তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০২
বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন
-- কৃষি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :
ত্রিশ লাখ জীবনের বিনিময়ে প্রাপ্ত এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনালি ফসলে ভরপুর দেখতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সে কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি ডাক দিয়েছেন সবুজ বিপ্লবের, কৃষিকে দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব। কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতকরণ মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তি চর্চায় মেধা আকর্ষণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর এ যুগান্তকারী পদক্ষেপে দেশের মেধাবী সন্তানগণ আগ্রহী হয় কৃষি পেশায়। আর তারই ফলশ্রুতিতে আজ কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি শিক্ষায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, দেশ হয়েছে কৃষি সমৃব্ধ।
কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ ঢাকার বিএআরসি’র অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নকে ধারণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান জনবান্ধব সরকার কৃষিবান্ধব নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে আজ দেশের জিডিপিতে বৃহৎ কৃষিখাত (ফসল, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং বন) এর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায় ৪২.৭ শতাংশ কর্মক্ষম শ্রমশক্তি এ খাতে নিয়োজিত। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও জাতীয় কৃষিনীতি সামনে রেখে কৃষিখাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। বিগত এক দশকে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩ গুণ এবং শাকসবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে গত চার দশকেরও বেশি সময়ে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে এবং দেশে কৃষি জমি আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে; তথাপিও শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিন গুণ। বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা বিধানের জন্য কৃষি গবেষণা কার্যক্রম আরো জোরদারকরণ, বিজ্ঞানের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন, কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহজ শর্তে কৃষককে ঋণ প্রদান, কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কৃষি কার্ড প্রদান, সুষম সার ব্যবহার, ভাসমান কৃষি সম্প্রসারণ, বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে প্রণোদনা প্রদান, সেচকাজে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি, বনাঞ্চলের উপযোগী দক্ষ কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তন, সময়োপযোগী প্রণোদনা ও পুনর্বাসন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় কৃষির বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে সবার জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে জাতিসংঘ ঘোষিত সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন অভীষ্ট (গউএং) এর ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট লক্ষমাত্রাসমূহ বাংলাদেশ অর্জন করতে সফল হয়েছে। বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (ঝউএং) বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর প্রফেসর এমেরিটাস ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, জাতীয় শোক দিবস পালন উপকমিটির আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, এনডিসি এবং বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।
#
গিয়াস/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০১
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নির্বাহী পরিচালকের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিকফার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে চলমান বাণিজ্য বৃদ্ধিতে একমত। এ মুহুর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় বাজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদান না করলেও সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েই চলছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫ হাজার ৯৮৩ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১ হাজার ৭০৩ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ এখন আর মার্কিন জিএসপি সুবিধার জন্য আবেদন করবে না। এটি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের নির্বাহী পরিচালক জেমস গোলসেনের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেন।
সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে দৃশ্যমান অনেক উন্নতি হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুশি। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের বাজারও বেশ ভালো। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য টিকফা বৈঠকে আলোচনা করে উভয় দেশ চলমান বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সৎ, দক্ষ এবং আদর্শবান রাষ্ট্র নায়ক। তিনি একজন ভিশনারি লিডার। আগামী একশ বছর পর কি হবে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করেন।
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু ও ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০০
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা বিশ্বাস করে না তারাই ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল
--- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০আগস্ট) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না তারাই ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পেছনের দিকে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর থেকে ২১ বছর জাতিকে পাকিস্তানের অংশ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু বাংলার জনগণ তা হতে দেয়নি।
মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাঙালি জাতিকে এখনো পাকিস্তানের গোলামী করতে হতো। ৭১’এ যারা পরাজিত হয়েছে তারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের শত্রু। তিনি বলেন এসব এসব শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী বাঙালিদের যে শোষণ করেছে বঙ্গবন্ধু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে ছিলেন। মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে দেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৫ আগস্ট বিশ্বমানবতার ইতিহাসে বিরল ও বর্বরোচিত ঘটনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে ও বুঝতে দেয়া হয়নি। আইন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
শহিদুল/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৯৯
গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম স্বচ্ছ রাখতে ছাঁকনি প্রয়োজন
--- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০আগস্ট) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম স্বচ্ছ রাখতে ছাঁকনি প্রয়োজন।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে গণতন্ত্রকে রাজাকার, জঙ্গি-সন্ত্রাস, মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি থেকে এবং গণমাধ্যমকে হলুদ সাংবাদিকতা, মিথ্যাচার, কটূক্তি, উস্কানি, খ-িত তথ্য ও গুজবের আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ছাঁকনির বিকল্প নেই।’
পিআইবি’র মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও তথ্য সচিব আবদুল মালেক বিশেষ অতিথি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনসহ গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তাদের বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে চলেছে, সেই গণতন্ত্রকে স্বচ্ছ রাখতে এর দূষণগুলো চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে। আর এজন্য রাজাকার-জঙ্গি ও এদের পৃষ্ঠপোষকদের কোনো ছাড় দেয়া চলে না। গণতন্ত্রের সাথে সাথে উন্নয়ন ও শান্তির পথেও এরাই প্রধান বাধা। দেশে স্থায়ী শান্তির জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনেই এদের রাজনীতি থেকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
‘গণতন্ত্র আর গণমাধ্যম হাত ধরাধরি করে চলে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে স্বচ্ছ গণমাধ্যম সবসময়ই সহায়ক শক্তি। আর গণমাধ্যমের এ স্বচ্ছতা গণমাধ্যম কর্মীদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৯৮
এলজিআরডি মন্ত্রীর সাথে বিশ^ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ঢাকা, ১৫ ভাদ্র (৩০আগস্ট) :
আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে তাঁর সচিবালয়স্থ অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ^ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি ছরসরধড় ভধহ -এর নেতৃত্বে ডড়ৎষফ ইধহশ এৎধহঃ ভড়ৎ জড়যরহমুধ ঈৎরংরং জবংঢ়ড়হংব-এর ৫ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ‘মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ (ঊসবৎমবহপু গঁষঃর-ঝবপঃড়ৎ জড়যরহমধ ঈৎরংরং জবংঢ়ড়হংব চৎড়লবপঃ) গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নভেম্বর ২০১৮ হতে অক্টোবর ২০২১ মেয়াদে প্রণীত প্রকল্প অংশের মোট ব্যয় হবে প্রায় ২৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ প্রকল্প অংশে বিশ^ব্যাংক ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার জেলার উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার ৩২ টি ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য পাইপড্ এবং নন-পাইপড্ পানির উৎসের মাধ্যমে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি এ ক্যাম্পসমূহে ফিক্যাল স্লাজ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
মন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য বিশ^ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিশুদ্ধ পানীয় জল ও স্যানিটেশনের পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে ইউএনএফপিএ এবং ইউএন উইমেন-এর সাথে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান, বিশ^ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য - ঝড়পরধষ, টৎনধহ, জঁৎধষ ধহফ জবংরষরবহপব এষড়নধষ চৎধপঃরপব-এর চৎধপঃরপব গধহধমবৎ ক্রিসটোপ পুস, অপারেশনস্ ম্যানেজার রাজশ্রী এস. প্যারালকর, প্রোগ্রাম লিডার সঞ্জয় শ্রীবাস্তব এবং ঝবহরড়ৎ উরংধংঃবৎ জরংশ গধহধমবসবহঃ ঝঢ়বপরধষরংঃ স্বর্ণা কাজীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাকির/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৯৭
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ¯্রােতে নিয়ে আসতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়স্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘একটি বাড়ি একটি খামার (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ৪র্থ সভায় সভাপতিত্বকালে এ সব কথা বলেন। এ সময় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প দারিদ্র্য বিমোচনের মূল চালিকা শক্তি। সামাজিকভাবে ফলাফল পেতে স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণকে প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত করে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পটি সারা পৃথিবীতে একটি ইতিবাচক প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণের বিপরীতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে - যা মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের করে উন্নয়নের মূল ¯্রােতে নিয়ে আসছে। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে তাতে এই প্রকল্পের ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি গ্রামে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, জাতীয় পর্যায়ের একটি প্রোগ্রাম হিসেবে এ প্রকল্পকে পরিচালনা করতে হবে। প্রতিটি মানুষ যাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৯৬