Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৫ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৪৯২

 

সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে

                                                                 -- মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্বাধীনতা আমাদের রক্তে কেনা অর্জন। আমাদের এই অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন মহামানবের জন্ম এই মাটিতে হয়েছিলো বলে সম্ভব হয়েছিলো। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমাদের এই অর্জনকে অর্থবহ করতে হবে। এই লক্ষ্যে  ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকান্ডকে আরো গতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ঐতিহাসিক নেতৃত্ব : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও দেশের উন্নয়ন বিষয়ক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  মোঃ সিরাজ উদ্দিন, বিটিসিএল এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস সহায়ক তাহমিদা সুলতানা প্রমূখ বক্তৃতা করেন। মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থা সমূহের কর্মকর্তা কর্মচারিগণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

 

          মন্ত্রী ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে ঢাকা শহরে পাকিস্তানি বাহিনীর নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বোরোচিত হামলায় ঢাকা শহরকে লাশের শহরে পরিণত হয়েছিলো উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য খুবই স্মৃতি জাগানিয়া সময় ছিলো এটি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন,  আমার প্রজন্মের জন্য  স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ পালন করা খুবই সৌভাগ্যের। মা বাবা যারা যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন তারাও ভাবেননি আমরা ফেরত আসব। আমরা পঞ্চাশ বছরের রূপান্তর দেখেছি। তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ববকে সমকালীন বিশ্বের বিস্ময়  উল্লেখ করে বলেন, হুচিমিন, মাওসেতুং, চেগুয়েভারা, লেলিন কিংবা মাও সে তুং তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুকে তুলনা করলে বলা যাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনন্য। পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৭ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ ছিলো অপশক্তির হাতে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে  উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য  সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা আর এর অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা। 

 

          অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন তথ্য  তুলে ধরেন। তাদের বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ও  পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র উঠে আসে।

#

শেফায়েত/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৩৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৪৯১

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালার নবম দিনের প্রতিপাদ্য

গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ মূল প্রতিপাদ্যের দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার নবম দিনের (২৫শে মার্চ ২০২১) অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’।

 

          আজ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠান টেলিভিশন, বেতার, অনলাইন ও স্যোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

          আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আসাদুজ্জামান নূর, এমপি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে প্রিন্স চার্লস, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চাং সে কাইয়ুন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সুহৃদ জাপানের তাকাশি হাওয়াকাওয়া-এর পুত্র ওসামু হায়াকাওয়া এবং বাংলাদেশে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাহাব লারবি-এর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

 

          এছাড়া স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, চেক রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান, পোলান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজেজ দুদা, জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এডগার লুঙ্গু, কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস-কানেল এবং বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ-এর শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনানো হয়।

 

          সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বন্ধুরাষ্ট্র আলজেরিয়া, ব্রুনাই এবং ইন্দোনেশিয়ার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ভাটিয়ালি গানের সুরে কোরিওগ্রাফি পরিবেশনা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে গাওয়া আমেরিকান সংগীত শিল্পী জোয়ান বায়েজের গান, চট্টগ্রামের শিশুস্বর্গ দলের পরিবেশনা এবং যুদ্ধকন্যার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ, অ্যালেন গিন্সবার্গের ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ শীর্ষক সংগীতের সাথে থিয়েট্রিকাল কোরিওগ্রাফি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীগণের যৌথ পরিবেশনা, কম্বোডিয়ার লোকযন্ত্রবাদন ও কোরিওগ্রাফি প্রদর্শন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার’ শীর্ষক একটি ভিডিও ক্লিপ, ঢাকা থিয়েটারের পরিবেশনায় নাট্যাংশ ‘নিমজ্জন’, ‘উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভিডিও প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

 

#

 

নাসরীন/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৪৯০

 

টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বিষয়টি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :  

          মূলবার্তা :  

          মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল সকল মসজিদে জুমার নামাজের পর দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হবে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

 

#

রোকসানা/মাসুম/সাহেলা/আব্বাস/২০২১/২১২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৪৮৯

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক দশকশীর্ষক সেমিনার

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নিজস্ব উদ্ভাবন শক্তি কাজে লাগাতে হবে

                                                                     -- প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন,  সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নিজস্ব উদ্ভাবন শক্তি কাজে লাগাতে হবে। মানবিক দৃষ্টি সম্পন্ন উদ্ভাবন শক্তির প্রসার নিয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল আরো গবেষণা করতে পারে।

 

          প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা আজ অনলাইনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক দশক’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ২৫ মার্চ কালরাত্রি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৫ ডলার যা তখন পাকিস্তানের মাথাপিছু আয়ের অর্ধেক। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন যা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। বঙ্গবন্ধু যে দূরদর্শিতায় ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র ক্রয় করেছিলেন তার তৎকালীন ক্রয় মূল্য আর বর্তমান মূল্য তুলনা করলে দেখা যায় ২৩০০ গুন বেশি। 

 

          জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিপিসির চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী। মূল প্রবন্ধের আলোচনা করেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল কাদের ও ব্লু ইকোনমি সেলের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাকির হোসেন।

 

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ জ্বালানি খাতকে সমৃদ্ধ করবে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি, এলপিজি ও এলএনজি সরবরাহ, কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মজুদ বৃদ্ধি এবং আধুনিক সরবরাহ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি নীতি বাংলাদেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা মজবুত করেছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা গ্রামে বিদ্যুতায়নের সুষম উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। গ্রিড এলাকায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। দুর্গম পাহাড়ি ও বিচ্ছিন্ন চর ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মুজিববর্ষেই গ্রিড ও অফগ্রিড এলাকার সবাই বিদ্যুৎ পাবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশবান্ধব উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে রূপরেখা দিয়েছেন তার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকেই যাচ্ছে। প্রত্যেকে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধ উন্নত একটি দেশ।

#

 

আসলাম/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৪৮৮

 

শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলাকারীদের

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ভোগ করতে হবে

                                             --ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, গত ১৭ই মার্চ যে  দুষ্কৃতকারীরা ফেইসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের
বাড়ি-ঘরে  হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা দেশ ও মানবতার শত্রু, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ভোগ করতেই হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর পরিদর্শন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এক সংহতি  সমাবেশে এসব কথা বলেন।

 প্রতিমন্ত্রী বলেন, শাল্লার ন্যাক্কারজনক ঘটনা অত্যন্ত দঃখজনক এবং বেদনাদায়ক। তিনি সেদিনের হামলায় আক্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের প্রতি গভীর সমবেদন জানান এবং এই  ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। যে বা যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের আইনের  আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । অপরাধী যে বা যারাই হোক না কেন-তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের যে সকল নাগরিকের বাড়ি-ঘর হামলার শিকার হয়েছে, আর্থিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে যারা নির্যাতিত হয়েছেন, তাদেরকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে।  

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জনশীল গোপাল, মুহিবুল হক মানিক, এমপি,  মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,এমপি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু: আঃ হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের  ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, ট্রাস্টি-বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র দেব মণ্টু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. দিলীপ কুমার ঘোষ, সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন এবং এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যসহ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

আনোয়ার/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৪৮৭

 

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাজার ৪০৭ জনের ভ্যাকসিন গ্রহণ

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৭০ হাজার ৪০৭ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৬৩ জন এবং মহিলা ৩০ হাজার ৩৪৪ জন।

 

          এ নিয়ে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৩২ লাখ ৯ হাজার ৫৭ জন এবং মহিলা ১৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৯ জন।

 

          উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট  পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৩ জন ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

 

#

 

মিজানুর/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৪৮৬

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নামের চূড়ান্ত  তালিকা (প্রথম পর্যায়) প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

 

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেন। ১৯১ জন শহিদ বুদ্ধিজীবীর নামের তালিকাও একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।

 

          বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নাম।

 

          তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন ও সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। 

 

          এ সময় মন্ত্রী বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্ট্রি করা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম। তবে প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেটে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশ্যে ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই ও আপিল শুনানি শেষে চলতি বছরের ৩০ জুন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে।

 

          বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও তাঁদের কোনো তালিকা করা হয়নি। বিলম্বে হলেও সে তালিকা তৈরি করা শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই করে বুদ্ধিজীবীর আরো তালিকা প্রকাশ করা হবে।

 

#

 

মারুফ/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৪৮৫

 

রমজান মাস উপলক্ষে দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে

১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে দেশের দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজ এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

 

          দেশের ৬৪টি জেলার চার হাজার ৫৬৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হারে মোট ১১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদানের জন্য অর্থ ছাড় করা হয় । সারা দেশের ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য দুই লাখ টাকা, বি ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং সি ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ টাকা হারে বরাদ্দ প্রদান করা হয় ।

 

          এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য সাত লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটির জন্য পাঁচ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয় । তাছাড়া দেশের ৬৪ টি জেলায় এ ক্যাটাগরি দুই লাখ, বি ক্যাটাগরি এক লাখ পঞ্চাশ হাজার এবং সি ক্যাটাগরি জেলার জন্য এক লাখ টাকা হারে মোট এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।

 

          মুজিববর্ষে কোভিড পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য সহায়তার জন্য এ অর্থ ব্যয় করা যাবে।

 

#

 

সেলিম/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০২১/১৯২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৪৮৪

 

২৫ মার্চের কারাত ছিল জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের সূচনামাত্র

                                    -- তথ্য ও সম্প্রচার  প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :

 

          তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না। এটা ছিল মূলত বিশ্বসভ্যতার জন্য এক কলঙ্কজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনামাত্র।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার  ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকার ভাষ্য মতে, শুধু ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। পরবর্তী ৯ মাসে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে ৩০ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পূর্ণতা দিয়েছিল  সেই ঘৃণ্য ইতিহাসকে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          মুরাদ হাসান বলেন, সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশে শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। নয় মাস সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

 

          তরুণ প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস ছড়িয়ে দেবার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এখনো সমানভাবে সক্রিয়। এদের পরাজিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে।

 

          ডিএফপির মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহীন ইসলাম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।

 

          এর আগে প্রতিমন্ত্রী আলোকচিত্র ও ক্রোড়পত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

 

#

 

মাহবুবুর/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৪৮৩

 

গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গণহত্যাকারীদের বিচার দাবি

 

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) : 

          ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম জঘন্য গণহত্যা। এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে হবে।

 

          আজ জাতীয় জাদুঘরে ২৫ মার্চ 'গণহত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

 

          আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, বিশেষ বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

 

          মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছরই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকায় গণহত্যার ইতিহাস তারা ভুলিয়ে দিতে সচেষ্ট ছিল। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে বিজয়ের গল্পের সাথে পাকিস্তানের অত্যাচার ও গণহত্যার ইতিহাসও বলতে হবে।

 

          মন্ত্রী আরো বলেন, ২৫ মার্চ 'আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতির দাবি রাখে। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আরো ব্যাপকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

 

          শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তানি পরাজিত শক্তি এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানিদের ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

 

         

#

 

মারুফ/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৯২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৪৮২

 

সাম্প্রদায়িকতাকে মাথা চাড়া দেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না

                                     ---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

                                                                          

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) : 

 

            সাম্প্রদায়িকতাকে মাথা চাড়া দেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

            ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

            এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একটা চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে আছে। এর মধ্যেও সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় আক্রমণ হয়েছে। যারা আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ত্রিশ লাখ শহিদের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, সে ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে। তাদের দমন করা হবে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বর্বর পাকিস্তানি এবং এদেশীয় দোসররা নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা। সেজন্য ইতিহাসে ২৫ মার্চ একটা বর্বরোচিত কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এ নির্মম ঘটনা যারা সংগঠিত করেছিল তাদের দোসর এদেশীয় একটি শ্রেণি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পুনর্বাসিত হয়েছিল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুপ্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতিতে ও সরকারে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। এভাবেই পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো বাংলাদেশকে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করার ব্যবস্থা করেছিল।

          পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম, সিভিল সার্জন হ

2021-03-25-22-51-fea1e83dd8e3f551d74c71d4f8c06c35.docx 2021-03-25-22-51-fea1e83dd8e3f551d74c71d4f8c06c35.docx