Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

তথ্যবিবরণী ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর :  ৩৫১
পৃথিবীর চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যুগে বাংলাদেশ
                         -- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৭৬০ সালের পর পৃথিবীতে তিনটি শিল্পবিপ্লবের পর পৃথিবীর চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ যুগের প্রবর্তক। ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয়েছিল তখন অনেকে এ নিয়ে তামাশা করেছিলেন। নয়বছরের আজকের বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন আর শেখ  হাসিনা দিয়েছেন উন্নয়ন। তলাবিহীন অপবাদখ্যাত বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ঢাকাস্থ নেত্রকোনা জেলা সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্থ নেত্রকোনা জেলা সমিতির সভাপতি আবদুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, ছবি বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হাসান, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার এবং ঢাকাস্থ নেত্রকোনা জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন তালুকদারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি না করলে আমরা কেরানিও হতে পারতাম না, শেখ হাসিনা না থাকলে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পেতাম না। ২০০৮ সালে  ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার  আগে  বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোন দেশ ডিজিটাল দেশ ঘোষণা করেনি। বাংলাদেশের পর ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড এবং ২০১৪ সালে ভারত ডিজিটাল দেশ ঘোষণা করেছে । তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী পদক্ষেপ বিশ্বে বিস্ময়ের বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। 
পরে সমিতির জেলা, উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বক্তারা বলেন,  প্রযুক্তি দুনিয়ার কিংবদন্তি মোস্তাফা জব্বারকে মন্ত্রীত্ব  শুধু নেত্রকোনাবাসীর  জন্যই উপহার  নয়, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিকে বেগবান করতে এটি  একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
#
শেফায়েত/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২২২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর :  ৩৫০
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) : 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে। 
আজ কুতুপালং-১ ক্যা¤েপ ১ শত ১৫ জন পুরুষ ও ১ শত ৩১ জন নারী মিলে ২ শত ৪৬ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৩ শত ৭২ জন পুরুষ ও ৪ শত ৯ জন নারী মিলে ৭ শত ৮১ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১ শত ৮৩ জন পুরুষ ও ২ শত ৩২ জন নারী মিলে ৪ শত ১৫ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৭৭ জন পুরুষ ও ৬৪ জন নারী মিলে ১ শত ৪১ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৯৪ জন পুরুষ ও ১ শত ১০ জন নারী মিলে ২ শত ৪ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ শত ৮৭ জন পুরুষ ও ১ শত ৮৭ জন নারী মিলে ৩ শত ৭৪ জন এবং পুরোদিনে ৬টি কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ১ শত ৬১ জনের জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। 
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ১০ লাখ ৫২ হাজার ৮ শত ৪৩ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। 
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত  ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন। 
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৩ শত জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট, ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর : ৩৪৯
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
দশম জাতীয় সংসদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৯তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে  আজ সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ এবং মোঃ ইয়াসিন আলী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। 
বৈঠকে চট্টগ্রামে বোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণ প্রকল্প, যশোর-বেনাপোল সড়কে শতবর্ষীগাছ রক্ষা এবং জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের স্থায়ী আমানত ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এর বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে মতামত গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করে। বৈঠকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণ প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। কমিটি যে কোন রাস্তা সম্প্রসারণে পুরাতন গাছ না কেটে বিকল্পভাবে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকের শুরুতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন মন্ত্রী ও নতুন ভারপ্রাপ্ত সচিবকে অভিনন্দন জানানো হয়।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
নীলুফার/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৪৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৮
নারীউন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন মন্থর হয়ে পড়বে
                             --- নৌপরিবহণ মন্ত্রী 
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘নারীদের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নারীদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদেরকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আর নেতৃত্ব তৈরির স্থান হল সংগঠন।’ 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিয়াম ভবনে ‘নারীশ্রমিক সম্মিলন ২০১৮’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ‘কর্মজীবী নারী’ এ সম্মিলনের আয়োজন করে। 
শাজাহান খান বলেন, পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করতে হবে। সমতার পথে নারীশ্রমিকদের এগিয়ে যেতে হলে তাদের চিন্তার ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। নারীউন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন মন্থর হয়ে পড়বে। নারীদের এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। 
কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরিন আখতার এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামিমা আক্তার শিরিন ও কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক হুমায়রা আজিজ। 
#
জাহাঙ্গীর/ফারহানা/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৮২০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩৪৭
সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের পতœীর মৃত্যুতে সংস্কৃতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের পতœী আনোয়ারা আহমেদের মৃত্যুতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ---------রাজিউন)
এক শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
ফয়সল/ফারহানা/সঞ্জীব/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৪৬
সরকারি ব্যয়ে দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকতে হবে
                                              -- পরিকল্পনামন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :  
‘বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে সফররত পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল (সোমবার) যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয়ের ক্রাউন কমার্শিয়াল সার্ভিসের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আলোচনা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি অবস্থানে এসেছে, বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখতে এবং স্বপ্ন  বাস্তবায়ন করতে শিখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের কথা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং সবসময় বন্ধুর মত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এসেছে এবং সামনেও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের বাজেটের একটি বিরাট অংশ ব্যয় হয় ক্রয়কার্যক্রমে। জনগণের করের টাকা ব্যয় করেই সরকারের ক্রয়কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে সঠিকভাবে এ অর্থ ব্যবহার করতে হবে। সরকারি ব্যয়ে সর্বোচ্চ দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকতে হবে। সঠিকভাবে সরকারের অর্থ ব্যয় করতে পারলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়বে। আর সরকারি ব্যয়ে সর্বোচ্চ দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনতেই আমরা সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজ করেছি যা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণের অন্যতম একটি শর্ত।
দক্ষিণ এশিয়ায় অবকাঠামো ও জ্বালানিখাতে মোট দেড় লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগ লাগবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এত বেশি বিনিয়োগে ইলেক্ট্রনিক প্রকিউরমেন্টের কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমে বেসরকারি খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ই-জিপি’র ফলে ঘরে বসেই টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীরা সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন। দেশবিদেশে যা ব্যাপকভাবে প্রশংসা অর্জন করেছে। ই-জিপি সার্কভুক্ত দেশে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে ই-জিপিতে ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ ক্রয়কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। 
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অর্জনে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী থেকে অর্জিত জ্ঞান এবং আজকের এ আলোচনা আমাদেরকে ই-জিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরো বেশি অগ্রসর ও বাস্তবভিত্তিক হতে সহায়তা করবে। যুক্তরাজ্য ক্রয়কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
ক্রাউন কমার্শিয়াল সার্ভিসের বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম ও মোঃ আব্দুল হাই, সিপিটিইউয়ের মহাপরিচালক মোঃ ফারুক হোসেনসহ ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।
#
তৌহিদুল/ফারহানা/নাইচ/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৮২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৩৪৫ 
উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সক্ষম
                                                        - বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) : 
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নি¤œআয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে উন্নতবিশ^ থেকে জিএসপিপ্লাসসহ সকল বাণিজ্য সুবিধা অর্জনে বাংলাদেশ সক্ষম। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার সকল শর্তপূরণ হবার কারণেই বিশ^ ইকোনমিক ও সোস্যাল কাউন্সিল চলতিবছর মার্চ মাসে বাংলাদেশকে নি¤œমধ্যআয়ের দেশ  থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করবে। উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশের পর বাণিজ্যক্ষেত্রে যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে সে জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত।
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ে ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নবনির্বাচিত পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, নি¤œআয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যে তিনটি শর্তপূরণ করতে হয়, তা বাংলাদেশ পূরণ করেছে। মন্ত্রী বলেন, প্রথমত; মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার এবং গড় আয় প্রায় ১৩০০ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয়ত; মানব সম্পদের উন্নয়ন অর্থাৎ দেশের ৬৬ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭২ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হয়েছে। তৃতীয়ত; অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার মাত্রা ৩০ ভাগের নীচে হতে হয়, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে তা ২৬ ভাগ অর্জন করেছে।  বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বিশে^ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশে^র অনেক উন্নয়নশীল দেশ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। উন্নয়নশীল দেশ কেনিয়ার রপ্তানি ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলংকার রপ্তানি ১১ বিলিয়ন, পাকিস্তানের রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন, সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশে^ বিরল। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয়। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে, শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে।  
এসময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু এবং ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবুল কাসেম খানসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/অনসূয়া/শহিদ/রফিক/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৬৩০ ঘণ্টা
Todays handout (7).docx Todays handout (7).docx