Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 7/9/2018

তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর : ২৪৬৮
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত 
করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
                      -- মোস্তাফা জব্বার
 
ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) : 
 
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শক্তিশালী  মিডিয়া হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগসহ সরকার কার্যকর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে দৈনিক বাংলার অর্জন ও সোস্যাল নেটওয়ার্কস এক্টিভিস্ট ফোরাম আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার  শীর্ষক  এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী প্রযুক্তির বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি বলেন, প্রযুক্তির অভাবনীয় উৎকর্ষের ফলে আগামী ৫ বছরে পৃথিবীতে যা কিছু ঘটবে তা কোনো মিডিয়া আন্দাজ করতে পারে না, আন্দাজ করা যায় না। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে   চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য তৈরি থাকতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। 
 
#
 
শেফায়েত/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর : ২৪৬৭
 
সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে
                                   -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
 
কেশবপুর (যশোর), ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) : 
 
দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামীতে দেশের জনগণ আবার সুযোগ দিলে উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহ আরো বেগবান করা হবে।
 
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুরে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহের সকল তথ্য যাতে জনগণের নিকট সঠিকভাবে পৌঁছায় সেদিকে সচেতন থাকতে হবে। উন্নয়নের তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছালে তারা এ সকল উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
 
#
 
মাসুম/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৪৬৬
 
দুদিনব্যাপী ‘জাতীয় জীবপ্রযুক্তি মেলা ২০১৮’ শুরু হয়েছে
 
ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :
জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা, গবেষণা ও জীবপ্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) এর ব্যবস্থাপনায় দেশে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় জীবপ্রযুক্তি মেলা ২০১৮’ আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে শুরু হয়েছে । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এ মেলার প্রতিপাদ্য হলো ‘ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় জীবপ্রযুক্তি’।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন এবং জীবপ্রযুক্তির গবেষণা বাড়াতে হবে। কৃষি, চিকিৎসা, শিল্প ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের  বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জীবপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (ঝউএং) অর্জন এবং রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন এর মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জীবপ্রযুক্তিবিদদের সক্রিয়া ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুন নতুন জীবপ্রযু্ক্িতর উদ্ভাবন এবং প্রয়োগের লক্ষ্যে জীবপ্রযুক্তিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে।  মন্ত্রী  আরো বলেন, জীবপ্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে গবেষণাকর্মের উপর সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্ল¦াহ আল মোহসীন চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুল হালিম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  মোঃ নাসিরুজ্জামান।  বাংলাদেশ জীবপ্রযুক্তির  বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক 
ড. মোঃ সলিমুল্লাহ।
মেলায় বাংলাদেশের ২৪টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২০০ ছাত্রছাত্রীসহ জীবপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং স্ব-শিক্ষিত গবেষকগণ ৭০টি স্টলে তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করছে। দুদিনব্যাপী এ মেলার অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে জীবপ্রযুক্তির জনপ্রিয় বিষয়ে উপস্থাপনা, গোলটেবিল বৈঠক (বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তি গবেষণা : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়, জীবপ্রযুক্তি শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান : সম্ভাবনা ও করণীয়), পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা (গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক), বায়োটেকনোলজি বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা, গবেষণা থিসিস ৩ মিনিটে উপস্থাপন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বায়োইনফরমেটিক্স প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
#
কামরুল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৯৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৪৬৫
 
স্বপ্ন অনেক বড় করে দেখতে হবে
---সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আমাদের স্বপ্ন অনেক বড় করে দেখতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিতে পেরেছিলেন। জীবনের যেকোন স্থান থেকে দাঁড়িয়ে সাফল্য লাভ করা সম্ভব। কাজটি শ্রম, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততার সাথে করলে নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করা যায়, একইভাবে দেশকেও সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায়। মনে রাখতে হবে সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই।
 
মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবে ঔঁহরড়ৎ ঈযধসনবৎ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ (ঔঈও) ইধহমষধফবংয আয়োজতি "ইব ঃযব পযধহমব : জবফবভরহরহম ঝঃবৎবড়ঃুঢ়বং''   শীর্ষক দিনব্যাপী এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে। শুধু মঞ্চে উপবিষ্ট লোকের সংখ্যাই নয়, বরং মঞ্চের সামনে উপস্থিত লোকের সংখ্যা বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য। শিল্প-সংস্কৃতির রস আস্বাদনকারী ব্যক্তির সংখ্যা আমাদের বাড়াতে হবে। আমাদের যুবসমাজকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও অপশক্তির ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে।
 
নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ১২ জন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব তাঁদের জীবনের সাফল্যের কাহিনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেন।
#
 
ফয়সল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮৪৫ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৪৬৪
 
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ’সম্ভাবনা’ উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :
সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সম্ভাবনা পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল সম্ভাবনা ডট নিউজ (যঃঃঢ়ং://ংড়সাধনড়হধ.হবংি) এর উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ নিউজ পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ নিউজ পোর্টাল বিয়ানীবাজার ও সিলেটসহ সারা দেশের উন্নয়ন কর্মকা- এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি-ক্রীড়া বিষয়ে সংবাদ মানুষের কাছে তুলে ধরবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। তিনি এ সংবাদ পোর্টালের সাফল্য কামনা করেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা আরো এগিয়ে যাবে ও উন্মোচিত হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এ পত্রিকাটি সমাজের কল্যাণে ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  রাখবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিকল্প হচ্ছে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও সাহিত্যচর্চা। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সরকার সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড একসেস এন্হান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ)-এর  মাধ্যমে দেশের ২৫০টি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮৩ লাখ বই প্রদান করেছে। ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৬৩ লাখ বই। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কবি নির্মলেন্দু গুন, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ফোরামের সভাপতি আলফাজ উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক কালের কণ্ঠের চিফ রিপোর্টার আজিজুল পারভেজ, উৎস প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী মোস্তফা সেলিম এবং সম্ভাবনা ডট নিউজ-এর সম্পাদক মাছুম আহমেদ।
#
 
আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৪৬৩ 
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘খরঃবৎধপু ধহফ ঝশরষষং উবাবষড়ঢ়সবহঃ’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে বাংলাদেশে এ বছরের মূল সেøাগান ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী।
দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশের ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লক্ষ নিরক্ষর নারী-পুরুষ সাক্ষরতা অর্জন করবে। এর পাশাপাশি, বিদ্যালয় হতে ঝরেপড়া ও নব্য সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মানুষদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সংযোগ করার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টায় বিগত এক দশকে সাক্ষরতার হার ২৮.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭২.৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি-৪) মানসম্মত ও সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রসারের অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে, যা বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমাদের সরকারের গৃহীত সাক্ষরতা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংক্রান্ত  উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
আসুন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে এ দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলাদেশে পরিণত করি।
আমি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
                                                                                             জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
                          বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
গুল শাহানা/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৪৬২ 
 
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
 
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
 
জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে কোনো জাতির উন্নয়নে সাক্ষরতার বিকল্প নেই। শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি, আর সাক্ষরজ্ঞান এর প্রাথমিক সোপান। সাক্ষরতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের দ্বার উন্মুক্ত হয়, যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে। তাই সাক্ষরতা অর্জন দেশের মানব সম্পদ তৈরির প্রথম ধাপ। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘খরঃবৎধপু ধহফ ঝশরষষং উবাবষড়ঢ়সবহঃ’ এবং সেøাগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ যা অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং এ আয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
 
বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা, সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে রূপকল্প ২০২১, গ্লোবাল ঝউএং ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সে লক্ষ্যে সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষক উন্নয়ন, বিদ্যালয়ের অবকাঠারমা উন্নয়ন, শতভাগ উপবৃত্তি কার্যক্রম, স্কুল ফিডিংসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের বিশেষ ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে আলোকিত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪। শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সাক্ষরতা কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, এনজিওসমূহ জোরালো ভূমিকা পালন করবে এ প্রত্যাশা করি।
 
আমি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 
 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
 
ইমরানুল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা 
Todays handout (5).docx