তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১১
বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বোত্তম পর্যায় অতিক্রম করছে
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বোত্তম পর্যায় অতিক্রম করছে। তিনি আরো বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় উভয় দেশের নেতৃত্ব বেশ কিছু নতুন ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশ নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে পিলখানাস্থ বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি কাবাডি ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারত এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পরপরই ভারত বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের মূলে রয়েছে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, মানুষে মানুষে বন্ধন, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং অগণিত বিষয়ে সাদৃশ্য। এ সম্পর্কের ভিত্তি সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস, সমঝোতা এবং অংশীদারিত্ব, যা কৌশলগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। গত কয়েক বছরে নতুন নতুন ও উচ্চপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এ বিডিআর-বিজিবি প্রীতি কাবাডি প্রতিযোগিতা দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ বহুমাত্রিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।
প্রতিমন্ত্রী বন্ধুত্বপূর্ণ এই প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণকারী উভয় পক্ষের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ও বিএসএফ মহাপরিচালক রজনী কান্ত মিশ্রা, সীমান্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী উভয় দেশের প্রতিনিধিরা, বিজিবি’র কর্মকর্তা ও সদস্যরা এবং পিলখানাস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে এ প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করেন।
#
আরিফ/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২২৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১০
আগামী জুলাইয়ে পালিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):
আগামী জুলাই মাসে দেশব্যাপী পালিত হবে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ এবং এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মৎস্যভবনের সম্মেলনকক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে সপ্তাহের কর্মসূচি প্রণয়ন সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান নির্ধারণ হয়নি, নির্ধারণ হলে দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়। তবে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মৎস্য সপ্তাহের বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। সভায় সপ্তাহের জন্য ‘মাছচাষে গড়বো দেশ/বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জাতীয় সেøাগান নির্ধারণ করা হয়।
সূচি অনুযায়ী প্রথম দিন সকালে ঢাকা মহানগরে সড়ক র্যালি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এদিন ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী এবং প্রতি জেলায় তিনদিন করে ‘মৎস্য মেলা’ শুরু হবে। ঢাকা ও ময়মনসিংহে পৃথক-পৃথক ‘প্রযুক্তি-মেলা’ ও অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সপ্তাহ চলাকালে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে, প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ও স্পিকার জাতীয় সংসদের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। ধানম-ি লেক, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ লেক ও পুকুরসমূহে পোনা অবমুক্ত করা হবে। এছাড়া দেশব্যাপী বিভিন্ন পুকুর, মুক্ত জলাশয়, হাওর-বাওড় প্রভৃতিতে ব্যাপকভাবে পোনা ছাড়া হবে।
সপ্তাহের অংশ হিসেবে ঢাকা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যালি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জনপ্রশাসন, ভূমি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ছাড়াও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
#
শাহ আলম/ইসরাত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০৯
আগামীকাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):
আগামীকাল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। একাদিক্রমে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটা প্রথম বাজেট। একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি প্রথম বাজেট। অবশ্য তিনি গত সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের এবারের বাজেট হবে ‘স্মার্ট’। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই বাজেট। এবারের বাজেটের আকার বাড়লেও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত হবে। এ বক্তৃতার একটি বর্ধিত সংস্করণ বাজেট বই আকারে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, যা সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য সহজপাঠ্য হবে। বাজেটের লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা করতে হবে। আর এর মধ্যেই থাকবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার। শুধু এক বছরের জন্য নয়, সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ করে ২০৪১ সালকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছে এবারের বাজেট।
রাজস্ব আদায়ে করের হার না বাড়িয়ে এর আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআরের জন্য নতুন করে দিকনির্দেশনা থাকবে। ভ্যাট আইন কার্যকর করার বিষয়েও দিকনির্দেশনা থাকবে এবারের বাজেটে। আইন কার্যকর করতে ভ্যাটের একাধিক স্তর থাকবে। কাস্টমস ও আয়কর আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে সহজবোধ্য ও ব্যবসাবান্ধব করা হবে। সকল আমদানি-রপ্তানি পণ্য শতভাগ স্ক্যানিং করা হবে।
বাজেটে শিক্ষা ও আর্থিক খাতের সংস্কার; শেয়ার বাজারে সুশাসন ও প্রণোদনা প্রদান বিষয়ে সংস্কারমূলক দিকনির্দেশনা থাকবে। আর এসবই হবে সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় এবং গ্রহণযোগ্য। এবার আকর্ষণীয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে মহান জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। বাজেট বক্তৃতার বর্ধিত সংস্করণ, মূল বাজেট বক্তৃতাসহ অন্যান্য সকল ডকুমেন্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশসহ জাতীয় সংসদ হতে সরবরাহ করা হবে।
বাজেটকে আরো অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট িি.িসড়ভ.মড়া.নফ-এ বাজেটের সব তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন/পারবে এবং দেশ-বিদেশ থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। প্রাপ্ত সকল মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। ব্যাপকভিত্তিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে িি.িনধহমষধফবংয.মড়া.নফ; িি.িহনৎ-নফ.ড়ৎম; িি.িঢ়ষধহপড়সস.মড়া.নফ; িি.িরসবফ.মড়া.নফ; িি.িনফঢ়ৎবংংরহভড়ৎস.ঢ়ড়ৎঃধষ.মড়া.নফ এবং িি.িঢ়সড়.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে বাজেট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।
বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ আগামী ১৪ জুন বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
#
গাজী তৌহিদুল/ইসরাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০৮
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। চলমান উন্নয়নের ধারাকে একই সাথে বেগবান ও টেকসই করার লক্ষ্যে সরকারি কার্যক্রমে উদ্ভাবন সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নিয়ম ও পদ্ধতির ক্রমাগত সংস্কারের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গির বিকল্প নেই। তাই উদ্ভাবনী মানসিকতা সৃষ্টি ও লালনের জন্য আমরা কাজ করছি।’
আজ ঢাকায় কারা অধিদপ্তরে উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে মানসম্মত সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নাগরিক সেবা প্রদান সহজীকরণ এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরে ‘ইনোভেশন টিম’ গঠন করা হয়েছে। ‘সিটিজেন চার্টার’ অনুযায়ী নাগরিকগণকে প্রতিশ্রুত সেবা যথাসময়ে প্রদানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণের জন্য ইনোভেশন আইডিয়া সৃজন ও বাস্তবায়নের জন্য ইনোভেশন টিম কাজ করছে। এরই ফলশ্রুতিতে সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও এর আওতাধীন চারটি অধিদপ্তর কর্তৃক বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক উরমরঃধষ অহঃর-ঘধৎপড়ঃরপং ঈধসঢ়ধরমহ চালু করা হয়েছে। ফেসবুক, ইউটিউব, এলইডি এবং কিয়স্ক এর মাধ্যমে মাদকবিরোধী নাটক-নাটিকা, প্রামাণ্যচিত্র ও ফিলার প্রচার করা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসায় নিয়োজিত এডিকশন প্রফেশনালদের ইকো প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের মাদকবিরোধী অভিযান তদারকির জন্য ডিএসসি লাইভ অপারেশনস মনিটরিং কার্যক্রমের পাইলটিং করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কর্তৃক ই-ফায়ার লাইসেন্স (ব-ঋরৎব খরপবহংব) চালুকরণের মাধ্যমে অনলাইনে ফায়ার লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফায়ার সেফটি ট্রেনিং ও মহড়ার দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং অগ্নিকা- ও দুর্ঘটনার ডাটাবেজ ও প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণের কাজ অনলাইনকরণের উদ্যোগ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
উদ্ভাবনী মেলা শোকেসিং অনুষ্ঠানে সভাপতিত¦ করেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারা মহাপরিদর্শক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২০৭
শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ঝরফংবষ ইষবশবহ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে আজ সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ঝরফংবষ ইষবশবহ বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে চলমান নানা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগষ্ঠী এবং এদেশে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের শিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এই ধারার শিক্ষার্থীরা যাতে কর্মে নিযুক্ত হতে পারে সেজন্য সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাক্রমের পরিমার্জনে কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মাদ্রাসাগুলোতে কারিগরি বিভিন্ন ট্রেড খোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। উপমন্ত্রী বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে বিচ্ছিন্ন না রেখে তাদেরকে মূলধারার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে তাদের সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে ইসলামিক স্টাডিজ/আরাবি বিষয়ে মাস্টার্স সমমান দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যাতে প্রাচীন আরবি ভাষার পাশাপাশি আধুনিক প্রচলিত আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে পারে সেজন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মহিবুল হাসান বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষানীতির আলোকে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বিস্তারে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। ঝরে পরা রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গৃহকর্মীসহ সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির শিশুরা যাতে মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না থাকে সরকার সেদিকে নজর রাখছে।
কারিগরি শিক্ষা খাতের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ভর্তির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশ এবং আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার ওপর সরকার জোড় দিচ্ছে বলে জানান উপমন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সরকার জেনেভা ক্যাম্পের মতো কয়েকটি ভিন্ন দেশের আটকে পড়া নাগরিকদের শিক্ষার জন্য কার্যক্রম চালাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের শিক্ষার দায়িত্ব নেয়া সরকারের পক্ষে কষ্টকর বলে জানান তিনি। উপমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে সরকার সহযোগিতা করবে।
#
জাহিদ/ফারহানা/ইসরাত/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা