭২০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                        নম্বর : ২০২৮
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে
                                                        --- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
 
এস্তোনিয়া (তালিন), (২২ মে) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিনে ‘পঞ্চম ই -গভর্নেন্স সম্মেলন ২০১৯’ এর দ্বিতীয় দিনে মিনিস্টেরিয়াল প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত সেশনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
প্যানেল আলোচনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে নিজ সোসাইটির ট্রান্সফর্মেশন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে  ২০০৮ সালে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেয়া, ই-গভর্নেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এই চারটি মূল লক্ষ্য বা পিলারে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে’। 
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে আইসিটিখাতে এক মিলিয়ন জনবলের কর্মসংস্থান হয়েছে। দশ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫ মিলিয়ন। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারত না। বর্তমান সরকার এর দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিচ্ছে। এর ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে। 
ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ছাড়া ডিজিটাল ইকোনমি সম্ভব নয় উল্লেখ করে পলক বলেন, সরকার শহর থেকে গ্রামে ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে ৫’শ এর অধিক ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছে। প্রতি মাসে ৬ মিলিয়ন মানুষ এই ডিজিটাল সেন্টার থেকে ২শ’ এর অধিক বিভিন্ন সেবা পাচ্ছে। তিনি বলেন গত দশ বছর আগে আইসিটি খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। সরকারের ব্যবসাবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট প্রদান, মেন্টরিং, কোচিং ও রিসার্চ ডেভেলপমেন্টের জন্য ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সকল হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাগণ সবধরনের সহায়তা পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো জানান, সরকার আগামী ৫ বছরে আইসিটি খাতের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণ, ৯০ ভাগ সেবা অনলাইনে প্রদান, দেশের শতকরা শতভাগ জনগণকে কানেক্টিভির আওতায় আনা এবং আরো ১ মিলিয়ন জনবলের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।  
সেশনে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী ও আইসিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসব কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
#
শহীদুল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/১৮০০ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                        নম্বর : ২০২৭
 
২০ মে-২৩ জুলাই মৎস্য আহরণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ
প্রতি পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে
 
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে): 
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত ২০০ নটিক্যাল মাইল অঞ্চলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সকল প্রকার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক মৎস্যযান কর্তৃক মৎস্য ও ক্রাস্টিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিশ ইত্যাদি) আহরণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় সামদ্রিক মাছসমূহের প্রজননকাল হওয়ায় ডিমওয়ালা মাছের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিসহ মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানসম্মত সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
উপকূলীয় ১২টি জেলাধীন ৪২ উপজেলার ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪টি জেলে পরিবারের মাছ-আহরণ ব্যতীত বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় এবারই প্রথম নিষিদ্ধকালীন ৬৫ দিনের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় পরিবারপ্রতি মাসিক ৪০ কেজি করে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ঈদের আগেই এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। 
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ৮ মাস জাটকা নিধনরোধ এবং ২২ দিন মা-ইলিশ সংরক্ষণের মতো ৬৫ দিনের জন্যও ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার ফলে জেলে পরিবারের খাদ্য সংস্থান হওয়ায় তারা সামুদ্রিক ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ি আহরণ থেকে বিরত থাকবে এবং ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ির নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।  
উল্লেখ্য, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ২৫৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলার, ৩২ হাজার ৮৫৯টি যান্ত্রিক ও ৩৪ হাজার ৮১০টি অযান্ত্রিক ফিশিংবোট কর্তৃক নির্বিচারে মৎস্য আহরণের ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এজন্যই ‘সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ এর অধীনে বিধি ১৯ দ্বারা ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় বাণিজ্যিক ট্রলারসহ সকল প্রকার নৌযান দ্বারা মাছ, চিংড়ি ও চিংড়ি জাতীয় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৩২ হাজার যান্ত্রিক মৎস্যযান সমুদ্রে মাছ ধরায় জড়িত থাকলেও এদের মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৪০০টি মৎস্যযানের বৈধ নিবন্ধন থাকায় অবৈধ নৌযানের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। 
প্রতিমিন্ত্রী বলনে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোট ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হওয়ায় দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উৎপাদনের মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্যখাতের অবদান ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম ম-ল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহআলম/মাহমুদ/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/১৭৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর : ২০২৬

বিজিসিসিআই আয়োজিত সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী
সকল অংশীজনের সাথে আলোচনা করে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে

ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :  
শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সাথে আলোচনা করে ব্যবসাবান্ধব, আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের শিল্পনীতিকে ঘষামাঝা করেই দেশের বর্তমান শিল্পনীতি চলছে। সব স্টেকহোল্ডারের সাথে আলোচনা করে বাস্তবতার নিরিখে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে। 
মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিল্পায়ন: পরবর্তী ধাপ’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
বিজিসিসিআই’র সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেমিনারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিজিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মোর্শেদ, সহসভাপতি মোঃ মুইন উদ্দিন মজুমদার, পরিচালক মোঃ আনোয়ার শহীদ, নির্বাহী পরিচালক এম এ মতিন, ইনসেপ্টার ব্

Todays handout (11).docx Todays handout (11).docx