Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী ২৪ জুলাই ২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৫১
 
সরকার নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে
                                                                     -- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
                                                                           
কুড়িগ্রাম, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :  
 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, সরকার আধুনিক, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সড়ক পরিবহন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে। তিনি আজ কুড়িগ্রামে জেলা পরিবহন মালিক সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও বক্তব্য রাখেন। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে নামিয়ে আনতে এক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি দেশের পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের সচেতনতামূলক ও সমন্বিত ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান কর্মপরিকল্পনার আওতায় সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১ লাখ দক্ষ গাড়িচালক তৈরি করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদেরকে সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান।  
 
#
  
আহসান/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২০৫০
 
শ্রম আইনে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে
                                                -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
                                                                           
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :  
 
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, শ্রম আইনে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং হালকা কাজের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করা হবে। তবে নিকৃষ্ট ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে আইনের চেয়ে জনসচেতনতা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীতে ডেইলি স্টার ভবনে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম-বিএসএএফ আয়োজিত “নিকৃষ্ট ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ এবং ১৮৯ অনুস্বাক্ষরের গুরুত্ব” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 
 
আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এর বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। গৃহকর্মী সুরক্ষায় আইন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আইন করা যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আইন মান্য করা। গৃহকর্মী নির্যাতন বন্ধে শ্রম মন্ত্রণালয় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পে শীঘ্রই অংশীজনদের নিয়ে একটি কর্মশালা করে পরামর্শ নেয়া হবে। তিনি বলেন, যে কোনো উপায়ে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। এ লক্ষ্যে ২শ’ ৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সকল জেলা প্রশাসকগণকে নিজ নিজ জেলায় কোন কোন ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কি পরিমাণ শিশু নিয়োজিত রয়েছে তার তালিকা প্রেরণের অনুরোধ করা হয়েছে। 
 
সেমিনারে বিশেষ অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ই¯্রাফিল আলম বলেন- আইএলও কনভেনশন ১৩৮ এ শ্রমিকের সর্বনি¤œ বয়সের বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইনে স্পষ্ট বলা রয়েছে। যেভাবে দ্রুত দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে তাতে এ মুহুর্তে অনুস্বাক্ষরের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। 
 
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ)-এর চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পশিয়েনেন (ঞঁসড় চড়ঁঃরধরহবহ) ও বিএসএএফ’র পরিচালক আব্দুস শহীদ মাহমুদ বক্তৃতা করেন।
 
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভুঁইয়া।
#
  
আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর :  ২০৪৯
 
নবীন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সহযোগিতা করবে                                                                           
 
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :  
 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের স্বর্ণপদক অর্জন প্রমাণ করে যে, এদেশের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী। নবীন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে গড়ে তুলতে গণিত অলিম্পিয়াড এবং জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডসহ এ ধরনের সব কাজে সরকার সহযোগিতা করবে। তরুণ প্রজন্মই এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করবে।
 
আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আয়োজিত রোমানিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৯তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক বিজয়ী আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী ও ব্রোঞ্জ জয়ী গণিত দলকে  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বিজয়ীদের মাঝে  ক্রেস্ট, প্রাইজবন্ড এবং সনদ বিতরণ করেন। 
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় অধ্যাপক ও গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বক্তব্য পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক স্বপন কুমার রায়। 
 
অনুষ্ঠানে গণিত অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক বিজয়ী আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী, ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী  জয়দীপ সাহা, তামজিদ মোর্শেদ রুবাব ও তাহনিক নূর সামিন, অনারেবল মেনশন পাওয়া  রাহুল সাহা ও সৌমিত্র দাসকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত ২৯তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের হয়ে ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী অদ্বিতীয় নাগকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। 
 
#
  
কামরুল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০৪৮
জাপানের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রীর সাথে তোফায়েলের বৈঠক 
 
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। বাংলাদেশ আশা করছে, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বিগত ২০১৬ সালে ঢাকায় হোটেল হলি আর্টিজেনে অপ্রত্যাশিত ঘটনায় ৭ জাপানী নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার যে কোনো সন্ত্রাসী ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি পালন করে চলছে। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে ঐ ঘটনার তদন্ত করে বিচারিক আদালতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। ঐ ঘটনার পর সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে এ জাতীয় আর কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। বর্তমানে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। এখন জাপানী নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ওপর থেকে জাপান সরকারের  লেভেল-২ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে বাংলাদেশ খুশি হবে।
জাপান সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী আজ টোকিওতে জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী হিরোশিগে সেকো (ঐরৎড়ংযরমব ঝবশড়) এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। 
জাপানী মন্ত্রী হিরোশিগে সেকো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়নে জাপান খুশি। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্যি ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে জানা গেছে, বাংলাদেশে এখন কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। জাপানী নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ওপর থেকে বিদ্যমান লেভেল-২ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহুর্তে জাপানের ৩১২টি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, এখানে প্রায় ৪২ হাজার জনবল কাজ করছে। জাপানের বিনিয়োগ প্রায় ১ হাজার ৪৬৭ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এরমধ্যে ২০১৭ সালে ডাইরেক্ট ফরেন ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে ৭০ দশমিক ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জাপানী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের  তৈরিপোশাক খাতে ফ্যাশন ডিজাইন উন্নয়ন, উন্নতমানের পোশাক তৈরি এপিআই এবং লেদার পণ্য তৈরিখাতে সহযোগিতার  জন্য এগিয়ে আসতে পারে।  
মন্ত্রীর সঙ্গে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই’র প্রেসিডেন্ট মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, এলএফএমইএবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ নাজমূল হাসান, বিজিএমই’র পরিচালক মুনির হোসেন, ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ওবায়দুল আযমসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্সিয়াল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন এর উদ্যোগে বিজনেসম্যান টু বিজনেসম্যান বৈঠকে মতবিনিময় করেন। এরপর তিনি জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)-এর প্রেসিডেন্ট ইয়াশুশি আকাহোশির সাথে বৈঠক করেন।  
#
বকসী/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০৪৭
সরকার তরুণ উদ্ভাবকদের সবধরনের সহায়তা করবে
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, আধুনিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি গ্রামকে নগরে পরিণত করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের পাশাপাশি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন অডিটোরিয়ামে ব্র্যাকের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আরবান ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
  প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার বেসরকারি এমন উদ্যোগ থেকে উঠে আসা সেরা উদ্ভাবকদের সবধরনের সহায়তা করবে। তরুণদের উদ্ভাবনেই একদিন নাগরিক সব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পলক বলেন, ৫ কোটির বেশি মানুষ বাস করে বাংলাদেশের শহরগুলোতে। এর পাশাপাশি শহরমুখী জনগোষ্ঠীর চাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নাগরিক সমস্যা। তিনি এ সমস্যাগুলোর সমাধানে সৃজনশীল চিন্তাধারা ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে দেশের উদ্ভাবনী ও উদ্যমী তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্র্যাকসহ  বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি নাগরিক সমস্যার সমাধানে তরুণ উদ্ভাবকের খোঁজে ব্র্যাক আয়োজিত এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সাধুবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাভার পৌরসভার মেয়র মোঃ আবদুল গণি, আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ প্রকল্পের উপদেষ্টা টিনা জাবিন, প্রথম আলোর ইয়ুথ কো-অরডিনেটর মুনীর হাসান, তরু ইনস্টিটিউশন অভ্ ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের স্বত্তাধিকারী সাইফ কামাল এবং মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক।
  পরে প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে আরবান ইনোভেশন  চ্যালেঞ্জ এর উদ্বোধন করেন।
#
শহীদুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০৪৬
 
ঢাকা-টঙ্গী এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর রেল লাইন নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর
 
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
আজ রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ রেল লাইন এবং টঙ্গী- জয়দেবপুর ২য় ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতের লাইন অভ্ ক্রেডিট এর অর্থায়নে এ লাইন দু’টি নির্মিত হবে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাফকন্স এবং কল্পতরু পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিমিটেড (কেপিটিএল) যৌথভাবে নির্মাণ কাজ করবে।
 বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আই) কাজী মোঃ রফিকুল আলম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যাফকন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুপ কুমার গুরু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন
চুক্তি অনুযায়ী ৩৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। চুক্তিমূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা । 
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢোকা ও বের হবার জন্য দু’টি রুট ব্যবহার করতে হয়। আরো দু’টি লাইন হলে কম সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চলতে পারবে। এতে অধিক হারে যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকার রেলখাতের উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি ভারতের অর্থায়নে যে সকল প্রকল্প চলছে সেগুলো উল্লেখ করেন। এছাড়া ভবিষ্যতে এলওসির অর্থায়নে যে সকল প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যেমন বগুড়া-সিরাজগঞ্জ, খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন, পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেল লাইন নির্মাণ এবং সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বৃন্দ, অর্থায়নকারী ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৭৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২০৪৫ 

বয়স্কদের কল্যাণ নিশ্চিতে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব গ্রহণ করতে হবে
                                                   - মাসুদ বিন মোমেন

নিউইয়র্ক, ২৪ জুলাই :

বয়স্কদের কল্যাণ নিশ্চিতে একটি বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে যেখানে তাদের উপশম ও পরিচর্যা সেবার ক্ষেত্রে আর্থিক, কারিগরি ও সক্ষমতা বিনির্মাণ বিষয়ে সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে। বৈশ্বিক সর্বোত্তম চর্চাসমূহ বিনিময়েরও সুযোগ থাকবে। উন্নয়ন অংশীদারগণ এবং জাতিসংঘ এই কাজে এগিয়ে আসবেন।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘ওপেন-এন্ডেড ওয়ার্কিং গ্রুপ অভ্ এইজিং’ এর নবম সেশনের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার কাজের বিনিময়ে খাদ্য, কাজের বিনিময়ে অর্থ, দুস্থ গোষ্ঠীর খাদ্যসহায়তা (ভিজিএফ) এর মতো নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচিসহ বয়স্কদের জন্য বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চালু করা হয়েছে বয়স্কভাতা। সরকারি চাকুরিতে অবসর গ্রহণের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। এছাড়া দেশের কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহ বয়স্কসহ সকল নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং এর পরিধিও দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।
বাংলাদেশ সরকার বয়স্কদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা উত্তরোত্তর বাড়াতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সহায়হীন বয়স্কদের আশ্রয় দিতে সরকার ‘শান্তি নিবাস’ নামে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে বয়স্ক আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও এনজিও প্রচেষ্টাসমূহকে আর্থিক ও নীতিগতভাবে সহযোগিতা করছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তিনি আরো বলেন, মাদ্রিদ প্লান অভ্ অ্যাকশন এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১৩ সালে বয়স্কদের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে এবং এর বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
#

অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১১০০ ঘণ্টা

Todays handout (4).docx