Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৬ জুন ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৫০১৭

বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বাড়তি জলবায়ু অর্থায়ন অপরিহার্য

                                                                                                 --- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন,  বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বাড়তি জলবায়ু অর্থায়ন অপরিহার্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি গবেষণাগার হিসেবে চিন্তা করা যায় কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের সকল প্রকার প্রভাব এখানে আছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের জলবায়ু দুর্যোগের ঘটনা বাড়ছে এবং এর তীব্রতাও বাড়ছে। এসব দুর্যোগ কৃষি, স্বাস্থ্য ও পানিসম্পদ সহ বিভিন্ন খাতে প্রভাব ফেলছে।

          আজ অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইআর) এর ম্যানেজার ড. ভেরোনিকা ডোরের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা। আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে কৃষি, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।

          মন্ত্রী চৌধুরী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো, যেমন উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উত্তর অঞ্চলে মরুকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের সার্বিক পদক্ষেপের কথা তিনি তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ঘূর্ণিঝড়  সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।

          এসিআইআর’র জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ডোর বাংলাদেশের জলবায়ু প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি), জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন কৌশলগুলোর কথা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথা স্বীকার করেন। আন্তর্জাতিক জলবায়ু ফোরামগুলোতে বাংলাদেশের সুদৃঢ় ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।

          বৈঠকে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহলা হোসেনি বাই; অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জর্জেট লিহ বার্নস; অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর), ভারতের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ড. প্রতিভা সিং এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি প্রজেক্ট লিডার ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী।

#

দীপংকর/সায়েম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৫০১৬

 

দেশে নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে বাজেটে সর্বোচ্চ

বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টির মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

                         -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন): 

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দশটি সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্তির মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় রয়েছে। এর একমাত্র কারণ নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে হবে, নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে হবে। নদীর প্রবাহ রক্ষা করা, নদীকে ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। প্রতিটি নদী রক্ষা করব, এটা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ । নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করব।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ইস্কাটনস্থ বিয়াম ফাউন্ডেশনে বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আরিফ উদ্দিন এবং বিআইডব্লিউটিএ’র সিবিএ’র সভাপতি আবুল হোসেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা কমে গেছে, নদীগুলোর নাব্যতার ধরে রাখতে হবে। নদীর নাব্যতা ধরে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোন সরকার একটি ড্রেজারও সংগ্রহ করেনি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা গত তিন মেয়াদে ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে শপথ নিতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনকে সামনে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের ডায়নামিক ও স্মার্ট করার লক্ষ্যে অফিসার্স এসোসিয়েশনকে কাজ করতে হবে।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৫০১৫

 

১৩ বছর পর সিরডাপ গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি হলো বাংলাদেশ

 

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন): 

 

১৩ বছর পর সিরডাপ গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের ২৪তম সভায় সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণের সমর্থনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামকে পরবর্তী দুইবছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।

 

৪-৬ জুন ব্যাংককে সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনদিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো কেন্দ্রের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়৷ সমাপনী দিনে বাংলাদেশকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আগামী দুই বছরের জন্য গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন সিরডাপের নবনির্বাচিত সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

 

সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সিরডাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি সমন্বিত পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং নীতি নির্ধারণে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট এবং সাংঠনিক দর্শনের ওপর জোর দিতে চাই, যাতে করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্যবিমোচনে ভূমিকা পালন করতে পারে৷

 

সিরডাপের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা কী হবে সে প্রসঙ্গে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের জানতে হবে কেন এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ দরিদ্রের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সিরডাপ ব্যর্থ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে নেতৃত্বদানকারী জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার সংস্থা (FAO) এর সমর্থন এবং সহযোগিতার ওপর জোর দিতে হবে৷ সংগঠনটিকে আরো ফলপ্রসূ এবং যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে৷

 

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র্যবিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা, টিকাদান এবং সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। যেহেতু গ্রামীণ উন্নয়ন আমাদের দেশের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা সেহেতু আমরা চাই সিরডাপভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংস্থার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে।

 

সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সিরডাপের সদস্যরাষ্ট্র ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিজি, ইরানের প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

পবন/সায়েম/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                  Number: 5014

Environment Minister Calls for Increased Climate Funding for Bangladesh
Dhaka, 6 June: 

            Environment, Forest and Climate Change Minister, Saber Hossain Chowdhury, urged for increased climate funding for vulnerable countries like Bangladesh. Minister Chowdhury emphasized Bangladesh's unique position as a "laboratory of climate research."The country experiences a variety of climate hazards with growing frequency and intensity, impacting various sectors like agriculture, health, and water resources.

            Environment Minister said this during a meeting with Dr. Veronica Doerr, Manager of the Australian Center for International Agricultural Research (ACIAR). The discussion focused on the interconnectedness of climate change with agriculture, health, and other critical areas.

            Minister Chowdhury highlighted Bangladesh's Nationally Determined Contribution (NDC) with both conditional and unconditional targets to address climate change. He elaborated on the challenges faced by Bangladesh, including salinity intrusion in coastal areas, rising sea levels, and desertification in the north. He emphasized the government's comprehensive approach to tackling climate change, including initiatives like rainwater harvesting and early warning systems.

            Dr. Doerr, ACIAR's Program Manager for Climate Change, expressed Australia's commitment to supporting Bangladesh in its climate efforts. She acknowledged Bangladesh's leadership in climate action through its NDC, National Adaptation Plan (NAP), and focus on locally led adaptation strategies. Dr. Doerr also commended Bangladesh's strong voice in international climate forums.

            Prof. Shahla Hosseini Bai, Griffith University, Brisbane, Australia; Prof. Georgette Leah Burns, Griffith University, Australia; Dr. Pratibha Singh, South Asia Regional Manager, Australian Centre for International Agriculture Research (ACIAR), India and Dr. Mrinmoy Guha Neogi, Deputy Project Leader, University of Western Australia were also present in the occasion.

#

Dipankar/Sayeam/Rafiqul/Joynul/2024/2000 hour

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৫০১৩

দক্ষতা উন্নয়ন এবং শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

                                                                                --- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

 জেনেভা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং শোভন কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক কনফারেন্সের ১১২তম সভার সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এ মন্তব্য করেছেন।

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সামাজিক ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতাভিত্তিক বাংলাদেশ এবং এরই আলোকে ন্যায্য বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা। শ্রম অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতির প্রতি বাংলাদেশ শ্রদ্ধাশীল বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী। এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশ আইএলও এর দশটি মূল কনভেনশনের মধ্যে আটটি এবং মোট ৩৬টি আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। শ্রম অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানে কার্যকর উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার আইন সংস্কার ছাড়াও শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তায় এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম প্রবর্তন করেছে। এ সকল পদক্ষেপে সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও অন্য অংশীদারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। সরকার দেশের সকল নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে বলে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান।

          সরকারের শ্রমক্ষেত্রে সাধিত সংস্কারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিয়ন্ত্রণমূলক নেতিবাচক পদক্ষেপ উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপকারে আসবে না। এর পরিবর্তে পণ্য ও সেবার বাজার সম্প্রসারণ, শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারিত্ব, কারিগরি সহযোগিতা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

          এ আলোচনা সভা ছাড়াও একইদিন শ্রম প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রমিকবান্ধব নেতা হিসেবে অভিহিত করে শ্রমিকবান্ধব কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং উন্নত শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে বলে জানান। মহাপরিচালক হোংবো গত এক দশকে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে বলে মন্তব্য করেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের শ্রম খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান এবং চলমান সংস্কার কার্যক্রমগুলোতেও কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কারসহ শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।

          বৈঠকে শ্রমসচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সঞ্চিতা হকসহ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও সরকারের শ্রমখাত সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

নভেল/সায়েম/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১৪ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৫০১২

 

­­কৃষিপণ্য রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে

                                       -- কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন): 

 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি চত্বরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা শুরু হয়েছে। আজ মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ। এর আগে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে কেআইবি চত্বর পর্যন্ত ফল মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

 

‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ-স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে আগামী ৮ জুন শনিবার। এবারের ফলমেলায় ৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৫৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মোট ৬৩টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফলচাষ প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগত দর্শণার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছেন এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতেও পারছেন।

 

উদ্বোধন শেষে কেআইবি মিলনায়তনে ফলের ওপর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে যে সকল প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। এলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কার্গো ভাড়া কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা বাংলাদেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে।

 

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ। কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মোঃ আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর মোঃ কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

কামরুল/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৮৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৫০১১

 

­­                        দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার

                                                    -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

গাজীপুর, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন): 

 

দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

 

আজ গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আরলা ফুডসের নবনির্মিত অত্যাধুনিক আল্ট্রা হাই টেম্পারেচার দুধ উৎপাদন ফ্যাক্টরির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে দুধ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছি। দুধ উৎপাদনে কিছুটা যে ঘাটতি আছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মন্ত্রণালয়ের কাজে উৎসাহ প্রদান করে থাকেন ঠিক একইভাবে তিনি খামারিদের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগকেও উৎসাহ দিয়ে থাকেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দুধ উৎপাদনে আরলা ফুড ও মিউচুয়াল গ্রুপ যৌথভাবে যে ভূমিকা রাখছে তা দুধ উৎপাদনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনেকরি। তিনি এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়ার মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

 

কোরবানির গরু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের কুরবানির পশু অনেক বেশি রয়েছে। সুতরাং কুরবানিতে পশুর কোন সংকট হবে না। গাজীপুর এলাকায় পশু খাদ্য হিসেবে গরুকে তুলা খাওয়ানো নিয়ে অপর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এর ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার ও আরলা ফুডসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

নাজমুল/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৮৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ৫০১০

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৭৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমকি ২৬ শতাংশ।

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৪ জন।

#

দাউদ/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৭৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                               নম্বর: ৫০০৯

ভূমি সেবাকে বান্ধব করে গড়ে তোলার মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব

                                                                                                    --- ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

            ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, স্মার্ট ভূমিসেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং অনলাইন সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে আগামী ৮ জুন হতে ১৪ জুন ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী ‘ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৪’ উদ্যাপন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট ভূমিসেবা, স্মার্ট নাগরিক’।

            আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভূমিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। এসময় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

            ভূমিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪’ চলাকালীন সেবাগ্রহীতাদের গুরুত্বপূর্ণ যেসব সুবিধা প্রদান করা হবে তার মধ্যে রয়েছে, ই-নামজারির আবেদন করার বিষয়ে অবহিতকরণ ও সহযোগিতা প্রদান, নিষ্পত্তিকৃত এলএ কেইসের ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান, অনলাইনে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা সরবরাহ, অনলাইনে আবেদনকৃত মৌজাম্যাপ ডাক বিভাগের মাধ্যমে সরবরাহ, মাঠ পর্যায়ে চলমান জরিপ কার্যক্রম বিষয়ে গণশুনানি, আপত্তি/আপিল দাখিল ও নিষ্পত্তির কার্যক্রম গ্রহণ ও রেকর্ড  হস্তান্তরসহ জনগণকে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান ইত্যাদি।

            ভূমিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন জিজ্ঞাসার সরাসরি উত্তর প্রদানের জন্য সেবা বুথ স্থাপন করা হবে এবং সেখানে একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। এবার প্রথমবারের মত ৮টি বিভাগে বিশেষভাবে প্রস্তুত ৮টি গাড়ি ভ্রাম্যমাণ স্মার্ট ভূমি সেবা প্রদান করবে বলে ভূমিমন্ত্রী জানান। এছাড়া, মন্ত্রী জানান, ভূমিসেবা নিয়ে সহজবোধ্য বই 'ভূমি আমার ঠিকানা' বিতরণ করা হবে।

            ভূমিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসময় বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ের (এলএসজি) মাধ্যমে ২য় প্রজন্মের মিউটেশন, খতিয়ান ও এলডি ট্যাক্সের আন্তঃসংযোগ স্থাপন, শতভাগ হয়রানিমুক্ত ভূমিসেবা নিশ্চিতকরণ ও দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন, সম্পূর্ণ ক্যাশলেস ভূমি অফিসসহ সর্বোচ্চ রাজস্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভূমি সেবাকে সহজলভ্য ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলার মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব বলে এসময় মন্তব্য করেন ভূমিমন্ত্রী।

            মন্ত্রী জানান, ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভূমি বিষয়ক কুইজ ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। অন্যদিকে, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের দক্ষতার ভিত্তিতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

            উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে অনলাইনে সেবা ড্যাশবোর্ড যেমন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তেমনি মাঠ পর্যায়ে ভূমি অফিসে আকস্মিক পরিদর্শন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং হবে।

মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত

             প্রেস ব্রিফিং এর পর ভূমি ভবনে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে ‘মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের সেমিনার’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।

            এসময় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের টিম লিডার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, প্রকল্প পরিচালক মোঃ কফিল উদ্দিনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরামর্শকগণ এবং ভূমি জোনিং বিষয়ক বিশেষজ্ঞগণ।

            কৃষিজমি সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সেমিনারে বক্তারা মত ব্যক্ত করেন।

#

 নাহিয়ান/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ৫০০৮

বিটিসিএল এর সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

                                                      --- জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

          ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে  বিটিসিএল এর সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই  লক্ষ্যে সারা দেশে  বিটিসিএল এর অব্যবহৃত জমির সুষ্ঠু ব্যবহার, কলিং অ্যাপ আলাপ-এর সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জীবন-এর সেবার আওতাবৃদ্ধি এবং অন্যান্য অবকাঠামোর পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে স্মার্ট

ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে  নির্দেশনা প্রদান করেন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় টেলিযোগাযোগ ভবন মিলনায়তনে বিটিসিএল-এর কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

          প্রতিমন্ত্রী  চীনের নিজস্ব সোস্যাল মিডিয়া উইচ্যাট, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যাকোটক ইত্যাদির ন্যায় বাংলাদেশের নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কলিং অ্যাপ আলাপকে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি জাতীয় সোস্যাল প্লাটফর্ম তৈরি করার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের রয়েছে। বিটিসিএল এর আলাপ, জীবন এবং অব্যবহৃত ভূমি ও অবকাঠামো কাজে লাগাতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলাপ এর অগ্রগতিতে আমি খুশি কিন্তু সন্তুষ্ট নই। তিনি আলাপের  গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মার্কেটিং ও সার্ভিসিং এ দুটির ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

          পরে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় টেলিটককে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি হালনাগাদ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।

          অনুষ্ঠানে বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

#

 শেফায়েত/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৭৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       &

2024-06-06-14-46-9eba728b32503da11a4403168fd97f6a.docx 2024-06-06-14-46-9eba728b32503da11a4403168fd97f6a.docx