Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ ডিসেম্বর ২০১৫

তথ্যবিবরণী ০৫/১২/২০১৫

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৭০
সংবিধানের আলোকে বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে স্পিকারের আহ্বান
ঢাকা, ২১ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) : 
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সমাজে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সড়্গমতা বৃদ্ধি ও সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ সুবিধার আওতাভুক্ত করার মধ্য দিয়ে সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় অধিকতর সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।  
স্পিকার আজ ঢাকায় বিএমএ মিলনায়তনে বিশ্ব মর্যাদা দিবস উপলড়্গে হরিজন ঐক্য পরিষদ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন  আয়োজিত দলিত হরিজন সমাবেশে প্রধান অতিথির  বক্তৃতায় এ আহবান জানান।  
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দলিত এবং হরিজনরাও সমাজ ও রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের বাদ দিয়ে দেশের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ভিশন-২০২১ এর লড়্গ্যকে সামনে রেখে জাতীয় উন্নয়ন টেকসই করতে কাজ করার আহ্বান জানান। 
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানে সমাজের কোন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে বৈষম্যের কোনো সুযোগ নেই বরং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য  শিড়্গা, স্বাস'্য, কর্মসংস'ানসহ উন্নয়নের সকল ড়্গেত্রে  সমসুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য দূরীকরণে প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূরীভূত করতে হবে। 
দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বর্তমান সরকার কর্র্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদড়্গেপের বিবরণ দিয়ে স্পিকার বলেন, সরকার সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য  কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লড়্গ্য নিয়ে যে সংগ্রাম করেছেন তা যথাযথভাবে বাসত্মবায়নে আমাদের সংবিধানের মূলকথা শোষণ, বঞ্চনা, দরিদ্রতা ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার ড়্গেত্রে  সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার। 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস মূলপ্রবন্ধ উপস'াপন করেন। বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ লালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ  বক্তব্য রাখেন ।
#
হুদা/আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/২০০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর :  ৩৫৬৯

গণপ্রচেষ্টা দল ও খুদে যৌথ কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলন
ভূমিতে দরিদ্র ও গ্রামীণ নারীর অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান

ঢাকা, ২১ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) : 

দেশের ১২টি বেসরকারি সংস'ার ১২টি জেলা থেকে গণপ্রচেষ্টা দলের দরিদ্র কিষাণ-কিষাণী, যুবকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীর দু’শতাধিক প্রতিনিধির অংশগ্রহণে  গণপ্রচেষ্টা দল ও খুদে যৌথ কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ ঢাকায় এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিসোর্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর উদ্যোগে মোহাম্মদপুর  সিবিসিবি সেন্টারে দিনব্যাপী এ সম্মেলনে এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি'ত ছিলেন।
 
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সামছুল হুদার সভাপতিত্বে এতে গবেষণা প্রবন্ধ উপস'াপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত। সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিকুজ্জামান, অধ্যাপক ড. রওশন আরা ও এএলআরডির উপনির্বাহী পরিচালক রওশন জামান মনি আলোচনায় অংশ  নেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিতে দরিদ্র ও গ্রামীণ নারীর অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে কৃষি অর্থনীতিকে বিকশিত করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের আওতায় আনার প্রচেষ্টা ও উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিপণনের ব্যবস'া নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পলিস্নউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীনে সমবায় অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সমবায় বাজার স'াপন করেছে। ফলে উৎপাদক ও ভোক্তার স্বার্থ সংরড়্গিত হচ্ছে। তিনি এএলআরডি কর্তৃক গ্রামীণ মানুষের আর্থসামাজিক অবস'ার পরিবর্তন বিশেষত গ্রামীণ নারীর সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক ড়্গমতায়নে কাজ করায় ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনটিকে সরকারের গণমুখী কার্যক্রমসমূহের সহায়ক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। 

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সমবায় গঠন ও তার ব্যবস'াপনা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস'াপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সীমা জাহান।   

#

আহসান/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৫৬৮

দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাংকসমূহের ভূমিকা অপরিসীম
                                            -- ড. আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা, ২১ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) : 

     জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স'ায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাংকসমূহের ভূমিকা ও গুরম্নত্ব অপরিসীম। প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে। আশা করা যায় অচিরেই ব্যাংকগুলো সেবার ড়্গেত্রে আনত্মর্জাতিক মান অর্জনে সড়্গম হবে। 

    ড. রাজ্জাক আজ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি বাংলাদেশ এর নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে  একথা বলেন ।

    তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের মাধ্যমে মূলধন ঘাটতি কমানো এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব হবে।  

    ড. রাজ্জাক  বলেন, ড়্গণজন্মা  মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে স'ান করে নিয়েছিল। 

          তিনি অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি বাংলাদেশ এর নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে আনত্মরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

    অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মো. মহিরম্নজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, ব্যবস'পনা পরিচালক ও সিইও এবং পরিচালনা পর্যদের  পরিচালকম-লীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপসি'ত ছিলেন।

#

সাব্বির/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৬৭

                    উপজেলা পর্যায়ে শিড়্গা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় স'াপন করা হবে
                                                                                    -- শিড়্গামন্ত্রী

ঢাকা, ২১ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) : 

    শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের সকল উপজেলায় শিড়্গা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় স'াপন করা হবে । 

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় কাকরাইলে আইডিইবি ভবন মিলনায়তনে  শিড়্গা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপেস্নামা প্রকৌশলী সমিতির জাতীয় সম্মেলন ২০১৫ ও ২১তম কাউন্সিল অধিবেশনের  উদ্বোধন  অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।

    সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিড়্গা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, শিড়্গা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী  দেওয়ান  মোহাম্মদ হানজালা এবং আইডিইবি সভাপতি  একেএমএ হামিদ বক্তৃতা করেন।

    শিড়্গামন্ত্রী বলেন, উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, বেতন মওকুফ, বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার সরবরাহের মতো দরিদ্র শিড়্গার্থীদের জন্য  সরকারের নানা কর্মসূচির ফলে  সারাদেশে  বিভিন্ন পর্যায়ে  শিড়্গার্থীর সংখ্যা  ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এসব শিড়্গার্থীর জন্য কস্নাসরম্নমের ব্যবস'া করতে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে।

    জনাব নাহিদ বলেন, বর্তমানে জেলাভিত্তিক শিড়্গা প্রকৌশল কার্যালয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের এসব শিড়্গা অবকাঠামোর নির্মাণকালীন তদারকি অত্যনত্ম কঠিন। আর তাই উপজেলা পর্যায়ে শিড়্গা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

    শিড়্গামন্ত্রী অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে শিড়্গা প্রকৌশল অধিদপ্তরে উন্নীত করায় কেবল কাজের পরিধি বেড়েছে তা নয়, ভাবমূর্তিরও ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। নির্মাণকাজে দৃশ্যমান সততা নিশ্চিত করে এ ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার জন্য তিনি সংশিস্নষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

#

সাইফুলস্নাহ/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর- ৩৫৬৬

পরিবেশ রক্ষায় এনজিওগুলোকে ভূমিকা পালন করতে হবে
                                           -রাশেদ খান মেনন
খুলনা ২১ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর ) ঃ

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জনগণের মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ত হতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করতে হবে।

মন্ত্রী আজ খুলনায় হাদিস পার্কে নবলোক-এর ২৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতার হার বজায় থাকলে আগামীতে দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং প্রায় তিন কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হবে। এনজিওগুলোকে পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে দায়িত্ব পালন এবং তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে তাদের সংগঠিত করতে হবে। কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়, এনজিওকে পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ কোন্ পথে ধাবিত হবে তা নির্ধারণে পথপ্রদর্শকের দায়িত্ব পালনে এনজিও’র ভূমিকা অপরিসীম। দরিদ্রতা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে  মানুষকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

নবলোকের চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাস, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু একং নবোলক-এর নির্বাহী প্রধান কাজী ওয়াহিদুজ্জামান।

উল্লেখ্য, নবলোক দরিদ্র মানুষের মধ্যে জনহিতকর কার্যক্রম, পীড়িতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, যৌতুক, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, জনগণের হিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরা, কর্মদক্ষতাবৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি প্রশমন কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

পরে তিনি ফুলতলা জামিরা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জাতীয় কৃষক সমিতি খুলনা জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
#
জাকির/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৫/১৭৫৪ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ৩৫৬৫
গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২১ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
    “ছয় ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে সৈ¦রাচারের পতন হয়। এ মহান বিজয় দিবসে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
    নব্বই পরবর্তী দুই দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে।
    ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকেরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীকালে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স¦াধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের  গৌরবোজ্জ¦ল ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে  নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
    সৈ¦রাচারী শাসন উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘ সংগ্রাম করি। এ আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষ স¦তঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। নুর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ, ডা. মিলনসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষ আত্মাহুতি দেন। সৈ¦রাচারী শাসক গণআন্দোলনের কাছে নতি স¦ীকার করতে বাধ্য হয়। শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় গণতন্ত্র। এ অর্জন ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
    আমি দেশবাসীর এই স¦তঃপ্রণোদিত ত্যাগ ও অধিকার রক্ষায় আপোশহীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলনে জীবনোৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করেছি। আমরা সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচার রায় কার্যকর হচ্ছে। ২১ আগস্ট  গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার কাজ চলছে। কোন ষড়যন্ত্রই আমদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার  পথ  থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
    আসুন, গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করি। গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
                                   জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
                                 বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
মিনা/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা