Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী 28 July 217

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৯৬১

বিজ্ঞানের চর্চা বাড়াতে হবে
            -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সুস্থ ও উন্নত সংস্কৃতির মধ্যে আমাদের ছেলেমেয়েদের বড় করতে চাই। একই সাথে বিজ্ঞানের চর্চাও বাড়াতে হবে। বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি দুটোই আমাদের প্রয়োজন।

    মন্ত্রী আজ রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল মিলনায়তনে দৈনিক সমকাল ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) আয়োজিত ৫ম জাতীয় স্কুল বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষায় অগ্রগতির ফলে তা নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন সবক্ষেত্রে সমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের সমাজের একটি বড় অগ্রগতি। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে হবে।

    গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিজ্ঞান-লেখক ড. রেজাউর রহমান, ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান, বিএফএফ-এর নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী এবং সমকালের ফিচার সম্পাদক মাহবুব আজিজ বক্তৃতা করেন।

    উল্লেখ্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম স্থান এবং সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে প্রথম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ স্থান লাভকারী চারটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৬৪টি জেলার ৫২০টি স্কুল বিভিন্ন পর্যায়ে অংশ নেয়।

#

আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৯৬০

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিনের মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক একাত্তরের  মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ নং সেক্টরের সুন্দরবন সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে  জিয়াউদ্দিন আহমেদের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, তাঁর মৃত্যু দেশের  জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সুন্দরবন অঞ্চলের যুদ্ধে তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    উল্লেখ্য,  মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ  স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মুক্তিযোদ্ধা  জিয়াউদ্দিন অনেকদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১ জুলাই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  পরে  ১১ জুলাই তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

    পিরোজপুর জেলার সন্তান মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। পরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে  পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

#

মারুফ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১৯৫৯

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
    মহান মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন অঞ্চলে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া অবসরপ্রাপ্ত মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

    শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করা জিয়াউদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধকালীন জেড ফোর্সের অধীন প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। ১৯৮৯-৯১ সালে তিনি পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত রাখতে নেতৃত্ব দেয়া এই মুক্তিযোদ্ধা পরে ‘সুন্দরবন বাঁচাও’ আন্দোলনও গড়ে তোলেন। এছাড়া মৎস্যজীবীদের নেতা হিসেবেও তিনি সুন্দরবন এলাকায় ডাকাত নির্মূল অভিযানে সক্রিয় ছিলেন। বনদস্যুদের গুলিতে তিনি আহতও হন। তার লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন’ বইতে মুক্তিযুদ্ধকালে সুন্দরবনের নানা ঘটনা ফুটে উঠেছে।’

    তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও বিয়োগব্যথাহত স্বজনদের সমবেদনা জানান।
#

আকরাম/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮০৭ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৯৫৮

ঢাকা পানি সম্মেলন-২০১৭ সংক্রান্ত শেরপা ও ডেল্টা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
    ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭ এর অংশ হিসেবে দশম শেরপা পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সভা ‘১০ঃয গববঃরহম ড়ভ ঝযবৎঢ়ধং ড়ভ ঃযব ঐরময খবাবষ চধহবষ ড়হ ডধঃবৎ’ আজ হোটেল সোনারগাঁওতে অনুষ্ঠিত হয়। এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ সভার সূচনা করেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহম্মদ খান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় জানানো হয় সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাবার পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ পানির তীব্র অভাব রয়েছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় একটি সমন্বিত রোডম্যাপ প্রণয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

    এছাড়াও ডেল্টা কোয়ালিশন মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স ও ওয়ার্কিং গ্রুপের তিনটি থিমেটিক সেশনও আজ অনুষ্ঠিত হয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহম্মদ খান ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক উক্ত সেশনসমূহে সভাপতিত্ব করেন।

    তিনটি পৃথক সেশনে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়। এতে শুধু পরিবেশ নয়, বেশকিছু অনুন্নত দেশ মারাত্মক দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। এ পরিস্থিতি  মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে সেশনসমূহে আলোকপাত করা হয়।  

    তিনদিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামী ৩০ জুলাই ঢাকা ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে।
#

মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/সেলিম/মোশারফ/বিপু/আব্বাস/২০১৭/১৮০৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৯৫৭

 

ঢাকা পানি সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

 

ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):

 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

          “পানি সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে বিশ্বের ২৮টি দেশের অংশগ্রহণে ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

          বৃহত্তর  টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ ও বিনিময়ের গৃহীত নীতি অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক ও  বৈশ্বিক পর্যায়ে  যে কোন উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পানি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পানি সংকট নিরসনের লক্ষ্যে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে বিপন্ন এলাকায় পানি সম্পর্কিত বিপর্যয় রোধে পানির সুষম বণ্টন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

          আওয়ামী লীগ সরকার আর্থ-সামাজিক সকলক্ষেত্রে  টেকসই উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকার সকলের জন্য পানি সরবরাহ সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনস¦াস্থ্যের উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। আমরা সুপেয় পানি সরবরাহ ও সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সাফল্য অর্জনে বাস্তবমুখী বিভিন্ন  কৌশলপত্র ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। আমাদের ধারাবাহিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স¦াস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনিরাপদ পানিজনিত  রোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শিশু মৃত্যুহারও হ্রাস পেয়েছে।

          জাতিসংঘ  ঘোষিত  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম একটি হ’ল ‘পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণকে সমর্থন ও সুদৃঢ়করণ’। শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পানির সুষম ব্যবহার, বণ্টন ও অপচয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে স¦তঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

          আমি আশা করি, এ সম্মেলন এসডিজি-৬ বাস্তবায়নে পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল (এইচএলপিডব্লিউ) গৃহীত লক্ষ্যসমূহ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার  ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে।

          আমি ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

          জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

                                                                   বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

 #

 

ইমরুল/সেলিম/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭০১ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী                                                        নম্বর  ১৯৫৬

 ঢাকা পানি সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

    ‘‘পানি ব্যবস্থাপনায় সার্বজনীন বৈশ্বিক উদ্যোগের উপর গুরুত্বারোপ করে ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ পানি ও স্যানিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনকে অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রার সাথে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সকলের জন্য নিরাপদ, বিশুদ্ধ ও সহজপ্রাপ্য পানি সুবিধা নিশ্চিতকরণে এবং এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে অর্থনৈতিক সুবিধাদি প্রদান ও দক্ষতা বৃদ্ধির আহবান জানানো হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পানি ব্যবস্থাপনাকে মানবাধিকারভুক্তকরণে নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে যে সব উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।
    বিশ্বব্যাপী নিরাপদ পানির সহজলভ্যতা দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে। গবেষকদের মতে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তিন-চতুর্থাংশের বেশি দেশ গুরুতর এ সমস্যার মোকাবিলা করছে। ২০৩০ সাল নাগাদ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানির চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান দাঁড়াবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। নদ-নদী ও জলাভূমির বেহাল অবস্থার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত ও দ্রুত নগরায়ণ, দূষণ এবং ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
    পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে ও দেশীয় উদ্যোগের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে পানি ব্যবস্থাপনার এই  চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্রকে ভূগর্ভস্থ সম্পদের পুনর্ব্যবহার, পরিশোধন ও এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি সংরক্ষণ ও নাব্যতা অক্ষুণœ, অন্যান্য আন্তঃদেশীয় নদ-নদীর পানির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং নদী অববাহিকা ও প্রতিবেশ রক্ষায় বহুমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও শুভানুধ্যায়ীগণ সক্রিয় ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি আশা করি ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ বিশ্বব্যাপী সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
    আমি ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।  
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা

 

Todays handout (4).docx