তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৫
উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি প্রকল্পের অধীনে জিআরপি (গভর্নমেন্ট রিসোর্স প্লানিং) সফটওয়্যারের অংশ হিসেবে প্রকিউরমেন্ট এবং এসেট ম্যানেজমেন্ট মডিউল তৈরির জন্য সকল স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে চাহিদা গ্রহণ করে বিস্তারিত এনালাইসিস করে সফটওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট স্পেসিফিকেশন বা এসআরএস প্রস্তুত করা হয়েছে।
আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষ দিনব্যাপী এক পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিবিদদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তরে ব্যবহারের জন্য জিআরপি সিস্টেম তৈরি করা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এর উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রধান, প্রকল্পের স্টেকহোল্ডারগণ, বুয়েটের মনোনীত পরামর্শক দল এবং সিনেসিস আইটির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ দু’টি মডিউল উন্নয়ন হলে এর মাধ্যমে ই-জিপির সাথে সমন্বয় করে সকল প্রকার কেনাকাটা খুব সহজেই সম্পন্ন করা যাবে এবং ক্রয়কৃত এসেটসমূহ যথাযথ ব্যবহার ও মেইন্টেনেন্স এ দক্ষতা বৃদ্ধি হবে। এভাবে অফিস অটোমোশন এবং পেপারলেস অফিস তৈরি করে দ্রুত সেবা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।
বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি পাইলট প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিকভাবে আইসিটি ডিভিশনের ছয়টি সংস্থা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চারটি সংস্থার জন্য মোট ৯টি মডিউল উন্নয়ন করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় এই জিআরপি বাস্তবায়ন করা হবে। কর্মশালায় সঞ্চালন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ড. অশোক কুমার রায়। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ৪৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
#
শহিদুল/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/২৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৪
দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কারিগরি শিক্ষার ওপর
--- শিক্ষা উপমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর।
উপমন্ত্রী আজ রাজধানীর কাকরাইলে আইডিবি ভবনে বাংলাদেশ বেসরকারি পলিটেকনিক উদ্যোক্তা সমিতি আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বেশি থাকায় আগামীতে কারিগরি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাধারণ ধারার চেয়ে বেশি হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার তাদেরকে নীতিগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলেও জানান উপমন্ত্রী। শুধু সরকারি উদ্যোগে এই খাতের কাক্সিক্ষত বিস্তার সম্ভব নয় জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী দেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে বেসরকারি বিনিয়োগ আরো বাড়াতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপমন্ত্রী বলেন, মূল জনগোষ্ঠীকে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা দিতে সাধারণ ধারার শিক্ষার্থীদেরকেও বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নেয়া বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। এ জন্য বিদ্যমান পলিটেকনিকগুলোর অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি। এ সময় উপমন্ত্রী বেসরকারি পলিটেকনিকগুলোকে তাদের দুর্বলতা দূর করে যথাযথ মান বজায় রাখার পরামর্শ দেন।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. মোঃ ফারুক হোসেন এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান।
#
জাহিদ/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২২৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫৩
দেশের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসবে মেধাসম্পদ থেকে
--- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধা সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। আগামীতে দেশের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসবে মেধা সম্পদ থেকে। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণ গভীর ক্রীড়ানুরাগী ছিলেন। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতার পর দেশে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলার চর্চা বিস্তার লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে মেধা ও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর পুরানা পল্টনে ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস ২০১৯ উপলক্ষে শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সাবেক টেনিস তারকা জোবেরা রহমান লিনু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ও স্থানীয় খেলাধুলাসমূহ আমাদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসকল খেলাধুলাকে ভৌগলিক নির্দেশক উপকরণ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে সুরক্ষিত করতে হবে। অনেক ক্রীড়া ফেডারেশন পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেনা মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী এসকল ফেডারেশনকে সহায়তার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্প সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক ট্রেডমার্ক ব্যবস্থা মাদ্রিদ প্রোটকলে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধিসহ তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পেটেন্ট আইনকে যুগোপযোগী করা হবে।
#
মাসুম/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২১৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫২
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বৈঠকে নিরাপদ, নিয়মিত, সুষ্ঠু ও দায়িত্বশীল অভিবাসন এবং প্রতি উপজেলা থেকে প্রতিবছর একহাজার জন যুব/ যুব মহিলাদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ, কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, মৃণাল কান্তি দাস, পংকজ নাথ, সাদেক খান, আয়েশা ফেরদৌস এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।
#
রাশেদ/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫১
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলার
--- অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলার। আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি।
মন্ত্রী আজ শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় রাজস¦ বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪০তম সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এবার আমাদের রাজস্ব আহরণ টার্গেট দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। এটা অর্জন করতে হবে। তবে কাউকে কষ্ট দিয়ে ট্যাক্স আহরণ করা হবে না। সবার সঙ্গে উইন উইন অবস্থানে রাজস্ব আদায় করা হবে। সরকারের চাহিদা বেড়েছে। দেশের উন্নয়নে আমাদের রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। আমাদের প্রায় ৪ কোটি মানুষ মধ্যম আয়ের। কিন্তু তাদের ১০ শতাংশও কর দেয় না। যারা কর প্রদান করে না তারা অনেক বেশি আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও কর না দিয়ে ক্রমাগতভাবে অব্যাহতি পেয়ে যাচ্ছে। আমি জাতিকে এ অপবাদ থেকে মুক্তি দিতে চাই। যারা কর দেননি তাদেরকে এবার কর প্রদান করতে হবে- তাদেরকে অবশ্যই করের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এবারের কর ব্যবস্থায় মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে কোনো ভাবেই কোন খাতে কর না বাড়িয়ে করের ক্ষেত্র প্রসারিত করে রাজস্ব বাড়ানো। কর নেওয়া হবে কারো উপর করের বোঝা বাড়িয়ে নয় বরং করের আওতা বাড়িয়ে পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, দাবির ক্ষেত্রে কোথাও আপনাদের উপর ন্যায় ছাড়া অন্যায় হবে না। আমরা এবার বাজেটটিকে উপস্থাপন করব খুব সংক্ষিপ্ত আকরে এবং সহজবোধ্যরূপে, যাতে করে বাজেটটি সকলের বোধগম্য হয়। যাদের জন্য বাজেট সেই সর্বস্তরের মানুষ যাতে সহজে বাজেটটি বুঝতে পারে। বাজেট দেখলেই যেন তাদের কাছে দুর্বোধ্য কিছু, ভীতিকর কিছু মনে না হয়।
মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদেরই একজন, আমি এখানে এসেছি দায়বদ্ধতা থেকে। আগামী ৫ বছর কর কমবে ছাড়া বাড়বে না তবে করের আওতায় বাড়বে। আপনাদেরকে অনুরোধ করি কোন প্রকার ঘুষ দিবেন না এবং ঘুষ নিবেন না। পবিত্র কোরআনে ঘুষ দেওয়া নেওয়াকে হারাম করা হয়েছে। আশা করছি এখন থেকে আর দুর্নীতিতে কেউ সহায়তা করবেন না এবং কেউ দূর্নীতি করবেন না। পাশাপাশি আমাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এফবিসিসিআই সদস্য, সরকারের সদস্য, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তাদের একটি পরামর্শ কমিটি থাকবে যারা আমাকে পরামর্শ দিবে কিভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়, কিভাবে সঠিক সেবাটি নিশ্চিত করা যায়। আমার সকলে দেশের জন্য কাজ করব, দেশকে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছে নিয়ে যাবো।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মেশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ প্রমুখ।
#
তৌহিদুল/ফারহানা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৫০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত ছয় সদস্যের পাঁচজনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়াকে স্বাগত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি শেষ পর্যন্ত শপথ নিলো। আমি তাদের এ শপথ নেয়াকে অভিনন্দন জানাই।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী হলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘তারুণ্য কথা’ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ‘আছো সত্তায়, আছো চেতনায়’ শীর্ষক ১০০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শপথ নেয়া নিয়ে বিএনপির দু’ধরনের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল সকালেও রিজভী সাহেব বলেছেন, সরকার শপথ নেবার জন্য বিএনপির ওপর চাপ দিচ্ছে, আর শপথ নেবার পর ফখরুল সাহেব বললেন, সরকারের কোনো চাপে নয়, তারেক রহমানের নির্দেশেই শপথ নেয়া হয়েছে। আমি আশা করি ফখরুল সাহেবও শপথ নেবেন।'
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমরা একটি তর্কভিত্তিক বহুমাত্রিক সমাজ গড়তে চাই। বিএনপি যেমন এখন সকাল-বিকাল দু’বেলা সরকারের বিরুদ্ধে বাইরে কথা বলছেন এখন তারা সংসদে বলতে পারবে। আমরা মনে করি, সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দেয়া বিরোধী দলগুলোর কাজ। কারণ গঠনমূলক সমালোচনা কাজকে শাণিত করে।’
বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে যোগদানের সময় বৃদ্ধি প্রার্থনা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি আলমগীর সাহেবই বলবেন।’
ড. হাছান মাহ্মুদ এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী আয়োজনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত দেশ গড়ার পাশাপাশি মানুষের আত্মিক ও চেতনাগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে উন্নত জাতি গঠন আবশ্যক। আর এজন্য শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চাকে নিয়ে যেতে হবে মানুষের কাছে, সবখানে।’
তারুণ্য কথা’র আহ্বায়ক মোঃ আতিকুর রহমান দীপুর সভাপতিত্বে অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও অধ্যাপক জামাল আহমেদ তাদের চিত্রকর্মের মাধ্যমে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ও আওয়ামী লীগের প্রচার উপকমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন। সভাশেষে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তথ্যমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ।