Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী 29/7/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২১১৪
মামলাজট নিরসনে জাস্টিস অডিট কার্যকর ভূমিকা রাখবে
                                               --- আইনমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার গুণগত মানোন্নয়নে এবং বিদ্যমান মামলাজট নিরসনে ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। এর অনেক কারণ রয়েছে। ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট এই কারণগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করবে এবং  সরকারি নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ এর ওয়েব সাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয় এবং জার্মান সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড যৌথভাবে এ ওয়েব সাইট নির্মাণ করে। 
মন্ত্রী বলেন, ‘জাস্টিস অডিট’ শুধু নীতি প্রণয়ন ও নীতিনির্ধারণেই নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন পরিমাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৬তম লক্ষ্য- ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’  অর্জনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত প্রদান করবে, যা শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা প্রচলন এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করতে পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি যৌথভাবে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ এর ওয়েব সাইট উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত মিকায়েল এসচুলথেইস, যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির বাংলাদেশ প্রধান জেন এডমনডসন, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, জিআইজেড- এর রুল অভ্ ল বিভাগের বাংলদেশ প্রধান প্রমিতা সেন গুপ্ত, যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ম্যাপিং সেন্টারের পরিচালক জোসেফ এরিক ক্যাডোরা প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 
#
 
রেজাউল/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২১২৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২১১৩
 
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো আন্তরিক হতে হবে
                                             ---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
 
চট্টগ্রাম, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে। এসপিএম পাইপলাইনে তেল পরিবহণ, সময়মতো তেল আমদানি, এলপিজি’র প্রসার, এলএনজি আমদানি, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করা ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।     
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান স্থাপনায় ‘যমুনা টার্মিনাল অফিস ভবন’-এর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার কোন ব্যক্তির অসাধুপনা বা দুর্নীতির দায়িত্ব নিবে না। কিন্তু ভালো কাজের প্রণোদনা দিবে। আগামী প্রজন্মকে উন্নয়নের সাথে পরিচয় করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। 
বিপিসির পরিচালক মোঃ সরওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কামরুল হাসান।  
#
 
আসলাম/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯৫৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২১১২
 
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে একযোগে কাজ করার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
 
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন, ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী ও বিপিজিমএ’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দীন।  
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর চাপ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। প্রকৃতি হারাচ্ছে তার প্রকৃত রূপবৈচিত্র্য আর পরিবেশ হারাচ্ছে ভারসাম্য। প্রকৃতির অফুরান সম্পদ মাটি, বায়ু, পানি এখন স্বকীয়তা হারিয়ে ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়ছে। দূষণের কারণে যে জীববৈচিত্র্য কিছুদিন আগেও দৃশ্যমান ছিল তা এখন অবলুপ্ত হতে চলেছে। মানুষের জীবন জীবীকার যোগান যে জীববৈচিত্র্য থেকে আসতো সে বৈচিত্র্য নিঃশব্দে হারিয়ে যাচ্ছে। যে প্রাকৃতিক সম্পদকে ঘিরে শিল্প কারখানার বিকাশ, যথেচ্ছ ব্যবহারে সে সম্পদও নিঃশেষ হতে চলেছে। যে জলরাশি একসময় ছিল অফুরান সম্পদের ভা-ার তা আজ সম্পদশূন্য হতে চলেছে। যে বাতাসে মানুষের বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার কথা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণে সে বাতাস আজ ভারি। যে মাটিতে অনায়াসে সোনা ফলত সে মাটি তার উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে। যে জলবায়ু পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকেই মানুষ, গাচ-গাছালি আর প্রাণীর জন্য অকাতরে বৃষ্টি ঝরাত মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ে, সে জলবায়ুর আজ ছন্দপতন দেখছি আমরা। পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় একইভাবে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অঞ্চলভেদে পৃথিবীর যে স্থানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হবার কথা তা আর হচ্ছে না। পুরোটা বিষয় আজ পৃথিবীর জন্য, মানব সমাজের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দায়ভারই বেশি। 
মন্ত্রী বলেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি’। আর এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবেসের স্লোগান হচ্ছে, ‘প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার করি, না পারলে বর্জন করি’। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিপন্ন প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে এবারের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্লাস্টিক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতোভাবে জড়িয়ে আছে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সবখানেই প্লাস্টিকের বহুল ব্যবহার রয়েছে। ঘরের দরজা জানালাও আজকাল প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। তাই চাইলেই রাতারাতি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এর অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব। তাই আমরা ওই প্লাস্টিকই ব্যবহার করব, যা পুনঃব্যবহার করা যায়। দেশের পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহারে জনগণকে ব্যপকভাবে সচেতন করতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য পুনঃব্যবহার করতে হবে, আর পুনঃ ব্যবহার করা না গেলে তা বর্জন করতে হবে।
#
 
পাশা/সেলিম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৪৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১১১
 
নারীর শত্রু নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ হোন 
----তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
 
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘নারীর সবচেয়ে বড় শত্রু জঙ্গি, রাজাকার, তেঁতুলহুজুর, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কার নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। রাজাকারেরা একাত্তরে নারীনির্যাতন করেছিলো, এখনও তারা ও তাদের দোসরেরা সেই দুষ্কর্মে বিশ্বাসী। এদর রুখতে শিক্ষক-ছাত্রসহ সব মহলকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
 
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন মিলনায়তনে ইউএনডিপি-সহায়তায় ‘সেন্টার ফর মেন এন্ড মাসকুলিনিটিজ স্টাডিজ’ আয়োজিত ‘তরুণ সমাজে নারী-পুরুষ সহিংসতারোধ’ নীতি-নির্ধারণী সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘লিঙ্গ বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে শুধু নারীকে উপদেশ নয়, সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে পুরুষকে। মনে রাখতে হবে, বয়ঃসন্ধিতে বন্ধুত্ব চলবে, কিন্তু প্রেম নয়, বিয়ে নয়। রাজাকার, জঙ্গি ও নারী উত্যক্তকারীদের ‘তুই রাজাকার, দূর হ’, ‘তুই জঙ্গি, ধ্বংস হ’ এবং ‘তুই উত্যক্তকারী, নিপাত যা’ বলতে শিখতে হবে সকলকে।’
 
হাসানুল হক ইনু এ সময় গণতন্ত্র, গণমাধ্যম ও সাইবার জগতের বিকাশের সাথে খাপ খাওয়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘বিকাশমান এই তিন প্রপঞ্চের সাথে তাল মিলাতে নারী-পুরুষ বৈষম্য ও লিঙ্গ সহিংসতা দূর করার কোনো বিকল্প নেই।’
 
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং জাতিসংঘ তরুণ ও ছাত্র সমিতি, বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারাকাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাহ হুদা, ইউএনডিপি’র মানবাধিকার কর্মসূচির প্রধান কারিগরি পরামর্শক শর্মীলা রসুল। সেন্টার ফর মেন এন্ড মাসকুলিনিটিজ স্টাডিজ এর সভাপতি ড. সৈয়দ মোঃ শাইখ ইমতিয়াজ সূচনা বক্তব্য দেন। 
 
#
আকরাম/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৭৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২১১০
 
শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত
 
 
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) : 
বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে।
 
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সরকার, মালিক এবং শ্রমিকদের সমন্বয়ে গঠিত ৬২ সদস্যের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি এর ৬০তম সভায় একথা জানানো হয়।
 
সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন আলোচনার মাধ্যমে শ্রম আইনের অনেকগুলো ধারা, উপ-ধারা সংশোধনের বিষয়ে তিন পক্ষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একমতে আসতে সক্ষম হয়েছি। তবে খুব কম সংখ্যক বিষয়ে মালিক- শ্রমিক পক্ষ একমত পোষণ করতে না পারায় সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের ওপর আস্থা রেখেছেন। এসব বিষয়ে সরকার সব দিক বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই বাংলাদেশ শ্রম আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিসিকে আরো শক্তিশালী এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য এবার শ্রম আইনের অর্ন্তভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, মহিলা শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি নয়, মাতৃত্বকালীন সুবিধা হিসেবে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যাতে মহিলা শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন সময়ের পর কাজে যোগদান এবং সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন প্রকার বঞ্চনার শিকার না হয়। এছাড়া শ্রম আইনে শ্রমিকের বিশেষ সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করা হবে।
 
সভায় সরকার পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আশরাফ শামীম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, মালিক পক্ষে বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএ এর পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিকেএমইএ এর সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, শ্রমিক পক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরীন আখতার এমপি, জাতীয় শ্রমিক লীগের নির্বাহী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল ইসলাম, ইন্ডস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিল এর মহাসচিব রায় রমেশ চন্দ্র এবং সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মালিক পক্ষের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতার/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৯৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২১০৯
 
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতদের 
জীবনমান উন্নয়নে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে
                         --- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
 
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
 
সরকার বিভিন্ন পৌর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকা পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করেছে। এজন্য উন্নত বর্জ্যবাহী যানবাহন, পরিচ্ছন্ন কাজের ইকুইপমেন্ট সংগ্রহসহ ল্যান্ডফিলগুলোর বর্জ্য ড্রেসিং কাজের উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির উপযুক্ত দক্ষতামানের ভারী যান-যন্ত্রপাতির সংস্থানও হয়েছে। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
 
আজ সিরডাপ মিলনায়তনে প্র্যাকটিক্যাল একশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আয়োজিত এক কর্মশালায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এসব কথা বলেন। এ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, বাংলাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের গভর্ননেন্স প্রধান অড্রে মেইলট ও প্র্যাকটিক্যাল একশন বাংলাদেশের দেশীয় প্রধান হাসিন জাহান। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৬০ লাখ লোক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত থেকে শহর ও নাগরিক পরিবেশ সুন্দর রাখতে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অনুন্নত জীবনের অধিকারী এদের ৯০ শতাংশের নিজস্ব বাসযোগ্য জমি নেই। শিক্ষার আলো থেকে এরা বঞ্চিত। এসব অধিকার বঞ্চিত মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে সরকারের চলমান কর্মকা-ের পাশাপাশি সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিত্তবান মানুষকে সুপরিকল্পিত কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এতে করে দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন বাংলাদেশে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে এক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
 
#
আহসান/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৮৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২১০৮
 
একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
 
সাত হাজার ৫৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৫৮ কোটি ৫৭ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উপজেলাভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ‘উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠমো উন্নয়ন’ নামের একটি বৃহৎ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ৩০৪টি উপজেলা শহরকে বিভিন্ন ক্যাটেগরির পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছে। এই পৌরসভাগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য মোট এক হাজার ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এবং ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে এর বাইরে অবশিষ্ট ১৮৮টি নন-মিউনিসিপ্যাল উপজেলা শহরের অপরিহার্য অবকাঠামো উন্নয়নে এখন পর্যন্ত কোন একক বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ না করায় শহরগুলোতে মৌলিক নাগরিক সুবিধা অর্থাৎ সড়ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির ঘাটতি রয়েছে। এ সব মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ শহরবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি ও পরিবেশের উন্নয়নের বিষয়গুলো বিবেচনা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ জরুরিভিত্তিতে নন-মিউনিসিপ্যাল উপজেলা শহরগুলোর অপরিহার্য অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
 
#
তৌহিদুল/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৮১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২১০৭
প্রতিবছর ২৯ জুলাই জাতীয় ডাক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হবে
                                      ---- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের গৌরবোজ্জ্বল দিন হিসেবে ২৯ জুলাই জাতীয় ডাক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হবে। ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি ডাকটিকিট মুজিব নগর সরকার, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব সত্য প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে মুজিব নগর সরকার কূটনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। 
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ডাক টিকিট দিবস ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ২০০৩ সাল থেকে ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ডাক টিকিট দিবস পালিত হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল এবং ফিলাটেলিক এসোসিয়েশনের পক্ষে আনোয়ার হোসেন মল্লিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন,  মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবের বিষয়। ১৯৭১ সালে মুজিব নগর সরকার ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশ করে বিহির্বিশ্বে স্বাধীন বাংলার অস্তিত্ব প্রকাশ করেছে। ডিজাইনার বিমান মল্লিকের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে। মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের প্রকাশিত ৮টি ডাক টিকিট ইতিহাসের অংশ হিসেবে আবারও প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্বাধীনতার এ গুরুত্বপূর্ণ অংশটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। 
মন্ত্রী ২৯ জুলাই ২০১৮ ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর প্রকাশিত পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন। এ বিষয়ে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে। 
স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড আজ হতে ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা হবে।
#
শেফায়েত/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৭৫৮ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২১০৬
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনায় কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে
                                             ---কৃষিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
 
কৃষিতে বাংলাদেশ অসাধ্য সাধন করেছে। ধান, আলু, ভুট্টায় উৎপাদন বেড়েছে। দানাদার ফসলে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানসম্মত ধারণার আলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনা করে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের পানি, মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনা, শস্য নিবিড়করণ এবং যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। 
 
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটরিয়ামে ‘বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডাল, তৈলবীজ, ভুট্টা এবং অন্যান্য ফসলের আবাদ বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এবং অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। 
 
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাকে অধিকতর সুসংহত করতে গবেষণার নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে। এছাড়া লবণসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে আরও গুরুত্ব দেয়া দরকার। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ঘটিয়ে কৃষির উৎপাদনশীলতায় ইতিবাচক টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে।
 
 
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোঃ কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ ও  বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার  জুলিয়া নিবলেট (ঔঁষরধ ঘরনষবঃঃ)। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসিআইএআর এর প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক এন্ড্রু ক্যাম্পবেল (অহফৎবি ঈধসঢ়নবষষ )। 
 
#
গিয়াস/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৮০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২১০৫
মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর
                                    
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
 
মালামাল দ্রুত ও দক্ষতার সাথে হ্যান্ডলিং এর সুবিধার জন্য মোংলা বন্দরে ১৪সারি বিশিষ্ট কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ হতে কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এর লক্ষ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। জার্মানির বিখ্যাত ক্রেন ম্যানুফ্যাকচারার খওঊইঐঊজজ ব্রান্ডের মোবাইল হারবার ক্রেনটির এল সি উন্মুক্তকরণের ২৫০ দিন সময়ের মধ্যে টেস্টিং কমিশনিং সম্পাদন সম্ভব হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাংলাদেশের সাইফ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড মোবাইল হারবার ক্রেনটি সরবরাহ করবে।
আজ ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যববস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন।
 এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
 উল্লেখ্য, মোংলা বন্দরে বর্তমানে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং উপযোগী ক্রেন নেই। মোবাইল হারবার ক্রেনটি সংগৃহীত হলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ ও বার্জ দ্রুত হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। বিদ্যমান জেটিতে বার্ষিক অতিরিক্ত ৩৬টির বেশি কন্টেইনারবাহী জাহাজ/বার্জ হ্যান্ডলিং এর ফলে ১২কোটি টাকার অধিক মুনাফা বৃদ্ধি পাবে। 
শাজাহান খান বলেন, মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর পর এ ধরণের একটি ক্রেন সংগ্রহ করা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তা সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
 
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৭৫৫ ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২১০৪
গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত দক্ষ কর্মী রয়েছে
                                     -প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ কর্মী রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষ গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য ইউরোপের দেশসমূহ হতে পারে অন্যতম শ্রমবাজার। 
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ২৮ জুলাই ইতালির রোমে দুইটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পরিদর্শন ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স বৈধপথে প্রেরণ করে দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করুন। তিনি যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিরা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য এখনও হয়নি, তাদেরকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানান। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। 
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাসরিন জাহান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর ও উপসচিব মো. সামছুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন । 
উল্লেখ্য, ফ্যাক্টরি দুটিতে ৫শ’র অধিক বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছে। এছাড়াও দেশটিতে কয়েকশত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। সেখানে ৫ হাজারের অধিক বাংলাদেশি কর্মীরা এসকল গার্মেন্টস এ কাজ করছে।  এসকল গার্মেন্টসের মালিকও বাংলাদেশি। গত ২০ জুলাই মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র নেতৃত্বে ৬ সদস্যের  একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করে। আগামী ৩১ জুলাই প্রতিনিধি দলটির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
#
 
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৮/১৪৩৯ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২১০৩

মৎস্য সচিবের মায়ের মৃত্যুতে মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের শোক

ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):   

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য সচিব রইছউল আলম মণ্ডলের মাতা বেগম রাহিলা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।  

          এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, মরহুমা ছিলেন একজন রত্নগর্ভামাতা। তিনি মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।  

          উল্লেখ্য, মৃত্যুকালে মরহুমার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি ৮ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

#

 

শাহ আলম/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১১১২ ঘণ্টা

 

Todays handout (6).docx