Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তথ্যবিবরণী : 13 February 2019

তথ্যবিবরণী                                                                                নম্বর : ৬২৮
 
আসন্ন ইজতেমা উপলক্ষে রেলওয়ের বিশেষ ব্যবস্থা
 
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
 
আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 
আখেরী মোনাজাতের আগে ও আখেরী মোনাজাতের দিন (১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ ট্রেন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা জুম্মা স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফা মোনাজাতে, মোনাজাত স্পেশাল ১, ২, ৩, ৪ নামে ৪টি স্পেশাল ট্রেন ঢাকা-টঙ্গীর মধ্যে চালানো হবে। এছাড়া লাকসাম-টঙ্গী ও জামালপুর-টঙ্গী ২টি ট্রেন শুধু ১৭ ফেব্রুয়ারি চলবে। 
১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আখেরী মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী ৮টি, টঙ্গী-ঢাকা ৮টি, টঙ্গী-লাকসাম ১টি, টঙ্গী-আখাউড়া ১টি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ ৪টি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ ৪টি, টঙ্গী-টাঙ্গাইল ২টি ট্রেন চলাচল করবে।
১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি আখেরী মোনাজাতের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী সকল আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ২ মিনিট করে থামবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি আখেরী মোনাজাতের দিন সকল আন্তঃনগর ট্রেন ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহ (আপ ও ডাউন) টঙ্গী স্টেশন ২ মিনিট করে থামবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মুসল্লিদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণ, সার্বিক আইনশৃংখলা রক্ষার্থে টঙ্গী, বিমানবন্দর, তেজগাঁও ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি অফিসারসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
#
 
শরিফুল/মাহমুদ/মাহবুব/সঞ্জীব/জয়নুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৯/২১৫০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৬২৭
 
অবৈধ জাল উচ্ছেদের আহ্বান মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর
 
ময়মনসিংহ, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) : 
 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষার জন্য কারেন্ট জালসহ সকল প্রকার অবৈধ জাল উচ্ছেদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিলুপ্তপ্রায় ৬৪ প্রজাতির মাছের পুনরুদ্ধারকৃত জাতগুলোকে নদী ও জলাশয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুক্তা চাষ, কুঁচিয়া, স্বাদু পানির শামুক, তেলাপিয়া, মহাশোল, পাঙ্গাস, পাবদা, গুলশা, কৈসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। 
 
পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী জানান, গবেষণার মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই বিলুপ্তপ্রায় ১৮ প্রজাতির মাছের জিনপুল সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব মাছের পুষ্টিগুণ অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি।  ফলে দেশের জনসাধারণ সহজেই কম মূল্যে বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন মাছ খেতে পারছে।
 
পরে প্রতিমন্ত্রী জেলা মৎস্য অফিস প্রাঙ্গণে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা - কর্মচারীদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। 
 
#
 
শাহ আলম/মাহমুদ/মাহবুব/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২১০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৬২৬
 
হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়নে পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে
-- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) : 
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়নে ‘বিসিক বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন ও হালকা প্রকৌশল শিল্পনগরী স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গিবাড়িতে ৫০ একর জমির ওপর পরিবেশবান্ধব এ শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে ৩শ’ ৫টি শিল্প ইউনিট থাকবে, যেখানে প্রায় ১১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।  
শিল্পমন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘হালকা প্রকৌশলখাতে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানার উন্নয়নে অবাধ বাজার তথ্য এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন’ (অপপবংং ঃড় গধৎশবঃ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ধহফ ঞবপযহড়ষড়মু টঢ়মৎধফধঃরড়হ ভড়ৎ ঝগঊং রহ খরমযঃ ঊহমরহববৎরহম ঝবপঃড়ৎ) শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্ট বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (এলইপিবিপিসি) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
নাসিবের প্রেসিডেন্ট মির্জা নূরুল গণী শোভনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) পরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ ইহ্সানুল করিম। ন্যাশনাল স্কিলস্ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন, এ-টু-আই (ধ২র) প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাসিব উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদসহ হালকা প্রকৌশল শিল্প উদ্যোক্তারা আলোচনায় অংশ নেন। 
অনুষ্ঠানে বক্তারা হালকা প্রকৌশল শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি উদীয়মান খাত হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এ খাতকে কেন্দ্র করেই দেশে শিল্পায়নের ভিত্তি গড়ে ওঠেছে। বর্তমানে সারা দেশে ৪০ হাজারেরও বেশি হালকা প্রকৌশল শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় সরাসরি ৬ লাখ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ৬০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিবছর হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আমদানি বিকল্প যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ উৎপাদিত হয়। এখাতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। তারা হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়নে বিসিক গৃহীত প্রকল্প দ্রুত সমাপ্ত করার পরামর্শ দেন। 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী এসএমইখাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত ১শ’ ৭৭টি এসএমই ক্লাস্টারের আধুনিকায়ন ও  উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এটি  বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে শিল্পখাতে ২৫ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির টার্গেট বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করবে। এসএমইখাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।  
হুমায়ূন আরো বলেন, হালকা প্রকৌশল পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারে রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এ লক্ষ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এখাতে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যে মূল্য সংযোজন এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের প্রয়াস জোরদার করতে হবে। এখাতে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্ট ইনকিউবেশন সেন্টার’ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি হালকা প্রকৌশল পণ্যের প্রসারে বাজার সমীক্ষা চালিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত নতুন পণ্য উৎপাদনের তাগিদ দেন।
#
জলিল/মাহমুদ/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০২০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                নম্বর : ৬২৫
 
শিল্পমন্ত্রীর সাথে চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
 বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি)-এর কাছে আখের মূল্য বাবদ ২শ’ ৫০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশনের নেতারা। তারা বলেন, লাখ লাখ আখ চাষি রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলে তাদের উৎপাদিত আখ সরবরাহ করেও আখের মূল্য পাচ্ছে না। এর ফলে আখ চাষে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। এটি অব্যাহত থাকলে আগামী মাড়াই মওসুমে চিনিকলগুলোতে আখ পাওয়া যাবে না বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। 
বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশনের নেতারা শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে আজ মন্ত্রণালয়ে বৈঠককালে এ দাবি জানান। এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। 
বৈঠকে ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ মোঃ মজাহারুল হক প্রধান এম.পি, সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ফরিদুল হক খান দুলাল এম.পি, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান আলী বাদশা, সহসভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মোসলেম উদ্দিন ও মোঃ জিন্নাত আলী প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতু, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওসমান গণি মোল্যা ও সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইয়াসিন আলী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বেগম পরাগসহ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
বৈঠকে ফেডারেশনের নেতারা চিনি শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় ‘র’ সুগার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা বলেন, ‘র’ সুগার আমদানির ক্ষেত্রে রিফাইনারি মালিকরা পরিশোধিত চিনির ৬০ শতাংশ রপ্তানির নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আমদানিকৃত কাঁচামাল থেকে পরিশোধিত চিনির শতভাগ দেশেই বাজারজাতের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো উৎপাদিত চিনির উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে না। তারা চিনি শিল্পের বর্তমান অবস্থার উন্নয়নে আমদানিকৃত চিনি ও কাঁচামালের শুল্ক যৌক্তিককরণের তাগিদ দেন। 
#
 
জলিল/মাহমুদ/মাহবুব/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২১৩০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৬২৪
 
এলাকায় থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে
       -- পরিকল্পনামন্ত্রী
 
খুলনা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) : 
 
প্রকল্প পরিচালকদের এলাকায় থেকে কার্যক্রম বাস্তবায়নের  নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি আজ খুলনা বিভাগের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই নির্দেশ দেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ এই পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে।
 
মন্ত্রী বলেন, সরকার চলতি অর্থবছরে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচশত সাতটি  উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে তিন হাজার চারশত ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গৃহীত এ সকল প্রকল্পের মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে, যাতে জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারে। সরকার অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে দেশ পরিচালনা করতে চায় উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। প্রত্যেক নাগরিক যেন সরকারি সকল কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে এজন্য সরকার তথ্য অধিকার আইন করেছে। এক ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালক থাকতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চায় প্রতিটি প্রকল্প গুণগতমান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়িত হোক। এজন্য প্রকল্পের পরিচালক যিনি থাকবেন তাকে প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও দায়িত্ব নিতে হবে যেন ঐ প্রকল্পের মান নিয়ে জনগণের মনে কোনো সংশয় না থাকে।
 
সভায় খুলনা বিভাগের ৫৮টি প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী 
যশোর Ñ খুলনা মহাসড়ক নির্মাণ কাজ, কয়রা-পাইকগাছা এলাকায় ৫৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজসহ আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ প্রদান করেন।
 
বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি’র সচিব আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজউল্লাহ ও মহাপরিচালক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, ডিআইজি মোঃ দিদার আহমেদ, কেএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, সকল প্রকল্পের পরিচালক, খুলনা বিভাগের সকল জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
এর আগে মন্ত্রী খুলনা নগরীতে অবস্থিত ১৯৭১: জেনোসাইড-নির্যাতন আর্কাইভ ও যাদুঘর পরিদর্শন করেন। বিকেলে মন্ত্রী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমানবন্দরের স্থান পরিদর্শন করেন।
#
 
শাহেদ/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯৫০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                নম্বর : ৬২৩
 
কেন্দ্রীয় তহবিল হতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিমা দাবির ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা প্রদান
 
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর সদস্যভুক্ত গার্মেন্টস কারখানার ২০৩ জন মৃত শ্রমিকের বিমা দাবি বাবদ ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান গার্মেন্টস মালিকদের দু’টি সংগঠনের প্রতিনিধিগণের হাতে ঐ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বিজিএমইএ’র সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের হাতে ১৬৯ জন মৃত শ্রমিকের বিমা দাবির ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চেক এবং বিকেএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মোঃ মুনসুর আহমেদের হাতে ৩৪ জন মৃত শ্রমিকের বিমা দাবির ৬৮ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
এ সময় গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শ্রমিক সংগঠনগুলোর অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সম্প্রতি সরকার শ্রমঘন এলাকায় ২৯টি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলোর মাধ্যমে শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এর আগে অনুষ্ঠিত গার্মেন্টস শিল্প বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠকে তৈরিপোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য একটি কনফেডারেশন গঠনের বিষয়ে বিজিএমইএ’র লিখিত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় তহবিলের 
মহাপরিচালক ড. আনিসুল আওয়াল, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খান, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি এবং নাজমা আক্তারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
 
আকতারুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ৬২২
 
হস্ত ও কারুশিল্পের একটি ডেটাবেইজ তৈরি করা হবে
 
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হস্ত ও কারুশিল্পের একটি ডেটাবেইজ তৈরি করা হবে। এলাকাভিত্তিক এ সকল পণ্য ও আনুষঙ্গিক উপকরণের তথ্যাদি সংগ্রহ করে তা ডেটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরে এ সকল পণ্যের একটি ম্যাপিং তৈরির জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হস্ত ও কারু শিল্প নীতিমালা-২০১৫-এর সমন্বয় পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এতে সভাপতিত্ব করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন, এস এম ই ফাউন্ডেশন, বাংলাক্রাফট, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হস্ত ও কারুশিল্পের জন্য ঢাকায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে দেশীয় হস্ত শিল্পের জাদুঘর, মার্কেটিং ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কারুশিল্প আমদানির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। রপ্তানিকারকগণ কারুশিল্প পণ্য রপ্তানির জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্ডার পাচ্ছেন। সভায় বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষম এমন মান ও ডিজাইন সম্পন্ন হস্ত শিল্প পণ্য উৎপাদন ও তরুণ উদ্যোক্তাদের এখাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।  
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহে ঐতিহ্যবাহী হস্ত ও কারুশিল্পের প্রদর্শনীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ও বিশ্ববাজারে এ সকল পণ্যের প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে নিয়ে শীঘ্রই কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। হস্ত ও কারুশিল্পের উৎপাদনে প্রতিটি গ্রামের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, একে কাজে লাগাতে হবে। হস্তশিল্পীরা যাতে ন্যায্য পারিশ্রমিক পান, সেদিকে মনোযোগ দেবার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। 
প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, দেশের হস্ত ও কারুশিল্পের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বারোপ করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এ বিষয়ক পাঠ্যসূচি অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, হস্ত ও কারুশিল্প রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। 
#
 
মাসুম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৬২১
 
কৃষিই সভ্যতার নির্মাতা
            --- কৃষিমন্ত্রী
 
ময়মনসিংহ, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
কৃষি প্রাচীন মর্যাদাপূর্ণ পেশা ও সভ্যতার নির্মাতা। দেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষিতে উন্নয়ন করতে হবে। সরকারের দূরদর্শীতা ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে দেশ আজ খাদ্যে ও কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজস্ব উদ্যোগে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প আজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন যা বাঙালি জাতির সক্ষমতার প্রমাণ। 
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আজ ‘কৃষিবিদ দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী অ্যালামনাই সংবর্ধনা ও বর্তমান সরকারের ‘কৃষি উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত ও সংহত করতে করণীয় নির্ধারণ’ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আধুনিক কৃষি বিষয়ক সেমিনার এসব কথা বলেন। 
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এবং সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমিরিটাস প্রফেসর কৃষিবিদ ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন পিকেএসএফ এর  চেয়ারম্যান ড. কাজী খলী কুজ্জামান আহমদ ও বিডিবিএলের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মোঃ ইয়াছিন আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিম উদ্দিন খান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ হামিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি যুদ্ধের প্রধান আকাক্সক্ষা ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কৃষি বিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যদা দিয়েছিলেন। জাতির পিতাকে দেওয়া কৃষিবিদদের ঐতিহাসিক এ সম্মানকে স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারি জাকজমকপূর্ণ ভাবে কৃষিবিদগণ দিবসটিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
#
 
গিয়াস/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৬২০
 
মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে
                           -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
 
মেহেরপুর, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) : 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত মুজিবনগর বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের অন্যতম প্রতীক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শপথ গ্রহণ, ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা সমৃদ্ধ তথ্য ও নিদর্শন দেশবাসী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং বিদেশিদের কাছে অধিকতর সফলভাবে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে উদ্দেশ্যে বর্তমান সময়ের বিবেচনায় স্মৃতিকেন্দ্রটির কলেবর আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে ২০২১ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। 
মন্ত্রী আজ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ’ উপলক্ষে স্থাপত্য নকশা চূড়ান্ত অনুমোদনের নিমিত্তে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রটির আয়তন ৭৫ একর। আরো ৩৬ দশমিক ১৭ একর বৃদ্ধি করে এটিকে ১১১ দশমিক ১৭ একরে পরিণত করা হবে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ  প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। 
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার নতুন করে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটির প্রাথমিক নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে সকলের মতামত গ্রহণ করে নকশা অনুমোদন করার লক্ষ্যে আজকের এই সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে তিনি জানান। মুজিবনগর সরকার যে পথ ব্যবহার করেছিল সেই সড়কটি সংরক্ষণ করে দর্শকদের দেখার ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  মুজিবনগরের ঐতিহাসিক আমবাগানের আমগাছগুলো সংরক্ষণ করারও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্মৃতিকেন্দ্রের পরিবেশ শীতল রাখতে অভ্যন্তরীণ পুকুরের পানির স্তর নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং আগত দর্শকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হবে। পর্যটন মোটেলটি  পরিপূর্ণভাবে চালু করারও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে । 
দর্শকদের নিরাপত্তাসহ সকল সুবিধার জন্য দক্ষ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করার নির্দেশনা প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, ফুড কর্নার, স্যুভেনির শপ ইত্যাদি স্থাপনের জন্য যথাযথ স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দর্শকদের নিকট তুলে ধরতে প্যানোরামিক ভিউতে দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যগুলো সঠিক কাঠামো ও আকৃতিতে পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্মৃতিকেন্দ্রের স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য অভ্যন্তরে অবস্থিত অন্যান্য বিভাগের স্থাপনা পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রের  অন্যতম আকর্ষণ বড় আকারের বাংলাদেশের মানচিত্রটির ভুল-ত্রুটি নির্ণয় করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুনভাবে তৈরি করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন,  মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এস এম আরিফুর রহমান, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, মেহেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ।
#
দীপংকর/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮২০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৬১৯
 
ইফাদের ৪২তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে রোমে পৌঁছেছেন অর্থমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) : 
 
আগামী ১৪ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) - এর গভর্নিং কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছেছেন।  
 
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা অর্থমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। এছাড়া, ইতালি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং  প্রবাসী বাংলাদেশিরা অর্থমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে এবং হোটেলে স্বাগত জানান। 
 
১৩ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রধানগণ অর্থমন্ত্রীর সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন। এছাড়া অর্থমন্ত্রী ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।
 
#
 
তৌহিদুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮৪০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৬১৮
 
ভারত বিমান ও পর্যটন খাতে সহায়তা করতে আগ্রহী
 
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) : 
 
বাংলাদেশের বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতে ভারত সহায়তা করতে আগ্রহী। আজ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলীর সঙ্গে ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সাক্ষাতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা এ কথা জানান। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের অবদানের কথা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। বর্তমান সরকার দুই বন্ধু রাষ্ট্রের জনগণের মাঝে আরো সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো সরাসরি উভয় দেশের জনগণের সেবার সাথে জড়িত বিধায় দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে তাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে বিমান পরিবহন ও পর্যটন অন্যতম মাধ্যম হবে বলেও প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
 
  গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। দুই দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে একটি বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। প্রতিমন্ত্রী ধন্যবাদের সাথে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
 
সাক্ষাৎকালে ভারতীয় হাইকমিশনের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি শিশির কোঠারি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
 
তানভীর/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৬১৭
 
ডিজিটালাইজড হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের চার হাজার পাড়াকেন্দ্র
 
ঢাকা, ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রামের শিশু ও মহিলাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসহ সামাজিক সেবা প্রদানের জন্য চার হাজার পাড়াকেন্দ্র রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন পার্বত্য জেলায় প্রথম পর্যায়ে ২৬ টি পাড়াকেন্দ্রের সেবাসমূহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর করে ডিজিটালাইজড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রমান¦য়ে সব পাড়াকেন্দ্র ডিজিটালাইজড করা হবে।
আজ পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ডিজিটাল সেবার প্ল্যাটফর্ম ও মডেল ডিজিটাল পাড়াকেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর সভাপতিত্বে সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন। 
সভায় বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্যবাসীর সামাজিক সেবা প্রাপ্তির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পাড়াকেন্দ্রসমূহ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ এলাকায় বিদ্যমান ৪ হাজার পাড়াকেন্দ্রের পাশাপাশি আরো  এক হাজার পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, একটি সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশিত সমউন্নয়ন নিশ্চিতকরণে
Todays handout (14).docx Todays handout (14).docx