Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৭৯১

 

শেখ হাসিনার মতো খেলাপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীতে বিরল

                                         ---যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি):

 

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলাকে এতো ভালোবাসেন যে পৃথিবীতে তাঁর মতো খেলাপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।

 

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাট (ক্রিকেট) প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এমকেএস স্পোর্টস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির পিতা নিজেও একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন।  তার বাবাও স্বনামধন্য ফুটবলার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্যপুত্র শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের জনক। শুধু ফুটবল নয়, তিনি ক্রিকেট ও বাস্কেটবলও ভালো খেলতেন। সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। শহীদ শেখ জামালও কৃতি খেলোয়াড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারই প্রত্যক্ষভাবে ক্রীড়াঙ্গনের সাথে জড়িত। 

 

পাপন উল্লেখ করেন, এমকে স্পোর্টসকে আইসিসি  ইতোমধ্যে  ক্রিকেট ব্যাট তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশেই এখন থেকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ব্যাট তৈরি হবে।  ফলে এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যাবে। স্বল্প মূল্যে আমাদের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক মানের  ক্রিকেটসামগ্রী পাবে।

 

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এমকেএস স্পোর্টস আন্তর্জাতিক মানের একটি ব্রান্ডে পরিগণিত হবে বলে  তিনি আশা প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, বাংলাদেশে তৈরি স্পোর্টস ইকুইপমেন্ট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। যা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

 

                                                       #

আরিফ/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৭৯০

 

শীঘ্রই টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হবে

          ---শিল্প সচিব

 

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি):

 

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যে সকল আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে তা দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেয়া হবে। এজন্য তিনি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

 

শিল্প সচিব আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে সভায় সংযুক্ত হন।

 

সিনিয়র সচিব বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন ও সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যে সকল আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে ব্র্যান্ডিং এর উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই-একদিনের মধ্যে জমা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে। 0

 

সভায় জানানো হয়, ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে তাদের জিআই পণ্য ঘোষণা করায় বাংলাদেশ আইনগত বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডব্লিউআইপিও) সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

                                                      #

মাহমুদুল/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২১০৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২৭৮৯

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও বিমসটেক প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :

          বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)-এর সাথে তাঁর অফিসকক্ষে আজ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত Heru H. Subolo এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট ‘বিমসটেক’- এর সেক্রেটারি জেনারেল Indra Mani Pandey এর নেতৃত্বে পৃথক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।

          সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া উভয় দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা মন্ত্রী পর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী।

          ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’দেশের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে উন্নতমানের নতুন অনিয়মিত রপ্তানিযোগ্য পণ্য আমদানি করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। তাছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া।

          প্রতিমন্ত্রী জানান, বিনিয়োগের জন্য অর্থনৈতিক জোন করেছে সরকার। আমদানি-রপ্তানিতে আমরা একাধিক দেশের সাথে সরাসরি বিনিময় ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছি। রপ্তানিযোগ্য পণ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনতে নতুন উন্নতমানের পণ্য আগামীতে যুক্ত হবে।  

          বিমসটেক এর প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমসটেক-এর সদস্য দেশগুলোর মাঝে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে বাংলাদেশ আগ্রহী। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়ে একসাথে কাজ করতে বাংলাদেশ উদ্যোগী ভূমিকা রাখবে। 

          বিমসটেক-এর সেক্রেটারি জেনারেল সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

#

আসিফ/ফয়সল/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৭৮৮

 

জো বাইডেনের চিঠির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উচ্চতর মাত্রা পাবে

                                                                                       --- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিকে উষ্ণ স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। এই চিঠির মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে, নতুন উচ্চ মাত্রা পাবে।

            আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

            নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনো অস্বস্তি আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ¦ালানিসহ বৈশ্বিক নানা বিষয়ে একযোগে কাজ চালিয়ে যেতে তার প্রশাসনের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে এই চিঠির পর সব নিরসন হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনো অস্বস্তির কারণ নেই।

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে

            মিয়ানমার থেকে দেশটির সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে -এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সরকার আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। সকালে মিয়ানমারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলেছেন। তারা তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।

            সীমান্ত সুরক্ষা ও এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে কি না -এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে। সকাল পর্যন্ত ৯৫ জন রেজিস্টার্ড হয়েছে। তারা তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।

ব্রাসেলস সফর প্রসঙ্গ

             বেলজিয়ামে গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টিরিয়াল ফোরামে দেশের প্রতিনিধিত্বকারী মন্ত্রী ব্রাসেলস সফর নিয়ে বলেন,  সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার হওয়ার আলোচনা হয়েছে।

             ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষা বিষয়ে বক্তৃতার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, ইইউ কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস ও কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এবং ভিয়েতনাম, বেলজিয়াম, চেক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগাল, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে জানান হাছান মাহ্‌মুদ ।

লিবিয়া এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদ্বয়ের সাক্ষাৎ

            এর আগে সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এস এম সুলাইমান (Abdulmutalib SM Suliman) এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর (Makawadee Sumitmor)।

            বৈঠকে লিবিয়ার পুনর্গঠনে বাংলাদেশ পাশে থাকবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে বাংলাদেশি ডাক্তার, নার্স, প্রকোশলী, কৃষিবিদসহ দক্ষ পেশাজীবী ও জনশক্তি এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের সুযোগের বিষয়ে আলাপ করেন।

            থাই রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট, চট্টগ্রাম-ইয়াঙ্গুন কোস্টাল শিপিং ও চট্টগ্রাম-ব্যাংকক ফ্লাইট চালু করা, ঔষধ, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি, এলএনজি আমদানি বিষয়ে আলোচনা করেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ ।

#

আকরাম/ফয়সল/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৭৮৭

 

কৃষিমন্ত্রীর সাথে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক

সীমান্তমুক্ত বীজ নিয়ে আলোচনা

 

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি):

 

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

 

বৈঠকে দুই দেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়া, সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

 

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝেমধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য, অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় দেয়া হয়ে থাকে।

 

কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের সায়েন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

 

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় ১ কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল, কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসেবে ভারতে আছি।

 

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা ফসলের উৎপাদন আরো বাড়াতে পারব। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে। তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগসুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করব।

#

কামরুল/ফয়সল/শফি/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৯২৭ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৭৮৬

 

‘স্মার্ট বাংলাদেশ' গঠনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের

সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে  হবে

                         ---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

বরিশাল, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি):

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বর্তমান সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' গঠন প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়ন এবং অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভায় পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জনাব আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূলনীতি গ্রাম-শহরের উন্নতি। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার এ দর্শনকে ধারণ করে দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে গণমুখী ও বাসযোগ্য টেকসই গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাস করে । এ নীতিতে বরিশালসহ সারাদেশে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরকারের মুখাপেক্ষী না থেকে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনসেবা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।

আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশাল জেলার প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন কাজ সফলভাবে চলছে। তিনি এসব কর্মসূচির সুফল বরিশালবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধিগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে অধিকতর সমন্বিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বরিশালের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

#

আহসান/ফয়সল/শফি/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৮৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২৭৮৫

কার্যক্রমের পরিধি বাড়ছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :

           দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ করে উপজেলা পর্যন্ত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

          আজ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

          মন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে একদিকে যেসব কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এজন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি প্রান্তিক জনপদের আবাসন পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। মফস্বলে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা প্রয়োজন এবং এজন্য যথাশীঘ্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

          কর্মক্ষেত্রে অকারণে কালক্ষেপ না করে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যমান আইন মেনে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

          অনুষ্ঠানে জাগৃক সদস্য (ইঞ্জিনিয়ার) মোসলেহ উদ্দিন গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে প্রাকৃতিক পাথরের মূল্য দেশিয় বাজারে অনেক বেশি। অন্যদিকে সিমেন্ট শিল্পের স্বার্থে যেসব পাথর আমদানি করা হয় সেসব পাথরের আমদানি শুল্ক কম হওয়ায় বাজারে এর মূল্য অনেক কম। ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে নির্মাণ শিল্পে এসব নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ দিন দিন বাড়ছে। এজন্য গণপূর্তের রেট সিডিউলে রেডিমিক্স কংক্রিট ও পরিবেশবান্ধব ব্লকের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। তাছাড়া বর্তমানে দেশীয় অনেক ইলেক্ট্রোনিক সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থা লিফটসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল সামগ্রী প্রস্তুত করে থাকে। কিন্তু রেট সিডিউলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে এসব পণ্য ক্রয়ের সুযোগ নেই। তাই রেট সিডিউলে এসব দেশীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          মন্ত্রী এসব প্রস্তাবনা লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

          অনুষ্ঠানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্গানোগ্রাম হালনাগাদ করার দাবি উত্থাপন করলে মন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

          জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসির সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজি ওয়াসি  উদ্দিন। অনুষ্ঠানে জাতীয় গৃহায়ন  কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের  কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল/ফয়সল/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২৭৮৪

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ-এর সাথে আজ সচিবালয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত Heru H. Subolo সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

          প্রতিমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম এই দেশ বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময় করে উভয় দেশ আরো লাভবান হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের সাথে সাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহকে স্বাগত জানানো হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

          রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। প্রাথমিকভাবে ১০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ হলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়বে।

#

আসলাম/ফয়সল/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১৫ ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ২৭৮৩

 

নরডিক দেশগুলো পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন

মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদার করবে

                                                        --- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্কসহ নরডিক দেশগুলো পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা জোরদার করবে। মন্ত্রী জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং প্যারিস চুক্তির অধীনে গৃহীত বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

          আজ ঢাকায় মন্ত্রীর অফিসকক্ষে সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত- যথাক্রমে Alexandra Berg von Linde, Espen Rikter-Svendsen এবং Christian Brix Moller তাঁর সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

          পরিবেশমন্ত্রী বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বনাঞ্চল হ্রাসের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নরডিক রাষ্ট্রদূতদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতদের বায়ু, পানি এবং মাটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।

          নরডিক রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের পরিবেশগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে সমর্থন ও সহযোগিতা জোরদারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সহযোগিতার নতুন পথ অনুসন্ধানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তারা আগামী মাসে নরডিক দিবসে পরিবেশ মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

          পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের জন্য আরো টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে সভাটি সমাপ্ত হয়।

          পরে জাতিসংঘ প্রকল্প সেবা কার্যালয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুধীর মুরালিধরনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পরিবেশমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে চলমান জাতিসংঘ প্রকল্প এবং মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

#

দীপংকর/ফয়সল/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৭৮২

জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি

বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে

                        ---মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি):

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সমাজের পশ্চাৎপদ ও অনগ্ৰসর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেবামূলক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমার গৌরব ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক কল্যাণমূলক সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এটি দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যে কাজ করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে ‘আমার গৌরব ফাউন্ডেশন’-এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সমাজে মানবিক মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তাই নিজের ও পরিবারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবার উচিত সমাজের দায়িত্ব পালন করা। সমাজ উন্নয়নের অগ্রদূত হিসেবে নিজেকে নিয়োগ করা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে কয়টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সরকারের পাশাপাশি দেশের তথা সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখছে; আমার গৌরব ফাউন্ডেশন তাদের মধ্যে একটি।

আমার গৌরব ফাউন্ডেশন’র সভাপতি আফরোজা তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আমার গৌরব ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি রাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মজুমদার, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম কাজল এবং হেদায়েত উল্লাহ মুন্সি বক্তৃতা করেন।

#

এনায়েত/ফয়সল/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৮৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২৭৮১

বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এর যোগদান

ঢাকা, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি) :

           মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি আজ বিদায়ী মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান এর নিকট হতে বিজিবি মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এ যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর, ঢাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক ও সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

           মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ২৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন এবং ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন।

           মেজর জেনারেল আশরাফ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি স্কুল অভ্ আর্টিলারি, ফোর্ট সিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর, ঢাকা; ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, তামিলনাড়ু, ভারত এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, নয়াদিল্লি, ভারত থেকে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস), ভারতের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ও এমফিল এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (

2024-02-05-16-39-2b6af82fb9dbd244d26d945d6683fb88.docx 2024-02-05-16-39-2b6af82fb9dbd244d26d945d6683fb88.docx