তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৯
সপ্তাহব্যাপী কেন্দ্রীয় মৎস্যমেলায় ৪টি স্টল পুরস্কৃত
মৎস্য সপ্তাহে ৮বিভাগে পৌনে পাঁচ লাখ মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে
ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ এর সমাপনী ও মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে আজ সারাদেশের সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রমের মূল্যায়ন তথ্য প্রকাশ করা হয়। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব অসীম কুমার বালা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন এবং জাটকা ও মা ইলিশ-সহ অন্যান্য মাছের নির্বিচার ধ্বংসরোধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের ৮বিভাগ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের জেলা-উপজেলাসমূহে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে মোট ১ হাজার ৭০৮টি প্রচারণা, পুরস্কার বিতরণ, পোনা-অবমুক্তকরণ, প্রামাণ্যচিত্র, ভিডিও প্রদর্শন, ফরমালিনবিরোধী অভিযান, মৎস্যমেলা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, ৪৮৭টি র্যালি, ১ হাজার ৩৩৪টি সভা-সমাবেশ, ১ হাজার ৫৭টি মাইকিং, ৫৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলোচনাসভা ও ৩০৭টি সেমিনার-কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ৭৩৬টি মোবাইল কোর্ট ও অভিযান, ৪২৯টি মৎস্য সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সভা এবং ৮২ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ৮টি বিভাগে মোট পৌনে পাঁচ লাখ মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয় এবং মৎস্যখাতে অবদানের জন্য ১ হাজার ৫৬৫ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সপ্তাহব্যাপী কেন্দ্রীয় মৎস্যমেলার সেরা স্টল-মালিকদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। মাছের খাদ্য তৈরির প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য ঊঙঘ অহরসধষ ঐবধষঃয চৎড়ফঁপঃং খঃফ, মৎস্য প্রযুক্তি ও মৎস্য খাদ্য তৈরির প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য অঈও অহরসধষ ঐবধষঃয, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য ঠরৎমড় ঋরংয ্ অমৎড় চৎড়পবংংয খঃফ এবং মৎস্যপণ্যের প্রদর্শনের জন্য ‘এবেস্তা’কে মেলার স্টলের পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী জাটকা ও মা-ইলিশের নিধনকারী অবৈধ জালের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে বলেন, সরকার দেশকে এশিয়ার সেরা দেশে পরিণত করতে সবকিছু করে যাচ্ছে। তিনি স্বাস্থ্যসম্মত মৎস্যখাদ্য এবং প্রসেসিংফিশ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে মাছের বহুমাত্রিক ব্যবহার বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
#
শাহ আলম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৮
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত করা হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। চাহিদা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে মাদ্রাসাতেও বাদ্যযন্ত্র-সহ সাংস্কৃতিক উপকরণ বিতরণ করা হবে। মাদ্রাসা-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক চর্চা বিস্তৃত করার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব সৃষ্টি করা হবে। এর মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা- ও অপতৎপরতা হ্রাস পাবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত গোপালগঞ্জ জেলার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি মাদ্রাসার প্রত্যেকটিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন গোপালগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার আল মামুন বিন সালেহ।
শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে বক্তব্য রাখে গোপালগঞ্জের নিলখী দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী তাহেরা খানম। এছাড়া অনুভূতি ব্যক্ত করেন গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু সাঈদ মোঃ আবদুল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এহিয়া খালেদ সাদী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ করপাড়া ইউনিয়ন আলিম মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জামিল আহমদ ও গোপালগঞ্জ মহিলা কামিল মডেল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া ইসলাম।
#
ফয়সল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৭
গণপিটুনির কারণ খতিয়ে দেখা হবে
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার পরিমাণ কমেছে। একটাও যাতে বিচার বহির্ভূত হত্যা না হয়, আমরা সে দিকেই অগ্রসর হচ্ছি। নির্যাতন বন্ধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন কমেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম জাতিসংঘে নির্যাতনবিরোধী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন (ইউএনসিএটি) বিষয়ে সিভিল সোসাইটির সাথে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের যেখানেই অপরাধ হচ্ছে সেখানেই তা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্ষণ বা অন্যান্য নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সরকার অনেক চেষ্টা করছে। মাদক নির্মূলের জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। এসিড সন্ত্রাস দমনে যেমন দেশের মানুষ সবাই একত্রিত হয়েছিল তেমনি এসব অপরাধ দমনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘনঘন অগ্নিকা-, ধর্ষণ ও গণপিটুনির ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো ঘটনার একটা স্বাভাবিকতা আছে আর একটা অস্বাভাবিকতা আছে। আপনারা যদি আগুন লাগার ঘটনা দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন, এটা কন্টিনিউয়াস ঘটতে থাকলো। তারপরে ধর্ষণের ঘটনা কন্টিনিউয়াস ঘটতে থাকলো। এখন গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। এটা একটা দুটা দুর্ঘটনা হলে ঠিক আছে। পরিসংখ্যান বলে ১১-১২টা হয়েছে। এখানে এটা অস্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, কাউকে পিটানো সেটা গণ হোক, ব্যক্তি হোক, সেটা একটা অপরাধ। গণপিটুনির ঘটনায় যাদেরকে ধরা হচ্ছে তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। দেশের প্রচলিত আইনে যে বিচার তাদের হওয়া উচিত সেই বিচার হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক বক্তৃতা করেন। সিভিল সোসাইটির সদস্যবৃন্দ জাতিসংঘ নির্যাতন বিরোধী কনভেনশন এবং বাংলাদেশে এর প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করেন।
#
রেজাউল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৬
সমালোচনা সৃষ্টির পথকে সুগম করে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যম যথা ফিল্ম, মিউজিক, ডান্স, আর্ট ও মিউজিক বিষয়ক অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সসমূহের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিল্প বোদ্ধা ও শিল্প সমালোচক তৈরি করা। শিল্প সমালোচনা নতুন শিল্প সৃষ্টির পথকে সুগম করে। সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হল সংস্কৃতিকর্মী বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতি বোদ্ধা, সমালোচক ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মাধ্যম যথা ফিল্ম, থিয়েটার, মিউজিক, ডান্স ও আর্ট বিষয়ক পাঁচটি অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, আমাদের ছোটবেলায় অনেক শিল্প সমালোচককে দেখা যেত কিন্তু এখন তেমনটি দেখা যায় না। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সসমূহ আমাদের সে সংকট দূর করবে বলে আশা করা যায়। তিনি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যত গবেষণা তত উন্নয়ন। তিনি এ সময় অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সে অংশগ্রহণকারী, আয়োজক ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও থিয়েটার অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের পরিচালক ড. আফসার আহমেদ, একই বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক এবং ডান্স অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের পরিচালক ড. সোমা মমতাজ, সরকারি সংগীত কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও মিউজিক অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের পরিচালক কমল খালিদ, ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের পরিচালক জাহিদুর রহিম অঞ্জন এবং বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক ও আর্ট অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের পরিচালক মইনুদ্দিন খালেদ।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৫
আসন্ন ঈদুল আজহায় বিশেষ ট্রেন চলবে
-- রেলমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা (সম্ভাব্য ১২ আগস্ট ) উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা আজ রেলভবনে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনগুলো হলো- দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (১ জোড়া) : ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ জোড়া) : চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, সান্তাহার ঈদ স্পেশাল : ঢাকা-সান্তাহার-ঢাকা, লালমনি ঈদ স্পেশাল: লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট, মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল : খুলনা-ঢাকা-খুলনা, সোলাকিয়া স্পেশাল-১ : ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, সোলাকিয়া স্পেশাল-২ : ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ- ময়মনসিংহ।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন পূর্ব হতে অগ্রিম টিকিট ঢাকার ৫ টি স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটভিত্তিক বিক্রি করা হবে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা (কমলাপুর)-সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন ভায়া যমুনা সেতু, বিমানবন্দর-চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও-ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী-নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন, ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন)-সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন।
৫ টি স্টেশন কাউন্টার হতে শিডিউল ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৫০০ এর অর্ধেক টিকিট কাউন্টার এবং অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি হবে। বিশেষ ট্রেনের কোনো টিকিট মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টার হতে বিক্রি করা হবে।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি সকাল ৬টা থেকে শুরু হবে। অগ্রিম টিকিট মোবাইল অ্যাপ এবং কাউন্টার ২৪ ঘণ্টা পর এক হয়ে যাবে। ঈদ উপলক্ষে মোট ১ হাজার ৪৩৭টি যাত্রীবাহী কোচ এবং মোট ২২৬টি লোকোমোটিভ সার্ভিস চালু থাকবে।
বিক্রয়ের সিডিউল ২৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত যথাক্রমে ৭ আগস্ট থেকে ১১ আগস্টের টিকিট বিক্রি করা হবে। একইভাবে ফিরতি টিকিট ৫ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত যথাক্রমে ১৪ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হবে। ঈদের পূর্বে ৭ আগস্ট থেকে ঈদের পূর্ব দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অফ-ডে থাকবে না।
যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন পূর্ব হতে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোনো মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হবে এবং টিকিট বিক্রয়ের স্থানে মনিটরিং করা হবে। ১১ আগস্ট হতে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা-কলকাতা-ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলমপথ মন্ত্রী বলেন, এবার মোবাইল অ্যাপে যেন ভোগান্তি না হয় তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে, ওঠা-নামার কারণে শিডিউল ঠিক রাখা যায় না। টিকিট কালোবাজারী বিষয়ে বলেন, এখন ঢালাওভাবে কালোবাজারী নেই। কারও সুস্পষ্টভাবে জানা থাকলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন মোঃ মিয়াজাহান-সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা
Handout Number : 2674
Malta to explore new business opportunities in Bangladesh
Dhaka, 23 July 2019:
Bangladesh and Malta agreed to begin 'new era of cooperation' to invigorate bilateral relations to achieve concrete benefits for the two peoples.
This was agreed between Bangladesh Foreign Minister Dr. AK Abdul Momen and Maltese Minister for Foreign Affairs and Trade Promotion Carmelo Abela during the first ever official bilateral talks held in Maltese capital Valetta yesterday. The two Foreign Ministers exchanged views on all issues of mutual interests, with particular emphasis on enhanced economic cooperation by building partnerships in areas like maritime sector and Blue Economy. Taking into account the fastest growing economic growth in both countries (ie, Malta is currently enjoying more than 5% growth, highest in Europe and Bangladesh is poised to grow over 8% for the current FY), both sides agreed to exchange trade and investment Delegation in the near future to explore opportunities and also to exchange experience and ideas for new businesses in areas like high level manufacturing/marketing (e,g, facilitation of EU market access for generic pharma products), FinTech, blockchain technologies. Cooperation in the UN, Commonwealth and other International Organizations on issues like climate change, migration, including supporting each other's candidatures for elections in the international bodies was also discussed.
Maltese Foreign Minister praised the leadership role played by Bangladesh government in managing the protracted Rohingya crisis and assured to extend continued support for peaceful resolution of the crisis.
The two Foreign Ministers signed two MOUs after the bilateral talks, respectively, on: (a) regular holding of Political Consultations, and (b) cooperation between Diplomatic training academies of the two countries.
Bangladesh Foreign Minister, who is on a two day official bilateral visit to Malta, also met with the President of Malta Dr. George Vella and Prime Minister of Malta Josef Muscat. President of Malta saluted Bangladesh for the generosity extended to the Rohingyas. He further attributed the stable leadership at the top as the key for Bangladesh's stellar economic growth or success. Maltese Prime Minister Muscut expressed confidence about ‘undoubted scope for cooperation’ in the maritime industry or blue economy as well as market access facilitation role for Malta in supporting Bangladeshi companies to get registered their generic pharma products for EU.
In the afternoon both Foreign Ministers attended ‘Bangladesh Malta Business Forum’ hosted by the Malta Chamber of Commerce, Enterprise and Industry, in collaboration with Bangladesh Embassy in Greece, with concurrent accreditation to Malta.
Later in the evening, Foreign Minister Dr. Momen attended a reception hosted by the Bangladesh Community in Malta, where Maltese Foreign Minister Abela joined along with his spouse.
Bangladesh Ambassador to Greece, with concurrent accreditation to Malta, Md Jashim Uddin and Director General (West Europe and EU) of the Ministry of Foreign Affairs Mohammad Khorshed A Khastagir, among others, were present in the meeting.
#
Tohidul/Mahmud/Sanjib/Salim/2019/1800 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৩
কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে বিমার টাকা প্রদান
ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই) :
শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএকে গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু বিমা দাবি বাবদ এবং আপদকালীন সহায়তা হিসেবে ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী আজম কেন্দ্রীয় তহবিলের এই চেক বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন।
কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর সদস্যভুক্ত ৪শ ৪৪ জন গ্রার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু বিমা বাবদ ৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টার গার্মেন্টস লিঃ এর শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাবদ আপদকালীন সহায়তা হিসেবে ২৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার মধ্যে বিজিএমইএ দেয়া হয়েছে ৬ কোটি ১০ লাখ এবং বিকেএমইএ কে দেয়া হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ। বিজিএমইএ এর পক্ষে পরিচালক নজরুল ইসলাম এবং বিকেএমইএ এর পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান চেক গ্রহণ করেন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম সচিব ঈদুল আজহার আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আউয়াল বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭২
বৈদেশিক অর্থ পাওয়া না গেলে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নিজেরাই বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি আজ শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (জিপিইডিসি) এর সিনিয়র লেভেল মিটিং (এসএলএম) এবং হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম (এইচএলপিএফ) অন সাসটেইনেবল ডেবেলপমেন্ট’- এর সভায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফ করছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের অনেক অর্থ দরকার। তবে এটি বাস্তবায়নে বাহির থেকে খুব বেশি অর্থ আশা করা যাবে না। আমাদের নিজেদের অর্থেই এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এসডিজি নিয়ে জাতিসংঘে বিভিন্ন সভা হয়েছে। এসব সভায় আমরা এসডিজি নিয়ে কী করছি বা কী করা যেতে পারে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এসব সভা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এসডিজি বাস্তবায়নে বৈদেশিক সহায়তা খুব বেশি আশা করা যাবে না। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে ২০১৬ থেকে ২০৩০ মেয়াদে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার অনেক কিছুই আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন দারিদ্র্য বিমোচন, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা এগুলো আমাদের নিজেদের তাগিদেই করতে হবে।
ব্রিফিং-এ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামছুল আলম, পরিকল্পনা সচিব মোঃ নূরুল আমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজ উল্লাহ-সহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।